প্রবন্ধ

হাওড়া জেলার কিছু সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মুসাফির

হাওড়া জেলা বর্দ্ধমান বিভাগের অন্তর্গত ছিল৷ হাওড়া জেলা পূর্বে হুগলী ভুক্তির অন্তর্গত ছিল৷ ১৯৩৭ সালে হাওড়া স্বতন্ত্র জেলা হয়৷ ১৮৪৩ সালের আগে পর্যন্ত জেলাটি হুগলী জেলার সঙ্গে ছিল৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৬৩ সালে বর্দ্ধমান বিভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে হাওড়াকে প্রেসিডেন্সী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ যেহেতু হাওড়া ইংরেজ আমলে একেবারে কলকাতার পশ্চিম দিকে গঙ্গার (ভাগীরথীর) পশ্চিম পাড়ে লাগোয়া অবস্থিত, তাই রাজ্যবাসীর সঙ্গেই নানাভাবে যুক্ত হয়৷ শিল্প গড়ে ওঠে ও সারা ভারতের রাজধানী ছিল একসময়ে কলকাতা তাই গুরুত্ব সব দিক থেকে বেড়ে যায় হাওড়া অঞ্চলের৷ ফলে বিভাগও পরিবর্ত্তন হয়৷ প্রেসিডেন্সী বিভাগে চলে যায় হাওড়া৷ জেল

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও সমাজ

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

বিশ্ববিধাতার মানস কল্পনা সঞ্জাত এই বিশ্ব সৃষ্টির সংরচনায় সৃষ্টিচক্রের ঘূর্ণনকে সচল ও সুসমঞ্জস রাখার জন্যে সৃষ্টি হয়েছে নারী ও পুরুষ৷ আর পরমপিতার সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মানুষের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি৷ নারী ও পুরুষ যেন একটি কাগজের এপিঠ-ওপিঠ৷ দুইয়ের মধ্যে একচ্ছেদ্য সম্পর্ক বর্তমান৷ একপক্ষকে বাদ দিলে অপরপক্ষের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেয়৷ মানুষ্য সৃষ্টির প্রথম ভাগে মানুষ যখন অরণ্যচারী ও পর্বত গুহাবাসীর জীবন যাপন করত, সে সময় মানুষের সমাজে কোনও বন্ধন ছিল না--- তাদের জীবনযাত্রা ছিল অনেকটাই বন্য প্রাণী সুলভ, ছন্নছাড়া৷ পরবর্তীকালে যখন মানুষ একটু সঙ্ঘবদ্ধ হতে শিখল ও এক-একটা পাহাড় বা গোত্রকে কেন্দ্

আমার আচার্যদেব

সুভাষপ্রকাশ পাল

কাকুর সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার পর একবৎসর অতিক্রান্ত হয়েছে৷ একদিন হঠাৎ মীরবাজার কলেজ মেশে একটি কমবয়সী ছেলে এসে খবর দিল--- আমার যে কাকা সন্ন্যাসী হয়েছেন তিনি বিশেষ কাজে জগন্নাথ মন্দিরচকে অবস্থিত মেদিনীপুর আনন্দমার্গ স্কুলে এসেছেন৷ আমার সঙ্গে দেখা করতে চান, আমি সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে আনন্দমার্গ স্কুলে রবানা হলাম৷ ইতিমধ্যে নানা প্রয়োজন আমি বেশ কয়েকবার ঐ স্কুল তথা আশ্রমে গিয়েছি ও ওখানকার আশ্রমের অধ্যক্ষ আচার্য বিজয়ানন্দ অবধূতের সঙ্গে পরিচয় পূর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ হয়েছে৷ আশ্রমে পৌঁছেই দেখি গেরুয়া বসন পরিহিত গোঁফ-দাড়ি, জটাজুট সমন্বিত এক নবীন সন্ন্যাসী হাসিমুখে গেটের সামনে যেন আমারই আগমনের প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে আ

আমার বাঙলা

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর, খনিজ সম্পদ---প্রাকৃতিক সম্পদের একটা বড় ক্ষেত্র হচ্ছে খনিজ সম্পদ৷ খনিজ সম্পদে বৃহৎবঙ্গ বাঙালীস্তান বিপুলা, ঐশ্বর্যশালিনী---লোহা তামা, ম্যাঙ্গানিজ, জিপসাম,সীসা, ক্রোমাইট, ডলোমাইট, বক্সাইট, সোনা, রূপা, কয়লা, গ্রাফাইট, পেট্রোলিয়ম, গ্ল্যাস-স্যাণ্ড, লবণ , পটাসিয়ম , জিঙ্ক, ম্যাগ্ণেসাইট, জিরকণ, সিলিমাইট, ইউরেনিয়ম, থোরিয়ম, কায়োনাইট, চীনামাটি, এ্যাস্বেটস, ব্যারাইটা মাইকা, উলফ্রাম, কোয়ার্টজ , সোপষ্টোন , ফায়ার ক্লে, চুনাপাথর, কেওলিন সবই রয়েছে বৃহৎ বঙ্গে৷ বলাবাহুল্য, বঙ্গ-মহাভূমির মত একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে এতো খনিজের বিপুল ভাণ্ডার ভারতের অন্যান্য রাজ্য কেন, সারা বিশ্বেই কমই আছে৷

