May 2018

আনন্দনগরে নববর্ষ উৎসব

৫ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে হাইস্কুল হোষ্টেল নং-৩ এ তিনঘন্টাব্যাপী অখন্ড ‘বাবা নাম কেবলম্’ নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সাধনা পূজাপাঠের পর নববর্ষ সম্বন্ধে বক্তব্যে রাখেন রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷ হোষ্টেলের  শিক্ষক শ্রী প্রিয়গোপাল নায়েক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন৷ নববর্ষ  উপলক্ষ্যে  হোষ্টেল  সুপারিন্টেন্ডেড আচার্য নাগভূষণনন্দজী সকলকে আহারে আপ্যায়িত করেন৷

 

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র পেশ

পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্য জুড়ে এবার সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল৷ অন্যান্য বিরোধী দলের মত আমরা বাঙালী প্রার্থীদেরও প্রায় সর্বত্রই শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা মনোনয়নপত্র পেশে বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রদান করে ও হুমকী দেখায়৷ কিন্তু সমস্ত বাধা বিপত্তির ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলায় আমরা বাঙালীর মোট ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন৷ আজ এই সংবাদ জানিয়ে আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুল চন্দ্র রায় বলেছেন ---আমরা বাঙালী চায় দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, কোনরকম জাত-পাত-সম্প্রদায়ের বিভেদ না মেনে সমস্ত মানুষের সার্বিক উন্নয়ন কৃষিক্ষেত্রে কর্ষক

বর্ধমান জেলার বোরহাট আনন্দমার্গ স্কুলে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ৯৮তম জন্মোৎসব পালন

বর্ধমান জেলার বোরহাট আনন্দমার্গ স্কুলে   মহাসমারোহে   মহান দার্শনিক ও শিক্ষাগুরু শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী নামে সমধিক পরিচিত,  তাঁর ৯৮তম জন্মোৎসব পালিত হল৷ বিদ্যালয়ের ৭০০জন ছাত্র-ছাত্রা ও অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ছাড়াও বহু শুভানুধ্যায়ীর উপস্থিতিতে প্রভাতসঙ্গীত ও কীর্ত্তন  পরিবেশনের পরে  তাঁর জন্মক্ষণ ভোর ৬টা ৭মিনিটে শঙ্খধবনি ও উলুধবনি  ও পরমপিতা বাবা কি জয়ধবনির মধ্যে দিয়ে উপস্থিত  ভক্তবৃন্দ তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও ৯৮টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন  করেন৷

পক্ষাঘাত (প্যারালিসিস)

মানুষের দেহরূপী যন্ত্রের আপাতঃ নিয়ন্তা তার মস্তিষ্ক্৷ সংজ্ঞা ও আজ্ঞা নাড়ীর সাহায্যে মস্তিষ্কই বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে ভাব গ্রহণ ও সঞ্চালন করে’ থাকে৷ এই মস্তিষ্ক্রূপী স্নায়ুকেন্দ্র আবার দক্ষিণ ও বাম ভেদে মোটামুটি দু’টি অংশে বিভক্ত৷ দক্ষিণ মস্তিষ্ক্স্থ স্নায়ুপুঞ্জ দেহের বাম অংশ বা বাম পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে ও বাম মস্তিষ্ক্ স্নায়ুপুঞ্জ দেহের দক্ষিণ অংশ বা দক্ষিণ পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ রক্তের চাপে বা অন্য কোন কারণে মস্তিষ্কের কোন একটি অংশের স্নায়ুপুঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে’ পড়লে সেই অংশ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত দেহাংশ বা পক্ষ নিষ্ক্রিয় হয়ে’ পড়ে৷ দেহাংশবিশেষের এই যে নিষ্ক্রিয়তা একেই বলা হয় পক্ষাঘাত বা পক্ষ

কণ্ঢকারী (ক্রোড়পর্ণী) ও বসন্তরোগ

‘ক্রোড়পর্ণী’ শব্দের অর্থ হ’ল কণ্ঢকারী৷ কণ্ঢকারী একটি ঔষধ৷ রাঢ়ের মানুষ কণ্ঢকারী ফল খেতেন৷ পথেঘাটে–জঙ্গলে–বা এই কণ্ঢকারীর গাছ অযত্নে জন্মায়, অনেক সময় আগাছা হিসেবে তুলে ফেলতে হয়৷ এর পাতা বেগুন পাতার মত কিন্তু পাতায় বেশ কাঁটা আছে৷ গ্রাম বাংলায় একে কেউ কেউ জঙ্গলী বেগুনও বলে থাকেন৷ ঈষৎ তিক্ত এই কণ্ঢকারীর ফল তথা অধিক তিক্ত এর শেকড় নানাবিধ রোগের, বিশেষ করে চর্মরোগের ঔষধ বলে পরিচিত৷ এক আনা পরিমিত (১–গ্রামের মত) কণ্ঢকারীর মূল আড়াইটা গোলমরিচের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এক বৎসরের মধ্যে বসন্তরোগের আক্রমণ হয় না৷  কণ্ঢকারীর শেকড়ের সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে কফরোগের ঔষধ তৈরী হয়৷

লাট খাওয়া হাম বা বসন্ত

কুলের পাতা মিহি করে শিলে বেটে এক বালতি জলে বাটা জিনিস ফেলে দিয়ে খানিকক্ষণ ধরে’ হাতে করে’ নাড়লে জলের ওপর ফেনা দেখা দেয়৷ চামড়ার ওপর সেই ফেনা লাগালে লাট–খাওয়া বসন্ত বা লাট খাওয়া হাম জেগে ওঠে৷ তখন তা আর মারাত্মক থাকে না৷৮১ গাছটি বার্তাকু (বেগুন) বর্গীয়৷ তবে মাটিতে শুয়ে শুয়ে এগিয়ে যায়৷ কাঁটার সংখ্যা একটু বেশী৷ এর ফল অল্প তেলে ভেজে অগ্ণ্যাশয়ের ঔষধ রূপে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহারের বিধি প্রচলিত আছে৷

বর্ণমালা......... কালীর গলায় মুণ্ডমালা অক্ষমালা

‘অক্ষ’ শব্দটির অনেকগুলি অর্থ রয়েছে৷ ‘অ’ বর্ণমালার প্রথম অক্ষর ও ‘ক্ষ’ বর্ণমালার শেষ অক্ষর৷ এই ‘অ’  ও ‘ক্ষ’–এর মাঝখানে রয়েছে আরও ৪৮টি অক্ষর৷ অক্ষরের মোট সংখ্যা ৫০৷ তাই ‘অক্ষ’ বলতে বোঝায় ৫০টি বর্ণকে৷ বর্ণমালার পরিবর্তে তাই অক্ষমালাও ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ অথর্ববেদীয় ভদ্রকালীর বর্ণনায় বলা হয়েছে, কালান্তরের দেবী মহাকালী বা ভদ্রকালী এই ৫০টি অক্ষরকে ধারণ করে রাখেন৷ সেকালের মানুষের লিপিজ্ঞান ছিল না৷ কিন্তু বর্ণ বা অক্ষর জ্ঞান ছিল৷ মন্ত্রাদি গুরুপ্রমুখাৎ শিষ্য কর্ণের মাধ্যমে গ্রহণ করতেন৷ সংসৃক্তে কাণকে ‘শ্রুতি’ বলা হয়৷ এই কারণে কাণের মাধ্যমে শেখা বেদকে ‘শ্রুতি’ বলা হ’ত৷

মাভৈ

ডঃ সাধনা সরকার

পৃথিবীর গভীরতর আনন্দ

তুমি এসেছিলে

ভালবেসেছিলে

সুগন্ধে ভেসেছে অমল বিমল

তীর্থকারেরা৷

এমন সুগন্ধীর সময়

রক্তকরবী স্নান সেরেছে

তোমার পেলব হাতে

ভয় নেই

মাভৈঃ তোমার মন্ত্রক্ষরা

তরুলতা বিটপিতে আর

আমাদের আত্মকথা৷

 

প্রণাম সপ্তদশ দধীচি

শ্রীমতী জয়া সাহা

আজও চারিদিকে খুনোখুনি, জঙ্গীহানা, সন্ত্রাস৷

মনুষ্যাকৃতি বর্বরেরা করে চলেছে উল্লাস৷

কালের স্রোতে সময় এগিয়ে চলে

তিরিশে এপ্রিল আবার ফিরে আসে

তিরিশে এপ্রিল এমনি এক দিনে,

একগুচ্ছ তাজা প্রাণ,  পড়েছিল ঝড়ে৷

নরঘাতকের অপ্রত্যাশিত আক্রমণে৷

তাজা রক্তে রাঙায়িত হয়েছিল মহানগরীর মাটি৷

বিজন সেতু তুমি হায় চিরসাক্ষী

তুমি চিরদিনের চিরকালের  প্রহরী৷

সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীদের করুণ চিৎকার৷

আজও আকাশে-বাতাসে রয়েছে মিশে

পাপাচারীদের কীর্তি পড়ে গেছে জমা

ওরা কোনও দিন পাবে না, পাবে না ক্ষমা৷

মানবতা বাঁচাও

শ্রীপথিক

১৯৮২’র ৩০শে এপ্রিল

বিজন সেতু লাল হয়ে গেল৷

সতের জন সন্ন্যাসী–সন্ন্যাসিনীর্ রক্তাক্ত দেহ

লুটিয়ে পড়েছিল ধূলায়৷

রক্তের নদী, পিশাচের নৃত্য

আগুনের লেলিহান শিখার মাঝখানে

‘বাঁচাও বাঁচাও’ রব–

‘বাঁচাও মানবতা’–

সেদিন সে কাতর আহ্বান

সবার অলক্ষ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল

দিক থেকে দিগন্তে–

দেশ থেকে দেশান্তরে৷

সেই  আহ্বান

সেই মশালের প্রদীপ্ত শিখা

একটি থেকে দু’টি, দু’টি থেকে চারটি......

এমনি করে বাড়তে বাড়তে হবে একদিন

মশাল মিছিল৷

আর সেই মশালের অগ্ণিতে

জ্বলে পুড়ে ছাই হবে