স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

বাসক ও রাম বাসক

বাসক ও রাম বাসক গাছ পূর্ব ভারতে ভালই জন্মায়৷ রাম বাসক উচ্চতায় তেমন ৰড় হয় না৷ অনেক সময় গাছ একটু ৰড় হলে শুয়ে পড়ে৷ রাম বাসকের সঙ্গে শেয়ালের ন্যাজের কেমন যেন একটা সুদূর সম্পর্ক রয়ে গেছে৷ তাই রাম বাসককে ৰলা হয় ক্রোষ্টুপুচ্ছী, ক্রোষ্টুপুচ্ছিকা, ক্রোষ্টুকপুচ্ছী, ক্রোষ্টুকপুচ্ছিকা৷

 বাসক গাছও উচ্চতায় তেমন ৰড় হয় না, কিন্তু ডালপালা শক্ত থাকে৷ এর পাতা ঘন সবুজ ও লম্বা৷ এর সবচেয়ে বেশী গুণ পাতায়৷

বাসক পাতার বা বাসক রসের গুণ কফ মুক্তিতে ও জ্বর প্রতিরোধে৷ সর্দির ৰাড়াৰাড়িতে ও পালাজ্বরের আক্রমণে বাসকের জুড়ি মেলা ভার৷

‘‘বাসি মুখে বাসকের রস খেও মধু সাথে

সদ্যোজাত শেশুর যত্ন

সাধারণতঃ মাতৃগর্ভে আট মাসের কম থাকার পরে শিশু জন্মগ্রহণ করলে সে মৃত অবস্থাতেই জন্মগ্রহণ করে, অথবা জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মারা পড়ে৷ মৃতবৎসা নারীরা তাই সাত মাসে বা তার চেয়ে কম বয়সে শিশু প্রসব করে’ থাকে৷ আট মাসে জন্মালে বেশীর ভাগ শিশু প্রাণে বেঁচে থাকে, তবে আট মাসে জন্মায় খুব কম শিশু৷ তার চেয়ে বরং ন’মাসে জন্মায় বেশী শিশু৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে শতকরা ৯৫ শতাংশ ভাগ জন্মায় দশ মাসে, ক্বচিৎ কখনো দু’–একটা জন্মায় একাদশ মাসের গোড়ার দিকে৷ প্রথম সন্তান কোন কোন ক্ষেত্রে ন’মাসের শেষের দিকে জন্মে থাকে৷ নয় মাসের শেষে যারা জন্মায় তারা মোটামুটি সুস্থ অবস্থায় থাকে৷ তাদের স্বাস্থ্যহানি বড় একটা হয় না৷ তবে গোড়ার দিকে তাদে

অর্জুনের ছাল দন্ত ও মাড়ির বিভিন্ন প্রকার রোগের মহৌষধ

ছোটবেলা থেকেই দাঁত দুর্বল থাকলে, আর কিশোর–যুবা বয়সে দাঁতের যত্ন না নিলে, দাঁতের এনামেল ও দাঁতের ভেতরের অংশ ক্ষয়ে গিয়ে পরবর্ত্তীকালে গর্তের ন্তুত্র্লন্ব্ধম্ভগ্গ সৃষ্টি হয়৷ সেখানে খাদ্য–কণা জমে রোগ ৰীজাণুর জন্ম হয় ও তীব্র প্রদাহ–যন্ত্রণার সৃষ্টি করে৷ বয়স্কদের ক্ষেত্রে তখন দাঁতের ডাক্তারের কাছে দৌড়নো ছাড়া কোন উপায় থাকে না৷ টুথৰ্রাশের ব্যবহার ঠিকমত না জানার কারণে অর্থাৎ জোরে জোরে ৰ্রাশের ব্যবহার করলে দাঁতের এনামেল দ্রুত উঠে যেতে বাধ্য৷ কোন বহুল বিজ্ঞাপিত টুথপেস্টের ব্যবহারেও তা আটকানো যাবে না৷ পেয়ারা পাতার ঘন ক্কাথ তৈরী করে তা দিয়ে নিয়মিত ভাবে মুখ ধুলে বা দাঁত মাজলে দাঁতের রোগে ভাল ফল পাওয়া যায়

শিশুদের সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের করণীয়

ডাঃ আলমগীর

শীত আসছে, হেমন্তের হাওয়া বইছে৷ ঋতু পরিবর্ত্তনের সময়৷ কখনও ঠাণ্ডা কখনও গরম৷ বিশেষ করে দিনে সূর্যে তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের তাপ বেশ বৃদ্ধি পায়৷ কিন্তু, বিকেলের পর থেকেই কিছুটা ঠাণ্ডা বাতাস গায়ে লাগে৷ আবার ভোর রাতে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হয়৷ এই রকম ঠাণ্ডা–গরম আবহাওয়ায় শিশুরা সহজেই সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে৷ তাই এই সময় শিশুদের সুস্থ রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার৷ এবিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকাও প্রায়োজন৷ সুতরাং এই ধরনের আবহাওয়ায় শিশুদের কি কি অসুবিধা হতে পারে ও সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হলে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা অভিভাবকদের জানা দরকার৷

