February 2022

আনন্দনগরে আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনা সভা

গত ২৮শে নভেম্বর আনন্দনগর অডিটোরিয়ামে গুরুকূলের পরিচালনায় আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্তসভায় সভাপতিত্ব করেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানের সূচনায় বক্তব্য রাখেন আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন সিধু-কানু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লক্ষ্মীরাম গোপ, অধ্যাপক সুদীপ চক্রবর্তী, প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী সুভাষ প্রকাশ পাল, আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত প্রমূখ৷ আনন্দমার্গ হাইস্কুল ও আনন্দমার্গ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রারা প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করে৷

 

১৮ই ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে ষান্মাসিক প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের দিল্লী সেক্টরের সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত জানান আগামী ১৮ই ডিসেম্বর পূর্ববর্ধমান জেলার বোরহাটে শুরু হবে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির৷ ২২শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই শিবির৷ শিবিরে বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক সমস্যা ও প্রাউটের দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হবে৷

নদীয়া জেলার ধুবুলিয়াতে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২৭শে নভেম্বর ২০২১ শনিবার ধুবুলিয়া (৫নং) পরমারাধ্য মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশিষ্ট আনন্দমার্গের সদস্যা সাধনা কুণ্ডু দিদির উদ্যোগে তাঁর বাসগৃহে ৫০/৬০ জন ভক্তের উপস্থিতিতে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ দূর দূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ কীর্ত্তনানুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, চরম নির্দেশ ও স্বাধ্যায় হয়৷

নদীয়ায় নব রায়নগর আনন্দমার্গ স্কুলে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৪ই নভেম্বর ২১ রবিবার৷ নব রায় নগর আনন্দমার্গ স্কুলে পরমারাধ্য মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে অধ্যক্ষা ব্রহ্মাচারিণী অনন্যা আচার্যা দিদির উদ্যোগে ১৫০ অধিক ভক্তের উপস্থিতিতে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ দুর দুরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে৷ কীর্ত্তনানুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, চরম নির্দেশ ও স্বাধ্যায় হয়৷ এরপর আনন্দমার্গের ‘যোগ সাধনা’ ও কীর্ত্তন মহিমা বিষয়ে বিস্তারিত মূল্যবান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব (এল) অবধূতিকা

কাঁচাপাটের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণের দাবী কর্ষক সমাজের

কাঁচা পাটের সর্বচ্চ মূল্য নিয়ে বিরোধ বেঁধেছে জুট কর্র্পেরেশন ফাঁকা পাটের সর্বোচ্চ মূল্য ঠিক করে দিয়েছে ৬৫০০ টাকা৷ কিন্তু তাতে আপত্তি তুলে জুটমালিকদের দাবী হয় কাঁচা পাটের মূল্য বাজারের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, অথবা ৭২০০ টাকা পাটের সর্র্বেচ্চ মূল্য ঠিক করতে হবে৷ তবে জুট কমিশনার মালিক পক্ষের দাবী মানতে নারাজ৷ কমিশনের পক্ষে যুক্তি কাঁচা পাটের সর্র্বেচ্চ মূল্য নির্র্দ্ধরণ করা সম্ভব নয়৷ তাছাড়া কমিশনের ধারনা কাঁচা পাটের দাম বাড়িয়ে মালিকপক্ষ পরবর্তীতে বস্তার দামও বাড়িয়ে দেবে৷

ধর্মগুরুশ্রীশ্রীআনন্দ্ জন্মশতবার্ষিকীতে আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়৷ তার ঢেউ খেলানো রাঙা মাটির নীচে রয়েছে লোহা, কয়লা, অভ্র, তামা অজস্র খনিজ সম্পদ, কাঁকুরে মাটির বুকে দাঁড়িয়ে আছে শাল, পিয়াল মহুল পলাশের বনজ সম্পদ৷ যার বুক দিয়ে বহে চলেছে অজয়, ময়ুরাক্ষী, দামোদর, কোয়েল কুমারী, কংসাবতী, শীলাবতী, রূপনারায়ণ--- জলজ সম্পদে ভরপুর রাঢ়, যার পলিবাহিত বিশ্বের উর্বরতম পূর্ব রাঢ়ের কৃষি জমি৷

