প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতা, এবং তাতে সফল হলে মোটা টাকার পুরস্কার ঘোষণা করল নাসা৷ চাইলে যে কেউই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন৷ পুরস্কারমূল্য ৩০ লক্ষ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৬ কোটি টাকা৷ তবে প্রতিযোগিতায় যে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কথা বলা হয়েছে, তা একটু অদ্ভুতই৷ সোজা কথায় নাসা মহাকাশে মানুষের বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তিগত সমাধান খুঁজছে৷ ‘লুনা রিসাইকেল চ্যালেঞ্জ’-এর অংশ হিসাবে, মহাকাশ সংস্থা জনসাধারণকে একটি প্রযুক্তি তৈরির জন্য আহ্বান জানিয়েছে৷ সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাঁদে থাকাকালীন বা দীর্ঘ মহাকাশের উড়ানের সময় নভশ্চরেরা তাঁদের মল, প্রস্রাব এবং বমি পুনর্ব্যবহার করবেন৷ এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ হল মহাকাশে বাড়তি আবর্জনা না বাড়িয়ে তাকে জল, শক্তি বা সারের মতো মূল্যবান সম্পদে রূপান্তরিত করার প্রযুক্তি তৈরি করা৷ ৫০ বছর আগের অ্যাপোলো অভিযানেরই ৯৬ ব্যাগ মানব বর্জ্য পড়ে রয়েছে চাঁদের মাটিতে৷ নাসার এই প্রতিযাগিতার লক্ষ্যই হল মহাকাশে ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলা না বাড়িয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপায় খুঁজে বার করা৷ যদি কোনও প্রযুক্তি নাসার অনুমোদন পেয়ে জয়লাভ করে, তবে সেটিকে ভবিষ্যতের অভিযানগুলিতে ব্যবহার করা হবে৷ এর মধ্যে চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ নাসার ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, তারা দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে৷ ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানে মানুষকে পাঠানোর সময় মহাকাশে কঠিন বর্জ্য-সহ বিভিন্ন বর্জ্যের পরিমাণ কমানো নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি৷ কী ভাবে মহাকাশে বর্জ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং পুনর্ব্যবহার করতে হয়, তার উপায় বার করতে চাইছে নাসা৷ এর ফলে খুব কম পরিমাণ বর্জ্য পুনরায় পৃথিবীতে ফেরত নিয়ে আসতে হবে৷ এই বিষয় নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে বলে নাসা জানিয়েছে৷ নাসা প্রথম দফার জমা হওয়া আবেদনপত্রগুলি পর্যালোচনা করছে এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য এর মধ্যে থেকে সেরাগুলিকে বেছে নেওয়ার কাজ চলছে৷
সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়