প্রজাতন্ত্রের সত্তর বছর পেরিয়ে.......

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০২০ সনের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস সমগ্র ভারতবর্ষে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা, সম্মান  ও সমারোহ সহযোগে নিষ্পন্ন হল৷ ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ও ভারতকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতবর্ষের সংবিধানে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে,‘‘প্রজা’’ বা নাগরিক সমুদায়কে৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলির সুরক্ষা ও রাষ্ট্র নির্মাণে নাগরিকগণের দায়িত্ব তথা কর্ত্তব্য সমূহ সুনির্দিষ্ট করাই ছিল সংবিধান প্রণেতাগণের  মূল লক্ষ্য৷ তৎকালীন ভারত বর্ষে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের সুবিধার্থে সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল যাতে তারা সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারেন৷ পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে বহুবিধ কারণে সংবিধানের বিভিন্ন ধারার পরিবর্তন /সংশোধন করা হয়েছে৷ প্রতি পাঁচবছর অন্তর সারাদেশের সাধারণ নির্বাচন ও রাজ্যগুলির প্রাদেশিক নির্বাচনে  যাঁরা জয়ী হন ও সরকার ঘটন করেন তাদের সকলকেই ভারতীয় সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে নিরপেক্ষভাবে শাসন কার্য পরিচালনার অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হয়৷ এগুলির একমাত্র উদ্দেশ্য  জনকল্যাণ, মানুষের  উন্নয়ন ও সকল নাগরিকের সম অধিকার প্রতিষ্ঠা৷

ভারতবর্ষ একটি বহুভাষা-ভাষী , কৃষ্টি-সংসৃকতি, আচার-বিচার ও ধর্ম বিশ্বাসযুক্ত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল৷ বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই ভারতের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য৷ সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বাঁধনে আবদ্ধ হয়ে সকলে মিলে মিশে বসবাস করাই ভারতবাসীর সংসৃকতি৷ ভারতবর্ষের সংবিধান এই ঐতিহ্যেরই পরিপূরক৷ সংবিধান প্রণেতাগণের লক্ষ্য ছিল, সকল জনগোষ্ঠীর  আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস সুদৃঢ় করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন যাতে  ভারতবাসীগণ  শিক্ষা-দীক্ষা,ধন-সম্পদে, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে বিশ্বের দরবারে ভারতকে একটি বিশেষ মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রজাতন্ত্র দিবস  ৭০ বছর পেরিয়ে ৭১-এ পা বাড়ানোর দিনেও সংবিধানের মূল লক্ষ্য অধরা৷ শিক্ষার আলো এখনও  একশত শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছায় নি, সকলের জন্যে নিশ্চিন্ত বাসস্থানের সংস্থান হয়নি, পানীয় জল বা বৈদ্যুতিক আলো অনেক দুরের বস্তু৷ এখনো লক্ষ লক্ষ মানুষ, রাস্তার ধারে, ষ্টেশনের ঘুপচি কোণে, ব্রীজ-উড়ালপুলের তলায় ঝুপড়িতে বা পলিথিন খাটিয়ে বসবাস করেন---দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন সংস্থানের নিশ্চিততা ছাড়াই৷ অসুখ বিসুখে চিকিৎসার ব্যবস্থাও অপ্রতুল৷ অথচ দেশে গড়ে উঠেছে বড় বড় শহর, সুরম্য বহুতল আকাশচুম্বী অট্টালিকা,বিশাল বিশাল সরকারী বেসরকারী হাসপাতাল, বিদ্যালয়,  মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি৷ সেইসব জায়গায় উপর্যুক্ত মানুষগুলোর  প্রবেশাধিকার অত্যন্ত সীমিত৷ মুষ্টিমেয় মানুষের ঘরে সম্পদের পাহাড়,  বিলাসবহুল জীবনের ব্যাপক বিন্যাস৷ প্রজাতন্ত্রের ৭০ বছর পরেও সংবিধান বর্ণিত সম অধিকার, উন্নয়ন,জনকল্যাণের সমস্ত রসদ, দেশের সব নাগরিকের হাতে পৌঁছায় নি৷ এখনও বিভিন্ন জনগোষ্ঠী- সম্প্রদায়ের জন্যে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া চালু রাখতে হয়েছে---যা কিনা  স্বল্পকালীন ব্যবস্থা হিসেবে চলার কথা ছিল৷ শুধু তাই নয়,সংরক্ষণের মাত্রা এতটাই অধিক যে অসংরক্ষিত হিসেবে যারা চিহ্ণিত, তাদের জন্যে ভবিষ্যতে হয়তো বিশেষ সংরক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে৷ এরফলে গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে, সম্প্রদায়-সম্প্রদায়ের বিরোধ, বিদ্বেষ, অবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়ে হিংসা,সন্ত্রাস ও জিঘাংসার জন্ম দিচ্ছে৷ আর এই বিদ্বেষ বিভাজনকে রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা নিজেদের ব্যষ্টিগত বা দলগত স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন৷ এই বিভাজনের ফলে ভারতের মূল ঐতিহ্যই ধবংস হতে বসেছে৷

