March 2017

পোষাক

বিশ্ব-ভাষার তুলনায় বিশ্ব-লিপির প্রয়োজন অনেক কম, আর বিশ্ব-পোশাকের কোনো প্রয়োজনই নেই৷ শুধু বিশ্ব-পোশাক কেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের জাতীয় পোশাক থাকলেও কোন কিছু থাকা আমার মতে অবাঞ্ছনীয়৷

সংস্কৃতি

মানুষ জাতের সংস্কৃতি একটাই৷ অনেক কালচারের কথা আমি মানতেই রাজী নই৷ হ্যাঁ, তবে এই মাত্র বলা যেতে পারে যে মানুষ জাতের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে নাচে-গানে উচ্চারণে তথা উৎসবাদি অনুষ্ঠানে স্থানীয় বৈচিত্র্য আছে, এই স্থানীয় বৈচিত্র্য বা আচার ব্যবহারের তারতম্যকে সংস্কৃতি গত ভেদ বলে মেনে নেওয়া চলে না ৷

নারীর প্রতি সামাজিক অবিচার

সমাজে বিভিন্ন ধরণের পাপাচারকে দেখে যারা শিউরে ওঠেন আর বলেন, ---গেল সব গেল৷ ধর্ম গেল, নীতি গেল, তাঁদের বোঝা উচিত এই তথাকথিত সবগেল কথাটার পেছনে যে কারণগুলো রয়েছে তার অন্যতম কারণ হচ্ছে সামাজিক অবিচার৷

ট্রেড ইউনিয়ন

শ্রমজীবীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যে ট্রেড-ইউনিয়ন আন্দোলনের প্রয়োজন অনস্বীকার্য৷ তবে এই আন্দোলন যাতে ঠিক খাতে বইতে পারে তার জন্যে উপর্যুক্ত ব্যবস্থার দরকার৷ সাধারণতঃ দেখা যায় এই আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণকারীরা শ্রমজীবীদের তাদের দাবী-দাওয়া তথা অধিকার সম্বন্ধে যতটা সচেতন করে দিতে চান সেই তুলনায় তাঁরা তাদের দায়িত্ব সম্বন্ধে সচেতন করবার কাজে কিছুই করেন না৷ এ অবস্থা দূর করবার প্রকৃষ্ট পন্থাই হচ্ছে যে শিল্প বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কর্মীদের অধিকার স্পষ্টভাবে স্বীকার করে নেওয়া৷ এ ব্যাপারে কেবল আদর্শবাদ প্রচার করে গেলে বা অধিক নীতিকথা শোণাতে থাকলে বিশেষ কিছু ফল হবে না৷ ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন সমূহের

সমবায়

শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য সব কিছুই যতদূর সম্ভব সমবায় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই পরিচালিত হওয়া দরকার৷ এজন্যে প্রয়োজন বোধে সমবায় সংস্থাগুলিকে বিশেষ বিশেষ ধরণের সুবিধা দিতে হবে---রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করতে হবে ও ধীরে ধীরে বিশেষ বিশেষ ধরণের কৃষি, শিল্প বা বাণিজ্য ক্ষেত্র থেকে ব্যষ্টিগত মালিকানা বা ব্যষ্টিগত পরিচালনা-ব্যবস্থা রহিত করতে হবে৷

মালিকানা

মানুষের সকল কর্মেই মানবতার স্পর্শ থাকা উচিত৷ কাউকে বঞ্চিত না করার মনোভাব যার আছে সে তাই ন্যায়তঃ ধর্মতঃ সম্পত্তির ব্যষ্টিগত মালিকানা মেনে নিতে পারে না৷ বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক কাঠামোটা কিন্তু মানবিক অধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয়৷ মানবিক অধিকারকে স্বীকার করতে হলে তাই বিপ্লবাত্মক পরিবর্তনের জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে, ও এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে হবে ভূসম্পত্তি, শিল্প, বাণিজ্য সব কিছুর সাধারণীকরণ এই বিপ্লবের একটি অতিবৃহৎ অঙ্গ৷ এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীকরণ শব্দটি আমি ইচ্ছা করেই বললুম না জমির মালিক জমিদার নয়, কারখানার মালিক তথাকথিত শিল্পপতিও নয়---একথাগুলো যতখানি সত্য, লাঙ্গল যার জমি তার, হাতুড়ী যার