বকফুল, ডুমুর, ঘি–করলা, নটে শাক

বকফুল

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বকফুল (গাছের) অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ তবে মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতি নজরে পড়ে৷ একটিকে বলতে পারি কিছুটা হ্রস্ব, অপরটি হচ্ছে দীর্ঘ৷ হ্রস্ব প্রজাতির বকফুল (মোটামুটি) উঁচু হয় আর দীর্ঘ প্রজাতিটি আট মানুষের চেয়েও বেশী উঁচু হয়৷ হ্রস্ব–দীর্ঘ নির্বিশেষে বকফুল গাছ ৰাড়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে৷ ফুলের আকার ও আকৃতির বিচারে বকফুল শাদা, গোলাপী, লাল ও পঞ্চমুখী জাতের হয়ে থাকে৷

ঘুর্ণী, মালদহ, শিয়ালদহ ও সল্টলেক–নামগুলি কেমন করে হ’ল?

ৰাঙলার একটি ৰৃহৎ অংশ জলের দেশ৷ এই দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে বড় বড় নদী বয়ে গেছে সে সমস্ত অঞ্চলে কোথাও কোথাও নদী বাঁক নিয়েছে (কিষাণগঞ্জ মহকুমায় এ ধরণের একটি স্থানের নামই হচ্ছে দীঘলবাঁক৷ নামেতেই স্থানটির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে৷ অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোককেও স্থানটির নাম উচ্চারণ করতে শুণেছি ‘ডিগাল ব্যাঙ্ক’) ও এরই ফলে বাঁকের কাছে জলের তলায় ঘুর্ণীর সৃষ্টি হয়েছে৷ এইসব জায়গা নৌকা বা জাহাজের পক্ষে বিপজ্জনক৷ যাইহোক, কৃষ্ণনগরের কাছে জলঙ্গী নদী যেখানে বাঁক (সংস্কৃত, বক্র>বাংক>বাঁকা)নিয়েছে সেখানেও নদীতে এইরূপ একটি ঘুর্ণী ছিল৷ সেকালে কলকাতা থেকে জলঙ্গী নদীর পথে পদ্মায় পৌঁছে সেখান থেকে ঢ়াকা যাওয়া হ’ত জলপথে৷ ওই ঘু

মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে নিম পাতা চিবিয়ে খান

নিম পাতা আমাদের বিশেষ উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে মানসিক দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে নিম পাতা যে সাহায্য করে তা হয়ত অনেকেই জানেন না৷ দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রতিদিন কয়েকটি তাজা নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন৷ তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে চর্মরোগ দূরে পালিয়ে যায়, দাঁতের অসুখ সেরে যায়, রক্তে শর্করা ও উচ্চচাপ দূরে পালিয়ে যায়৷ এছাড়া নিদ্রাহীনতার রোগও পালিয়ে যায়৷ অম্বল হলে নিম গাছের ছাল এক কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷ রোজ সকালে খালি পেটে নিমছাল ও নিমপাতা বেটে তার বড়ি করে খেলে কৃমি রোগ সেরে যায়৷

হূদ্রোগীদের জন্যে গাজর

প্রতিদিন গাজর খেলে হূদরোগের ভয় কমে যায়৷ দীর্ঘ গবেষণার পর জানা গেছে যে গাজরের খাদ্য মূল্য অত্যন্ত অধিক৷ গাজরে আছে বিটা–ক্যারোটিন যা হূদরোগের আক্রমণ থেকে অনেকাংশে বাঁচায়৷ একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যাঁরা নিয়মিত গাজর তরকারি করে খান তাঁদের হূদরোগের সম্ভাবনা ৬৮ শতাংশ কমে যায়৷ সুতরাং প্রতিদিন একটি করে গাজর খেলে হূদরোগে ভয় অনেকটাই কমে যায়৷