September 2018

২৩শে সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা

প্রভাত সঙ্গীতের ৩৬বর্ষ পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি বাংলাভাষী এলাকার বাইরেও কোথাও কোথাও প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা চলছে৷ এবার প্রভাত সঙ্গীতের কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত প্রভাত-সঙ্গীত প্রতিযোগিতার সঙ্গীত, অংকন ও নৃত্য বিভাগে ৬৮টি কেন্দ্রে প্রাথমিক প্রতিযোগিতা হচ্ছে৷ কোনও কোনও কেন্দ্রে এই প্রতিযোগিতা হয়ে গেছে, কোথাও হচ্ছে, কোথাও আগামী ১৬ই সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে৷ 

বাঙালির দুর্দৈবের অন্যতম প্রধান কারণ

ফরিদা নার্গিস

‘‘হিন্দু বাঙালী’’ ‘‘মুসলমান বাঙালি’’ এই করে ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে বাঙালি একবার ভাগ হলো৷ বাঙলা দ্বিখণ্ডিত হলো ৷ ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু মুসলমান ধর্মমতের দোহাই দিয়ে বাঙালি পাকাপাকি দুটি আলাদা রাষ্ট্রের বাসিন্দা হয়ে গেল৷ বাঙলার অনেকাংশ অসম, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, নেপালের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো৷ পৃথিবীর  বৃহত্তর  বদ্বীপভূমির উন্নত মেধা ও মগজের বাঙলা ও বাঙালির সভ্যতা হীনবল, দুর্বল হয়ে গেল৷ বিভিন্ন রাজ্য ও রাষ্ট্রের অবগুণ্ঠনে বাঙলার যেসব ভুখণ্ড ঢুকিয়ে দেওয়া হলো সেখানকার বাঙলার বাঙালিরা ভিন্নরাজ্য বা রাষ্ট্রের অফিসিয়াল ভাষা ও সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়ে নিজেদের ভ

আধ্যাত্মিক প্রগতির তিনটি সোপান

‘প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্ণেন সেবয়া৷’ আধ্যাত্মিক প্রগতি তিনটি তত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল–প্রণিপাত, পঙ্গিরপ্রশ্ণ, সেবা৷ ‘প্রণিপাত’ মানে এক অদ্বিতীয় শাশ্বত সত্তা পরমপুরুষের প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণ৷ এক্ষেত্রে সাধকের মনোভাব হচ্ছে এই যে বিশ্বের যা কিছু সবই পরমপুরুষের, আমার বলতে কিছু নেই৷ এটা হ’ল প্রণিপাত৷ আর যার অহংবোধ রয়েছে, যে ভাবছে তার বিদ্যা–বুদ্ধি, ধন–সম্পত্তি বা অন্যান্য যাবতীয় বস্তু তার বৈয়ষ্টিক সম্পত্তি, সে সবচেয়ে বড় মূর্খ৷

স্থানীয় জনসাধারণের সার্বিক কর্মসংস্থান

প্রথমেই কোন এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের শতকরা একশ’ ভাগের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকা উচিত৷ সমস্ত মানুষের নূ্যনতম চাহিদা, অর্থাৎ অন্ততপক্ষে উপযুক্ত খাদ্য, বস্ত্র, আবাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হওয়া উচিত৷ জনগণের ১০০ শতাংশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার মাধ্যমেই তাদের এই মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে–দান–খয়রাতির মাধ্যমে নয়৷ আজকের দুনিয়ায় বেকারত্ব এক জটিল সমস্যা আর স্থানীয় মানুষের ১০০ শতাংশের কর্মসংস্থানের নীতিই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ৷ স্থানীয় জনসাধারণের শতকরা একশ’ ভাগের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রাউট স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বিশ্বাসী৷ স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা

‘‘ধ্যানের আলোয় বসিয়ে দোব করবো নোতুন ধরা রচনা’’

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আগামী ১৪ই সেপ্ঢেম্বর,২০১৮ প্রভাত সঙ্গীতের আবির্ভাবের ৩৬ বৎসর পূর্ণ হতে চলেছে৷ এর মধ্যে প্রভাত সঙ্গীতের বিপুল জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কেননা, প্রভাত সঙ্গীতের  যে প্রতিযোগিতা  হচ্ছে তাতে  হাজার  হাজার  মানুষ--- আবাল-বৃদ্ধবণিতা  অংশগ্রহণ  করছেন৷  পঃবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, ঝাড়খন্ড---বিভিন্ন রাজ্য থেকেই  প্রতিযোগীরা  আসছেন৷  তাছাড়া বর্হিভারতে  বিভিন্ন  দেশেও প্রভাত সঙ্গীতের  চর্র্চ  হচ্ছে৷  প্রভাত সঙ্গীতও কেবল  বাংলা  ভাষায় নয়, অঙ্গিকা, মৈথিলী, ভোজপুরী, অবধি, হিন্দী, উর্দু, ইংরেজী প্রভৃতি  বিভিন্ন ভাষায় রয়েছে৷

