গরল ও কাউর (একজিমা)
লক্ষণ ঃ ক্ষত থেকে রসস্রবণ, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও দপদপানির ভাব, প্রতি বৎসরই রোগের পুনরুদয়, রোগজনিত শারীরিক দুর্বলতা ও মধ্যে মধ্যে জ্বর, সময় সময় রোগের অতি প্রকোপের ফলে দেহের অস্থি পর্যন্ত বেরিয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ৷
লক্ষণ ঃ ক্ষত থেকে রসস্রবণ, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও দপদপানির ভাব, প্রতি বৎসরই রোগের পুনরুদয়, রোগজনিত শারীরিক দুর্বলতা ও মধ্যে মধ্যে জ্বর, সময় সময় রোগের অতি প্রকোপের ফলে দেহের অস্থি পর্যন্ত বেরিয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ৷
তুলসীর পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বিশ্বে এক শতাধিক প্রজাতির তুলসী বা চ্ত্রব্দন্প্ত বর্গীয় গাছ রয়েছে৷ তুলসী জন্মায় আইবেরিয়ায় (স্পেন ও পর্তুগাল) সবচেয়ে বেশী৷ ৰাঙ্গালীস্তানের মাটি, জল, আবহাওয়া তুলসীর পক্ষে খুবই উপযোগী৷ শুধু ৰাঙ্গালীস্তান নয়, সমগ্র ভারতের প্রতি গৃহেই তুলসীর গাছ রাখার বিধি, এর ঔষধীয় গুণের কথা ভেবেই৷ সমগ্র তুলসী বর্গীয় গাছের একটা নিজস্ব বর্ণ–গন্ধ আছে৷ যদিও সকল রকম স্বভাবের তুলসীর ৰীজ অনেকটা এক ধরনের ও তুলসী বর্গের মূল গন্ধ সবাইতে আছে, তবুও সবাইকারই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে নিজস্ব গন্ধও আছে৷ যে কয়েক প্রজাতির তুলসী ৰাংলার একেবারে স্থানীয় অর্থাৎ ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়, তাদের মধ্যে রাধাতুলসী ও
খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা
ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি নাম-করা ফল৷ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘কণ্টকীফলম’ থেকে অর্থাৎ যে ফলের গায়ে কাঁটা আছে৷ ফল শব্দে ‘ল’ অন্তস্থ ল (lra)৷ তাই স্বাভাবিক নিয়মে ‘কাঁটাল’-এর ‘ল’ অন্তঃস্থ ‘ল’ ‘হওয়া’ উচিত কিন্তু আসলে তা নয়৷উত্তর ভারতের সব কয়টি ভাষাতেই একে আদি ‘ল’-এর মত উচ্চারণ করা হয়৷ তাই লেখবার সময় আদি ‘ল’(la) দিয়ে লেখাই সঙ্গত৷ যা সংস্কৃত তৎসম নয় ও যার উচ্চারণও আদি ‘ল’ (la)-এর মত তাকে জোর করে অন্তঃস্থ-‘ল’ (lra) ব্যবহার করতে যাৰ কেন? তবে অনেকে ভূল করে কাঁটালকে ‘কাঁঠাল’ লেখেন৷ ৰাংলা ভাষায় কিন্তু এই ভুল বানান ‘কাঁঠাল’ লেখার প্রথা অনেকদিনের ‘পুরোনো’ ৰাংলা হেঁয়ালিতে আছে---
মাইক্রোবাইটাম ও দধি ঃ
নিয়মিত ও সময়মত ব্যায়াম করলে লিভারের ক্যানসারের প্রতিরোধের সম্ভাবনা বাড়ে৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা করে এর ফল পাওয়া গেছে৷ হেপাটোসেলুলার কারকিনোমা (এইচ সি সি) বা লিভার ক্যানসারের প্রতিরোধ করার জন্যে কিছু রোগীকে পরীক্ষামূলকভাবে আসন করানোর ফলে রোগীরা চমৎকার ফল পেয়েছেন৷ গবেষকরা বলেছেন এটা তাদের মধ্যে দারুণ আশা জাগিয়েছে৷ উল্লেখ্য এইচ সি সি লিভার কোষে ক্যানসার হতে সহায়তা করে৷ আর লিভার ক্যানসার এমন এক রোগ যাতে সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ মারা যায়৷ এইচ সি সি পুরুষের শরীরে ক্যানসার বিস্তারের পঞ্চম সাধারণ কারণ হিসেবে পরিচিত, মেয়েদের বেলায় সাধারণত অষ্টম কারণ৷ গবেষণার শ
ভারতে সাধারণতঃ তিন ধরনের মউমাছি দেখা যায়– রক্–ৰী, ৰুশ–ৰী ও এপিস ইণ্ডিকা৷ রক–ৰী ৰড় জাতের মউমাছি, মধু প্রস্তুত করে প্রচুর পরিমাণে৷ চাক ৰড় ৰড়, সাধারণতঃ বটগাছে বা ৰড় ৰড় গাছের ডালে চাক ৰাঁধে৷ অনেক সময় চাক এত ৰড় হয় যে চাক ফেটে টস্ টস্ করে মধু মাটির ওপরে পড়তে থাকে৷ রক–ৰীর দ্বারা তৈরী মধু একটু ঝাঁঝাল হয়৷ এই মধু উগ্রবীর্য নামে খ্যাত৷ মানুষের প্রাণশক্তি যেখানে কমে এসেছে –মৃত্যুর হিমশীতলতা যেখানে তার অবসন্ন দেহে নেবে এসেছে, অনেক সময় সেই অবস্থায় এই উগ্রবীর্য মধু নোতুন করে প্রাণসঞ্চার করে দেয়৷ প্রাণশক্তি কমে যাওয়া মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে যদি কোন রক্তক্ষয়ী রোগ না থাকে, তবে তিনটে কৃষ্ণতুলসীর পাতার সঙ্গে
‘‘অজীর্ণরোগে তরলভেদে দধি ও কোষ্ঠকাঠিন্যে চীনী সহ মহিষী দুগ্ধের ঘোল৷ মনে রাখতে হৰে ঘোল জিনিসটা ডিস্পেপসিয়া (অজীর্ণ) রোগীর পক্ষে বিশেষ হিতকারী৷’’
‘‘অম্লরোগীর পক্ষে ঘোল বিশেষ উপকারী, দধি বিশেষ হিতকারী নয়৷’’
‘‘অর্শ রোগী দু’বেলা এক গ্লাস করে ঘোল খাবে৷’’
সয়াবীন একটি প্রচুর স্নেহগুণ–যুক্ত উত্তম খাদ্য৷ কিন্তু এতে রয়েছে কিছুটা বুনো গন্ধ৷ এর আদি বাস চীন ও উত্তর পূর্ব এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে৷ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে একে স্তুন্দ্ব–প্সস্তুপ্সব্ভ (দুর্গন্ধনাশক) করতে পারলে এর জনপ্রিয় হওয়ার পথে কোন ৰাধা থাকে না৷
পৃথিবীতে তরমুজের অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ ভারতীয় তরমুজের ওপর–শাদা, ওপর–সবজে ও ওপর–কালচে–তিন প্রজাতিই রয়েছে৷ সাধারণতঃ ভারতীয় তরমুজের ভেতরটা ঘোর লাল অথবা ফিকে লাল হয়ে থাকে৷ গোয়ালন্দ, আমতা, তারকেশ্বর, ৰর্দ্ধমান, ভাগলপুর ও সাহারাণপুরের তরমুজেরও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ আকারে সবচেয়ে ৰড় হয়ে থাকে ভাগলপুরী তরমুজ৷ যার ভেতরটা হলদে সেই চীনা তরমুজের আকার কিছুটা ছোট হয় কিন্তু মিষ্টত্ব খুবই বেশী৷ বর্ত্তমানে সাৰেকী জাপানী বর্গীয় তরমুজ দক্ষিণ ৰাংলায় সমুদ্র–ঘেঁষা অঞ্চলে ভালই জন্মাচ্ছে–এর স্থানিক নাম দেওয়া হয়েছে সাগরশ্রী৷ উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ৰলেন তরমুজের আদি বাসস্থান নাকি আরব দেশে৷ অনুমিত হয় জলপথে এই তরমুজ কলিঙ্গ দে