বার্ষিক অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন
১৭ই জুন’২৪ বড়রোলা দুবরাজডি গ্রামে আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গণে শ্রী মিহির কুমার আয়োজিত বার্ষিক ৬ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান,বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহারের আয়োজন করা হয়েছে৷
১৭ই জুন’২৪ বড়রোলা দুবরাজডি গ্রামে আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গণে শ্রী মিহির কুমার আয়োজিত বার্ষিক ৬ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান,বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহারের আয়োজন করা হয়েছে৷
১৫ই জুন’২৪ আনন্দনগর রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সাল ক্লাবের পরিচালনায় আনন্দমার্গ হাইস্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রদের নিয়ে ষ্টাডি সার্কেলের আয়োজন করা হয়৷ বিষয়বস্তু ছিল
(১) বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ত্রুটি৷ প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কিভাবে সম্ভব? বক্তব্য রাখেন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত ও আচার্য কিষণসিং সুদ৷
২১শে জুন’২৪ আনন্দনগরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস আনন্দমার্গ বয়েজ হাইস্কুল, আনন্দমার্গ গার্ল হাইস্কুল ও আনন্দমার্গ গার্লস কলেজ উমানিবাস, আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলগুলোতেও পালন করা হয়৷
১৬ই জুন’২৪ ডিআইজি সিকিউরিটি কলকাতা শ্রী সুখেন্দু হীরা, অধ্যাপক সৌমেন রক্ষিত, বাঁকুড়া ও তাঁদের সতীর্থ বন্ধুসহ পাঁচজন আনন্দনগর আসেন দেখতে৷ তাঁরা বাবা স্মৃতিসৌধ দেখে আনন্দরেখা ভবনে আসনে৷ এখানে আনন্দমার্গের ভাবনা চিন্তা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়৷ আনন্দনগরের ওপর লিখিত স্যুভেনির প্রদান করা হয়৷ আনন্দমার্গ প্রকাশন বিভাগ থেকে প্রাউটের রূপরেখা, বাঙলা ও বাঙালী, মানুষের সমাজ, মাইক্রোবাইটা, লঘুনিরুক্ত, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী- জীবনী ও বাণী ইত্যাদি তিনহাজার টাকার পুস্তক ক্রয় করেন৷ একজন শুভানুধ্যায়ী আমাদের একাউন্ট চেয়েছেন আর্থিক সহায়তা করার জন্যে৷
বিশ্বব্যাপী জলসংকটের কথা ভেবে গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অনেক আগেই বলেছেন এর থেকে মুক্তি পেতে আশির দশকের শুরু থেকেই বনসৃজন ও বৃষ্টির জলকে ধরে রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন ছোট ছোট বাঁধ, পুকুর, সায়র খনন করে বৃষ্টির জলকে সংরক্ষণ করতে ও ব্যবহার করতে৷ আনন্দনগরে প্রত্যেকটি প্রকল্পের সঙ্গে দিয়েছেন সায়র৷ সায়রে জলের পরিমাণ (গ্যালন) অনুযায়ী বিভিন্ন গাছ, জলজ উদ্ভিদ লাগাতে বলেছেন৷ অর্থাৎ জলে লোমাloma) অথবা ওয়াপাWapa)-বিভিন্ন রঙের শালুক, পানিফল থাকবেই তার সঙ্গে পাড়ে থাকবে খেজুর, সুপারী, লেভেণ্ডার, ঔষধীয় লতা medicinal creeper),তাল, নারকেল, যুঁই-বেলি ফুল, গোলমরিচ ইত্যাদি৷ আনন্দনগর
আনন্দমার্গ ফার্ম ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক নার্সারীর জন্যে বিভিন্ন প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল ও উন্নতমানের ফলের যেমন --- আম, পেয়ারা, মোসাম্বি, বেদনা, লিচু, সবেদা, বাতাবি ইত্যাদি মাদার প্লাণ্টস্ থেকে অভিজ্ঞ লোকের মাধ্যমে কলমের অর্থাৎ গ্রাফিংয়ের কাজ চলছে৷
২৮-৩০ জুন‘২৪ জাবর-সিমনি পাহাড় রেঞ্জের পাদদেশে আনন্দনগর মানুষ বসতি শূন্য বাঁশগড় গ্রামে আনন্দমার্গ কৃষি ফার্ম হাউসে অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে তিনদিনের ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে৷ এই উপলক্ষ্যে প্রভাত-সঙ্গীত, অখণ্ড কীর্ত্তন, তিনদিন মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, প্রভাতফেরী, তাণ্ডব-কৌষিকী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷
সেমিনারে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল --- ১) বৃহতের আকর্ষণ ও সাধনা ২) আন্তরিক শক্তির উৎস ৩) প্রমা ৪) অর্থনৈতিক গণতন্ত্র৷ আচার্য মোহনানন্দ অবধূত, আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷
১৩ই জুন’২৪ মুম্বাইয়ের জেনারেল ভুক্তিপ্রধান শ্রীমতী অশ্বিনী সাণ্ডুর উদ্যোগে মুম্বাই ভুক্তির আর্থিক সহযোগিতায় ডিম্বগিরি জলবন্ধের (ডিম্বগিরি চেকড্যাম) সংস্কার কার্য সম্পূর্ণ হয়েছে৷ ফলস্বরূপ ২০২৪ বর্ষের হরকাবানে আরও বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার নিশ্চিত সম্ভাবনা থেকে রক্ষা পেল৷ গ্রীষ্মের খরতাপে স্থানীয় পশুপাখি, জীবজন্তু ও মানুষের জলকষ্ট থেকে রক্ষা সম্ভব হয়েছে৷
২৬শে জুন’২৪ আনন্দনগর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সৌজন্যে ‘নিউ হিউম্যানেষ্টিক রিলিফ’ আনন্দনগরের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক প্রান্তিক চাষীদের ১০কেজি করে উন্নতজাতের ধান বীজ বিতরণ করা হয়৷
আনন্দমার্গের প্রবক্তা, প্রতিষ্ঠাতা ও ধর্মগুরু তথা সমাজগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্যে তৈরী করেছেন ‘আনন্দনগর’৷ আনন্দনগরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বহুমুখী প্রকল্প দিয়েছেন৷