ভারতবাসীর এই দুরবস্থার কারণ খুঁজতে গেলে আমাদের একটু পিছিয়ে গিয়ে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখতে হবে৷ প্রাচীনকাল থেকেই  মুনিঋষিদের আধ্যাত্মিক ধ্যান-ধারণায় উন্নত ভারতবর্ষ পৃথিবীতে  শান্তি, মৈত্রী,সম্প্রীতি ও মহামিলনের স্থল হিসেবে পরিচিত ছিল৷ ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও সম্পদ এই দেশকে সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা করে রেখেছিল--- মানুষের কোনো অভাব অভিযোগ ছিল না৷ সুদূর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে বহু মানুষ এসেছিলেন এদেশে৷ কেউ এসেছিলেন শান্তির খোঁজে, কেউ বা এসেছিলেন পেটের টানে আবার কেউ কেউ এসেছিলেন ধনসম্পদ ঐশ্বর্য লুন্ঠন করতে৷  আর্য, অনার্য, দ্রাবিড়, অস্ট্রিক, মঙ্গোলীয় সমস্ত রক্ত বাহিত মানুষের মহান মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এই দেশ ৷ তাই এদেশের বিমিশ্র সভ্যতা ও সংসৃকতি এত উন্নত৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘‘ভারততীর্থ’’ কবিতায় লিখেছেন---

কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে কত মানুষের ধারা

দুর্বার স্রোতে এল কোথা হতে,সমুদ্রে হল হারা ৷

হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন---

শক-হুণ-দল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন৷

* * * * *

হেথা এক দিন বিরাম বিহীন ,মহা-ওঙ্কারধবনি

হৃদয়তন্ত্রে একের মন্ত্রে উঠেছিল রণরণি৷

তপস্যাবলে একের অনলে বহুরে আহুতি দিয়া

বিভেদ ভুলিল, জাগায়ে তুলিল একটি বিরাট হিয়া৷

               ‘‘বসুধৈব কুটুম্বকম্’’ এই আদর্শে অণুপ্রাণিত ভারতবাসী সর্বদাই অতিথি বৎসল ও বিভিন্ন সময় যারা এই দেশে এসেছে, সকলকে আপন করে নিয়েছে৷ বিদেশীদের মধ্যে যারা এই দেশকে,দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন তারা এখানেই থেকে গেছেন দীর্ঘকাল৷ যারা শুধুমাত্র এই দেশের সম্পদ লুন্ঠন  ও শোষণ করতে এসেছিল, তারা এদেশে থাকতে পারেনি--- সময়ের বিবর্তনে  তাদের এদেশ পরিত্যাগ করতেই হয়েছে৷ ভারত বর্ষে দীর্ঘদিন পাঠান, মোগল, ব্রিটিশ ও সীমিত অঞ্চলে ওলন্দাজ, পোর্তুগীজ,ফরাসী প্রভৃতি শাসকেরা রাজত্ব করেছেন৷ কিন্তু ভারতবাসীগণ প্রধানত ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধেই ব্যাপকস্তরে অস্ত্র ধারণ করেছিল ও একদিন ব্রিটিশদের দেশছাড়া করেছিল৷ অন্যান্য সব রাজশক্তি ভারতের মাটিকে ও দেশবাসীকে সম্মান দিয়ে আপন করে নিয়েছিল বলেই তাদের বিরুদ্ধে ভারতবাসী জোরদার আন্দোলন করেনি৷ কিন্তু ব্রিটিশ শাসকেরা বণিকের ছদ্মবেশে ভারতে প্রবেশ করে  অর্থোপার্জনের লক্ষ্যে শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশীয় বিশ্বাসঘাতকদের  প্রলোভনের দ্বারা বশীভূত করেছিল ও ‘ডিভাইড এ্যাণ্ড রুল’-এই নীাতির আশ্রয় নিয়ে ভারতাত্মার মূল ঐতিহ্যের বুকে ছুরি মেরেছিল আর ভারতবর্ষের মৈত্রী-সম্প্রীতির বুনিয়াদকে ধবংস করে দিয়েছিল৷ ভারতবাসীদের মধ্যে বিদ্বেষ-বিভাজন, একগোষ্ঠীর সঙ্গে অন্যগোষ্ঠীর বিরোধ উস্কে দিয়ে ইংরেজরা ভারতবাসীর মনোবল নষ্ট করে দিয়েছিল৷ আর তাদের এই অপপ্রচেষ্টার সহযোগী হিসেবে পেয়েছিল কতিপয় দেশীয় পুঁজিপতি ও স্বার্র্থন্বেষী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে৷ ব্রিটিশদের এই ষড়যন্ত্রের অপকৌশল বেশিদিন গোপন থাকে নি৷  দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতন মানুষেরা ব্রিটিশদের এই কু চক্রান্তের হদিস  পেয়ে প্রতিবাদের আন্দোলনে সামিল হন৷ এই প্রতিবাদীদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন বাঙালী জনগোষ্ঠীর নেতানেত্রীগণ৷ ব্রিটিশ রাজশক্তিও  ক্রমশঃ দেশবাসীর ওপর শোষণ,অত্যাচার, নিপীড়ণ, নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে যেতে থাকে৷ ফলশ্রুতিতে বাঙালীদের প্রতিবাদ সশস্ত্র আন্দোলনের অভিমুখে ধাবিত হয়৷ বাঙালী জননায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর দাবী ছিল অখণ্ড ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা৷ তিনি শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বাধীনতা চাননি---চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও---যাতে করে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে৷ কিন্তু তাঁর এই দাবীকে নস্যাৎ করার জন্যে কূটবুদ্ধি ইংরেজদের সঙ্গে যোগ দেয় তৎকালীন হিন্দী বলয়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পুঁজিবাদী গোষ্ঠী৷ সুভাষচন্দ্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে  তাঁকে নিজগৃহে অন্তরীণ রাখা হয়--- বাহিরে বসানো হয় অতন্দ্র প্রহরীদের সতর্ক পাহারা৷ দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনের জন্যে যাঁর জীবন উৎসর্গীকৃত তাঁকে কী চার দেওয়ালে আটকে রাখা যায়! সুভাষচন্দ্র বুঝেছিলেন, ইংরেজদের তাড়ানো তাদেরই তাঁবেদার ও পুঁজিবাদের তল্পী বাহক দেশীয় নেতৃত্বের সাধ্য নয়৷ সেই কারণে একদিন গভীর রাত্রে দেশান্তরী হয়ে যান দেশপ্রেমের মূর্ত্ত প্রতীক সুভাষচন্দ্র বসু৷ বন -জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত, নদী-সাগর পেরিয়ে পৌঁছে যান তাঁর গন্তব্যে৷ আরেক বঙ্গ সন্তান বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর তৈরী ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ এর সর্র্বধিনায়ক হিসেবে শুরু করেন মরণপণ লড়াই৷ জাপানী ফৌজের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে আজাদহিন্দ বাহিনী দুর্দমনীয় সাহসে মণিপুরের মাটিতে স্বাধীন ভারতের পতাকা উড্ডীন করেন৷ একদিকে আজাদ হিন্দ বাহিনীর চাপ, অন্যদিকে দেশীয় সৈন্যদের বিদ্রোহ ও আপামর জনগণের বিশেষতঃ বাঙালীদের নাছোড় আন্দোলনে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ব্রিটিশ শাসকেরা ভারতের মাটিকে আর নিরাপদ মনে করেননি৷ তাই পাততাড়ি গুটিয়ে দেশীয় নেতৃত্বের হাতে শাসন ক্ষমতা ন্যস্ত করে বিদায় নিতে বাধ্য হয়৷

