প্রবন্ধ

উপরাষ্ট্রপতির কেন ইচ্ছে হলো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বক্তব্য রাখার

শ্রী নিরপেক্ষ

আজ ভারতবর্ষে বলা যায় গণতন্ত্রের নামে দলতন্ত্রের শাসন চলছে৷ ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা৷ কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্যে যেগুলি সংবিধানে রাষ্ট্র নামে উল্লিখিত সেখানে পৃথক সরকার শাসন চালায়৷ তবে কেন্দ্রের ও রাজ্যের অধিকার দায়িত্ব সংবিধানে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে৷ এই সংবিধান ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী লোকসভায় গৃহীত হয় সেই সময়ের ২৪৮ জন সদস্যার সমর্থনে যাঁরা সেই সময় দেশের জ্ঞানীগুণী ছিলেন৷

ডঃ ইয়ূনুস সাহেব শিক্ষার মর্যাদা দিয়ে সোজা পথে চলে দ্রুত নির্র্বচনের ব্যবস্থা করুন

প্রভাত খাঁ

বাংলাদেশের অন্তবর্ত্তী সরকারের প্রধান মিঃ ইয়ূনুস খান এসেছিলেন একমাত্র সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেই৷ কিন্তু সেদিকে পা না বাড়িয়ে শান্তিরনামে নোবেল জয়ী ইয়ূনুস দীর্ঘকাল গদীতে বসে পাকিস্তানী প্রেমকে গলার হার করে বাংলাদেশের জনগণকে কি বিপথে ঠেলে দিচ্ছেন না?

দলীয় বোটমুখী একপেশে বাজেট

প্রভাত খাঁ

বিজেপি সরকার ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কোটি কোটি অসহায় গরিব মানুষদের নিয়ে যে শাসনের নামে ব্যভিচার করে চলেছে সেটা ফ্যাসিজিমকেও হার মানায়! তারই জ্বলন্ত নিদর্শন বর্তমানের ২০২৫-২৬-এর বাজেট৷ এই বাজেটে কোটি কোটি হতদরিদ্র জনগণের জন্য কোন কিছুই সুরাহা করা হয়নি৷

নীলকন্ঠ দিবসের প্রার্থনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী অমৃতের সন্ধানে দেবতারা সুমুদ্র মন্থন করতে গিয়ে অমৃতের সাথে তীব্র হলাহল বিষতুলে আনে৷ যে বিষ সমগ্র পৃথিবীকে ধবংস করে দেবে৷ দেবতারা নিরুপায় হয়ে শিবের দারস্থ হয়৷ সদা মঙ্গলময় শিব সেই বিষ পান করে পৃথিবীকে রক্ষা করেন৷ পুরাণ অনুযায়ী শিব সেই বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে না দিয়ে কন্ঠে ধারণ করে রাখেন৷ বিষের প্রভাবে শিবের কন্ঠ নীল হয়ে যায়৷ সেই থেকে শিবের এক নাম হয় নীলকন্ঠ৷

পৌরাণিক এই গল্পটি শিক্ষামূলক৷ পুরাণের গল্পগুলির মধ্যে সত্যতা না থাকলেও লোক শিক্ষার বিষয়৷ পৃথিবীতে মন্দ ভালো দুই আছে৷ কবি বলেছেন---

‘বহু ভাগ্য সেই জন্মিয়াছি এমন বিশ্বে

নির্র্দেষ সে নয়,

রসিক শ্রীরামকৃষ্ণ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আত্মভোলা সাধক হওয়া সত্ত্বেও শ্রীরামকৃষ্ণ শুষ্ক জ্ঞান আর নীরস তত্ত্বের গাম্ভীর্যে নিজেকে আবৃত করে রাখেন নি৷ রসে বশে রাখিস মা৷ আমায় শুটকো সন্ন্যাসী করিস নে৷ এই ছিল তাঁর একান্ত আর্তি৷ জহুরী যেমন জহর চিনতে ভুল করে না, তেমনি শ্রীরামকৃষ্ণেরও লোকচরিত্র বুঝতে বিলম্ব হতো না৷ ভক্তরূপে কত লোকজন আসতো তাঁর কাছে৷ সবাই তো আর ভক্তির টানে আসতো না৷ অনেকে অনেক রকম স্বার্থ নিয়ে আসতো৷ সহজপথে পুণ্য সঞ্চয়ের অভিলাষ নিয়ে আসতো৷ শ্রীরামকৃষ্ণ তাদের নিয়ে এমন পরিহাস করতেন যে উপস্থিত ভক্তরা হাসি সংবরণ করতে পারতেন না৷ নিছক ব্যঙ্গ বিদ্রূপই নয়, ওই রসিকতার মধ্য দিয়েই পরিচয় মিলতো তাঁর বাস্তববোধ, লোকচরিত্র বোঝার ক্ষমতা আর নির্

