স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

গোলমরিচ

গোলমরিচকে প্রাচীনকালে কথ্য সংস্কৃতে ক্ষলা হত ‘‘কটূবীজম’’৷ গোলমরিচের আদিবাস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া৷ উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া গোলমরিচের অতি প্রিয়৷ হাওয়াতে–মাটিতে–জলে একটু নোনতা ভাব থাকলে তো সোণায় সোহাগা৷ মোটামুটি বিচারে ধরে নেওয়া যেতে পারে নারকোল, পান, চৈ, গোলমরিচ কতকটা একই ধরনের আবহাওয়া চায়৷ এই জন্যে আমরা দেখতে পাই অনেক ক্ষেত্রে লোকে গোলমরিচের লতা নারকোল গাছের ওপর তুলে দেয়৷ গোলমরিচ ভারত তথা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি অন্যতম ফসল ও যথেষ্ট গুণযুক্ত একটি মশলা৷ গোলমরিচ একটি সংরক্ষণযোগ্য বীজ ঙ্শুকিয়ে রাখা যায় দীর্ঘদিন৷ দক্ষিণ বাংলা, পূর্ব বাংলা ও উত্তর বাংলার আবহাওয়া নারকোল, চৈ ও গোলমরিচ–তিনেরই উপযোগী৷ পূর

গুড়–ছোলাভিজে–আদা–মুড়ি

কর্মে উৎসাহহীনতা দূর করতে আদা ঃ যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়–ছোলাভিজে–আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ মুড়িতে যে পেট–ফাঁপার দোষ আছে, আদার সঙ্গে মুড়ি খেলে সে দোষটা থাকে না৷ তাই যেখানে জলখাবারে মুড়ির প্রচলন, সেখানে উচিত মুড়ির সঙ্গে দু’–চারটে আদা–কুচি খেয়ে নেওয়া৷

               ‘‘মুড়ির সঙ্গে নারকোল কুরো আর আদা কুচি

               গপাগপ খাবে দাদা ফেলে দিয়ে লুচি৷’’

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যের আঁশ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় Dietary fibre বা খাদ্যের আঁশের ওপর বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে৷ কারণ বহু সমীক্ষার পর দেখা গেছে, খাদ্যের আঁশ দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়, পাকস্থলীতে বেশীক্ষণ থাকে, কোলেষ্টেরল ও ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা কমায়, ওজন ও রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ এই কারণে প্রাচীন সমাজে ডায়াবেটিস রোগীদের অধিক পরিমাণে আঁশ ও স্বল্প পরিমাণে সহজ শর্করা দিয়ে চিকিৎসা করা হতো৷

ফিট বা তড়কা

 ছন্দা বসু

আজকাল বেশীর ভাগ বাচ্চাদের জ্বর হলেই তড়কা বা কনভাল্শন হচ্ছে৷ এতে স্বাভাবিকভাবেই বাবা–মায়েরা ভয় পান, নার্ভাস হয়ে পড়েন৷ বেশ কিছুদিন আগেও এ বিষয়ে মানুষের ধ্যান ধারণা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন৷ তখন তড়কা বা ফিট হলেই লোকে ভাবত ভূতে পেয়েছে৷ মানুষ ছুটত ওঝার কাছে৷ তখন ওঝাই ছিল এই রোগের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসক৷ যে পদ্ধতিতে এর চিকিৎসা করা হত সেটাও ছিল বীভৎস, কষ্টদায়ক ও অমানুষিক৷ ক্রমশঃ মানুষ সভ্যতার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল৷ চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এল পরিবর্তন৷ চিকিৎসা পদ্ধতিও হ’ল আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত৷ সাধারণতঃ বেশী জ্বর, শরীরে জল কমে যাওয়া, মৃগী আর মেনিনজাইটিস থেকে এই তড়কা বা ফিট হয়৷ ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস থেকেও ফিট

পটোল ও  ডালিমের উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ পটোল উত্তর–পূর্ব ভারতের একটি মুখ্য সব্জী৷ কারণ এর আদি বাস পূর্ব ভারতে–বিশেষ করে গঙ্গা অববাহিকার সাহেবগঞ্জ, মালদা, নদীয়া ও রাজমহল এলাকায়৷ এছাড়াও পটোল বেশী পাওয়া যায় রাঢ়, সমতট, মিথিলা (বিহার) ও উৎকলে (ওড়িষ্যা)৷ পটোল একটি ইন্ডিকা বর্গীয় গাছ৷ বাংলায় একে পটোল বলে, সংস্কৃতেও ‘পটোল’৷ মগহীতে শাদা রঙের পটোলকে বলা হয় পটোল কিন্তু সবুজ রঙের পটোলকে বলা হয় ‘পরবল’৷ ভোজপুরীতে বলা হয় ‘পরুরা’ বা ‘পরোরা’৷ মৈথিলীতে ‘পরোর’, হিন্দীতেও ‘পরবল’, আর ইংরেজীতে বলা হয় wax gourd õ± squart gourd । মোটামুটি বিচারে পটোলের চারটি প্রজাতি আছে৷ তার তিনটি প্রজাতিই বাংলার৷ মাত্র একটি প্রজাতি বি