ভারত ছাড়ার আগে ব্রিটিশরা কূটকৌশল প্রয়োগ করে দেশীয় নেতৃত্বের মধ্যে দ্বিজাতিতত্বের বীজবপন ক’রে দেশকে ভাগ করার চক্রান্ত করে ও শেষ পর্যন্ত দুটি  স্বাধীনরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়৷ এর ফলে পঞ্জাব ও বাঙলা দ্বিখণ্ডিত হয়৷ দুই দেশের মধ্যে লোক বিনিময়ের সময় লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর রক্তের নদী বয়ে যায় দুই সীমান্তে---কোটি কোটি মানুষ সহায় সম্বলহীন হয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হন৷ তারাও তো আমাদেরই ভ্রাতা ও ভগিনী ৷ কিন্তু হায় দেশ নেতৃত্ব! অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ও দুর্দশার জন্যে দায়ী একমাত্র ওইসব অর্বাচীন, অপদার্থ, নেতৃত্ব যারা ক্ষমতার লোভে অধৈর্য হয়ে দেশভাগের মাধ্যমে স্বাধীনতাকে বরণ করে নিয়েছিল৷ যাইহোক, ভারতবর্ষের রাজধানী দিল্লির সন্নিকটে অবস্থিত পঞ্জাবের উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয়নি৷ কিন্তু পূর্বসীমান্তের বাঙালী উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্যে বিশেষ কোনো উদ্যোগ কেন্দ্র বা রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে গ্রহণ করা হয় নি৷ যেটুকু করা হয়েছিল, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই যৎ কিঞ্চিৎ৷ অবহেলিত বাঙালী উদ্বাস্তুদের ঠাঁই হয়  বিভিন্ন  অস্বাস্থ্যকর রিফিউজি ক্যাম্পে,  সুন্দরবনের খোলা আকাশের নীচে ও যত্র তত্র৷ অসহায়  মানুষের দল বিভিন্ন রাজ্যের শহর, নগর, গ্রামে রুজিরোজগারের  আশায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে বাধ্য হয়৷ এখানেই শেষ নয়৷ বিভিন্ন সময়েই ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে পূর্বপাকিস্তান থেকে বিতাড়িত হয়ে  হিন্দুরা ভারতে প্রবেশ করতে বাধ্য হন৷            (এরপর আগামী সংখ্যায়)