প্রবন্ধ

তিলজলা আশ্রমে পরমারাধ্য মার্গগুরুর মহাপ্রয়াণ উদ্‌যাপন দিবস উপলক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা

প্রভাত খাঁ

এই জগৎ সংসার এর সৃষ্টিকর্তা হলেন পরপুরুষ৷ যিনি সৃষ্ট জগতের সকলেরই স্রষ্টা৷ এই কথাটি এই জগতের সকল মননশীল মানুষের সর্বদা স্মরণে রাখা ও তার সৃষ্টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করাটাই হ’ল পবিত্র কর্তব্য কর্ম৷ এই প্রপঞ্চময় জগতে অতি সোজা কথাটি অধিকাংশ মানুষ ভুলে গিয়ে আত্ম-অহঙ্কারে এমন সব কাজ করে, যা মারাত্মক ধবংসাত্মক হয়ে ওঠে ও তাতে মহান সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যটাই অস্বীকৃত হয়৷ তাতে চরম ধংস নেমে আসে এই ধরার বুকে৷ তখনই সেই মহান শক্তির স্রষ্টা মানুষের রূপে নেমে আসেন সৃষ্টিকে রক্ষা করতে মহাসম্ভূতি রূপে এই ধরার বুকে৷

এই শোষন ও সামাজিক অবক্ষয় রুখতে প্রাউটের বাস্তবায়ন প্রয়োজন

পত্রিকা প্রিতিনিধি

ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের মূলতঃ সূত্রপাত হয়েছিল সিপাই বিদ্রোহ থেকে৷ এছাড়াও ছোটোখাটো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তার আগে হলেও সাংঘাতিকভাবে জনমানসে তা দানা বাঁধেনি৷ তাই তাকে স্বাধীনতার আন্দোলন বলে ধরা হোতো না, যেমন চুয়ার বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, রানী রাসমণির নদীর মাছ ধরা নিয়ে জল কর বিদ্রোহ ইত্যাদি৷ ১৮৫৭ সালে সিপাই বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিলো কলকাতার ব্যারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে লাহোর সেনা ছাউনি পর্যন্ত প্রায় শতাধিক সেনা ছাউনিতে৷ ভারতীয় ব্রিটিশ বিরোধী সেনাদল ব্রিটিশ সেনাদের উপর একই সময়ে গুলি বর্ষনের মাধ্যমে আক্রমণ শুরু করে৷ এর ফল স্বরূপ পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর সেনা হতাহত হয়৷ এর মূল প্রেরণা ছিলেন একজন অর্দ

তোমার আসা যাওয়া

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

আমার এই দীন দুয়ারে

          তোমার নিত্য আসা-যাওয়া

তবু কেন অশ্রু-ধারে

          আকুল-ব্যাকুল পথ চাওয়া৷

বুঝিনা যে তোমার মরম

          বিশ্বজুড়ে অপার লীলা

তোমার ভাবে বিভোর এ মন

          দিবানিশি সারা বেলা৷৷

দুর্নীতি দূরীকরণে সমাজের নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী

সায়ন চক্রবর্ত্তী

ঈশ্বরের এই বিশাল জগতে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ জীব৷ অন্যান্য সব জীবেদের সঙ্গে মানুষের তুলনা করা না গেলেও অন্যদের ঈশ্বর পূর্ণাঙ্গ রূপে নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করেছেন কিন্তু মানুষকে নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি না করে পূর্ণ হওয়ার শক্তি ও সম্ভাবনা দিয়েছেন মাত্র৷ সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একদিকে মানুষ নিজেকে দেবতারূপেও গড়ে তুলতে পারে আবার সামর্থ্যকে অপব্যবহার করে ভয়ানক শয়তানেও পরিণত হয়ে যেতে পারে৷

জীবনের জন্যে বৃক্ষায়ন জরুরী

পত্রিকা প্রতিনিধি

ইতিহাসের শুরু থেকেই জীবজগতে গাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷ বিশ্বের অধিকাংশ প্রজাতির প্রাণীর জন্যে গাছ খাদ্য যোগাচ্ছে, এদেরকে আশ্রয় ও ছায়া দিচ্ছে৷ বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১০ মিলিয়ন জাতের গাছ রয়েছে৷ স্থলে ও জলে সর্বত্রই এরা গজিয়ে উঠছে, বংশবিস্তার করছে৷ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এদের অবস্থান সীমাহীন৷ গাছবিহীন পরিবেশে জীবন প্রায় অসম্ভব, দুর্বিষহ৷ গাছ আবহাওয়াকে বিশুদ্ধ রাখে, শান্ত রাখে৷ দিনের বেলা গাছ আলোক সংশ্লেষণ করে৷ তখন যারা কার্বন–ডাই–ক্সাইড প্রতিনিয়ত নির্গত করে বাতাসকে দুষিত করছে, তার অধিকাংশই গ্রহণ করছে গাছপালা৷ এর পরিবর্তে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নির্গত করছে গাছ৷ তাতে নির

