এদেশের গণতন্ত্রই তো দুর্নীতির ক্যান্সারে  আক্রান্ত,লোকপাল লোকায়ুক্ত আইন  কি  সমাধান?

লেখক
মুশাফির

ভারত বিরাট দেশ৷ এদেশের মানুষের  অদ্যাবধি কতটা  দুঃখ  দূর হয়েছে সেটা জনগণের  প্রতিনিধিরা  আন্তরিকতার  সঙ্গে  সমীক্ষা  না করে  ঘন ঘন নানা বিষয়ের  বিল এনে  আইনের ঘর পূর্ণ করেই চলেছেন৷  যেমন লোকপাল  বিল এদ্দিন পরে বাস্তবায়িত  হতে চলেছে৷  এটার  চিন্তা আসে সেই ১৯৬৮ সালে৷ ১৯৬৯ সালে তা পাকা  হয় কিন্তু পড়ে  থাকে  বহু বছর৷ এর মধ্যে ১৯৭৫  সালে  দেশের জরুরী  অবস্থার জারি  হয় ইন্দিরার  আসলে  তখন  গণতন্ত্রটাই  প্রায়  খতম  হয়ে যায়৷ এর বহু বছর পর  কংগ্রেসের  আমলে  কয়েকটি ধারার সংশোধন হয়৷ এতে  বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি  রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী  বিলের  বাহিরে থাকবে৷ আন্নাহাজারে  সমাজকর্মী  এর বিরোধিতা  করেন৷  তিনি জন লোকপালের কথা বলেন, সেখানে লোকপাল লোকায়ুক্ত  বিল লোকসভায়  পাকা হওয়ার  পরও  পদগুলিতে  লোক নিয়োগ হয়নি৷ এতে  এই বিষয়ের  উপর একটি মামলায়  সুুর্প্রীম কোর্টে  সরকারকে  জবাব দিহি  করতে হয়৷  প্রধানমন্ত্রী  নেতৃত্বাধীন  নিয়োগ  কমিটি  একজন  প্রাক্তন  বিচারপতির  নাম উল্লেখ  করেছেন৷ এই  কমিটিতে লোকসভার  স্পীকার,  লোকসভার  বিরোধী  নেতা, সুর্প্রিম কোর্টের  প্রধান বিচারপতি ও লোকপাল হিসাবে আছেন শ্রী পিনাকি চন্দ্র ঘোষ  যিনি  অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি  সুর্প্রিম কোর্টের৷

লোকপাল নিয়োগে সম্ভাবনা  আছে ৪ প্রাক্তন হাইকোর্টের  বিচারপতি, তাঁদের  মধ্যে থাকবেন আরও একজম মহিলা বিচারপতি৷ এই লোকপাল একটি স্ব-শাসিত তদন্ত কমিটি৷ এই কমিটির কাজ হবে লোকসভা ও রাজ্যসভার কোন সাংসদের  বিরুদ্ধে  দুর্নীতির অভিযোগ  উঠলে  তা তদন্ত করে দেখা৷ 

এটি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য বিষয় কারণ দুর্নীতিতে দেশ আগা থেকে গোড়া পর্য্যন্ত ছেয়ে গেছে৷ অত্যন্ত লজ্জার কথা গণতন্ত্রে আইনের চোখে প্রত্যেক নাগরিকই সমান মর্য্যাদার অধিকারী৷ কিন্তু শাসন ক্ষমতা যাঁদের উপর থাকে দুর্নীতি মূলতঃ সেই ক্ষমতা তাপ ব্যবহার, যাঁরা করেন তাঁদের দ্বারা দেশের ক্ষতিটা বেশী হয়৷

অদ্যাবধি বড়ো বড়ো পদে বসেই অনেকে অনেক দুর্নীতি করছেন তাঁরা পার পেয়ে গেছেন৷ এই আইন দেশের কতটা সেবা দিতে পারবে সেটাই দেখার৷ ফলেন পরিচিয়তে৷ আইন আছে কিন্তু আইনের তো ফাঁক আছে সেই ফাঁকে কিন্তু দেখা যাবে সেই ফাঁক দিয়ে অপরাধী বেরিয়ে যাবে কিন্তু মাঝে গরীব দেশের যে ক্ষতি হবে তার আর কোন পূরণ হবে না৷

আজ যেটার সবচেয়ে দেশের অভাব সেটা হলো সৎনীতিবাদী আদর্শবান নাগরিকের৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন--- বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে দেশে তো ভুরি ভুরি আইন আছে সেই আইন মানছে কজন? আইনের ফাঁকেই গণতন্ত্রের নামে দেশকে ফোঁপরা করেই ছাড়ছে শাসকগণ! আজ প্রকৃত দেশের প্রকৃত দেশ সেবকদের অভাব ! নোংরা দলবাজিতেই দেশের সর্বনাশ হয়ে চলেছে৷

যারাই শাসনে আসেন তাঁদের বাসনা পূরণ করতেই দেশে বক্তব্যপূর্ণ হচ্ছে৷ আর যতো দুর্নীতির বাসার সৃষ্টি হচ্ছে হতভাগ্য দেশী তার বিচার! নীতিহীন রাজনীতি এতো পরিহাস!