June 2018

বাঙলাদেশে আনন্দমার্গের বার্ষিক ধর্মমহাসম্মেলন

৭ জুন থেকে বাঙলাদেশের বীরগঞ্জে (দিনাজপুর) আনন্দমার্গের বার্ষিক ধর্মমহাসম্মেলন শুরু হচ্ছে৷

ছিঃ অসম সরকার ছিঃ

আজকের দিনে  অসমে মানবতা ভুলুণ্ঠিত৷ অসমে মানবতার  বুলি আওড়ানো সংঘটনগুলি যেন কুম্ভকর্ণের মত নিদ্রায়  আচ্ছন্ন৷ আজ অসমের  চারিদিকে  নির্র্যতীত, নিষ্পেষিত  হিন্দু বাঙালীর করুণ আর্তনাদ৷  অসমের  বাঙালীদের পাইকারী হারে  নাগরিকত্ব -হীন করে তোলা হচ্ছে৷ বাদ পড়েননি অশীতিপর বৃদ্ধাও৷ নাম মরমীবালা বর্মণ৷ কোকরাঝাড়  থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মোকরাপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা৷ বয়স ৮০-র ঊধের্ব৷  ১৯৬৮ সনের রেশন কার্ডে  নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে  বাড়ী থেকে উঠিয়ে  এনে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ডিটেনসন ক্যাম্পে ভর্তি করেছে৷ বর্তমানে তাঁর শরীর খুবই খারাপ তাই  তাঁকে  কোকরাঝাড় অসামরিক  চিকিৎসালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে৷

আনন্দনগর হাই স্কুলের মাধ্যমিকের ফলাফল

এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় আনন্দনগরের আনন্দমার্গ হাইস্কুলের সমস্ত ছাত্রই উত্তীর্ণ হয়েছে৷ উমানিবাসের আনন্দমার্গ হাইস্কুলের মেয়েদের ক্ষেত্রেও ১০০ শতাংশ উত্তীর্ণ৷

আনন্দনগর হাইস্কুলটি পুরুলিয়া জেলার অত্যন্ত দরিদ্র এলাকায় অবস্থিত৷ সেখানকার  এইসব গ্রামাঞ্চলের  ছাত্র-ছাত্রারা গৃহশিক্ষক বা গৃহশিক্ষিকা তো দূরের কথা, দুবেলা পেট ভরে খেতেই  পায় না৷  তার মাঝেই তারা তাদের পড়াশোণা চালিয়ে যায়৷ এই অবস্থায় ১০০ শতাংশ উত্তীর্ণ হওয়া যে অত্যন্ত সুখবর তাতে সন্দেহ নেই৷

গুয়াতেমালা আগ্ণেয়গিরি বিস্ফোরণ ঃ মৃত ২৫

উত্তর আমেরিকা  থেকে Volcanoপ্রাপ্ত সংবাদে জানা যাচ্ছে গুয়াতেমালাতে ফুয়েগা আগ্ণেয়গিরি জেগে উঠেছে৷ আগ্ণেয়গিরি থেকে ছাই ও পাথর বেরিয়ে চারিদিকে  ছড়িয়ে পড়ছে৷ এরফলে ইতোমধ্যে নিহত হয়েছে ২৫ জন৷ ২০০০ মানুষকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ চলতি বছরে দ্বিতীয়বার ভয়াবহ রূপ নিল এই আগ্ণেয়গিরি৷ এই আগ্ণেয়গিরির দক্ষিণে যে সমস্ত  কর্ষকরা বাস করতেন লাভা স্রোতে

মহাকাশে বিলাসবহুল হোটেল

মস্কো থেকে প্রাপ্ত সংবাদ, আগামী ৫ বছরের মধ্যে মহাকাশে  তৈরী হয়ে যাবে বিলাসবহুল হোটেল৷ রাশিয়ান মহাকাশ এজেন্সী ‘রসকসমস’ এই উদ্যোগ নিয়েছে৷  তাঁরা মহাকাশে যে বিলাসবহুল হোটেল বানাচ্ছেন৷ তাতে এক সপ্তাহ থাকতে চাইলে  খরচ পড়বে ৪০ মিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় টাকায় ২৫০ কোটি টাকা৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশন (আই.এস.এস)-এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে  ‘লাক্সারি অরবিট্যাল স্যুট’৷ সেখানে থাকবে একাধিক প্রাইভেট কেবিন৷ কেবিনে বসে ‘পোর্টহোল’ দিয়ে দেখা যাবে পৃথিবী৷ মহাকাশে হেঁটে চলে বেড়াবারও ব্যবস্থা থাকবে বলেও বলা হয়েছে৷

