May 2023

আকাঙ্খা

দেবলীনা নাথ (অষ্টম শ্রেণী) (ত্রিপুরা)

একটি ছোট্ট ছেলে সৈকত৷ সে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র৷ সে সরকারী চাকুরে বাবা মার একমাত্র সন্তান৷ তা সত্ত্বেও তার মা-বাবার তার দিকে নজর দেওয়া সম্ভব হত না৷ তারা যার যার কাজে ব্যস্ত সে সবসময় নিজের ঘরে বন্ধ থেকে সারা দিন কাঁদত, কখনোও বাইরে যেত না৷ একবার গিয়ে আসা যাক কিন্তু স্কুলের রাস্তা ছাড়া আর কোন রাস্তাই সে চিনত না৷ তবু ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা হাঁটতে থাকে ও অজানা পথে হারিয়ে যায়৷ যখন  রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না৷ তখন এক গাছের নিচে বসে কাঁদতে থাকে৷ দেখতে দেখতে রাত ঘনিয়ে আসে৷

টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ানশিপের্ আগে ধাক্কা ভারতের

চোটের জন্য যশপ্রীত বুমরা খেলতে পারবে না বিশ্বচ্যাম্পিয়ানসিপ টেস্ট৷ এই কারণে টেস্টের আগেই বড় ধাক্কা খেল ভারত৷ আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজির অনুশীলনে চোট পেয়ে রোহিত শর্মাদের উদ্বেগ বাড়ালেন দলে থাকা আরও এক জোরে বোলার৷ রয়্যালচ্যালের্র্ঞ্জস ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচের আগে অনুশীলনে চোট পেয়েছেন জয়দেব উনাদকাট৷ বাঁহাতি জোরে খেলতে পারেননি৷ নেটের দড়িতে তাঁর পা আটকে পড়ে তিনি মাটিতে আছড়ে পড়ে যান,সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাঁধে বরফ দেওয়া হয় যন্ত্রণার ছাপ তাঁর মুখে যথেষ্টভাবে বোঝা গেছে৷ গত রবিবার বিকেলের অনুশীলনে বাঁহাতি জোরে বোলার চোট পান৷ রাহুল দ্রাবিড়দের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে লোকেশ রাহুলের চোট৷ গত সোমবারের ম্যাচে ফিল্ডিং করার সম

আনন্দনগরে ফুটবল প্রতিযোগিতা

গত আই.এফ.এ আন্তঃজেলা অনূধর্ব ১৭ ফুটবল লীগ প্রতিযোগিতায় মানভূম (পুরুলিয়া) ডিষ্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশন, বাঁকুড়া ডিষ্ট্রিক্ট স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশনকে ২-০ গোলে পরাজিত করে৷ স্পিরিচ্যুয়াল স্পোর্টস এণ্ড এডভেঞ্চারস ক্লাব আনন্দনগর থেকে পুরুলিয়া জেলা লীগ দলে আটজন খেলোয়াড়কে নির্বাচিত করা হয়৷ আটজন নির্বাচিত দলে রয়েছে যথাক্রমে নীলকমল কিস্কু, কৃষ্ণা বেসরা, সাগেন মূর্মু, সুরজিৎ হেমব্রম, মধু কিস্কু, সুভাষ সরেন, বিন্দেশ্বর সরেন, সঞ্জয় মুর্মু জেলা দলে আছে৷

আপ্তবাক্য

‘‘...ব্যষ্টিগত বা সমষ্টিগত ক্লেশের যেটা বস্তুতান্ত্রিক অংশ সেটা সামাজিক সুবিচার বা সমতার দ্বারা অনায়াসেই সমাধান করা যেতে পারে৷ এজন্যে অন্যের কৃতকর্মকে বা অন্যের দৈবকে ধিক্কার দেওয়া বৃথা৷  বস্তুত অন্যের ক্লেশ দেখে তার পূর্বকৃত কর্মের দোহাই-পাড়া কায়েমী স্বার্থের মনোভাব ছাড়া আর কিছুই নয়...৷’’

                                                  (কঃ প্রাঃ প্রথম খণ্ড)

                                                ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

“তুমি যখন এসেছিলে তখন পূর্ণিমা ছিল”  - সারা বিশ্বজুড়ে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী - ১০২তম জন্মতিথি উৎসব পালন

