আম/আঁব
ফলশাক বলতে বোঝায় যে গাছে ফুলের পর ফল আসে । কাঁচা–পাকা যে কোন রকমের ফল শরীরের পক্ষে ভাল । কারণ ফল নিজের রসে জীর্ণ হয়–হজমের জন্যে যকৃতের সাহায্য বেশী নিতে হয় না । অথচ ফল শক্তির যোগান দেয় যথেষ্ট ।
ফলশাক বলতে বোঝায় যে গাছে ফুলের পর ফল আসে । কাঁচা–পাকা যে কোন রকমের ফল শরীরের পক্ষে ভাল । কারণ ফল নিজের রসে জীর্ণ হয়–হজমের জন্যে যকৃতের সাহায্য বেশী নিতে হয় না । অথচ ফল শক্তির যোগান দেয় যথেষ্ট ।
নেশার ত্রিদোষ
নেশার জিনিস আমরা তাকেই বলি যার তিনটি লক্ষণ–(১) নিয়মিত সময়ে নেশার জিনিস না পেলে মন উশ্খুশ্ করে, কোন কাজে মন বসে না৷ (২) নেশার জোর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ সে বুদ্ধিভ্রষ্ট অবস্থায় থাকে ও স্থায়ীভাবে নেশা করতে থাকলে, বুদ্ধিভ্রষ্টতাও স্থায়ী হয়ে যায়৷ (৩) নেশার তৃতীয় দোষ হচ্ছে যকৃত, কন্ঠ, কিডনী অবশ্যই তাতে আক্রান্ত হয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্ঠবদ্ধতা রোগও দেখা দেয়৷
অজীর্ণ রোগের ফলে অনেক প্রাণঘাতক রোগের সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই আহারের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিত৷ পুরনো চালের ভাত (যেমন পোরের ভাত) এ রোগে পথ্য৷ ঘোল অজীর্ণ রোগীর পক্ষে বিশেষ হিতকারী৷ নুনে জরিয়ে জামেরী নেবু অজীর্ণ রোগে একটি ভাল ব্যবস্থা৷ শোভাঞ্জন বা শোজনে পাতার ঝোল প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই অজীর্ণ রোগে ভাল ফল পাওয়া যায়৷ বেলপাতা, কালমেঘ পাতা, সোমরাজ পাতা, আদা, যোয়ান একত্রে পিষে, তা দিয়ে ছোট ছোট বড়ি তৈরী করে সেগুলি শুকিয়ে নিতে হবে৷ প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবারের পর একটা করে সেই বড়ি খেতে হবে৷ অজীর্ণ রোগে এই ঔষধও কাজ দেয়৷
স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই বলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷
পরিচয় ঃ যদিও ভাবারূূার্থে গন্ধপত্র, গন্ধপত্রী, গন্ধপত্রা তিনই এক........তিনেরই মানে যার পাতায় গন্ধ আছে, কিন্তু যোগারূূার্থে তারা পৃথক৷ মেথী (মধুগন্ধী বা মেথিকা) বা যোয়ান (যমানী বা যমানিকা যা থেকে হিন্দীতে জমাইন) সুগন্ধী পত্রের জন্যে প্রাচীনকাল থেকে আদৃত৷ পাকস্থলীতে যম অর্থাৎ সংযম অর্থাৎ ন্তুপ্সুব্ধব্জপ্সপ্ত আনে বলেই একে যমানী বা যমানিকা বলা হয়৷ যমানিঞ্ছযঞাঁইঞ্ছ যোয়ান৷ হিন্দীতে ‘জ’ দিয়ে লিখতে হবে৷ বাংলায় লিখতে হবে ‘য’–দিয়ে৷ অনেকে বলেন নাম যমানী বা যমানিকা কিনা, তাই যমকে দূরে ঠেকিয়ে রাখে৷ যোয়ান একটি শীতের রবি ফসল৷ এর জন্যে আলাদা করে জমি নির্দিষ্ট করে রাখা যেতে পারে৷ আবার আলুর খেতে রন্ধনী (রা
নোতুন তেঁতুলের চেয়ে পুরণো তেঁতুলের গুণ অনেক বেশী৷ যে সকল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে শরীর শুকিয়ে যায় সে সকল দেশে তেঁতুলের ব্যবহার বিশেষ মূল্যবহ৷ শুকনো দেশে বা টানের সময় তেঁতুল না খেলে শরীর দুর্বল হতে পারে৷ পোস্ত, বিড়ি কলায়ের ডাল ও তেঁতুল বিশুষ্ক্তা রোগের প্রতিষেধক৷ অতি গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এই খাদ্যগুলি রোগ নিরাময় করে থাকে৷
তেঁতুল একটি সাত্ত্বিক ফল৷ মস্তিষ্ক্ রচনায় এর যথেষ্ট ভূমিকা আছে৷
‘লবণ’ শব্দের অর্থ হ’ল যে সৌন্দর্য বা লাবণ্য আনায়৷ প্রয়োজন মত লবণ শরীরে গৃহীত না হলে শরীরের সৌকুমার্য ও কমনীয়তা নষ্ট হয়ে যায়৷ এই অর্থেই লবণ শব্দটি তৈরী হয়েছে৷ ‘লবণ’ মানে লক্তপ্রাণ (রক্তপ্রাণ)৷
স্নানবিধি
স্নানকে প্রধানতঃ তিনটি স্তরে ভাগ করা (হয়) ঃ– ১) ছেদ্য ধারা, ২) অচ্ছেদ্য ধারা, ৩) অবগাহন৷
মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সব জিনিসকে দাঁতে চিবিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷
ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷
শীতকালে বাড়ীর তৈরী হালকা রান্না খাবার শরীরের পক্ষে ভাল৷ শরীরের জন্যে যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা খান৷ অল্প অল্প করে বারে বারে খিদে পেলে খান৷ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান৷ দুপুরের খাবার বিকেলে, বিকেলের খাবার সন্ধ্যায় বা রাতের খাবার অধিক রাতে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেবে৷ শীতে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড তেল মশলা জাতীয় খাবার ও ফ্যাটিফুড জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় বা না খাওয়া যায় ততই ভাল৷ এতে শরীর সুস্থ থাকবে৷ বিভিন্ন মশলা জাতীয় খাবার রোগব্যাধী সৃষ্টি করে৷ একটা কথা মনে রাখতে হবে পেটের শত্রু হ’ল জিভ৷ মানুষ সাধারণত শরীরের জন্যে ভেবেচিন্তে খাবার খায় না৷ জিভের স্বাদের জন্য খায়৷ ফলে হজমের নানা সমস্যায় ভোগে৷