হলুদ–গাত্র–হরিদ্রা

লেখক
আয়ুর্বেদাচার্য

কাঁচা হলুদের রোগৰীজ নাশনের সামর্থ্য থাকায় প্রাচীনকালে লোকেরা বিবাহ ও উৎসবাদির প্রাক্কালে গাত্রে কাঁচা হলুদ–বাটা লেপন করে স্নান করত যাতে বহু মানুষ সমাগমে রোগের প্রাদুর্ভাব না ঘটতে পারে৷ এই উৎসবটি এখনও কম–বেশী আছে যা গাত্র–হরিদ্রা নামে পরিচিত৷

হলুদের অন্যান্য ব্যবহার ঃ কাঁচা হলুদ–বাটা মাথায় মেখে স্নান করে মাথা মুছে নিয়ে, তারপর শুকনো গামছা মাথায় পনর–বিশ মিনিট চেপে বেঁধে রাখলে চুল মজবুত হয়৷ চুল পড়া বন্ধ হয়৷ চুল একটু ঢ়েউ–খেলানো বা কোঁকড়ানো হয়৷ তবে যাদের মাথায় ড্যাঙ্গর–উকুন আছে তারা যেন এসব না করে৷

 

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদকে জলে ফুটিয়ে সেই জলকে ঠাণ্ডা করে তা দিয়ে বসন্ত রোগীকে স্নান করালে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে৷

অনেক ৰৃহৎ জন্তু–জানোয়ারও কাঁচা হলুদের বিষ–ক্রিয়ায় মারা যায়৷ কুমীরের পক্ষে কাঁচা হলুদ মারাত্মক বিষ৷ কুমীরের মত সাংঘাতিক জানোয়ারেরও পেটে কাঁচা হলুদ গেলে মৃত্যু ঘটে৷

‘‘তুমি বিবেক–হলদি গায়ে মেখে নাও৷

(কেউ) ছোঁবে না তার গন্ধ পেলে৷’’