জনবিরোধী সংস্কার বিরোধী ভোটমুখী ঘাটতি বাজেট

প্রভাত খাঁ

২৫-২৬ সালের বাজেট অধিবেশনের আগে সংসদের উভয় সভায় ভাষণে মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বর্তমান সরকারের প্রশংসা করে বলেন---এই সরকার ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, বিকশিত ভারত ঘটনই আমাদের লক্ষ্য৷ ২৫কোটি মানুষের দরিদ্র দূরীকরণ হয়েছে ইত্যাদি৷

সমাজে মানবরূপী দানবের সংখ্যা ও অত্যাচার বেড়েই চলেছে

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

সংবাদপত্রের পাতায় কিংবা টিভিতে প্রচারিত সংবাদ যেখানেই চোখ রাখুন এমন ধরনের সংবাদ নজরে আসছে যা দেখে বা শুনে আপনি শিউরে উঠবেন৷ আপনার মনে হতে বাধ্য পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ এসব ঘটনায় জড়িত? যারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে অনেক এগিয়েছে বলে দাবী করে তারা এভাবে খুন- ধর্ষণ -রাহাজানি- নারী নির্যাতন - প্রতারণা -জোচ্চুরি- সাম্প্রদায়িক হানাহানি ইত্যাদি যা ঘটে চলেছে তার সাথে যুক্ত !! একথা ভাবতে না পারলেও এটাই সত্যি৷ জলের মতো পরিষ্কার আজ এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে আছে নররূপী দানবের দল৷ যাদের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে.........

জনচেতনার অভাবে দানবতন্ত্রের প্রবেশ

সঞ্জীব বিশ্বাস

সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক চলেছেই৷ তবে এই শাসনতন্ত্রের বিশেষত্ব হ’ল এই যে, যে দেশের ভোট দাতাদের মধ্যে বিচারশীল মানুষদের সংখ্যাধিক্য বেশী সেখানেই এটি কৃতকার্য হতে পেরেছে৷ অন্যথায় প্রাগৈতিহাসিক মনোভাবাপন্ন বা মেকী সভ্য সমাজে এই শাসনতন্ত্র সুশাসনের প্রতীক হতে পারছে না৷ কারণ এই তন্ত্রকে ফলপ্রসূ করতে গেলে জনশিক্ষার দরকার হয়৷ এর অর্থ দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কমপক্ষে ৫১ শতাংশ অভিজ্ঞান প্রাপ্ত শিক্ষিত হলেই চলবে না, এই শিক্ষিতদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা থাকতে হবে৷ সঙ্গে একটা বিচারশীল মানসিকতাও চাই৷

পশ্চিমবঙ্গ কি ভারতবর্ষের অঙ্গরাজ্য নয়?

পত্রিকা প্রিতিনিধি

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে বিহারকে ঢেলে দিয়েছেন দুটি কারণে এক নরেন্দ্র মোদির সংখ্যালঘু সরকারের বড় শরিক বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারের দল৷ দ্বিতীয়ত এই বছরের শেষের দিকে বিহার বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন৷ বিহারের প্রতি পক্ষপাতিত্বের বিরোধী অভিযোগ খণ্ডন করে অর্থমন্ত্রী বলেন বিহার কি ভারতের নয়? বিহারের উন্নতি কি ভারতের উন্নতি নয়৷ অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ণ যথার্থ৷ তিনি বিহারকে দিতেই পারেন উপুড় হস্ত করে৷ তাতে কারো কিছুই বলার নেই৷ বিশেষ করে মোদি সরকারের হেঁসেলের দায়িত্বে যখন তিনি আছেন৷ কিন্তু কাকে কতটা দেবেন সেটা কি অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে!

আমার বাঙলা

একর্ষি

‘আমার বাঙ্গলা’র অর্থনৈতিক অবস্থার অতীত ও বর্তমান -এর কথা উঠলেই একটা ‘দিকদর্পণ’ সামনে আসে--- তা হ’ল,---একটা জাতির, একটা জনগোষ্ঠীর বা একটা দেশের অস্তিত্ব, স্থায়িত্ব, উদ্বর্তন ও ক্রমোনতি নির্ভর করে পঞ্চশক্তি ওপর, যথা অর্থশক্তি, ভাষা-সংস্কৃতির শক্তি, ক্ষাত্র শক্তি, প্রশাসনিক দক্ষতা বা ম্যানেজেণ্ট,---অন্য কথায় নেতৃত্ব, এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য অদম্য জিদ বা সুদুঢ আত্মবিশ্বাস৷ অর্থ শক্তি এদের মধ্যমণি৷ তাই হয়তো জীবনবাদী মহাভারতকার বললেন---‘অর্থই অনর্থের মূল’৷ ভাবুক দরবেশ গাইলেন -টাকা টাকা টাকা ভাই, টাকার মত জিনিস নাই,/ টাকা নাই যার মরণ ভাল এ সংসারেতে৷’’---কথার মধ্যে ভাবের আতিশয্য থাকলেও বাস্তবকে অস্ব