March 2017

কৃশতা

কারণ ঃ শারীরিক কৃশতার কারণ নানাবিধ ঃ
১) দুর্বল বা অসুবস্থ পুং বা স্ত্রীবীজ থেকে যে সকল শিশুর দেহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা স্বভাবতই শক্তিহীন ও কৃশকায় হয়ে থাকে৷
২) শিশু যদি যথেষ্ট পরিমাণে মাতৃস্তন্য না পায় সেক্ষেত্রেও সে সাধারণতঃ কৃশকায় হয়ে থাকে৷
৩) দারিদ্র্য নিবন্ধন যে সকল পিতা–মাতা সন্তান–সন্ততিদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে দুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারেন না ও অল্প বয়স থেকে তদের জন্যে ভাত, ডাল বা সাবু–বার্লি দেওয়া হয়, তাদের যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা কৃশকায় হয়ে পড়ে৷

উচ্ছে

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস কন্ টা ঞ্চ উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকাঞ্ছউচ্ছিআঞ্ছউচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে ক্ষাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা আবা

সেবা, পরিষেবা ও ব্যবসা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

সেবা বলতে আমরা বুঝি যে কাজ নিঃস্বার্থে করা হয়, যে কাজের বিনিময়ে কোন কিছু প্রত্যাশা করা হয় না৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আর্তজনের সেবা, বিপদগ্রস্তকে সাহায্য, দরিদ্র নারায়ণের সহায়তা ইত্যাদি৷ সেবার মাধ্যমে অপর জনের অভাবকে শ্রম, অর্থ, বুদ্ধি তথা মানসিক ও মানবিক সহায়তা দিয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে পূরণ করে দেওয়ার প্রয়াসই প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচয়৷ যখন অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে অপরের জন্যে কাজ করা হয় তাকে বলে পরিষেবা৷ পুরসভা অর্থ বা করের বিনিময়ে নাগরিকদের যে কাজগুলো করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, পরিবহন, শিক্ষা, ব্যাঙ্ক, ডাক ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের কাজকর্ম ইত্যাদি হল পরিষেবা---এককথায় যেগুলোকে বলা হয় service secto

জড়বাদ ও অধ্যাত্মবাদ

বিশ্বক্ষ্রহ্মাণ্ডে মূলসত্তা একটিই, তা হচ্ছে চিতিশক্তি৷ এই চিতিশক্তি চৈতন্যসত্তা আবার শক্তিসত্তাও বটে– এইভাবে চিতিশক্তি দুইয়েরই কাজ করে৷ এইজন্যেই একে চিতিশক্তি বলা হয়৷ বস্তু নয় কিন্তু বস্তুকে যে রূপ প্রদান করে তাই শক্তি বা প্রকৃতি৷ এই প্রকৃতিই বস্তুতে রূপ প্রদান করে প্রকারভেদ সৃষ্টি করে৷

তরুণ সাংবাদিক মানস মল্লিকের জীবনাবসান

নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা ঃ গত ১লা মার্চ বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ নোতুন পৃথিবী পত্রিকার তরুণ নির্ভীক সাংবাদিক মানস মল্লিক মাত্র ৪২ বছর বয়সে প্রয়াত হন৷
অর্থনীতি, রাজনীতি, শিল্প, বিশেষতঃ গ্রামীণ শিল্পের ওপর তাঁর বিশ্লেষণাত্মক রচনা বহু প্রশংসিত তথ্য সমৃদ্ধ ও যুক্তিপূর্ণ প্রবন্ধ রচনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত৷ নোতুন পৃথিবী ছাড়াও তিনি বর্তমান, সকালের বার্তা, খবরে কাগজ দৈনিক, যুগশঙ্খ, দৈনিক সংবাদ, বাঙলা বাঙালীৌ সংবাদ প্রতিদিন, রাজপথ, কালান্তর সহ পূর্ব ভারতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা তার লেখা দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছে৷

আনন্দমার্গ মহিলা কল্যাণ বিভাগ ও গার্লস্ প্রাউটিষ্টের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা ঃ ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আনন্দমার্গ মহিলা কল্যাণ বিভাগ ও গার্লস্ প্রাউটিষ্টের যৌথ উদ্যোগে কলেজ স্কোয়ার থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়৷ প্রতিকূল আবহাওয়া ও অবিরাম বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়েই এই মিছিল ধর্মতলায় রাণী রাসমণি এভিনিউয়ে এসে পৌছয়৷ এখানে এক জনসভার আয়োজন করা হয়৷ এই জনসভায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারী নির্যাতন ও নারীর ওপর অবদমনের প্রতিবাদে বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য রাখেন৷ বক্তাদের মধ্যে ছিলেন শ্রীমতী অপর্ণা দত্ত, শ্রীমতী দীপিকা নাগ, সাগরিকা পাল, অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ গীতিশুদ্ধা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ প্রজ্ঞা আচা

বসন্তোৎসব

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড়, ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

চলিতেছে সার্কাস

সুকুমার সরকার

জীবজন্তু নিয়ে সার্কাস দেখানো এখন প্রায় নিষিদ্ধ৷ তাই বিভিন্ন মেলায় মানুষ এখন খুব একটা সার্কাস দেখতে যায় না৷ কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে সার্কাস দেখার একটা প্রবণতা রয়ে গেছে৷ বর্তমান ভারতবর্ষের মানুষের এই প্রবৃত্তির নিবৃত্তি ঘটছে৷ সংসদদের প্রেক্ষাগৃহে সাংসদদের দেখে যেন আজব এক চিড়িয়াখানা! দর্শক আমরা সাধারণ মানুষেরা আর বিচিত্র এই সার্কাসের রিং মাষ্টাররা হচ্ছেন কর্পোরেট পুঁজিপতিরা৷ তাদের এই অঙ্গুলীহেলনে নাচছি সবাই কি দর্শক, কি দর্শনীয় সকলেই!

বিশ্বলিপি

বিশ্ব-জনের সাধারণ সুবিধার জন্যে একটি বিশ্ব-ভাষার প্রয়োজন যতখানি, একটি সাধারণ বিশ্ব-লিপির প্রয়োজন সে তুলনায় কিছুই নয়৷ তবে হ্যাঁ, পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষা একই লিপিতে লিখিত হলে ভাষা শিক্ষায় যে কিছুটা সুবিধা হবে একথা অনস্বীকার্য৷ বিশ্বের প্রচলিত লিপিগুলির মধ্যে রোমান লিপিই সব চেয়ে বেশী বিজ্ঞানসম্মত৷ তবে প্রচলিত সমস্ত ভাষাতে এই লিপির ব্যবহার করতে কতকগুলি বাস্তব অসুবিধা দেখা দেবে৷ তাছাড়া স্থানীয় লিপিগুলির প্রতি মানুষের একটা দুলতাও আছে৷ আমার মনে হয় বিভিন্ন ভাষায় রোমান লিপি গ্রহণ করা বা না-করাটা সেই ভাষা-ভাষা জন-গোষ্ঠীর ওপরে ছেড়ে দেওয়াই ভাল৷ তবে বিশ্ব-লিপি হিসেবে রোমান লিপিটি যত শীতে সংখ্যক