January 2021

নাগরিকত্ত্বের লড়াই জারি রেখে ১০৪ বছর  বয়সে চলে গেলেন চন্দ্রধর দাস

শিলচর ঃ ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে ১০২ বছরের বৃদ্ধ ভারতীয় নাগরিক চন্দ্রধর দাসকে  নাগরিকত্ত্বের প্রমান দিতে  আদেশ দেয় বিদেশি ট্রাইব্যুনাল৷ অসুস্থতার কারণে নির্দিষ্ট দিনে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি চন্দ্রধর দাস৷ নরেন্দ্র মোদির একান্ত অনুগত চন্দ্রধর বাবুর মনে আশা ছিল নাগরিকত্ব পাওয়া কোন সমস্যা হবে না৷ কিন্তু অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে না পারায় একতরফা রায়ে চন্দ্রধর দাসকে বিদেশি ঘোষণা করা হয়৷ ২০১৮ সালের মে মাসে শিলচর আমরাঘাট বড়াই বস্তির বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে শিলচর সেন্ট্রাল জেলের ডিটেনশন কেন্দ্রে রাখা হয়৷ সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মাস তিনেক পরে ডিটেনশন কেন্দ্র থেকে ছাড়া পেয়ে যান৷ তবে নাগরিকত

শিলচর নন্দীগ্রামে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৩ই ডিসেম্বর অসমের বরাক বাঙলার  কাছাড় জেলার  শিলচর নন্দীগ্রামে অষ্টাক্ষরী মহানাম মন্ত্র ‘‘াা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৬টা থেকে অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকা পর্যন্ত৷ কীর্ত্তনের অনির্বচনীয় ভাবতরঙ্গে ও সুর মুর্চ্ছনায় আকৃষ্ট হয়ে বহু গ্রামবাসী কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করে ঈশ্বরমুখী ভক্তিরস আস্বাদন করেন৷ বহুগ্রামবাসী আনন্দমার্গের আদর্শে দীক্ষিত হন৷ নন্দীগ্রাম গাঁও পঞ্চায়েত প্রধান শ্রী মিলন দাস অখণ্ড কীর্ত্তনে উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তনের প্রভাবে  গ্রামে  এক অনবদ্য স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরী হয়েছিল৷ শ্রী মিলন দাশ তাঁর বক্তব্যে আনন্দমার্গ দর্শন ও কীর্ত্তনে তাঁর উপলদ্ধির  কথা ব্যক্ত করেন৷ এছাড়া আনন্দমার্

জাতিগত হিংসার অবসান ও বাঙালী সমস্যার সমাধান কোনপথে

এইচ.এন মাহাত

ত্রিপুরা সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণ অবগত আছেন যে, সুপ্রাচীনকাল থেকে ত্রিপুরা রাজ্যটি বাঙালীস্থান বা সুবেবাঙলার ব্রিটিশ আমলে যা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অংশ ছিলো, যাকে শ্রীভূম বলা হত৷ বাঙালীরাই এখানকার  মূল অধিবাসী ভূমিপুত্র৷ নৃতাত্ত্বিকভাবে বাঙালীরাই মূলতঃ অষ্ট্রিক রক্তভুক্ত ভারতের মূল অধিবাসী৷ সুপ্রাচীন কাল ভারতের  সম্পদ ও ঐশ্বর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আর্য, নিগ্যে ও মঙ্গোলিয়ান রক্তের  মানুষরা এখানে বসবাস শুরু করে ৷ কালক্রমে সকলে  মিলে মিশে একাকার  হয়ে যায়৷ ঐতিহাসিক তথ্য মতে ত্রিপুরার মঙ্গোলিয়ান জনজাতিরা পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মায়ানমার ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে৷ আরো অনে

আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ

সাধকের জীবনের কর্মধারা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’’৷ মানুষ কাজ করবে, আর কাজ করার সময় মনে রাখবে যে, সে যা কিছু করছে আত্মমোক্ষের জন্যে৷ কিন্তু কোনো মানুষ যদি কেবলমাত্র আত্মমোক্ষের জন্যে সাধনা করে, অথচ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করছে না–এ অবস্থায় তাকে কি আমরা স্বার্থপর বলব না? যদি সে জনসেবা না করে, যদি জনসাধারণের জন্যে তার মনে কোনো সহানুভূতি না থাকে, কেবলমাত্র আত্মমোক্ষের জন্যে সাধনা করে চলে, তার মধ্যে আত্মার প্রতি অনুরাগ থাকলেও তাকে আমরা স্বার্থপর বলব৷

সভ্যতা, বিজ্ঞ ান ও আধ্যাত্মিক প্রগতি

আজকের আলোচনার বিষয় হ’ল, সভ্যতা, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক প্রগতি৷ মানুষের বিভিন্ন ভাবের অভিব্যক্তির সামূহিক নাম ‘কালচার’ বা ‘সংস্কৃতিক’৷ শুরুতেই আমি তোমাদের লে রাখছি, গোটা মানুষ জাতির সংস্কৃতিক একটাই৷

লোকালয়ে বাঘ!

