অগ্নিকন্যা
সন্ধ্যায় পড়তে বসেছে ভাইবোনেরা৷ দাদা মধু ছোট বোন রাণীকে বলল---শুনেছিস, শহরের দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার পড়েছে৷ ডাকাত ধরিয়ে দিতে পারলে দশ হাজার টাকা পাওয়া যাবে৷
- Read more about অগ্নিকন্যা
- Log in to post comments
সন্ধ্যায় পড়তে বসেছে ভাইবোনেরা৷ দাদা মধু ছোট বোন রাণীকে বলল---শুনেছিস, শহরের দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার পড়েছে৷ ডাকাত ধরিয়ে দিতে পারলে দশ হাজার টাকা পাওয়া যাবে৷
অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানের প্রাথমিক উৎস ধরা হয় কৃষিকে৷ তারপর দ্বিতীয় স্থানে শিল্প আর শেষে অন্যান্য পরিসেবা বা সেবামূলক কাজ৷ এই প্রাথমিক উৎস থেকেই মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান আসে৷ ভেষজ উদ্ভিদ চিকিৎসা (আয়ুর্বেদিক) কাজেও সহায়তা করে৷ কৃষিতে জমির মালিক ও কর্ষক, কৃষি শ্রমিকরাই প্রধানত জনসংখ্যার প্রায় অর্ধাংশ৷ তাছাড়া জমির আগাছা পরিস্কার করতে ও ফসল তুলতে পার্ট টাইম কৃষি শ্রমিকদের ভূমিকাও কম নয়৷ উপরন্তু বাগিচা ফসল চা শিল্পে -চাপাতা তোলা মহিলা শ্রমিকদের উপরই নির্ভরশীল৷ এছাড়া কৃষিভিত্তিক শিল্পেও অনেক লোক নিযুক্ত, যথা, ধান-ভানা, মুড়ি ভাজা, খই ভাজা, চিড়া-কুটা ইত্যাদি৷
প্রাউটের মতে গোটা দেশের সর্বাত্মক সামাজিক–অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে, সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরে শোষণের অবসান ঘটানোর জন্যে, চাই বিজ্ঞানভিত্তিক সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা৷ এ জন্যে প্রথমে গোটা দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত করে প্রতিটি অঞ্চলকে স্বয়ং–সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে৷ প্রতিটি সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওই এলাকার বিশেষ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে পৃথক পৃথক পরিকল্পনা রচনা করা বাঞ্ছনীয়৷ এই যে দেশকে প্রয়োজনমত একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত করার কথা বলা হ’ল, তা করতে হবে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে–
ভারতীয় বলতে আমরা বুঝি কোন একটি জাতিগত সাদৃশ্য বা কোন একটি ধর্মীয় মতবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত জনগোষ্ঠী নয়৷ ভাষাগত ও সাংস্কৃতিকগত ভাবে ৪৪টি জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভারত ভূমি৷ পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টির পিছনে কয়েকটি মৌলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে তৈরী হয়েছে এই মানব জনগোষ্ঠী৷ পৃথিবীতে আগে বা পরে কে এসেছে সেটা বিচার্য নয়৷ মানব সভ্যতার বিকাশ কোথা থেকে সূত্রপাত সেটাই হলো বড় কথা৷ প্রাগৈতিহাসিকরা স্বীকার করেছে একটি সভ্যতা তৈরী হওয়ায় মূল চাবিকাঠি হলো জলের উৎস অঞ্চল৷ কারণ জলের আরেক নাম-ই জীবন৷ তাই মানুষ জলকে জীবন সঙ্গী করে, জলকে নানা কাজে ব্যবহারের জন্যে গড়ে তুলেছে নগর, বন্দর, আগুন
৪ঠা নভেম্বর আনন্দরেখা ভবনে দীপাবলী উপলক্ষ্যে ছয় ঘন্টা ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায়ের পর দীপাবলীর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত, আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত৷ কিষন সিং সুদ প্রমুখ৷ স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোণান আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷
গত ২১শে নভেম্বর ৰাৰার স্মৃতিসৌধে ৩ ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত৷ প্রতিমাসেই ৰাৰার স্মৃতিসৌধে অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন উপলক্ষ্যে আনন্দনগরের সমস্ত কর্মীবৃন্দ ও মার্গী ভাইবোনেরা ৰাৰার স্মৃতিসৌধে সমবেত হয়ে ছিলেন৷
আনন্দনগরে গালর্স চিল্ড্রেন্স হোমে মেয়েদের মহিলা স্বনির্ভর প্রকল্পে জড়ি ও জার্দুশি শিল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই ৮ই নভেম্বর ডামরুঘুটু ও চিতমু গ্রামের মহিলাদের এই দুই শিল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে৷
১৯শে নভেম্বর পুরুলিয়া জেলার গাগী গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও গাগী আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষক অঙ্গদচন্দ্র কুইরীর নবনির্মিত গৃহে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রহ্মচারিনী মন্দ্রিতা আচার্যা৷ এই উপলক্ষ্যে শ্রী কুইরীর গৃহে তিন ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনশেষে আনন্দমার্গ আদর্শ ও কীর্ত্তন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা আচার্যা৷
গত ২৮শে নভম্বর হাওড়া রানীহাটীতে জেলার সকল মার্গী ভাইবোনদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনে বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মার্গীদের কর্তব্য দায়িত্ব বিষয়ে সচেতন করে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত, ডায়োসিস সচিব আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত, শ্রী বকুলচন্দ্র রায়, ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা প্রমুখ৷
রানীহাটী শিশু সদনে গত ৬ই নভেম্বর ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে শিশুসদনের ছেলেদের ফোঁটা দেওয়া ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করেন অঞ্জনা সাহা, মনিকা ঘোড়ুই, তুলিকা ঘোড়ুই৷