আদালতের রায় অমান্য করে রবীন্দ্র সরোবরে তাণ্ডবের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত সরোবরে আদালতের নিষেধ অমান্য করে যেভাবে পুলিশ প্রশাসনের সামনে তালা ভেঙ্গে ছট পূজা হ’ল তার তীব্র প্রতিবাদ করেন আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ৷ শ্রী দাশ বলেন---আমরা বাঙালী কোন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়৷ যে যার মত ধর্মাচরণ করতেই পারে৷ কিন্তু ভিন্ রাজ্য থেকে পেটের দায়ে বাঙলায় এসে বাঙলার কৃষ্টি-সংসৃকতির ওপর আঘাত হানবে এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ শুধু তালা ভাঙ্গাই নয়, কয়েক হাজার লোকের পূজো সামগ্রীসরোবরেব জলকে দূষিত করে৷ পরিণতিতে মাছ, কচ্ছপ প্রভৃতি জলজ প্রাণী মরতে শুরু করেছে৷

শ্রী দাশের কথায় বিজেপি, তৃণমূল ভোটের স্বার্থে বাঙলায় বাংলার ভাষা, কৃষ্টি, সংসৃকতি বিসর্জন দিয়ে বিহারী তোষণ করতে শুরু করেছে৷ বিজেপি দলটাই বাঙালী বিদ্বেষী৷ কিন্তু তৃণমূল বিশ্ববাঙলার লোগো টাঙিয়ে যেভাবে বিহারী তোষণ করছে তার নিন্দা করার ভাষা আমার জানা নাই৷ যে যার মত ধর্মাচরণ করার স্বাধীনতা সবার আছে৷ কিন্তু গায়ের জোরে ধর্মাচরণ পালনের স্থান কেউ নির্ধারণ করতে পারে না৷ বিশেষ করে পরিবেশ রক্ষার জন্যে যেখানে আদালত নিষেধ জারী করেছে  গায়ের জোরে সেখানে ঢুকে ছট্পূজা গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভের ওপর আঘাত৷ বিস্ময়ের কথা রাজ্যের শাসক দল ও প্রধান বিরোধী দল এই নক্ক্যারজনক কাজকে সমর্থন করেছে৷

রবীন্দ্রনাথ এইসব কুসংস্কার, ভাবজড়তার চরম বিরোধী ছিলেন৷ তিনি প্রবন্ধ কবিতার মধ্যে তঁার সেই ভাবনা প্রকাশ করে গেছেন৷ তাই তার নামাঙ্কিত সরোবরে ছট্ পূজা করতে দিয়ে, আবার এই সরকার যখন রবীন্দ্রপ্রেমে গদ্গদ্ হয়ে যান তখন সেটা ভণ্ডামী ও কপটাচারিতা৷ আগামী দিনে রবীন্দ্র সরোবরে ছট্পূজা করতে এলে আমরা বাঙালী যোগ্য জবাব দেবে৷