গত ২০ বছরে ২০ হাজারের বেশী চাষীর আত্মহত্যা

আবার আলু চাষীর আত্মহত্যা গত ফেব্রুয়ারীতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার অন্তর্গত গোপালশাল গ্রামে গোপাল নন্দী নামে এক আলুচাষী আত্মহত্যা করেছিল৷ মহাজনের কাছে সার ও আলুবীজ কেনার জন্যে টাকা ধার নিয়ে দেড় বিঘে জমিতে আলু চাষ করেছিল৷ কিন্তু আলুর ঠিক দাম না পাওয়ায়, কীভাবে সে ঋণের টাকা শোধ করবে--- এই চিন্তাতেই শেষ পর্যন্ত গলায় দড়ি দিয়েছিল৷ এবারও সেই হুবহু একই চিত্র৷ এবারও সেই পশ্চিমমেদিনীপুর জেলার আনন্দপুর থানার বেউচাবাঁধি গ্রামের স্বপন হাজরা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করল৷ এবারও স্বপন হাজরা মহাজনের কাছে টাকা ধার করে তার দশ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিল৷ কিন্তু আলুর ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে সে অবশেষে

অসম ভবনে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

গত ১৫ই মার্চ কলকাতার আমরা বাঙালী-র কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ এক বিক্ষোভ মিছিল সহযোগে অসম ভবনের আধিকারিকের কাছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এক স্মারকলিপি পেশ করেন৷ ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, অসম প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে গত ৬ই মার্চ অসমের ধেমাজি জেলার শিলাপথরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত বাঙালী উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর অসমের বাঙালী বিদ্বেষী ছাত্র সংঘটন আসুর কর্মীরা হামলা চালায়, বাঙালীদের ঘরবাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও বাঙালী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে লুটপাট চালায়৷ এর বিরুদ্ধে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দ

মণিপুরে বাঙালী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

মণিপুরের বাঙালী অধূ্যষিত জিরিবাম জেলা থেকে এবার বিধানসভা আসনে আমরা বাঙালী সমর্থিত নির্দল সদস্য আশাবুদ্দিন বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন৷ তাঁকে নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করার পরেই মণিপুরের উগ্র জাতীয়তাবাদী দল ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেণ্টস্ অফ মণিপুর ফতোয়া জারী করেছে৷ বিজেপি বা কংগ্রেস যে কেউ সরকার গঠন করুক৷ জিরিবামের আমরা বাঙালী সমর্থিত বাঙালী প্রতিনিধি আশাবুদ্দিনকে যেন কোন পক্ষই মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত না করে৷ উক্ত বাঙালী প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেণ্টস্ অফ মণিপুর সহ কয়েকটি উগ্র মণিপুরী সংঘটন ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে সদ্য৷ গঠিত বিজেপি মন্ত্রিসভায় তাঁকে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের বিরুদ

আলু চাষীদের সমস্যা সমাধান কোন্ পথে

আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত

এ বছর আলুর ফলন ভালই হয়েছিল৷ আলুর ফলন দেখে আলু চাষীরা প্রথমে উৎসাহিত হয়েছিলেন কিন্তু আলুর ঠিকমত দাম না পাওয়ায় আলু চাষীদের মনে হতাশা দেখা দেয়৷ কারণ আড়াই টাকা তিন টাকা কিলো দরে আলু বেচে আলুর উৎপাদন খরচই উঠবে না৷ তাই অনেকে মাঠ থেকে আলু তোলেন নি অনেকে মাঠে আলু তুলে মাঠেই ডাঁই করে ফেলে রেখেছেন৷ এমন অবস্থায় অকাল বর্ষণের ফলে, আলু পচতে শুরু করেছে মাটি যত শুকোবে পচন ততই বাড়বে৷ এ অবস্থায় আলু চাষীদের মাথায় হাত কী করে মহাজনের কাছ থেকে বা ব্যাঙ্ক থেকে ধার করা টাকা শোধ করবেন---তা নিয়ে দারুণ দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে৷ অনেকে হতাশায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন, কেউ কেউ এর মধ্যে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন৷