শ্রীরামপুর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

শেওড়াফুলি ঃ গত ১৭ই মার্চ  শ্রীরামপুর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়৷ এই অনুষ্ঠানে শ্রী প্রভাত খাঁ সভাপতিত্ব করেন৷ প্রবীণ আনন্দমার্গী কৃষ্ণচন্দ্র ভড় প্রধান অতিথি, গোঁরাচাদ  শেঠ, (কমিশনার বৈদ্যবাটী  পৌরসভা) বিশেষ অতিথি পদ অলঙ্কৃত করেন৷ এছাড়াও অশোক চক্রবর্ত্তী (স্কুলের চেয়্যারম্যান), কৃষ্ণচন্দ্র সোম (প্রাক্তন শিক্ষক, আনন্দমার্গ স্কুল), জ্যোতিবিকাশ সিন্হা (সদস্য স্কুল কমিটি) সভা অলঙ্কৃত করেন৷  অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় আনন্দমার্গের প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর  প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে৷ বিদ্যালয়ের  ছাত্রছাত্রাগণের  সংগচ্ছধবং মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়৷ সভা পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সর্বশ্রী-প্রধান শিক্ষক, কানাই চট্টোপাধ্যায় ও উত্তম আচার্য৷ ছাত্র ছাত্রাগণ সমবেতভাবে  ছড়া, প্রভাত সঙ্গীত, নৃত্য,  আবৃত্তির মধ্যদিয়ে সমবেত  দর্শকগণের  মনোরঞ্জন করে ৷ ‘বাঁশী’ নৃত্যনাট্যটি  প্রদর্শিত  হয়৷ বিদ্যালয়ের  শিক্ষকগণকে সর্ম্বধনা দেওয়া হয়৷ ছাত্র-ছাত্রাগণ ও প্রাক্তনীরা যোগাসনের কলা-কৌশল প্রদর্শন  করেন৷ ৩০জন কিশোর কিশোরী বিভিন্ন প্রভাত সঙ্গীত  ও রবীন্দ্র সঙ্গীত  পরিবেশন করে দর্শকদের  আনন্দ দান  করেন৷

এদের শিক্ষা দেন  মার্গের  স্কুলের  দু’জন  প্রাক্তন  ছাত্র৷ দর্শকগণ গান শুণে প্রীত হন৷  গত ২০১৫/১৬/১৭ সালের  কৃতী  ছাত্র-ছাত্রাদের  পুরস্কার  বিতরণ করেন মঞ্চে উপবিষ্ট ব্যষ্টিগণ৷ প্রধান  অতিথি  ও বিশেষ অতিথি  আনন্দমার্গ স্কুলের  পঠন, পাঠন  শিক্ষাদানের ও শিক্ষকগণের  বিশেষ প্রশংসা করেন৷ তারা  বিদ্যালয়ের  উন্নয়নে  সাহায্যের  হাত বাড়িয়ে  দেওয়ার  প্রতিশ্রুতি  দেন৷  প্রধান অতিথি শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র ভড় এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাঁরা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছেন তাঁদের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ও  তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন৷

সভাপতির ভাষণে প্রভাত খাঁ বলেন,  পরমারাধ্য বাবা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী  পরম শ্রদ্ধেয় প্রভাত  রঞ্জন সরকার  যিনি প্রাউট দর্শনের  প্রবক্তা, বিশ্বের  সার্বিক কল্যাণে  আনন্দমার্গের ন্যায়  এক বিরাট  আদর্শ  প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আবির্ভূত হন৷ তিনি  ১৮২ টি দেশে  তাঁর  সংঘটন প্রতিষ্ঠা করেন৷ আজ সবচেয়ে   অভাব সৎ ও নীতিবাদী মানুষের৷  মানুষ  গড়ার  মহান ব্রত তিনি গ্রহণ করেন৷  সেই কারণে  তিনি শিশুদের  সার্থক  শিক্ষাদানের  জন্য  সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আনন্দমার্গের আদর্শে বদ্যালয় খোলার ব্রত নেন৷ তিনি শিক্ষা, ত্রাণ ও উন্নয়নমূলক মিশনারী কাজকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে গেছেন৷  সমাজের প্রত্যেকটি ছেলে মেয়ে যাতে সুশিক্ষিত হয়ে  সৎমানুষ রূপে গড়ে ওঠে তার দিকে  বেশী গুরুত্ব দিয়ে গেছেন৷

তিনি দর্শকগণ কে অনুরোধ করেন  এই মহৎ কাজে আনন্দমার্গের  হাত শক্ত করতে ৷ সকলকে  মার্গকে জানার জন্য  এগিয়ে আসারও আবেদন জানান ও   তিনি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