মাইকেল জর্র্ডন হওয়ার স্বপ্ণে মেতেছে এক বঙ্গ সন্তান

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

ছোটোবেলা থেকেই বাস্কেটবলের প্রতি কর্ণের অদম্য ইচ্ছা প্রকাশের ফলে আজ সে বিদেশে খেলতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে৷ বর্ধমানের একজন মোটর মেকানিকের সন্তান কর্ণ দারিদ্র্যতার সাথে সাথে মানসিক অদম্য ইচ্ছা প্রকাশের মাধ্যমে ও নিজের খেলার দক্ষতায় আজ এমন এক সুযোগের সম্মুখীন হতে পেরেছে৷  মাত্র চার বছর বয়সে নিজের দাদার বাস্কেটবল খেলা দেখে কর্ণের এই খেলার প্রতি একটা আগ্রহ জন্মায় ৷ এই আগ্রত কখন কর্ণের ধ্যান জ্ঞান হয়ে উঠেছিল সেটা সে নিজেও বুঝতে পারেনি৷  মাত্র এগারো বছর বয়সে তার বাস্কেট বল খেলার হাতে খড়ি হয় বাড়ির নিকটে অরবিন্দ ষ্টেডিয়ামে৷ এর মাস দুয়েক কলকাতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে এই সে ‘এনবিএ. গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ানশিপ’ খেলতে বিদেশে অর্থাৎ অরল্যাণ্ডোতে পাড়ি দিতে চলেছে৷  তার মনপ্রদ খেলোয়াড় হলে মাইকেল জর্র্ডন তার মতো নিজেকে কর্ণ গড়তে চায়৷ মার্কিন মুলুকে নিজেকে জর্ডানের মতো করে খেলতে উৎসাহীত করতে চেয়েছে কর্ণ৷  কর্ণের দাদা অর্থাৎ অমিত পাশিও একজন দক্ষ বাস্কেটবল খেলোয়াড়, তিনিও  জাতীয় প্রতিযোগিতায় খেলেছে৷

কর্ণের এইযাত্রা মোটেও সহজ ছিল না, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের পরে যখন তাকে কলকাতায় প্রশিক্ষণ নিতে আসতে হত তখন ওই চোদ্দ বছরের কিশোরের সঙ্গে তার বাবা-মা কেউই  তার সঙ্গে আসতে পারে নি সংসারের টানে৷ কর্ণকে একাই আসতে হয়েছে৷ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের আগে  পাঁচঘন্টা পথ যাতায়াত করত এরপর দুঘন্টা অনুশীলন করত, এগুলি ছিল তার প্রত্যহের রোজ নামচা? কি করে করত সে এতসব, জিজ্ঞেস করলে বলে--- ‘‘আমার কোন অসুবিধা হয়নি’’, বাস্কেটবলের জন্য আমি সব কিছু  করতে পারি৷