অর্থনৈতিক মন্দায় কাজ হারানোর ফলে চীনদেশের শ্রমিকরা জঙ্গি আন্দোলনের পথে

মিহির কুমার দত্ত

অনেকদিন আগেই চীনা কমিউনিস্ট পার্টি শ্রমিকদের  পিছনে ছুরি মারা শুরু করেছে৷ কিন্তু প্রকাশ্যে তারা নিজেদের  শ্রমিকশ্রেণীর  প্রতিনিধি হিসাবেই জাহির করে এসেছে৷ সেই চীনেই এবছরের প্রথম দশ সপ্তাহের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী শ্রমিকদের  আন্দোলন ও হরতালের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে৷ প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় যে, চীনা সরকার কড়া  হাতে  সেই শ্রমিক আন্দোলন দমন করেছে ও সেই  আন্দোলনের সকল শ্রমিক নেতাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

পরমপুরুষের বিশ্বরূপ

সৃষ্টির প্রারম্ভের আগের কথা৷ সে সময় দেশ–কাল–পাত্রের মত সাপেক্ষ সত্তা ছিল না৷ একমাত্র ছিল অখণ্ড অসীম, বৃহৎ, সর্বব্যাপী সত্তা, আর সেই  সত্তার সাক্ষিত্বরূপে ছিলেন পরমপুরুষ৷ সেই অখণ্ড সৃষ্টির রচয়িতা পরমপুরুষ নিজেকেই অনেক রূপে নানাপ্রকারে অভিব্যক্ত করলেন৷

‘‘ত্বং স্ত্রী ত্বং পুমানসি, ত্বং কুমার উত বা কুমারী৷

ত্বং জীর্নোদণ্ডেন বঞ্চয়সি ত্বং জাতো ভবসি বিশ্বতোমুখঃ৷’’

‘‘নীলঃ পতংগো হরিতো লোহিতাক্ষ

স্তত্তিদ্গর্ভ ঋতবঃ সমুদ্রাঃ৷

অনদিমত্বং বিভুত্বেণ বর্ত্তসে

 যতোজাতানি ভুবনানি বিশ্ব৷৷’’

পরিকল্পনার মৌল নীতি

যাঁরা বিভিন্ন স্তরে যোজনা পর্ষদের সঙ্গে সংযুক্ত সেই ধরণের বড় বড় অর্থনীতিবিদদের কোন পরিকল্পনা প্রণয়নের আগে যে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত সেগুলি হ’ল–

* উৎপাদনের ব্যয়  * উৎপাদন–ক্ষমতা

* ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা    * সামূহিক প্রয়োজনীয়তা৷

এবার উপরি–উক্ত বিষয়গুলির প্রত্যেকটি নিয়ে আলোচনা করা যাক৷

উৎপাদন–ব্যয়

শিক্ষাকেন্দ্রে  চরম বিশৃঙ্খলা

অাচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সম্প্রতি কলকাতার  সেন্ট পলস্ কলেজে ছাত্র সংসদের এক পদাধিকারীকে নগ্ণ করে হেনস্থা করা হয়েছে ও সেই  ছবি তুলে ছড়িয়ে  দেওয়া হয়েছে৷  যারা হেনস্থা করেছে ও যাকে হেনস্থা করা হয়েছে ,  সবাই তূণমূল ছাত্রপরিষদের  পদাধিকারী৷ হেনস্থাকারীদের মধ্যে অশিক্ষক কর্মী ও বহিরাগত টিএমসিপি সদস্যও রয়েছে বলে অভিযোগ৷

মহান ভারতবর্ষের কয়েকটি খণ্ডচিত্র

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

‘‘নিঃস্বার্থ প্রেষণায় হৃদয়ে মিলিলে হৃদয়

ধুলার ধরনী সততঃ হয় মধুময়৷’’

সুপ্রাচীনকাল থেকে আধ্যাত্মিকতার  নিগড়ে বাঁধা হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের মিলন, প্রেম-প্রীতি,  ত্যাগ-তিতিক্ষার আদর্শই ভারতবর্ষের  সনাতন    ঐতিহ্য৷ এই ঐতিহ্যের জন্যেই সুদীর্ঘকাল ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে  মানুষ ছুটে  এসেছে এই দেশে, আপন  করে নিয়েছে এই দেশের  মাটি, মানুষ ও সংস্কৃতিকে আর  এদেশের মানুষও অতিথিদের  নারায়ণ জ্ঞানে  সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছে৷ এই  দেয়া-নেয়ার মধ্য দিয়েই গড়ে  উঠেছে সুমহান ভারতবর্ষের  মৈত্রী, শান্তি ও মহামিলনের পরম্পরা৷ তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘‘ভারততীর্থ’’   কবিতায় বলেছেন---