মহাবিজ্ঞানী প্রভাতরঞ্জন সরকারের আবিষৃকত ‘মাইক্রোবাইটাম  ও মাইক্রোবাইটাম সাধনা

লেখক
শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

বিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- চিত্তানু (ectoplasm) ও বিদ্যুতানুর (electron) মাঝামাঝি অবস্থানে  এক অতিসূক্ষ্ম সত্তা আছে৷ আবিষ্কারক এই সত্তার নাম দিয়েছেন ‘মাইক্রোবাইটাম’৷ অর্থাৎ ভাব (Abstract) জড়ের (matter) মধ্যবর্তীস্থানে  মাইক্রোবাইটাম অবস্থান করছে৷ এদের প্রাণীন ও ভাবসত্তার মত অস্তিত্ব রক্ষা, মৃত্যু ও সংখ্যা বৃদ্ধি হয়৷ বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ হ’ল এই মাইক্রোবাইটাম৷ এরাই গ্রহ, উপগ্রহে ও বিভিন্ন  নক্ষত্রে প্রাণীনতার আদি বাহক৷ এরাই বিভিন্ন জ্যোতিষ্কে অজস্র দেহ-সংরচনা ও মানস-সংরচনা করে চলেছে৷ দেহ ও মনের মধ্যে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব  ওতোপ্রোতভাবে জড়িত৷ দেহ ও মনের মধ্যে  পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম কল্যাণকর প্রভাব সৃষ্টি করে৷ সেই কারণেই দেহ ও মনের সুস্থতার  জন্য পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের  সাহায্য অবশ্যই চাই৷ অপরদিকে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের প্রভাবে মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হয় ও  মনের মধ্যে অশুভ, অহিতকর ও অকল্যাণকর চিন্তার সৃষ্টি করে৷ মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক বলেছেন--- উদার মানসিকতা তৈরীর জন্য পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম অবশ্যই চাই ৷ প্রাউট দর্শন  প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ও নব্যমানবতাবাদ প্রতিষ্ঠাতেও  পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা  অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷

তিনি আরও বলেছেন--- এই মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের প্রয়োগের ফলে সমগ্র মানবসমাজের বহুমুখী পরিবর্তন ঘটিয়ে বিশ্বে সর্বাত্মক পরিবর্তন আনার জন্য বিশ্বমানবকূল সাগ্রহে প্রতীক্ষা করছে৷ এই মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের প্রয়োগের ফলে বানিজ্যিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটাবে৷ মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব ঔষধ-রসায়ন (Pharmo-chemistry) ও জৈব প্রযুক্তি বিদ্যাকেও (Bio-chemistry) ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে৷

আজকের মানুষ এই মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বকে কাজে লাগাবার কৌশল জানে না৷  খুব শীঘ্রই মানুষ এই মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বকে জেনে ফেলবে ও মানব কল্যাণে বিভিন্ন দিকে প্রয়োগ করবে৷

মানুষের জীবনে এই মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক গুরুত্বের কথা ভেবেই মহান দার্শনিক  তথা বৈজ্ঞানিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যেমন একদিকে মাইক্রোবাইটামের রহস্য উদ্ঘাটন ও অনুসন্ধানের  কথা বলেছেন তেমনি অন্যদিকে কিছু সাধককে মাইক্রোবাইটাম সাধনাও শিখিয়েছেন৷ ১৯৮৮ সালের ১৫ই জুলাই সর্বপ্রথম  বাবা মাইক্রোবাইটাম সাধনা শেখানো শুরু করেছিলেন৷ বাবা (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার) কিছু গৃহী সাধক ও পূর্ণকালিক কার্যকর্তার  (Whole-timer) লিস্ট করার জন্য নির্দেশ দেন৷ ঐ নির্দ্দেশানুযায়ী, সর্বপ্রথম রাঁচীর পাঁচজন মার্গীর নাম লিস্টে দেওয়া হয়েছিল৷ এই লিস্ট করার দায়িত্বে ছিলেন আচার্য পরমেশ্বরানন্দ অবধূতজী৷ এই মাইক্রোবাইটাম সাধনা শেখানো হয়েছিল কলকাতার আশ্রম লেকগার্ডেনে৷ সর্বপ্রথম মাইক্রোবাইটাম সাধনা  শেখানো হয়েছিল যাঁদের,  তাঁরা হলেন--- (১) আচার্য হরিশঙ্করজী (২) আচার্য অমূল্য ষড়ঙ্গী (৩) ডা. রমেশ জী (৪) শ্রী সুধাংশু (৫) শ্রী রঙ্গলাল দত্ত জী৷

এই মাইক্রোবাইটাম সাধনার কথা ঐ সময় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ এ পর্যন্ত বাবা মোট ১৫০ জনকে মাইক্রোবাইটাম সাধনা শিখিয়েছেন৷