অসমের ইতিহাস

হরনাথ মাহাত

অসম ১৮২৬ সালে অহম রাজা ও আরাকান রাজাদের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনে আসে৷ তার আগের ইতিহাসে যাচ্ছি না৷ ইংরেজরা প্রথমে এই রাজ্যটি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মধ্যে রেখেছিল৷ ওই সময় থেকে সরাসরি কাজে নিয়োগের জন্য পূর্ববঙ্গ থেকে শিক্ষিত বাঙালিদের (মূলতঃ হিন্দু) আনা শুরু হয়৷

অনন্য প্রাউট

জিজ্ঞাসু

এখন থেকে  কমবেশি ২২৫ বছর আগে পৃথিবীতে  এলো ধনতন্ত্র৷  একসময় তাদের শত বছরে  ধরা  পড়ল শোষণের  চেহারা৷ প্রতিক্রিয়া  স্বরূপ  এখন থেকে কমবেশি  ১৩৫ বছর আগে  পৃথিবীতে  এলো কম্যুনিজম৷ মজার  কথা  এই দুই  অর্থনৈতিক  সামাজিক  দর্শন  এর জন্ম  ইউরোপের  মাটিতে৷  দুটোই  সংকীর্ণ জড়ভোগবাদে বিশ্বাসী৷ প্রথমটি  কূয়োর  ব্যাঙ ধরে নিলে , দ্বিতীয়টি হবে  পুকুরের৷  এই দুটি  অসম্পূর্ণ দর্শনে পৃথিবী যখন  শোষিত, লাঞ্ছিত,  অপমানিত,  হতাশাগ্রস্ত  সেই সময়  এখন থেকে  ৫৭ বছর  আগে  সারা পৃথিবীকে সর্বপ্রকার  ভয় দারিদ্র্য মুক্ত  করতে এক নবতর  সামাজিক  অর্থনৈতিক  দর্শন আমরা  পেলাম  প্রাচ্যের এই ভারত  থেকেই৷  দর্শণের  নাম প্রাউট

তত্ত্বসভা

হাওড়া ঃ হাওড়ার আমতা ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রীন হাউসে সম্প্রতি একটি তত্ত্বসভার আয়োজন করা হয়৷ তত্ত্বসভায় ‘আজকের সমাজে আনন্দমার্গ দর্শন’ ও ‘কৌষিকী নৃত্যের প্রয়োজনীয়তা’র ওপর আলোকপাত করেন অবধূতিকা আনন্দন্বেষা আচার্যা৷ উক্ত তত্ত্বসভায় শতাধিক মহিলা উপস্থিত থেকে তত্ত্বসভাটিকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলেন৷  সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন হাওড়া জেলার নারী কল্যাণ বিভাগের সচিব দীপ্তি বিশ্বাস৷

রক্ত ঝরা বন্ধ হোক, গণতন্ত্রে শাসকগণ আর্থিক উন্নয়নে মন দিন

আইনের রক্ষক ও ধারক মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট এর রায় মেনেই যে ৩৪ শতাংশ আসনে পঞ্চায়েতের বোর্ড ঘটনের আয়োজন হয় সেখানকার অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে বিক্ষোভ মারামারি ও হত্যাকান্ড ঘটে, গোলাগুলি চলায় সেটা মর্মান্তিক ও গণতন্ত্রের কলঙ্ক ছাড়া কিছুই নয়৷ এমন মর্মান্তিক ঘটনা ভারতের অন্য কোন রাজ্যে হয়েছে বলে অন্ততঃ স্মরণে আসছে না৷ কিন্তু দেখা গেল সেই একই অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলির তা সরকার পক্ষ বিরোধীদের আর বিরোধী পক্ষ সরকার পক্ষের উপর দোষারোপ করছে৷

আমরা বাঙালীর মিছিল ও পথ সভাও স্মারকপত্র পেশ

জলপাইগুড়ি ঃ অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর নামে প্রায় ৪০ লক্ষ বাঙালীকে অসম থেকে বিতাড়নের চক্রান্তের প্রতিবাদে আমরা বাঙালীর জলপাইগুডি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে গত ২৩ শে আগষ্ট এখানকার জেলা শাসকের কাছে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে এক স্মারকলিপি পেশ করা হয়৷ এই স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন আমরা বাঙালীর র সাংঘটনিক সচিব খুশীরঞ্জন মণ্ডল৷ জেলা সচিব কেশবচন্দ্র সিন্হা, সহসচিব ধীরেন্দ্রনাথ রায়, নীরদ অধিকারী, জেলা সাংস্কৃতিক সচিব বিনয় সরকার প্রমুখ৷