আপ্তবাক্য

লেখক
পত্রিকা প্রতিনিধি

‘বই পড়ে বা শুণে যে অনেক কিছু জেনেছে মানুষের সঙ্গে মেশবার সময় তার সবচেয়ে বেশি মনে রাখা দরকার যে সে যার সঙ্গে কথা বার্র্ত বলছে সেও কিছু কিছু জিনিস তার চাইতে অনেক বেশি জানে৷ চাষা বলে যাকে অবজ্ঞা করা হয়, ধানচাষের খুঁটিনাটি ব্যাপার তাঁর নখদর্পণে অথচ ধান্যোৎপাদনের পরিসংখ্যানের  চরম হিসাবটুকু যার সই দিয়ে বেরোচ্ছে তাকে হয়ত ধান কাঠের চেয়ার দেখালেও তিনি তা সহজভাবে স্বীকার করে নেবেন৷ তাই বলি কোন জিনিসটা কে কতখানি জানেন তা নিয়ে গর্ব করা একেবারেই মুর্খতা বরং এই গর্বই শিক্ষাহীনতার মুর্ত প্রতীক৷ চতুষ্পাঠীর পণ্ডিত নৌকার নাবিককে বলেছিল,‘‘ তুই আমার কোন দার্শনিক প্রশ্ণেরই উত্তর দিতে পারিস নি, তোর অর্ধেক জীবনটাই বৃথা’’৷ আর মাঝ নদীতে যখন নৌকা ডুবুডুবু হয়েছিল তখন নাবিক বলেছিল, ‘‘ঠাকুর একটু সামাল দাও’’ পণ্ডিত বলেছিল---‘‘নৌকা বাইতে তো আমি জানি না৷ তার জবাবে নাবিক বলেছিল---‘‘ঠাকুর! এখন তো  তোমার গোটা জীবনটাই বৃথা হয়ে যাচ্ছে৷’’             ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার (ক.প্রা.১ম খণ্ড-৪৬)