আপ্তবাক্য

লেখক
পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘তথাকথিত ‘‘রিলিজন’’ এর জন্যে ‘ধর্ম’ শব্দটা প্রায়ই আলগাভাবে ব্যবহার হয়ে’ থাকে৷ তার কারণ প্রায় প্রতিটি রিলিজনের প্রবর্তকেরা নিজেদের মতবাদকে ‘ঈশ্বরের বাণী’ আখ্যা দিয়ে জনসাধারণের কাছে পরিবেশন করে গেছেন৷ তাঁরা কেউই যুক্তিতর্কের পথ মাড়ান নি৷ এর পেছনে তাঁদের উদ্দেশ্য যাই থাকুক না কেন মানুষ তার পরম সম্পদ বিচারশীলতাকে খুইয়ে বসেছিল৷  ‘‘আমি ঈশ্বরের দূত---আমি যা বলছি তা ঈশ্বরেরই ঘোষণা৷’’---এই কথা বলে মধ্যযুগের অনগ্রসর মানুষের মনে ভয়-তরাস সৃষ্টি করে দিয়ে তাদের ঘাড়ে নিজেদের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার পরিণাম কি মানুষ বা জীবসমাজের কাছে কল্যাণকর হয়েছিল? প্রায় প্রত্যেক রিলিজনই বলেছে যে এই রিলিজনের অনুগামীরাই ঈশ্বরের প্রিয়, বাকীরা ঈশ্বরের অভিশাপস্বরূপ, তারা শয়তানের শৃঙ্খলে বদ্ধ হয়ে রয়েছে৷

                        ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার