বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ড্ডন্ন্দ্বব্ধ্ত্রব্জম্ভ ন্দ্রন্ত্ব্ব্জন্দ্ব বা খাদ্যের আঁশের ওপর বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে৷ কারণ বহু সমীক্ষার পর দেখা গেছে, খাদ্যের আঁশ দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়, পাকস্থলীতে বেশীক্ষণ থাকে, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা কমায়, ওজন ও রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ এই কারণে প্রাচীন সমাজে ডায়াবেটিস রোগীদের অধিক পরিমাণে আঁশ ও স্বল্প পরিমাণে সহজ শর্করা দিয়ে চিকিৎসা করা হতো৷
খাদ্যের আঁশ দু’ধরনের হয়৷ দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়৷ দ্রবণীয় আঁশ হ’ল ঃ বেসন, পেপটিন (যা ফলের খোসায় থাকে), গুয়ার গাম (এক প্রকার শিম বীজের নির্যাস) ৷ অদ্রবণীয় আঁশ হ’ল ঃ সেল্যুলোজ (যা সবজি ও শস্যজাতীয় খাবারে থাকে) ৷ যেমন গম বা ভুট্টার খোসা, লাল চাল, আঁশযুক্ত সবজি ও খোসাসহ ফল৷ খাদ্যের আয়তন বৃদ্ধিতে অদ্রবণীয় আঁশ বেশ সহায়ক৷
উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার স্বকীয়ভাবে দেহে শোষিত হয়ে ক্যালরি কমিয়ে মানুষকে কৃশকায় রাখতে সাহায্য করে৷ কারণ আঁশযুক্ত খাবার খেতে সময় বেশী লাগে বলে কম খেয়ে তৃপ্তি আসে৷ পাকস্থলী ধীরে ধীরে শূন্য হয় বলে রুগীদের অতিরিক্ত খাবারের আগ্রহ কমে যায়৷ রাসয়ানিক আঁশের চেয়ে উদ্ভিজ আঁশ খুব বেশী উপকারী বা অস্তিত্বসম্পন্ন৷ যেমন, ভুষি ও ভুষিযুক্ত শস্য, ভুট্টা, শুকনা শিম, মটরশুঁটি, বরবটি, ডাল, ভুষিযুক্ত পাউরুটি (ব্রাউন ব্রেড), লাল চাল, শুকনা ফল যেমন বাদাম, খেজুর, খোরমা, শাক, খোসাসহ আলু, তাজা ফল ইত্যাদি৷ বেশ কয়েকটি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে উচ্চ আঁশ কাজ করে৷ যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, কোলন ও রেকটামের ক্যান্সার, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস, গলস্টোন, ওজনাধিক্য, দন্তক্ষয় ইত্যাদি৷ উচ্চ আঁশ সুস্বাদু, সস্তা ও পুষ্টিকর৷ আমরা সাধারণত যে ভাত খাই তা খুবই মসৃণ৷ এজন্যে লাল চাল খুবই ভালো৷ এতে প্রচুর আঁশ রয়েছে৷ মূল জাতীয় সবজির মধ্যে গাজর, আলু, মিষ্টি আলু, মূলা, শালগম, কচু এগুলোতে আঁশ বেশী থাকে৷ শস্য ও ডাল হ’ল বীজ জাতীয় খাবার৷ এগুলোকে প্রাকৃতিক আঁশ বেশী থাকে৷ আটার ভুষিযুক্ত পাউরুটিতে অল্প পনির ও সবজি দিয়ে স্যাণ্ডউইচ করলে তা বেশ আঁশযুক্ত খাবার হবে৷
বিভিন্ন ধরণের আঁশ দেহে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকে৷
১৯৯১ সালে লণ্ডনের ডিপার্টমেণ্ট অব হেলথ পাবলিকেশনের ডায়টারি রেফারেন্স ভ্যালুতে গাইড জেনি স্যানমন খাদ্যের আঁশের একটি নতুন নাম দেন৷ সেটা হ’ল এন এস পি ত্ত্বপ্সু ব্দব্ধ্ত্রব্জন্তুড় হ্মপ্সপ্তম্ভব্দ্ত্রন্তু৷ এর সম্পর্কে সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের একটি নিবন্ধে চমৎকার একটি উপসংহার পাওয়া যায়৷
ড্ড প্রতিদিন নিয়মিত আঁশ গ্রহণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো৷ ড্ড এন.এস.পি রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে৷ ড্ড আঁশের ভালো উৎস গমের ভুষিতে থাকে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও কপার৷ ড্ড যদি প্রতিদিন ১২ গ্রামের কম এন এস পি গ্রহণ করা হয়, তাহলে মলত্যাগে বেশ অসুবিধা হয়৷ যার সঙ্গে জড়িত রেকটাম ক্যান্স্যার ড্ড এন এস পি রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে৷ ড্ড প্রতিদিনের সম্পূর্ণ খাবারের মধ্যে ৩২ গ্রামের মত নন স্টার্চ পলি স্যাকারাইডস্ থাকা উচিত৷
- Log in to post comments