গত ৫ইমে শুক্রবার বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রবর্ত্তক জগদগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ১০২তম শুভ আবির্ভাব দিবস মহাসমারোহে ও সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হল৷ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ তাদের প্রাণের পরমপ্রিয় ‘ৰাৰা’র শুভ জন্মমুহুর্ত্তটিকে বরণ করে নিলেন ধূপ,দীপ, পুষ্প, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে৷ তাই এই বৈশাখী পূর্ণিমা সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে তথা অধ্যাত্মপিপাসু মানুষদের কাছে ‘আনন্দপূর্ণিমা’ রূপে পরিচিত৷ ১৯২১ সালে এই বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতেই সকাল ৬–০৭ মিনিটে বিহারের জামালপুর শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ তাঁর পিতার নাম শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতার নাম শ্রীমতী আভারাণী সরকার৷ তাঁদের পৈত্রিক বাসভূমি বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রাম৷ বর্ধমান শহর থেকে মাইল সাতেক দক্ষিণপূর্বে ও বর্ধমান, হাওড়া রেলপথের শক্তিগড় রেলষ্টেশন থেকে মাইল তিনেক পশ্চিমে এই বামুনপাড়া গ্রাম৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের পিতৃদেব শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ সরকার জামালপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে এ্যাকাউণ্ট্যাণ্ট হিসেবে চাকুরী করতেন৷ সেই সূত্রেই সরকার পরিবারের জামালপুরে অবস্থান৷ শিশুকাল থেকে শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের মধ্যে অলৌকিক আধ্যাত্মিক শক্তির প্রকাশ দেখা দিয়েছিল৷ ১৯৫৫ সালে তিনি জামালপুরে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠা করেন৷ তাঁর দর্শন ও সাধনমার্গের নাম আনন্দমার্গ৷ তাঁর অনুগামীদের বলা হয় আনন্দমার্গী৷ উপনিষদে বলা হয়েছে ‘আনন্দম্ ব্রহ্ম’–ব্রহ্ম আনন্দস্বরূপ৷ শুভ আনন্দপূর্ণিমা দিনটি প্রভাত সঙ্গীত অখণ্ড কীর্ত্তন, জন্ম মুহুর্ত্ত ও উদযাপন, মিলিত সাধনা, আনন্দবাণী পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জলসত্র বস্ত্র বিতরণ, সহ অন্যান্য সেবামূলক কার্যের বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আনন্দমার্গের ইয়ূনিটগুলিতে পালিত হয়৷ কলিকাতা তিলজলা আনন্দমার্গের প্রধান কার্যালয়ে ১২ ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন, ১০২তম জন্মদিন স্মরণে ততসংখ্যক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, মিলিত সাধনার পর বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় আনন্দবাণী পাঠ করা হয়৷ এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জলসত্র, বস্ত্র বিতরণ ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়