শরীরের উপযোগী খাবার

ডাক্তারবাবু

কয়েক বছর ধরে যে কোন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেই নারীদের একটি বিশেষ স্থান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ এমনকি খাদ্য সচেতনতার ক্ষেত্রেও এটি লক্ষ্য করা যায়৷ তাই দেখা যায় তথ্য সরবরাহ করা হয় নারীর প্রয়োজনীয় খাদ্য কি হবে এ ব্যাপারে৷ এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনি হয়ত প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করছেন, গর্ভকালীন অবস্থায় ‘ফলিক এসিড সাপ্লিমেণ্ঢ’ নিচ্ছেন–ও ভাবছেন শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় সব খাবারই খাওয়া হয়েছে৷ কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু খাবার আছে, যার কার্যগুণ সম্পর্কে হয়ত আপনার কোন ধারণা নেই৷ যেমন ঃ কেবোল পাস্তা/ নুডুলস আপনার ক্লান্তি দূর করে আবার বাঁধাকপি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে৷

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য

দিনের পর দিন যদি শিশুর পায়খানা না হয় অথবা তার পায়খানা যদি অস্বাভাবিক শক্ত, শুষ্ক্ ও নিষ্কাশনে কষ্ট হয় তবে বুঝতে হবে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে৷ একেক জনের পায়খানার ধরণ একেক রকম৷ তবে সাধারণভাবে সপ্তাহে তিনবারের কম কষ্টদায়ক পায়খানা হলে সেটাকে কোষ্ঠাকাঠিন্য বলা চলে৷ কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ কী? শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ তবে বেশ কিছু বিষয়কে কোষ্ঠাকাঠিন্যের জন্যে দায়ী করা হয়৷

সঠিক কৌশলে না খাওয়া

শিশুর ডেঙ্গু জ্বর

শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের প্রকাশ বয়স অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে৷ এমনকি এক শিশুরোগী থেকে অন্য শিশুতে উপসর্গের নানা অমিল লক্ষ্য করা যায়৷ ইনফ্যাণ্ঢ বা অল্পবয়সী শিশুতে এ রোগের চেহারা চিনতে পারা তত সহজ নয়৷ যেমন, এ অসুখে ভুগছে অথচ তার প্রকাশভঙ্গী অন্য রকম৷ এক থেকে পাঁচ দিনের জ্বর, গলায় প্রদাহের নমুনা, সর্দি ও সামান্য কাশি৷ মনে হবে হয়তো বা শিশুটি অন্যান্য ভাইরাসজনিত সর্দিজ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের কোনো অসুখে অক্রান্ত৷ তবে বড় শিশুর ক্ষেত্রে এ রোগের প্রকাশভঙ্গীটি কিছু স্বচ্ছ যেমন হঠাৎ করে জ্বর এল৷ বেশী জ্বর ১০৩০ থেকে ১০৬০ ফারেনহাইটের মধ্যে৷ সঙ্গে সাধারণত মাথার সামনে ও চোখের গর্তে গর্তে খুব ব্যথা অনুভূ

যৌগিক চিকিৎসা ও দ্রব্যগুণের মাধ্যমে বহুমূত্র রোগের নিরাময়

লক্ষণ ঃ ঘন ঘন মূত্রত্যাগের ইচ্ছা, মূত্রনালীতে জ্বালা, ঘন ঘন পিপাসা ও মুখে মিষ্টি স্বাদ, পেশাবে মাছি বা পিঁপড়ে বসা, মাথা ধরা, চর্ম শুস্ক্ ও ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, অল্প বয়সে চেহারা বৃদ্ধের মত হয়ে যাওয়া, সর্বাঙ্গে জ্বালাপোড়া প্রভৃতি লক্ষণের সমাবেশই এই রোগের লক্ষণ৷ প্রায়ই দেখা যায় এই রোগে চোখে ছানি পড়ে৷