কলকাতার কাহিনী

ইণ্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ইংরেজরা যখন এই দেশ দখল করেন তখন কলকাতা ছিল সুন্দরবনের উত্তর প্রত্যন্ত অংশ৷ মারাঠা আক্রমণের হাত থেকে কলকাতাকে বাঁচানোর জন্যে ইংরেজরা কলকাতার উত্তর–পূর্ব দিকে একটা খাল কেটেছিলেন যা ‘মারাঠা ডিচ্’ নামে পরিচিত৷ এই মারাঠা ডিচের সঙ্গে টলী সাহেব আদি গঙ্গাকে সংযুক্ত করে দেন৷ প্রাচীনকালে এই আদি গঙ্গা ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ ও সে বহে চলত বারুইপুরের মহাপ্রভুডাঙ্গার পাশ দিয়ে ছত্রশালের দিকে৷ মহাপ্রভু খড়দায় ভাগীরথীকে ডান হাতে রেখে বারুইপুরে বর্তমান মহাপ্রভুডাঙ্গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ছত্রশালের কাছে গঙ্গা পার হয়ে পৌঁছুতেন শ্যামপুর৷ তারপর গোপীবল্লভপুরের পথ ধরে যেতেন পুরীর দিকে৷ এই টলী সাহেবের নামেই খালের এই

মানব সভ্যতার জনক শিব

পত্রিকা প্রিতিনিধি

‘‘তমসাবৃত নিশীথে আলোর আমেজ কি কেবল মানুষই চায়?....সবাই চায়৷ তিমিরাচ্ছন্ন আস্তিত্বিক বিস্মৃতির ভেতর দিয়ে উত্তরণের উত্তাপ.....বেঁচে থাকা....বেড়ে থাকার আকুতির পরিপূর্তি সবাই চায়৷ সবাইকার এই চাওয়াটা পাওয়ার মাধুর্যে পূর্ণত্বের দিকে এগিয়ে চলবার প্রথম সুযোগ যে মহাশম্ভূতির মাধ্যমে পৃথিবী পেয়েছিল তার সম্বন্ধে যথাযথভাবে আলোচনা মানুষ করেনি৷’’

মিঃ ট্রাম্পের নয়া আমদানি শুল্ক নীতি মারাত্মক আর্থিক শোষণনীতি তাই চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রগুলি সাবধান

প্রভাত খাঁ

আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসাদার হলেন রাষ্ট্রপ্রধান মিঃ ট্রাম্প৷ এদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হিন্দুত্ববাদী শ্রী মোদিজীর মধ্যে এক যৌথ বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে আগামী ৫ বছরে ৫০,০০০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া৷

দধীচি দিবস কেন?

প্রভাত খাঁ

পুরাণের গল্পগুলো খুবই শিক্ষনীয়৷ আসুরিক শক্তির বিনাশে দধীচি মুনির আত্মত্যাগ সেরকমই এক শিক্ষনীয় কাহিনী৷ পুরাণ বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী বৃত্তাসুর নামের এক অসুর স্বর্গরাজ্য জয় করে দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়ণ করে৷ নিরুপায় দেবতারা বিষ্ণুর কাছে স্বর্গ উদ্ধারে সাহায্য প্রার্থনা করেন৷ দেবতাদের কাতর আবেদন শুণে বিষ্ণু বলেন---কেউ স্বেচ্ছায় জীবন দান করলে তার অস্থি নির্মিত বজ্রের সাহায্যে বৃত্তাসুর কে বধ করা সম্ভব হবে৷

২১শে ফেব্রুয়ারীঃ মাতৃভাষা প্রেমিকদের জীবনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন

মনোতোষ মণ্ডল

আন্তরিক ভাব ও অনুভূতি সমূহ প্রকাশ করার যে মাধ্যম, তাকে বলা হয়--- ভাষা৷ সুতরাং ভাষা হচ্ছে--- প্রতিটি মানুষের প্রাণীন সম্পদ বা প্রাণধর্ম৷ কিন্তু এই ভাষা হচ্ছে---মানুষের সত্তাগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷ যদিও একজন মানুষ একাধিক ভাষায় কথা বলতে সক্ষম, তবুও বলে রাখি, মাতৃভাষায় ভাব প্রকাশ করা সর্বাধিক সহজ৷ কারণ অন্য যে কোন ভাষায় সহজতর উপায়ে মনোভাব প্রকাশ করা সম্ভব হয় না৷ সুতরাং অন্যান্য ভাষার তুলনায় মাতৃভাষার মহত্ব যে কোন মানুষের জীবনে সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ৷

‘‘একুশে ফেব্রুয়ারী’-এক জাগরণের দিন”

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ এক স্মরণীয় ও বরণীয় দিন৷ ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ ভাষাগত মূল্যবোধে এক জাগ্রত প্রহরী৷ একুশ ধন্য হওয়ার একটি দিন, একুশ আমাদের চেতনার রঙে রাঙানো একটি দিন৷ একুশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই, পেশীর বাঁধনে একুশকে বন্দী করা যায় না, একুশ অমর অজেয় ও অসীম৷

ইতিহাসের সরণী বেয়ে ও প্রকৃতির চিরায়ত আবর্ত্তনের পথ ধরে একুশ যখন আমাদের চেতনা আর চিত্তের আকাশে আত্মপ্রকাশ করে তখন আমরা প্রাণিত ও উজ্জীবিত হই৷ একুশে ফেব্রুয়ারীর সূর্য্যস্নাত সকাল আমাদের চিত্তের দুয়ারে টোকা দেয় ও আমাদের ভাষাগত মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