January 2023

ভেড়ার পালের গড্ডালিকা প্রবাহ

আক্ষরিক অর্থে গড্ডালিকা প্রবাহ বলতে বোধহয় এমনটাই বোঝায়৷ সচরাচর দেখা যায়, ভেড়ার পালে সামনের ভেড়াগুলি যে দিকে যায়, পিছনের ভেড়াগুলিও সে দিকেই যায়৷ সামনের ভেড়াটিকে অনুসরণ করে বাকিদের চলার এই প্রবণতা দেখেই গড্ডালিকা প্রবাহ বাগ্‌ধারাটির উৎপত্তি৷ কিন্তু ১২দিন ধরে বৃত্তাকার পথে ভেড়ার পালকে ঘুরে যেতে দেখেছে কেউ? মনে হয় না৷ উত্তর চিনের মঙ্গোলিয়া প্রদেশে ৪ঠা নভেম্বর থেকে টানায় ধরে চক্রাকারে ঘুরে চলেছে ভেড়ার দল৷ প্রথমে আমেরিকার দৈনিক ‘নিউইয়র্ক টাইমস্‌’ এই খবরটি প্রকাশ করে৷

২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে বসবাস করতে পারবে মানুষ!

চাঁদে ঘরবাড়ি বানিয়ে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকার গবেষণা কেন্দ্র নাসা৷ সম্প্রতি চাঁদে সফল ভাবে আর্টেমিস-১ মহাকাশ যান নামিয়েছে নাসা৷ সেই ওরিয়ন চন্দ্রযান অভিযানের অন্যতম কারিগর হোয়ার্ড হু এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে বসবাস শুরু করতে পারবে মানুষ৷ আমরা চন্দ্রপৃষ্ঠে লোক পাঠাবো৷ তাঁরা ওখানে থাকবেন৷ ওখানে থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করবেন৷’’

পৃথিবীর ওজন জানার প্রক্রিয়া

প্রায় তিন দশক বাদে বিশ্বের একক ব্যবস্থা (ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেম অব ইউনিটস বা এসআই)-য় নতুন সদস্যের নাম যোগ হল ---‘রোনাগ্রাম’, ‘কোয়েটামিটার’৷

তথ্যের ভাণ্ডার বাড়ছে৷ তার জন্যই নতুন ও আরও বড় এককের চাহিদা দেখা দিয়েছে৷ গত শুক্রবার এ নিয়ে ভোটাভুটি হয় ফ্রান্সে৷ নতুন এককের প্রয়োজনের সমর্থনেই ভোট পড়ে বেশি৷ এতদিন সর্বোচ্চ পরিমাণ বোঝাতে অন্যতম পরিচিত উপসর্গ বা প্রিফিক্স ছিল কিলো (যেমন, কিলোগ্রাম, কিলোমিটার, ইত্যাদি)৷ এখন কিলোর জায়গায়  সর্র্বেচ্চ উপসর্গ হল রোনা, কোয়েটা৷ সর্র্বেনিম্ন উপসর্গ রন্টো ও কোয়েকটো৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

দক্ষিণ কলিকাতা এলগিন রোড নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতা সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১২ই নভেম্বর পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর৷

গত ২০শে নভেম্বর আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি মতে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন শ্রী শঙ্কর সরকার, শ্রী পিযুশ মাঝি, সুনীল চক্রবর্তী৷ মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানের শেষে পিতার স্মৃতিচারণ করেন সুবীর  বন্দ্যোপাধ্যায়৷

কলকাতার কাহিনী

পিরালী ছাড়া অন্য যে সব ব্রাহ্মণ গোড়ার দিককার কলকাতায় এসেছিলেন তাঁদের অনেকেই মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসির পর কলকাতা ছেড়ে হাওড়া জেলার ব্রাহ্মণ–প্রধান বৃহৎ গ্রাম বালীতে চলে যায়৷ (ইংরেজরা নৌ–চলাচলের সুবিধার জন্যে বালী গ্রামেই ভাগীরথী থেকে সরস্বতী নদী পর্যন্ত একটি সংযোজক খাল কাটান৷ এই খাল কাটার ফলে বালী গ্রামের উত্তরাংশ অবশিষ্ট গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ পরে হুগলী জেলা থেকে কেটে যখন নতুন হাওড়া জেলা তৈরী হয় তখন মূল বালী গ্রামটি নবগঠিত হাওড়া জেলার অন্তর্গত হয়, আর বিচ্ছিন্ন ওতোরপাড়া গ্রামটি হুগলী জেলাতেই থেকে যায়)৷ কলকাতায় ব্রহ্মহত্যা হয়েছিল বলে তাঁরা এই স্থান ত্যাগ করে গঙ্গার পশ্চিমকূলে (‘গঙ্গার প

বেগুন পোড়া

কোন বস্তু অগ্ণির সংস্পর্শ এলে তাতে তিন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়৷ তার দ্বারা বস্তুকে পোড়ানো যায়, জ্বালানো যায় ও ঝলসানো যায়৷ এ ছাড়া স্যাঁকাও যায়৷

হিংসার পরিণাম

পত্রিকা প্রতিনিধি

ছোট ভাইবোনেরা, অপরের ক্ষতি করার ইচ্ছাকে বলে হিংসা৷ কথা ও কাজের দ্বারা কাউকে কষ্ট দিলে বা কষ্ট দেবার কথা ভাবলে তাকে হিংসা বলে৷ আর কথা ও কাজের দ্বারা কাউকে কষ্ট না দিলে বা কষ্ট দেবার কথা না ভাবলে তাকে বলে অহিংসা৷ শাস্ত্রে বলে অহিংসা পরমধর্ম ও হিংসা  মহাপাপ৷ কেননা হিংসার পরিণাম খুবই খারাপ৷ এজন্যেই হিংসা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে৷ তোমরা কাউকে হিংসা করবে না৷ হিংসার পরিণাম নিয়ে একটা গল্প শোন৷ 

উদ্বাস্তু

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

তোমরা হলে মন্ত্রী নেতা

আমরা যাযাবর

মোদের ভিটে মাটি বেচে

আনিলে স্বাধীনতা৷

তোমরা হলে স্বাধীন সুখী

ভাঙলে মোদের ঘর ঃ

মোদের দেশের মানচিত্র

হারিয়ে গেল কোথা?

মহাজনের গদীর খেলায়

আমরা জুয়ার তাস,

তোমরা পেলে ভায়ের মায়ের

শান্তি স্নেহ সুখ,

আমরা পায়ে পাই না মাটি

চারিদিকে সন্ত্রাস---

পা বাড়ালেই গর্জে ওঠে

উদ্যত বন্দুক৷

ভোটরঙ্গ

সাক্ষীগোপাল দেব

ভোট আসে ভোট যায়

তোমার আমার কি,

বছর পাঁচেক পরে পরে

পান্তা ভাতে ঘি৷

ভোট আসে ভোট যায়

শুধু টাকার শ্রাদ্ধ,

আকাশ বাতাস ফাটিয়ে বাজে

গণতন্ত্রের বাদ্য৷

যে ছিল কাল অমুক দলের

অন্য দলের আজ,

জিতিয়েছিল যারা তাকে

ফেল করে আন্দাজ৷

কার মনেতে কি যে আছে

বোঝা বড় শক্ত,

নেতারা সব ঘোড়েল জিনিস

স্বার্থে সদাই পোক্ত৷

ভাল মানুষ কুঁকড়ে ভয়ে

জ্যান্তে ভয়ে মরা,

দিন এসেছে অভয়মন্ত্রে

জাগাও তাদের ত্বরা৷