কেন্দ্রের হিন্দুত্ববাদী  সরকার সারাদেশে একদলীয় সরকার চায়  তাই বোটারগণ সাবধান

লেখক
প্রভাত খাঁ

এদেশে আজ কোন সরকারই চায় না সকল মানুষ সার্বিক শোষণমুক্ত হোক৷ নামেই স্বাধীন দেশ, কিন্তু শাসকগণ প্রায় সকলেই শোষক! শুধু বোট পেতে এরা কুম্ভীরাশ্রু বর্ষন করে৷ কারণ প্রতিটি সরকার নামে জনসেবক কিন্তু ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সবকিছু দাঁড়িয়ে আছে শোষণেরই উপর৷ তাই অপ্রিয় সত্য কথাটা হচ্ছে শোষিত গরিবদের কিছু কিছু নানা নামে সাহায্য বা অর্থদান দিয়ে এই দলীয় সরকার তাদের  বোটটা টেনে নেয়৷ দেশ সেবকদের নামে দলীয় ও ধনকুবেরদের সেবাদাস  হয়ে জনগণকে শোষণ করে চলছে৷ এটাই বাস্তবের অতি অপ্রিয় সত্য কথা৷  ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া এ শাসকদের অন্য কোন কাজই নেই৷ আর দলাদলি কুৎসা রটনাটাই হলো তাদের বাঁচার হাতিয়ার৷ এই বিশাল দেশ একেবারেই অনগ্রসর৷ গড় আয় হয়তো কাগজে কলমে বেশী৷ কারণ ধনীরাই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পত্তির মালিক৷ সিংহভাগ  মানুষের হাতে ছিটে ফোঁটা সম্পদ! দিন আনা দিন খাওয়াটাও জোটে না৷ গরীব মানুষের সাহায্যের জন্যে  রেশনিং ব্যবস্থা একটা আছে৷ কিন্তু সেখানে যে পরিমাণ যত প্রকার জিনিস দেবার কথা সবটা দেওয়া হয় না৷ সরকারী হিসেবে ৮০ কোটি লোক ৫কেজি চাল পায়৷ কিন্তু সেখানের হিসাবে গণ্ডগোল আছে৷ কোথাও কিছু অভাবী মানুষ রেশন পায় ৩ কেজির মতো চাল ও গম বা আটা৷ তা না হলে ৩কেজি চালই সার! কেন্দ্র ঘোষনা করেছিল প্রায় ৭/৮ প্রকার  জিনিস দেওয়ার লিখিতভাবে৷  চাল, গম বা আটা, ভোজ্য তেল, ডাল চিনি মশলা আর লবণ কিন্তু কোথায় সেগুলি? জি.এস.টির  দৌলতে দাম আকাশ ছোঁয়া৷ কিন্তু শাসকদের এম.এল.এ, এম.পি মন্ত্রীদের মাসিক সান্মাসিক প্রাপ্য প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকা তাছাড়া তাঁরা পান সেই সরকারের কোষাগার থেকে নানা সুযোগ সুবিধা৷ আর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত শাসকস্তর তাদের জন্য সরকারী ব্যয় কোটি কোটি টাকা৷ পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যয় যে কতো তার ইয়ত্বা নেই৷ তাহলে বেকার নাগরিকরা সরকারী সাহায্য পাবে কোথা থেকে আর দেশের উন্নয়নমূলক কাজই বা হবে কি করে! এদিকে ঋণের দায়ে মাথা বিকিয়ে আছে নাগরিকদের লক্ষাধিক টাকা৷ সরকারের ঠাট বাটটাতো ইংরেজ আমলের চেয়ে হাজারগুণ বেশী৷ যে সরকারের নিজস্ব আয় নেই সেই সরকার গরিব দেশে আর্থিক, সামাজিক উন্নতিটা কি করে করবে? যেমন কেন্দ্র  ও তেমন রাজ্য সরকারগুলো৷ মূলতঃ ব্যাঙ্কে গরিবদের  কষ্টে জমানো টাকার সুদের হারটা প্রায় তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে৷ কিন্তু ধনীদের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রসরকার ঋণ ঘাতকদের ঋণ মকুব করে চলেছে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা যে টাকার কোন মা বাপ নেই৷ এ কেমন সরকার৷ কিন্তু অতি সাধারণের  নেওয়া ঋণের সুদ আঁকাশ ছোয়া! তাদের কোন ঋণ মকুবের ব্যবস্থা নেই! দেশে নাকি  গণতান্ত্রিক সরকার চলছে!

কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের বেতন রাজ্যসরকারী কর্মাচীরাদের বেতনের ফারাকটা অনেক বেশী৷ অথচ কেন্দ্রের কোন নিজস্ব সম্পদ নেই৷ সম্পদ যায় রাজ্য থেকে৷ কিন্তু রাজ্যগুলি যদি ডবল ইঞ্জিন না হয়ে ভিন্ন দলের হয় তবে সেখানে বঞ্চনা চরমে পৌঁছে যায়৷ যেমনটা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে৷

এসব চলছে স্বাধীনতার পর থেকেই, সব সরকারের আমলেই৷ বর্তমান সরকারের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হচ্ছে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে গোটা দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা৷ তাই এক দেশ, এক আইন, এক নির্বাচন প্রভৃতি শব্দগুলো বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যা একটি গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কাছে চরম বিপদ৷ তাই আগামী নির্বাচনে জনগণ যেন ভেবে চিন্তে বোট দেন৷