রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলে জাঁকজমক সহ বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৮ ই নবেম্বর জঙ্গল মহলে অবস্থিত রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য সুচিদানন্দ অবধূত৷ প্রধান ও বিশেষ অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন আচার্য চিতিবোধানন্দ অবধূত ও আচার্য বোধিসত্তানন্দ অবধূত৷

শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রাদের পরিবেশিত প্রভাত সঙ্গীত ‘তোমাকে ভালবাসি আমরা’ গেয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়৷ ধর্মগুরু তথা শিক্ষাগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও অতিথি বরণের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ এই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ইংরেজী, বাংলা ছড়া, সংস্কৃত স্তোত্র, আনন্দবাণী, প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করে৷ ছাত্র-ছাত্রাদের অভিনীত ‘ধর্মের জয়’ নাটিকা দর্শকদের বিশেষভাবে মুগ্দ করে৷ এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার প্রকৃত অর্থ হ’ল যা আমাদের মধ্যে চেতনা আনয়ন করে৷ শিক্ষার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী বলেছেন, শিক্ষা হ’ল ত্রিভৌমিক বিকাশ জাগতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ৷ এই আদর্শ শিক্ষা  সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেবার উদ্দেশ্যে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী স্থাপন করেছেন আনন্দমার্গ গুরুকুল৷ জঙ্গল মহলে আনন্দমার্গের উদ্যোগী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০টিরও অধিক বিদ্যালয়৷ মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষাপদ্ধতি , পাঠক্রম, শৃঙ্খলা, নীতিশিক্ষা, সর্র্বেপরি শিক্ষকদের ত্যাগ ও কর্মনিষ্ঠার ফলে আনন্দমার্গের স্কুলে সর্বত্র সমাদৃত৷ আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত বলেন, তিনি ১৯৭২ সাল থেকে রামচন্দ্রপুর আশ্রমের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও সেবাকর্মের সঙ্গে যুক্ত৷

রামচন্দ্রপুরে আনন্দমার্গের যে সমস্ত সেবাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে তার প্রকৃত উদ্দেশ্যেই হ’ল জনকল্যাণ , গ্রামবাসীদের সাহায্য ও সহযোগিতার ফলেই এই সমস্ত সেবা-প্রকল্পের প্রসার ও সমৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে৷ সভাপতির বক্তব্যে আচার্য সুচিদানন্দ অবধূত বলেন, আনন্দমার্গ সমস্ত বিশ্বে ধর্মপ্রচার সহ সেবা কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে৷ এই স্কুলটির মধ্যদিয়ে যেমন সুশিক্ষার প্রচার -প্রসার ঘটবে একই সঙ্গে একটি উন্নত সাংস্কৃতিক জীবনধারার প্রচলন ঘটবে৷ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী, আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত ও আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত-এর অত্যন্ত পরিশ্রমের ফলেই সমগ্র অনুষ্ঠানটি সাফল্যমন্ডিত হয়েছে৷ শ্রী অমিয় পাত্র দক্ষতার সঙ্গে সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন৷