আজ শাসকদের রাজনৈতিক দ্বিচারিতায় মানব সভ্যতাই বিপন্ন

লেখক
প্রভাত খাঁ

আজ মানুষের সমাজগুলি পৃথিবীতে প্রায় ধবংস হয়ে যাচ্ছে৷ সেই কারণে সারা পৃথিবীটাই যেন বিলুপ্তির পথে এগুচ্ছে৷ বর্ত্তমানের শাসককুল এর মধ্যে নিষ্ঠুর রেসারেসির ও যুদ্ধে মূলতঃ ছোট ছোট রাষ্ট্র আর অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারছে না, তার মূল কারণ পাশ্ববর্তী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলির আগ্রাসী নীতিতে৷ ইউক্রেন আজ শ্মশানে পরিণত হচ্ছে রাশিয়ার নিষ্ঠুর আক্রমণে! রাশিয়া পারমানবিক যুদ্ধের ভয় দেখাচ্ছে সেই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে৷ এই কি সভ্যতার অগ্রগতি? এদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত যেখানে প্রায় ১৩৬ কোটির অধিক মানুষের বাস৷ সেখানে চরম বেকার সমস্যা, দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির কারণে দরিদ্র পরিবারগুলি শেষ হয়ে যেতে বসেছে৷ অধিকাংশ কলকারখানা বন্ধ হওয়াতে শ্রমিক কর্মচারীগণ আর্থিক সমস্যায় পড়েছে৷ সরকার তার কোন সুরাহা করতে পারছেন না৷ এদিকে ডিজেল  পেট্রোল ও অন্যান্য জ্বালানি দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়াতে ও  রান্নার গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ৫০ টাকা বেড়ে যাওয়াতে প্রায় হাজার টাকায় দিয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ট্রেনের ট্রাম বাসের ভাড়া একেই তো দারুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে৷ তাহলে জিনিসের দাম কোথায় গিয়ে পৌছাঁবে তা অদূর ভবিষ্যৎই বলতে পারে৷ এরই মধ্যে সরকার এক নোতুন ভারত গড়ার স্বপ্ণ দেখছেন! আগেই বলেছি সমাজগুলি নানা কারণেই ধবংস হয়ে যেতে বসেছে৷ যেমন ভারতের ৪৪টি সমাজকে যেন আর দেখাই যায় না, কারণ সমাজগুলির বেঁচে থাকার জন্য যে কারণগুলি আছে  সেগুলিকে বর্ত্তমান শাসকগণই ধবংস করে দিয়েছে৷ তার কারণ একদিন যেগুলি সবক্ষেত্রে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ সেই মূল কারণগুলিকেই বর্ত্তমানএর সরকারগুলি নষ্ট করে বৃহদায়তনের  কলকারখানা গড়ে গ্রামীন সেই ছোট ছোট শিল্পগুলিকে বেঁচে থাকার সুযোগ টুকুকেই ধবংস করেছে৷ ধনী ব্যবসাদার গণ এর প্রতিযোগিতায় সেই শিল্পগুলি এঁটে উঠতে পারনি৷ গ্রামীণ কুঠির শিল্পগুলি ধবংস হয়ে গ্রামের লোকেরা শহরমুখী হয়ে ভারতের গ্রামীন সভ্যতাকে ইংরেজ যেমন ধবংস করে তাদেরই দালাল সাম্রাজ্যবাদী শাসকগণ বর্ত্তমানে ধনীদের সেবাদাস হয়ে সারা ভারত তথা গ্রামগুলির আর্থিক স্বয়ংভরতা ধবংস করে দেশকে  করের বোঝার রক্তশূন্য করছে আর শুধু স্বৈরাচারিতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে কেন্দ্রের অশুভ প্রভাব ঘটিয়ে৷ তাকে মদৎ দিচ্ছে জনসমর্থনহীন কাগুজে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা৷ যারা সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিয়ে দেশটাকে ধবংস করছে৷

আজ সারা পৃথিবীর সেই একই দশা৷ নেতারা নির্বাচনকে খেলা বলে মনে করে অসাধু পথে এগুচ্ছে অন্যদিকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে এক বিভীষিকার রাজত্ব সৃষ্টি করছে৷ এই নাকি আধুনিক সভ্যতার এক নোতুন পৃথিবী! এটাই আজ দেখতে হচ্ছে সারা বিশ্বাবাসীকে!

