আপ্তবাক্য

লেখক
পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘তন্ত্রশাস্ত্রে আছে---

‘‘সর্বে চ পশবঃ সন্তি তলবৎ ভূতলে নরাঃ৷

তেষাং জ্ঞানপ্রকাশনায় বীরভাবঃ প্রকাশিত৷

বীরভাবং সদা প্রাপ্য ক্রমেণ দেবতা ভবেৎ৷৷’’

তন্ত্রের পরিভাষায় জন্মসূত্রে বিশ্বের প্রতিটি জীব এক একটি পশু-ভাবাত্মক প্রাণী৷ কিন্তু কালক্রমে জীবের সেই পশুভাবকে দেবভাবে....দেবত্বে উন্নীত করতে হয়৷ প্রাথমিক স্তরে যে মানুষটার আচার-আচরণ পশুবৎ, উন্নত জীবনচর্যা ও সাধনার  মধ্যে দিয়ে তাকে মনুষ্যত্বে উন্নীত করতে হবে, তারপর সেই মানুষটাকে আরও সাধনা ও প্রয়াসের  দ্বারা দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে৷ পশুত্ব থেকে দেবত্বে এই ক্রমোন্নয়ন এটা যে পদ্ধতির দ্বারা সংসাধিত হয় তারই ‘সাধনা’৷ একটি সংস্কৃত শ্লোকে বলা হয়েছে ---

‘‘জন্মনা জায়তে শূদ্রঃ সংস্কারাৎ দ্বিজ উচ্যতে৷

বেদপাঠাৎ ভবেৎ বিপ্রঃ ব্রহ্ম জানাতি ব্রাহ্মণঃ৷৷’’

   (তন্ত্রই সাধনা,সাধনাই তন্ত্র---শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি)