স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

নেশার কবল থেকে নিজেকে ও সমাজকে মুক্ত করুন

সমাজবন্ধু

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ৷ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা৷ এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....৷

শাক  (Vegetable)

মানুষ যে সকল সহজলভ্য খাদ্য খেয়ে থাকে তার অন্যতম হচ্ছে শাক৷ শব্দটাই বলে দিচ্ছে শাক মানে তাই–ই যা শক্তি জোগায়৷ তোমরা জান অধিকাংশ শাকেই যথেষ্ট পরিমাণ লোহা থাকে যা রক্ত ৰৃদ্ধির সহায়ক৷ কেবল শাক খেয়েও বেঁচে থাকা যায়৷ তবে শাকের পুষ্টি মূল্য আয়তনের তুলনায় কম৷ বাংলায় ‘শাক’ শব্দটি অত্যন্ত সীমিত অর্থে চলে৷ আমরা শাক বলতে ৰুঝি পালং শাক, নটে শাক, শুশুনি শাক প্রভৃতিকে৷ কিন্তু আসলে cereal বা মূল ভোজ্যের পাশে যা কিছু পার্শ্বভোজ্য (রন্ধনের পদ বা রেস্তোরাঁর মেনু) আছে সবাই শাক পর্যায়ভুক্ত৷ অর্থাৎ শাক মানে যে কেবল ‘সাগ’ হিন্দিতেৰ তাই নয়, সব রকমের শাক–সব্জীও শাক৷ অর্থাৎ যে বস্তু মোটামুটি বিচারে vegetable  পর্যায়

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরৰৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ হ’ল চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেৰু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে) অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢ়েলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেৰুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়াৰ প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ৰেলের শরৰৎ, আমপোড়ার শরৰৎ সর্দ

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরৰৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ হ’ল চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেৰু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে) অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢ়েলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেৰুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়াৰ প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ৰেলের শরৰৎ, আমপোড়ার শরৰৎ সর্দ

জলের বিশুদ্ধতা

জলম্, নীরম, তোয়ম্, উদকম, কম্বলম, পানীয়াম–জলের এই ক’টি হল পর্যায়বাচক শব্দ৷ জল শব্দটিকে তৎসম রূপেই ৰাংলায় ব্যবহার করি৷ যার মানে– any kind of water (যে কোন প্রকারের জল)৷ ‘নীর’ মানে সেই জল যা অন্যকে দেওয়া যায় ‘তোয়’ মানে যে জল উপচে পড়ে ‘উদক’ মানে যে জল খুঁড়ে পাওয়া যায় ‘কম্বল’ মানে যে জল ওপর থেকে পড়ে ‘পানীয়’ মানে যে জল পান করবার যোগ্য, খাল–বিল–নালার জল নয়৷ ৰাংলা ভাষায় ‘জল’ ও ‘পানী’ দুটো শব্দই চলে৷ জল শব্দটি তৎসম, আর পানী শব্দ ‘পানীয়ম’–এর তদ্ভব রূপ৷ ‘জল’ মানে যে কোন জল–ড্রেনের জল, পুকুরের জল, ফিল্টার করা কলের জল–সবই৷ তবে drinking water বললে তার জন্যে ৰাংলা হবে পানীয় জল বা পানী৷ মনে রাখবে, যে কোন জ

যোগ ও স্বাস্থ্য

 যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি! কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই ট্টবলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

দধি ও ঘোলপান

যে ক্রমি (ব্যাকটিরিয়া) দুধকে দইয়ে রূপান্তরিত করে দধ্যম্লের (দম্বল বা জোড়ন) সাহায্যে সে ক্রমি স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের শত্রু নয়৷ তবে (দইয়ে) সেই ক্রমির মৃতদেহের প্রাচুর্য ঘটলে তখন তা মানুষের পক্ষে শত্রু হলেও হতে পারে৷ পচা দইয়ে সাধারণতঃ এই ধরনের ব্যাপার ঘটে৷ তাই দইয়ে দুর্গন্ধ দেখা দিলে তা কিছুতেই ভক্ষণ করা উচিত নয়৷ দই তাজা অবস্থায় থাকলে এই ধরণের ক্রমির মৃতদেহ কম থাকে৷ দধিতে (তো মিষ্ট দধিই হোক আর অম্ল দধিই হোক) লবণ সংযোগ করলে মৃত ক্রমির বিরুদ্ধাচারণ কিছুটা প্রতিহত হয়৷ তাই ‘‘দধি লবণেন সহ ভক্ষয়েৎ৷’’

স্থূলতা

লক্ষণ ঃ মানুষের শরীরের পক্ষে মেদ একটি অত্যাবশ্যক ধাতু৷ মেদ না থাকলে অস্থি ও মাংসের স্বাভাবিক ক্রিয়াশীলতা এই মুহূর্ত্ত অব্যাহত থাকতে পারে না৷ কিন্তু এই মেদ যখন প্রয়োজনের মাত্রা ছাড়িয়ে বৃদ্ধি পায়, তখন তার ফলে সমস্ত শরীর যন্ত্রই অপটু হয়ে পড়ে৷ এই অবস্থার নাম মেদবৃদ্ধি বা স্থূলতা৷

চশমা কেন প্রয়োজন

ডাঃ আলমগির

কোন কারণে দৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে যদি কম হয়, কিন্তু দৃশ্যমান কোনও গঠনগত পরিবর্তন বা কোনও রোগ যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে সে দৃষ্টির উন্নয়ন সম্ভব৷ তখন একে রিফ্রাকটিভ এরর বা পাওয়ার জনিত দৃষ্টি স্বল্পতা বলা হয়৷ এটি সাধারণত চার ধরনের হয়৷

গরল ও কাউর (একজিমা)

লক্ষণ ঃ ক্ষত থেকে রসস্রবণ, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও দপদপানির ভাব, প্রতি বৎসরই রোগের পুনরুদয়, রোগজনিত শারীরিক দুর্বলতা ও মধ্যে মধ্যে জ্বর, সময় সময় রোগের অতি প্রকোপের ফলে দেহের অস্থি পর্যন্ত বেরিয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ৷