ভারত একদিন নিজেকে বাঁচাতে আমেরিকার দ্বারস্থ হয়েছিল৷ তারই কারণে ভারত আমেরিকার সঙ্গে সব ব্যাপারে হেঁটেছে৷ আমেরিকার সঙ্গে দহরম মহরম করেছে৷ আজ কিন্তু রাজনৈতিক কারণেই নিরপেক্ষ হয়ে যুদ্ধবাজ পুতিনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে খনিজ তেল কিনে তার আর্থিক সমস্যা মেটাচ্ছে যেটা পৃথিবীর অনেক দেশই পছন্দ করছে না৷  কারণ সারা পৃথিবী কমিউনিষ্ট মতাবলম্বী রাশিয়ার আগ্রাসী নীতি মানতে পারছে না৷ যখন ইউ.এন. ও রাশিয়ার কুকর্মকে বিরোধিতা করছে ও তাকে  সংযত হতে বলছে৷ ভারত সেই তেল দেশের মানুষকে বিক্রি করছে চড়া দামে যার ফলে যানবাহন চালানোটাই, কঠিন হয়ে যাচ্ছে৷ যার দরুণ জনগণের চরম আর্থিক দুর্দ্দশার কারণ হচ্ছে সেই কেন্দ্র সরকার৷ অন্যদিকে আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ ভারতীয় আছেন যাঁরা এ দেশের সরকারের নীতির  কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন৷ কারণ মিঃ বাইডেন অসন্তুষ্ট ভারতের উপর৷ যুদ্ধক্লিষ্ট  ইউক্রেনও ব্যথিত ভারতের আচরণে৷ ইউক্রেনও ব্যথিত ভারতের আচরণে৷ ইউরোপের ছোট ছোট দেশগুলি প্রাণের দায়ে তারা ইউক্রেনকে খাদ্য অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে৷ আজকের যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী তার কুফল ছড়িয়ে সারা বিশ্বকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে৷

মানবতার কারণে ভারত তো  রেডক্রসকে সাহায্য করতে পারতো যাতে এই স্বেচ্ছাসেবি৷ সংস্থা ইউক্রেনের আহত নিহত পরিবারের মানুষগুলোকে   একটু সেবা দিতে পারতো৷ ভারতীয় যাঁরা ইউক্রেনে আছেন তারা গর্বরোধ করতে পারতেন ভারতের সাহায্য  পেয়ে৷

ফলে  বিদেশের অনেক দেশেই বিরোধীরা করতে ভারতকে কোন কোন ভারতীয়দের প্রবেশ করতে বাধা দান করছে সেই  দেশে আশ্রয় নিতে৷ আজ পৃথিবী যাতে যুদ্ধে আক্রান্ত না হয় তার জন্য রাষ্ট্র সংঘ গড়ে তুলেছে পৃথিবী৷ ভারত সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ৷ সেখানে নিরপেক্ষ থেকে তো বলা যায় আজকের  সমস্যা সংকুল পৃথিবীতে সমস্যা যেমন আলাপ আলোচনা করে তার সমাধান করে বলতে পারতো৷ বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়া, সংযত হয়ে কাজ করুক৷ অযথা ভিন রাষ্ট্রে আক্রমনকারী হয়ে কেন অসহায় হাজার মানুষকে হত্যা ও আহত করা হচ্ছে আর রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ, কলকারখানায় বাসগৃহে হাসপাতালে বিধবংসী মারনাস্ত ফেলে নির্মম ভাবে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে! গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত একটা কথাও বলেনি৷

নিরপেক্ষতা তখনই বজায় থাকত যখন এই পরিস্থিতিকে রাশিয়ার সঙ্গে  খনিজ তেল চুক্তি করে৷ সরকার নিজের আর্থিক সংকট ঘোচাতে সস্তায় তেল কিনে গরীব দেশের হতদরিদ্র নাগরিকদের উপর অত্যধিক দাম চড়িয়ে তো শোষণের ব্যবস্থাটাই পাকা করে বসলো৷

এটাকে মনে হয় মানবতা বিরোধী কাজ৷ তা না হলে আক্রমনকারীকে প্রশ্রয় দিয়ে তাকে সমর্থন জানালে কি হলো যা  যে ভারত তারই পক্ষে৷ এটাতো একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে এক ধরনের দ্বিচারিতা কি নয়? এতে জনগণ এর কি বা উপকার হলো৷ তাই মনে হয় কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ সকলকেই বলেছিলেন একপক্ষকে সমর্থন করাটাই বাঞ্চনীয়৷ অত্যাচারী পাপীকে যে সমর্থন করে সেতো অপরাধী সেই ঈশ্বরের চোখ৷ কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের পরিণতির কথাটা ভারতীয় শাসকদের কী স্মরণীয় রাখাটা উচিত নয়? যেহেতু শ্রীকৃষ্ণকেই ভারতীয়রা একজন ঈশ্বরেরই প্রতিভূ বলে স্মরণ করেন৷ এতে সংবিধানের ধর্মমত পশ্চিম ধর্মনিরপেক্ষ তো হওয়া গেল না৷ এই ধরণের  নীতি হলো একধরনের শঠতা যেটা গণতন্ত্রে এদেশ খুবই দেখা যায় পদে পদে যেমন দল বদল হওয়া ও অন্য দলে যোগ দিয়ে অভিনেতার মতো রাজনৈতিক নেতা হওয়া কি নয়৷ ভ?? দর্শন এটাকে বলে এক ধরনের দুষ্ট কূটনীতি৷