লাউয়ের গুণাগুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ অলাবু মানে লাউ চ্প্সব্ধব্ধপ্তন্দ্ব ন্ধপ্সব্ভব্জস্তুগ্গ৷ অনেকে লাউকে ‘নাউ’ উচ্চারণ করেন৷ (যেমন ভুল উচ্চারণ করা হয়–নেৰুকে ‘লেৰু’)৷ উচ্চারণটি ঠিক নয় কারণ অলাবুতে তো ‘ন’ নেই৷ ‘কদু’ শব্দ এসেছে সংস্কৃত কদ্রু বা কন্দুকি শব্দ থেকে (দুয়েরই মানে যা গোলাকার ৰলের মত)৷ তাই কদু মানে গোল লাউ৷ আর লাউ মানে যে কোন প্রকারের লাউ৷ এই গোল লাউকেই মৈথিলীতে বলে ‘সজিমন’৷ লাউকে ভোজপুরী ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে ‘লউকি’ বা ‘লওকা’ বলা হয়৷ হিন্দী/উর্দূতে বলা হয় ‘ঘিয়া’ (সংস্কৃত ‘ঘৃতাক’ শব্দ থেকে উর্দূ–হিন্দীতে এই ‘ঘিয়া’ শব্দটি এসেছেগ্গ৷ মরাঠী ও গুজরাতিতে লাউকে বলা হয় ‘দুধি’ (সংস্কৃত ‘দুগ্ধিকা’ থেকে এসেছে

ঘামাচী (ঘর্মচচী)

চামড়াকে ঘর্মচচী থেকে বিমুক্ত করার জন্যে সমপরিমাণ তাজা দুধের সর ও ময়দা মিশিয়ে অল্পক্ষণ আঙ্গুলে ফেনিয়ে বা ফেটিয়ে নিয়ে, তারপর সারা শরীরে ওই সর–ময়দা মেখে ১৫/২০ মিনিট আলো–হাওয়া যুক্ত শুকনো জায়গায় (রোদে নয়) বসে থাকতে হয়৷ তারপর ওই লেপটে যাওয়া সর–ময়দাকে ঘষে ঘষে তুলে দিতে হয় ও সাবান না মেখে স্নান করতে হয়৷ সর–ময়দা ব্যবহারে সামান্যতম ক্ষতি হয় না৷ বরং ১৬ আনা লাভ হয়৷ শীতের দিনে চামড়া ফেটে গেলে অথবা অন্য যে কোন কারণে চামড়া খসখসে হয়ে গেলে, মেয়ে–পুরুষ যে কেউই সর–ময়দা ব্যবহার করতে পারেন৷

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরৰৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ হ’ল চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেৰু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে)  অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢ়েলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেৰুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়াৰ প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ৰেলের শরৰৎ, আমপোড়ার শরৰৎ সর্

ভিটামিনের গুণাবলি, প্রয়োজনীয়তা

এন এন এস.

ভিটামিন–বি কমপ্লেক্স কি শরীরে শক্তি জোগায়

কোনো ভিটামিন বা মিনারেলই সরাসরি শক্তি জোগায় না৷ খাদ্যে থাকা শক্তিকে ক্যালরিতে পরিমাপ করা হয়৷ খাদ্যের ভেতর কেবল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড ও ফ্যাটই ক্যালরি সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখে৷ ভিটামিন বা মিনারেলে ক্যালরি বা শক্তি থাকে না৷ কোবাল্ট, কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্কের মতো ভিটামিন–বিও শক্তি বের করার জন্যে জরুরি৷ তাই ভিটামিন–বিকে গৌণশক্তি সরবরাহকারী হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে৷ জেনে রাখা ভালো, শরীরের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ভিটামিন–বি গ্রহণ করলেও তা অতিরিক্ত শক্তি বের করায় কোনো ভূমিকাই রাখতে পারে না৷

বাঁশপাতা

ও তার ঔষধীয় গুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তৃণ বর্গের সবচেয়ে বৃহৎ প্রজাতি হচ্ছে বাঁশ৷ জাওল বাঁশ, মুঠি বাঁশ, মূলী বাঁশ, তলতা বাঁশ, পলকা বাঁশ–এরা সবাই অতি দীর্ঘকায় তৃণ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সেই সকল বৃহৎ তৃণকে বাঁশ বলি যাদের ফুল–বীজ হোক না হোক, পাশ থেকে কোঁড় বের হয়, ঝুড়ি তৈরী হয় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেতরটা থাকে ফাঁপা৷ সাধারণতঃ যে সকল বাঁশ বেশী দীর্ঘকায় হয় তারা বেশী ফাঁপা৷ যে সকল বাঁশেরা ছোট (এই ধরনের বাঁশ থেকেই লাঠি তৈরী হয়) তারা আকারে অতি ৰৃহৎ হয় না–ওজনে হয় ভারী৷ গাছগুলিও লোহার মত শক্ত৷