ব্যানক্রফটের কম শাস্তি, তাই প্রশ্ণ তুললেন হরভজন

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

সম্প্রতি বল ট্রা্যাম্পারিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন অষ্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট৷ প্রথম দু’জনকে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করেছে যথাক্রমে আইসিসি ও অষ্ট্রেলিয় ক্রিকেট বোর্ড৷ এছাড়া আইপিএল থেকেও তাঁদের বহিষৃকত করা হয়েছে৷ নয় মাসের জন্যে নির্বাসিত হয়েছেন ব্যানক্রফট্৷ যার জেরে রীতিমতো স্তম্ভিত ক্রিকেট জগৎ৷ ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট কে , যেভাবে জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে আই.সি.সি. তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতের অফস্পিনার হরভজন সিং৷ গত রবিবার ২৫শে মার্চ হরভজন সিং আই.সি.সি.কে রীতিমতো ব্যঙ্গ করে বলেন---‘‘ বা আই.সি.সি . বাহ্ দারুণ কাজ দেখালে’’৷ নিরপেক্ষ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ব্যাণক্রফট কে নির্র্বসিত করা হল না৷ অথচ অতিরিক্ত আবেদন  করার জন্য, কোনও প্রমাণ ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের ৬ জন নির্র্বসিত করা হয়েছিল ২০০১ সালে৷ তার ২০০৮ সালে সিডনিতেও একই ঘটনা৷ এক এক জনের জন্য এক এক রকমের নিয়ম কেন?

২০০১সালে বল বিকৃতির অভিযোগে সচিন তেণ্ডুলকরকেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ম্যাচ রেফারি শাস্তি দিয়েছিলেন৷ হরভজনসহ আরও বাকি ৫জন ক্রিকেটারের শাস্তি হয়েছিল৷ যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল৷ ২০০৮ সালে সিডনিতে অ্যান্ড্রু সাইমণ্ডসের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন৷ যে ঘটনা ক্রিকেট ইতিহাসে ‘‘ম্যাঙ্কিগেট’’ নামে কুখ্যাত৷

সেহেতু এই সমস্ত উদাহরণ সামনে এলে এবারে এই বল বিকৃতির কাণ্ডের শাস্তির দেবার এই ঘটনাটি ৷

একশ শতাংশ জরিমানা  হল স্মিথের!! আর ৭৫ শতাংশ জরিমানা হল ব্যানক্রফ্টর৷ আর তিনটে ডিমেরিট পয়েন্ট৷ প্রতারণার কি জঘন্য শাস্তি দিয়েছে আই.সি.সি.