ঝুমার কীর্তি

সংবাদদাতা
নিজস্ব প্রতিনিধি
সময়

নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে ঝুমা বাগদি৷ বীরভূম জেলার সিউড়ি ১ নং ব্লকে ভুরকুনা গ্রামে ঝুমার বাড়ি৷ সংসারের নানান প্রতিকূলতার মাঝেও ছোট্ট মেয়ে ঝুমা স্কুলে যেত৷ একদিন তার সামনে কয়েকটি ষণ্ডা মার্কা ছেলে অন্য একটি মেয়ের জামা ধরে টানতে থাকে৷ ছোট্ট ঝুমা দৌড়ে যায় মেয়েটিকে সাহায্য করতে৷ কিন্তু ষণ্ডা মার্কা মস্তানদের সঙ্গে ছোট্ট ঝুমা পারবে কেন? ষণ্ডাগুলো তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়৷ সেইদিন ঝুমা না পারলেও কিন্তু হার মানতে চায়নি৷ সে মনে মনে সংকল্প নেয় একদিন এই ষণ্ডাগুলোকে ঠাণ্ডা করবেই৷

গরীব ঘরের মেয়ে ঝুমা একটি বাড়ীতে পরিচারিকার কাজ করতে যেত৷ সেখানেই ঝুমার সঙ্গে পরিচয় হয় ক্যারাটে প্রশিক্ষক অলোক চাটুজ্জের সঙ্গে৷ বদলে গেল ঝুমার জীবন৷ সে এখন কিওকুশিন ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্টার৷ সেই সঙ্গে এখন পাড়ার মেয়েদেরও সে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করছে৷ ষণ্ডা মার্কাগুলো আজ সত্যি ঠাণ্ডা হয়ে গেছে৷ তাদের উপেক্ষা করেই মেয়েরা নির্ভয়ে গ্রাম থেকে  দূরে স্কুলে যাচ্ছে লেখাপড়া শিখতে, উচ্চশিক্ষা নিতে৷ ঝুমার প্রেরণায় সাধারণ ঘরের মেয়েরাও আজ  মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে৷