স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

ছাত্র–ছাত্রাদের স্মরণ শক্তি বাড়ানোর উপায়

(১)Repetition প্রয়োগ অর্থাৎ মুখস্থ করা বিষয় লেখা বা অন্যকে শোণানো (২) পাঠ্য বিষয় এমন ভাবে পড়া যাতে কানও শুণতে পায় (৩) অধীত (পাঠ্য বিষয় যা আয়ত্ত করা হয়েছে) বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ catch-word একটা ছন্দের মধ্যে সাজিয়ে নিয়ে মনে রাখা (৪) প্রাক্–প্রত্যুষে যখন বাহ্যিক পরিবেশ শান্ত থাকে তখন অবশ্যই পড়ার অভ্যাস তৈরী করা (৫) কয়েকটি আসন যেমন মৎস্যমুদ্রা, জ্ঞানাসন, শশঙ্গাসন অভ্যাস করা আচার্য শেখাবেন (৬) মাঝে মাঝে ব্রাহ্মী শাক, স্বল্প পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া  (৭) শাঁখালুর রস প্রত্যহ পান করা (৮) গুরুধ্যান৷      

(দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য থেকে)

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, বড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

শিশুদের জন্যে স্বাস্থ্য বিধি

পাঁচ বৎসরের কম বয়স্ক্ বালক–বালিকার প্রধান খাদ্য দুগ্ধ ও  ফলমূল৷ শ্বেতসার, শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাদ্য যত কম দেওয়া যায় ততই মঙ্গল৷ কারণ ওই সকল খাদ্য শিশুর অপরিণত যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলিকে দুর্বল করে দেয়৷

সুস্থ থাকতে চাল কুমড়ো

সংগৃহিত

*             চাল কুমড়ো একমাস খেলে পরিশ্রম করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়৷

*             এই সব্জি বলকারক, পুষ্টিকর, ফুসফুসও ভাল রাখে৷

*             চাল কুমড়োর বীজ চার সপ্তাহ খেলে কৃমি নাশ হয়৷

*             দু’চার চামচ চাল কুমড়োর রস বের করে নিয়ে তাতে চিনি মিশিয়ে আট সপ্তাহ খেলে অম্বল বা অজীর্ণ রোগ সারে৷

*             মৃগী বা উন্মাদ রোগের পক্ষেও এটা উপকারী৷

*             চাল কুমড়োর রস এক সপ্তাহ অন্তর ছ’মাস একটু চিনি ও জাফরানের সঙ্গে পিষে খেলে সব রোগে উপকার পাওয়া যায়৷

সাইকো সার্জারি অপরাধীকেও ভালমানুষে রূপান্তরিত করতে পারে

এন এন এস ঃ ইদানীং প্লাষ্টিক সার্জারি করে বদলে দেওয়া যায় মানুষের চেহারা৷ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাফল্যে কিডনি, হৃৎপিণ্ড সব কিছু পাল্টে ফেলা সম্ভব হচ্ছে৷ হাড়, মজ্জা বদলে বা নতুন করে জোড়া লাগানোও মানুষের নাগালের মধ্যে৷ কিন্তু এভাবে যদি মানুষের মনের গতি বদলে দেওয়া যেত তাহলে এ পৃথিবীতে অনেক কাণ্ডই ঘটতে পারত৷ সম্প্রতি চিকিৎসকরা ‘সাইকো সার্জারি’র মাধ্যমে একজন অপরাধীকেও ভাল মানুষে রূপান্তরিত করতে পারবে৷ অপরাধীকে একজন শান্ত মানুষের মত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীতে পরিণত করা যাবে৷ গবেষকদের এই সাফল্যের সূত্র ধরে একটি ঘটনার কথায় আসা যাক৷ প্রাচীন রোমে একটি প্রবাদ বাক্যের খুব প্রচলন ছিল যে, কপালে তলোয়ারের ঘা দি

হাঁটুর ব্যথায় করণীয়

যাদের পা ও হাঁটুর শক্তি কম, পায়ে বাতের সমস্যায় ভুগতে হয় বা কোমরে জোর কম, কোথাও বসলে উঠতে কষ্ট হয়, তাদের জন্যে সরল উৎকট আসন বেশ উপকারী৷ এই আসন নিয়মিত করলে দেহের নীচের অংশ খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠবে৷ তবে যারা বই দেখে ব্যায়াম করেন, তাদের ব্যায়াম সঠিকভাবে হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে যদি কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন৷ মানুষের দেহের ঘটন অনুসারে অনেক ক্ষেত্রেই বইয়ের নির্দেশনার সঙ্গে দেহের ভঙ্গিমার হুবহু মিল নাও হতে পারে৷ তবে নিয়মিত অনুশীলন করতে করতে একসময় ব্যায়ামের কৌশলগুলো দেখবেন নিজের আয়ত্তে এসে গেছে৷ আর সবচেয়ে যেটা জরুরী সেটা হল ব্যায়াম করার সময় ইতিবাচক চিন্তা বা আশা থাকতে হবে৷

মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে নিম পাতা চিবিয়ে খান

নিম পাতা আমাদের বিশেষ উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে মানসিক দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে নিম পাতা যে সাহায্য করে তা হয়ত অনেকেই জানেন না৷ দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রতিদিন কয়েকটি তাজা নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন৷ তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে চর্মরোগ দূরে পালিয়ে যায়, দাঁতের অসুখ সেরে যায়, রক্তে শর্করা ও উচ্চচাপ দূরে পালিয়ে যায়৷ এছাড়া নিদ্রাহীনতার রোগও পালিয়ে যায়৷ অম্বল হলে নিম গাছের ছাল এক কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷ রোজ সকালে খালি পেটে নিমছাল ও নিমপাতা বেটে তার বড়ি করে খেলে কৃমি রোগ সেরে যায়৷

মাথাব্যথা কেন?

পরিবেশ বিজ্ঞানী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদরাও এ প্রশ্ণের জবাব দিয়ে মানুষের স্বার্থবোধকে প্রসারিত করাবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ জীববৈচিত্র্যের বিনাশ সাধনের ফলে আমাদের কত ধরনের যে সমস্যা তৈরী হচ্ছে, তারও অসংখ্য দৃষ্টান্ত দেওয়া হচ্ছে৷ একটা সত্য ভুলে যাওয়ার উপায় নেই যে, অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর মতো আমরাও এ বিশ্বের প্রাণী ও বাঁচার জন্যে অন্য প্রাণীর মতো আমরাও এ বিশ্বের ওপর নির্ভরশীল৷ বিজ্ঞানীদের মতে, যত বেশী সংখ্যক প্রজাতির প্রাণী এ গ্রহে অচ্ছেদ্য পরিবেশগত ভারসাম্যের মধ্যে বসবাস করবে, ততই সেটা স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনশীল হয়ে উঠবে৷ আমরা সবুজ বনে কিংবা কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করি না কেন যে বিশুদ্ধ জল, বায়ু, অ

শিশুর শ্রেষ্ঠ খাবার মায়ের দুধ

ডাঃ আলমগির

বিভিন্ন গবেষণা থেকে এটি প্রমাণিত যে, মায়ের দুধই নবজাতক শিশুর পক্ষে সর্বশ্রেষ্ঠ পুষ্টিকর খাবার৷ মাতৃদুগ্ধ পান করলে শিশুর সংক্রামক রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়৷ মা’র পুনঃগর্ভধারনের দূরত্ব বেড়ে যায়৷ মায়ের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে৷ এইসব সুফল পেতে হলে বাধাহীনভাবে নবজাতক শিশুকে প্রথম ছয় মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে শুধুই মায়ের দুধ পান করাতে হবে৷ এই সময় শিশুকে অন্য কোন খাবার এমনকি জলও পান করানো ঠিক নয়৷ এই প্রক্রিয়া চললে মা ও শিশু দুজনেই উপকৃত হবে, সাথে সাথে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে জাতি উপকৃত হবে৷ সেই কারণে বিভিন্ন মাতৃসেবা সংস্থাগুলি জানাচ্ছে শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়া একপ্রকার আবশ্যিক