August 2019

দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েই বিদায় নিলেন রাজ্যপাল

মেয়াদ শেষ করে করে  পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি৷ রাজ্যপাল হয়ে আসার আগে তিনি সংঘ পরিবারেরই লোক ছিলেন৷ রাজ্যপাল হয়ে আসার পরও তার নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে অনেক সময়ই বিতর্ক হয়েছে৷ রাজ্যপাল হিসেবে দলের ঊর্ধে উঠে যে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার কথা অনেক সময়ই তিনি তা করেননি৷ বরং কিছুটা বিজেপি তথা সংঘ পরিবারের প্রতি আনুগত্য রেখেই মন্তব্য করেছেন৷ এ অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে বহুবার উঠেছে৷ যাবার বেলায় সেই অভিযোগ ও বিতর্ককে উসকে দিয়েই তিনি গেলেন৷

বাংলা ভাষার প্রতি অবদমন বন্ধ হোক

সত্যসন্ধ দেব

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

সৎ কী ও অসৎ কী?

‘সৎ’ কী ও ‘অসৎ’ কী– এ সম্পর্কে যে বিচারবোধ তাকে সদাসৎ বিবেক বলে, যা ‘সৎ’–কে ‘অসৎ’ থেকে ও ‘অসৎ’–কে ‘সৎ’ থেকে পৃথক করে দেয়৷ ‘সৎ’ কী? লৌকিক ভাষায় ‘সৎ’ মানে ভালো– সৎ ব্যষ্টি, সজ্জন ব্যষ্টি৷ আর আধ্যাত্মিক অর্থে ‘সৎ’ মানে অপরিণামী সত্তা– যাতে কোনো পরিবর্তন হয় না৷ আর ‘অসৎ’ মানে যা পরিণামী, যার অবস্থান্তর ঘটে৷ ‘সৎ’ বস্তু একই, বাদবাকী সব অসৎ৷ ‘অসৎ’ মানে খারাপ নয়, পরিবর্তনশীল৷

স্থানীয় জনসাধারণের সার্বিক কর্মসংস্থান

প্রথমেই কোন এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের শতকরা একশ’ ভাগের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকা উচিত৷ সমস্ত মানুষের নূ্যনতম চাহিদা, অর্থাৎ অন্ততপক্ষে উপযুক্ত খাদ্য, বস্ত্র, আবাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হওয়া উচিত৷ জনগণের ১০০ শতাংশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার মাধ্যমেই তাদের এই মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে–দান–খয়রাতির মাধ্যমে নয়৷ আজকের দুনিয়ায় বেকারত্ব এক জটিল সমস্যা আর স্থানীয় মানুষের ১০০ শতাংশের কর্মসংস্থানের নীতিই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ৷ স্থানীয় জনসাধারণের শতকরা একশ’ ভাগের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রাউট স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বিশ্বাসী৷ স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা

ধর্ম ও রেলিজন এক নয়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষই আজ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধীর মূল কারণ৷ আর এর পেছনে রয়েছে মানুষের অন্ধবিশ্বাস, ডগ্মা বা যুক্তিহীন ভাবজড়তা৷

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈসামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক অর্থনৈসামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit)— বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (possibility)

অগ্ণিযুগের কথা

পথিক বর

১৯৩০ সাল, অগ্ণিযুগের বাংলা৷ আজকের মত রাজনীতি মানে বিনে পয়সার মূলধনে করে খাওয়ার উপায় নয়৷ আজ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছাত্র-যুব-তরুণদের সঙ্গে সেদিনের স্বাধীনতার জন্যে উৎসর্গীকৃত রক্তের অক্ষরে শপথ নেওয়া বিপ্লবী তরুণবৃন্দের তুলনা চলে না৷ আজ রাজনীতি মানে স্বার্থের সংঘাত, সীমাহীন লোভ-লালসা চরিতার্থ করার মঞ্চ৷ আর সেদিন দেশমাতৃকার চরণে---‘আগে কে বা প্রাণ করিবেক দান তারই লাগি কাড়াকাড়ি৷’

মানবিক-অমানবিক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

জীবন পথে চলতে গিয়ে আমরা কিছু ঘটনার সম্মুখীন হই বা কোন কোন ঘটনার সংবাদ জানতে পারি যা আমাদের মানবিক চেতনার গভীরে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়ে যায়৷ এগুলোরই একটি মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া ব্লকের চোঁয়া গ্রামের ঘটনা৷ এই গ্রামেরই পুরুত মশাই শ্রী সুভাষ রায়চৌধুরী গ্রামে গ্রামে পূজা পাঠ, পৈতে, বিয়ে, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে যজমানি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন৷ কয়েক মাস আগে তিনি অসহায় এক স্বামী পরিত্যক্তা ও নিগৃহীতা মুসলিম মহিলা, সখিনা বিবিকে দুটি নাবালক পুত্র-কন্যা সহ নিরাশ্রয় অবস্থায় দেখে দয়া পরবশ হয়ে তাঁর বাসভবনে ঠাঁই দিয়েছিলেন৷ সুভাষবাবুর স্ত্রী ও কন্যা তাঁর এই মানবিক আচরণের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন৷

কর্ণাটকে পুনরায় ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী ঘোড়ার পিঠে চড়ে এক পঙ্গু সরকার

প্রভাত খাঁ

কর্ণাটকে ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি আপাততঃ শেষ৷ ভারতের গণতন্ত্রকে এক ভয়ঙ্কর নক্কারজনক পরিহাসে পরিণত করেছে ঘোড়া কেনা-বেচার রাজনীতি৷ দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্য বর্তমানে এই নক্কারজনক রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে৷ কুমারস্বামী জোট সরকারের কংগ্রেসের ১৩ জন বিধায়ক ও জে.ডি.এস.-এর তিন বিধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করেন৷ একজন অবশ্য পরে পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নেন৷

মানুষের অর্বাচীন আচরণে বিপন্ন মৎসকুল

সংবাদ প্রতিবেদন

মানব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মৎসকুল৷ কারণ আর কিছুই নয়, মানুষের দুর্বুদ্ধি! নাকি বদবুদ্ধি? হাসপাতালের আবর্জনা নোংরা জল সবকিছু মিশছে নদীতে গিয়ে৷ নদীগুলোর জলকে দূষিত করছে এইসব আবর্জনা ও হাসপাতালের জীবাণুবাহিত জল৷ সরকার ও  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কারো কোন মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে৷ জলে তো শুধু মাছই থাকে না৷ মানুষও নানা কাজে ওই জল ব্যবহার করে আর সেই জল দূষিত করছে অজ্ঞ সাধারণ মানুষ নয়, মানুষকে সুস্থ রাখার দায়-দায়িত্ব যাদের তারাই৷