বাঁচার অধিকার

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

ঝড়, জল উপেক্ষা করে বাঁচার তাগিদে নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিবাদী মানুষ আজ বিনিদ্র রজনী রাজপথে, শিক্ষাঙ্গনে, নদীতীরে, মাঠে ময়দানে বিরাজ করছে৷ কী তাদের উদ্দেশ্য?

ছিলে আছো থাকবে তুমি

পত্রিকা প্রিতিনিধি

তোমারই সৃষ্ট জগতে তোমারি বাঁধা নিয়মে কত কিছুই যায় আসে৷ যে সূর্য অস্ত গেল একটু আগে, সেই সূর্য আবার কাল সকালে উদয় হবে৷ এইভাবে দিন যায় রাত আসে, রাতের পর আবার দিন আসে৷ এই যে শরৎ আর কটা দিন পরে বিদায় নেবে এও আবার ফিরে আসবে আর একটা বর্ষা পার করে৷

আসুরী শক্তি করো খর্ব

স্নেহময় দত্ত

বর্ষার জল ভরা মেঘের বিদায়, নীল অম্বর মাঝে শুভ্র মেঘের নিরুদ্দেশে ভেসে চলা, ধরার বক্ষে শ্যামের প্লাবন, ভোরের বাতাসে হিমেল ভাব আর শিউলির সুবাস, শিশিরসিক্ত শ্যামল তৃণরাজি বনে বনে কুশ-কাশের সমারোহ---আনে নতুন এক আমেজ৷ প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্যের এই কালিক পরিবর্তনই বুঝিয়ে দেয় শরৎ এসেছে৷ প্রকৃতির এই পরিবর্তন মানুষের হৃদয়েও আনে পরিবর্তন---আনে আনন্দের জোয়ার---উৎসবের মেজাজ৷ ঋষি প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতে শরৎ ঋতুর বর্ণনায় বলেছেন---

‘‘শরৎ তোমার সুরের মায়ায় আকাশ-বাতাস মাতালো৷

দূর নীলিমার সুধারাশি ধরার জীবন রাঙালো৷৷’’

আরো একটি গানে বলেছেন,

শারদীয়া উৎসব সম্পর্কে দু’চার কথা

প্রভাত খাঁ

শারদীয় উৎসব বা দুর্গোাৎসব হলো বাঙালী জনগোষ্ঠীর জাতীয় উৎসব৷ এই উৎসবে ধনীদরিদ্র নির্বিশেষে এমন কি সকল সম্প্রদায়ের লোকজন মিলিত ভাবেই এই উৎসবে অংশ গ্রহণ করে থাকে৷ তাই এই চারদিনের জন্য সকলেই ব্যাকুল ভাবে অপেক্ষা করে থাকে৷ সমাজের কেউই এই উৎসব থেকে অবহেলিত হয় না৷ এই যে শরৎকালীন উৎসব এটার মধ্যে রয়ে গেছে বাঙালী জনগোষ্ঠীর এক মিলনের সুর৷ যে যেখানেই থাকুক না কেন বাঙালী ঘরমুখো হয়ে বাড়িতে এসে আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে আনন্দে মাতে৷ একই চালচিত্রে আমরা দেখি জগৎজননী স্বরূপিনী মাদূর্গার সঙ্গে আছেন লক্ষ্মী সম্পদের দেবী, সরস্বতী বিদ্যাও জ্ঞানের দেবী আর গণপতি গণেশ ও দেবসেনাপতি কার্ত্তিক৷ আর আছেন মহিষাসুর, এবং দেবাত্মন

রঘুনাথবাড়ি আনন্দমার্গ স্কুল

শ্রীসুভাষপ্রকাশ পাল

আশির দশকে শীতের মরশুমে আনন্দনগরে আনন্দমার্গ হাইস্কুলে পাঠরত পুত্রকে দেখতে গিয়েছি, প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফেরার পালা, হোষ্টেলে সন্ধ্যার আহার সেরে দ্রুত পা চালিয়ে এসে হাওড়াগামী হাতিয়া প্যাসেঞ্জার ধরলাম৷ আরও কিছু যাত্রী ওই ট্রেনে উঠলেন, ট্রেন কিছুটা যাওয়ার পর সবে তন্দ্রা ধরেছে, হঠাৎ কানে এল---জানেন!