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদিজী বর্তমানকালে তাঁর প্রায় প্রতিটি বত্তৃণতাতেই দেশের আত্মনির্ভরতার শ্লোগান দিয়ে তাঁর সরকারের অবদান সম্পর্কে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চলেছেন৷ এদিকে  প্রায়  তিন সপ্তাহ দেশজুড়ে কর্ষক আন্দোলন চলছে৷ এই শীতের  ঠাণ্ডায় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা দিল্লির প্রবেশের পথ অবরুদ্ধ করে অবস্থান করছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কর্ষক সম্প্রদায়৷ তাদের দাবী, সরকার তিন কৃষি আইন পাশ করিয়ে  লোকালয়ে  বাঘ ছেড়ে দিয়েছেন৷ আম্বানি আদানি প্রভৃতি বৃহৎ পুঁজিপতিদের কৃষিক্ষেত্রে অবাধ লুন্ঠন করার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছেন৷ তাই এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে কর্ষক সম্প্রদায়কে বাঁচাতে হবে৷

দেশ বাঁচাতে -পৃথিবী বাঁচাতে বাঁচাও মানবতা নাশ দানবতা

প্রভাত খাঁ

আমাদের মতো ইংরেজ আমলে যাঁদের জন্ম তাঁদের মনে এক দারুণ দুঃখ ও বেদনার কারণ ঘটে চলেছে দীর্ঘ ৭৩            বছরের স্বাধীন ভারতে, দেশ ভাগের পর! আমরা তখন কিশোর, প্রাথমিক সুকলের গণ্ডী পেরিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছি৷ ভারতে স্বাধীন দেশের তেরাঙ্গা পতাকা  হাতে নিয়ে খালি পায়ে কাঁচা রাস্তায় ‘‘স্বাধীন ভারত কী জয়’’ ‘‘বন্দেমাতরম্‌’’ বলতে বলতে মনের আনন্দ প্রকাশ করেছি৷ সে এক আনন্দ উদ্দীপনা মনে মনে ভোগ করেছি৷ তার সাথে সাথে হিন্দু মুসসমান দাঙ্গায় অনাথ অসহায় উদ্বাস্তুদের  আগমণ দেখে মনে হত এ কেমন স্বাধীনতা? এতো হিংসা এতো বিদ্বেষ সাম্প্রদায়িকতার?

আসল শত্রুকে চিনুন

শঙ্কর দাস

ত্রিপুরার উপজাতি  যে সকল ভাই-বোনেরা আপনাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে অক্লান্তভাবে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন, আমার সেই সহযোদ্ধাদের প্রতি আজকের এই নিবেদন৷ প্রথমে প্রশ্ণ দিয়ে শুরু করি৷ ত্রিপুরার সার্বিক উন্নয়নে আসলশত্রু কে?

প্রাউটের বাস্তব রূপায়নে প্রয়োজন সকলের সদিচ্ছা, সহযোগিতা ও সদ্‌বিপ্রের নেতৃত্ব

প্রফুল্ল মাহাত

আজ বিশ্বের দিকে দিকে শোণা যায় উদাত্ত কন্ঠের স্লোগান--- ‘‘প্রাউট, প্রাউট, প্রাউট চাই, প্রাউট নিয়ে বাঁচতে চাই৷’’ হ্যাঁ, সত্যিই তো মানুষের বাঁচার জন্য  মহান দার্শনিক ও সমাজগুরু  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রবর্ত্তিত প্রাউটের   বাস্তব রূপায়ণ ছাড়া  মানব জাতির  বাঁচার অন্যকোন বিকল্প পথ নেই৷ তাই প্রাউটই হচ্ছে মানব জাতির স্বমহিমায় বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়৷ তাই তো প্রাউট সম্বন্ধে বহু পর্যালোচনা সমীক্ষা ও গবেষণা হয়ে চলেছে৷ আর সকলে দ্বিধাহীনভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, বর্তমান বিশ্বে প্রাউটই  হচ্ছে মানবজাতির  একমাত্র জিওন কাঠি৷ প্রাউট প্রবক্তা শ্রীসরকার তো সুষ্পষ্টভাবে প্রাউট দর্শনের নীতি আদর্শ ও নি