গত ৫ইমে শুক্রবার বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রবর্ত্তক জগদগুরু  শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ১০২তম শুভ আবির্ভাব দিবস মহাসমারোহে ও সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হল৷ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ তাদের প্রাণের পরমপ্রিয় ‘ৰাৰা’র শুভ জন্মমুহুর্ত্তটিকে বরণ করে নিলেন ধূপ,দীপ, পুষ্প, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে৷ তাই এই বৈশাখী পূর্ণিমা সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে তথা অধ্যাত্মপিপাসু মানুষদের কাছে ‘আনন্দপূর্ণিমা’ রূপে পরিচিত৷ ১৯২১ সালে এই বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতেই সকাল ৬–০৭ মিনিটে বিহারের জামালপুর শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ তাঁর পিতার নাম শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতার নাম শ্রীমতী আভারাণী সরকার৷ তাঁদ

আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন

গত ৭ই মে, নিউব্যারাকপুরের রামকৃষ্ণ পাঠাগারে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের উত্তর ২৪পরগণা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল৷ উক্ত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাউট ভুক্তিপ্রধান শ্রীমিন্টু বিশ্বাস৷ এছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ বিশ্বাস, জয়ন্ত দাশ, তপোময় বিশ্বাস, মোহন অধিকারী, সতী সর্দার,  সাগরিকা পাল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ উক্ত সম্মেলনে ১৯জন  সদস্যকে নিয়ে জেলা কমিটি গঠিত হয়৷ সকলের সমর্থনে শ্রীশুভজিৎ পাল (বাপি দা) কে জেলা সচিব মনোনীত করা হয়৷ শেষে বিকেলবেলায় নিউব্যারাকপুর স্টেশনের সামনে সংঘটনের পক্ষ থেকে এক পথসভার আয়োজন করা হয়৷

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

সুকুমার সরকার

বঙ্গভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছিল৷ তাই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সকল বাঙালীকে একত্রিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলন করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’ উৎসবের৷ যা আজও পালিত হয়ে থাকে৷ তবে কালক্রমে বঙ্গভঙ্গ কিন্তু হয়েই গেছে৷ সেই ভাঙ্গা বাংলার গানও লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

                ‘‘মমতাবিহীন কালস্রোতে

                বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে

                নির্বাসিতা তুমি

                সুন্দরী শ্রীভূমি–’’

যম–নিয়ম সাধনা তথা বৈবহারিক নীতিশিক্ষার গুরুত্ব

সাধনার ভিত্তিভূমি নৈতিকতা৷ প্রথমেই মনে রাখা দরকার যে এই নৈতিকতা (morality) সাধকের চরম লক্ষ্য (ultimate goal) নয়, আর এই নৈতিকতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া বা moralist হওয়া সাধকের জীবনে এমন কোনো একটা অবস্থা নয় যা অন্য কারুর চরম আদর্শ হতে পারে৷ সাধনামার্গে যাত্রা শুরু করবার ঠিক প্রথম ক্ষণটিতেই সাধকের যে মানসিক সামঞ্জস্যের প্রয়োজন সেটারই নাম নৈতিকতা বা morality৷...

সামাজিক–অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ

সভ্যতার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে জেগেছিল শিল্প সৃষ্টির এষণা ও প্রেষণা৷ এষণাই প্রেষণাকে ডেকে আনে৷ সভ্যতার প্রথম ধাপে শিল্পমাত্রই ছিল কুটির শিল্প৷ নারী–পুরুষ–বালক–ব্ নির্বিশেষে সবাই শিল্প রচনায় হাত লাগাত৷ পরে দেখা গেল কিছু  শিল্প গ্রামে গ্রামে করা যায় না.....করতে হয় কিছু সংখ্যক গ্রাম নিয়ে৷ তা না হলে তাদের একদিকে যেমন বাজারের ঘাটতি পড়ে, অন্যদিকে তেমনি শিল্পীর সংখ্যাতেও অভাব দেখা দেয়৷ তখন মানুষ প্রথম শিল্পায়োগ বা কারখানায়* যেতে শুরু করল৷ এখানে প্রসঙ্গতঃ একটা কথা বলে’ রাখি৷ শিল্প যত বেশী কুটীর–শিল্প হয়, শিল্প যত বিকেন্দ্রীকৃত হয় মানুষের সুবিধা তত বেশী৷ এতে যে শুধু আর্থিক সামর্থ্যকে চারিদ

আত্মোন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজকে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল নৈতিকতার সমস্যা৷ সৎ, নীতিবাদী, কর্তব্য সচেতনতার অভাব৷ আজকের মানব সমাজের আর যত সমস্যা তার মূল কিন্তু এইটাই৷

এই সমস্যার কথা দেশের প্রায় সমস্ত বুদ্ধিজীবীরাই বলছেন৷ সমাজের সমস্ত নেতৃস্থানীয় ব্যষ্টিও এটা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছেন৷ এই সমস্যা সমাধানের যথার্থ পথ সবাই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন৷