মাইক্রোবাইটামের অ, আ, ক, খ

লেখক
জিজ্ঞাসু

অতি কঠিন জটিল এক নোতুন বিজ্ঞানের বিষয়কে একজন শিল্পীর অনুভবে ব্যক্ত করা হ’ল৷ এই মাইক্রোবাইটাম (অণুজীবৎ) বিজ্ঞান, বলা যতটা সহজ, হয়ে ওঠা ততটাই কঠিন৷ পৃথিবীর নানা দেশে বিষয়টি নিয়ে আজ সাধক বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্ততঃ ৩০ বছর ধরে গবেষণা চলছে নিঃশব্দে৷ যা ছিল বিচ্ছিন্নভাবে মহা সাধক যোগীদের গোপন শক্তি চেতনার ভাণ্ডার, বিশ্বের সব মানুষের কাছে আজ তার সিংহদ্বার খুলে দেওয়া হ’ল দিলেন যিনি তাঁর নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ মাইক্রোবাইটাম প্রকৃতির মহাকাশ থেকে আসা এক মহাশক্তি ও চেতনার অতি সূক্ষ্ম রূপ৷ কোটি কোটি মাইক্রোবাইটাম নিয়ে একটি পদার্থের অণু তৈরী হয়৷ প্রধানত দু’ভাবে মাইক্রোবাইটাম শক্তি ও চেতনা কাজ করে৷ (১) অখণ্ড শুভ শক্তি, (২) বিচ্ছিন্ন অশুভ শক্তি৷ এর মাঝামাঝি একটা শক্তিক্ষেত্রও আছে৷ প্রধান এই দুইয়ের মধ্যে একটিকে মানুষকে বেছে নিতে হয়, তার অস্তিত্ব, বিকাশ ও আনন্দের জন্যে৷ প্রথমটি হ’ল পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম৷ এর বৈশিষ্ট্য হ’ল মহাবিশ্বকে এক সূত্রে গাঁথা---এক সাথে চলা---নোতুন আবিষ্কার, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, সমৃদ্ধি, শান্তি, গতি ও নিপুণতা৷ এই সদর্থক সামর্থ্যে মানুষ যখন ভরে থাকে, তখন সে অনন্ত শক্তি ও চেতনার সাথে মহা মানবিক মিলনের অবস্থায় থাকে, যম-নিয়মে থাকে, সেবা ও সাধনায় থাকে, বিন্দুতে সিন্ধু দেখার চেতনা আসে, আবার বিন্দুকে সিন্ধু বানাবার সামর্থ্যও আসে, অণু আমি তখন বিশ্ব আমি হয়ে যায়, যদিও অণু আমি থাকে নামমাত্র৷ এই হ’ল পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের শক্তি ও চেতনার ব্যবহারগত দিক৷ অন্যদিকে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম-এও সুখ পাওয়ার কিছু মানুষ থাকে, আত্মসুখে তারা মগ্ণ থাকে৷ স্বার্থপর হয়ে সুখ, অপরকে শোষণ করে সুখ, অসহায়কে অত্যাচার, অবিচার, অপমান করে নিজের অহংমন্যতাকে ফুলিয়ে দেখানোতে সুখ৷ এই নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের প্রভাবে ধর্মের নামে, জাতের নামে, রাজনীতির নামে ভেদাভেদ, দলাদলি ক্ষমতার লড়াই থেকে যুদ্ধ, হত্যা, আত্মহত্যা সব হয়৷ এরই প্রভাবে এসে নোতুন থেকে নোতুনতর দেহ-মানসিক রোগে মানুষ কষ্ট পায়, যন্ত্রণার শিকার হয়৷ এ বিষয়ে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মত ‘কোনও ওষুধেই রোগ নিরাময় হয় না৷ ওষুধ জিনিসটি রোগগ্রস্থ দেহের বিভিন্ন অংশের শুধুমাত্র যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে পারে রোগ নিরাময় হয় না৷’ তবে রোগ নিরাময় কীভাবে হয়? কখন? ‘যদি রোগী তার শুভ চিন্তা, শুভ কর্ম ও অধ্যাত্ম সাধনার শক্তিতে পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে (অবশ্যই তা আন্তরিক ও নিরন্তর হতে হবে) তবে ওই রোগ তৈরীর উৎস নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম পরাস্ত হবে ও রোগমুক্তি হবে৷ এই মাইক্রোবাইটাম বিজ্ঞানকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকারী বিজ্ঞানীকে আধ্যাত্মিক সাধক হতে হবে, অবশ্যই সাত্ত্বিক আহারের জীবনে তাকে থাকতে হবে৷ এই বিজ্ঞানের সামর্থ্যে যেকোনও বস্তুকে অন্য যেকোনও বস্তুতে রূপান্তরণ করা যাবে৷ যেমন বাটারফ্লাইকে বাটার বা উল্টোটা৷ এই বিদ্যার প্রয়োগে অসংখ্য বিকল্প খাদ্য, পেয়, বাসস্থান, ওষুধ, চিকিৎসা পদ্ধতি, সুরক্ষা সর্বাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উন্নততর রাস্তাঘাট, গতির যানবাহন, বাতাস থেকে পেয় জল, বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে রাস্তা তৈরীর উপাদান, টেলিপ্যাথি, টেলিকিনেসিস, প্রিকগনিশান, রেট্রোকগনিশান---সব করা যাবে৷ চোখের নিমেষে দারিদ্র্য দূর হবে৷ মানুষের মন থেকে অজানা ভয় দূর হবে৷ পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা, নৈতিকতায় গতিতে নিপুণতায়, ঋদ্ধি, সিদ্ধি, সমৃদ্ধিতে পৃথিবী ভরে যাবে, বিশ্বশান্তি আসবে৷ তবুও প্রশ্ণ থেকে যায় তাহলে পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম থাকলেই হ’ত, আবার নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম কেন? অন্ধকার না থাকলে আলোর মর্যাদা বুঝি না যে, অসুখ, অসুস্থতা না এলে সুখ ও স্বাস্থ্য বুঝি না যে, অশান্তি না এলে শান্তি বোঝা যায় না যে, সংকুচিত ভয় জানা না থাকলে প্রসারিত প্রেম বুঝবোই না৷ মহাপ্রকৃতি তাই মানুষের সাথে দ্বিমুখী খেলা খেলছেন৷ লক্ষ্য একটাই---মানুষকে ক্রমবিস্তারিত চেতনায় রূপান্তরিত করা ও মানুষের মহাবিশ্ব পরিবার বুঝে পাওয়া৷