সংবাদ দর্পণ

আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩রা নভেম্বর কলিকাতা ভিআইপি নগরে আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে নারী কল্যাণ বিভাগের কার্র্যলয়ে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে পালিত হয়৷ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷

কীর্ত্তনশেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায়ের পর আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে তাঁর একটি স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোণান৷ এরপর দিদি অবধূতিকা আনন্দসুমিতা আচার্যা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন৷ অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে মার্গগুরু দেব রচিত একটি প্রভাত সঙ্গী গেয়ে শোণান৷ এরপর দিদিরা উপস্থিত সকল দাদা ভাইয়ের ফোঁটা দিয়ে সকলের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করেন৷ প্রীতিভোজের পর অনুষ্ঠান শেষ হয়৷ ভারতবর্ষের বাইরেও বিভিন্ন দেশে আনন্দমার্গের ইয়ূনিটে মহাসমারোহে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান পালিত হয়৷

পলতা ঃ গত ৩রা নভেম্বর ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে পলতা আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর ইয়ূনিটের উপস্থিত বোনেরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্র্ঘয়ু কামনা করে৷ মিলিত আহারের পর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷

উত্তর২৪ পরগণার এ্যামার্টের ত্রাণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা নভেম্বর উঃ২৪পরগণা জেলার বনগাঁ মহকুমার বেড়ী গোপালপুরে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিম নড়াদা শাখার পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক ঘূর্ণীঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষের হাতে খাদ্যপণ্য শীতবস্ত্র ও পরণের বস্ত্র, বেবিফুড ইত্যাদি দেওয়া হয়৷

রবীন্দ্রসঙ্গীত বিকৃতির প্রতিবাদে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সম্প্রতি কপিল শর্মা নামক এক হিন্দী অভিনেতা তথা কমেডিয়ানের তথাকথিত কমেডি শো’তে দেখা গেল আমাদের প্রাণের কবি, বিশ্বকবি তথা দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ এই গানটিকে চরমভাবে বিকৃত করা হয়েছে৷ এই ঘটনার চরম নিন্দা জানিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন৷ কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন বলিউডিদের স্বাভাবিক প্রবণতা রয়েছে একটা বাঙালীদের হেয়-প্রতিপন্ন করা৷ কপিল শর্মার শো’তে বাঙালীর প্রাণের সঙ্গে জড়িত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীতকে নিয়ে রসিকতা, কদর্যতা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্বুদ্ধ করতে কবিগুরু ডাক দিয়েছিলেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’ সেই গানের অমর্যাদা বাঙালী জাতি তো বটেই বিশ্বমানবতার ভাবধারার পথিকৃতদের ভাবাবেগে আঘাত করা৷ আসলে এরা বুঝে গেছে বাঙালীকে অপমান, হেয় করাই যায়৷ কারণ বাঙালী স্বজাতির অপমানে নিজেরাই হাসি-তামাশা করতে ভালোবাসে, প্রসঙ্গত বলা ভালো ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন এক জন্মসূত্রে বাঙালী অভিনেত্রী বসে ছিলেন, স্বজাতির অপমান- বিশ্বকবির গানের বিকৃতিতে সে অপমানিত না হয়ে সেই অপমান নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে সেটাকে ‘এনজয়’ করেছেন! পারতো অন্য কোনো জাতির মণীষীদের নিয়ে এইরকম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে হেয় করতে ? অবাক লাগলো বাঙলার মেইনস্ট্রীম মিডিয়া গুলো নীরব থেকেছে, কোন সম্প্রচার নেই! কেন বলুন তো? সবকটা মিডিয়ার মালিক অবাঙালী বেনিয়া৷ বাঙালী ঐক্যবদ্ধ হও, অপমান মুখ বুজে সহ্য করো না৷ আজ বাঙলার রাজধানী কলকাতার অলিতে-গলিতে বাঙালীদের অপমান করা হচ্ছে৷ এসব মুখ বুজে সহ্য করতে করতে নিজভূমে পরবাসী হয়ে উঠেছি আমরা! আর কত? কতদিন মুখ বুজে থাকবো? আজ রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে হাসি তামাশা করছে, কালকে তোমার মা-বোন-দিদি-বউ কে নিয়ে প্রকাশ্য হাসি ঠাট্টা চলবে, রাস্তায় নামিয়ে নিয়ে আসবে৷ বাঙালী ঘরে বসে এসব সহ্য করবে৷

আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে আমাদের দাবী ইচ্ছাকৃত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপমান তথা বাঙালী জাতিকে চরম ভাবে অপমান করার জন্যে অবিলম্বে ওই কমেডি শো’দের সমস্ত অধিকর্তা সহ অভিনেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে৷

খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে হাহাকার কর্র্পেরেট অর্থনীতির পৃষ্ঠপোষক দেশের সরকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিছুদিন আগেই ঘোষনা করেছিল খাদ্যপণ্যের খুচরো দাম কমার আশা নেই৷ তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নীচে থাকবে৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের অনুমান ভুল প্রমাণ করে গত ১৩ই নভেম্ভর প্রকাশিত খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবর মাসে ৬ শতাংশ পার করে দিয়েছে৷ অক্টোবর মাসে দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬.২১ শতাংশ যা গত ১৪ মাসে সর্বোচ্চ৷ এই পরিসংখ্যান বলে দেয়, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমাতে সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোন ব্যবস্থাই কার্যকর হয়নি৷ কাঁচা সবজি থেকে ভোজ্যতেল মধ্যবিত্তের ব্যবহার্য খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমার কোন আশা আপতত নেই৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই দেশের নেতারা ভুল নৌকার সওয়ারি হয়েছেন ও দেশকেও ভুল পথে নিয়ে চলেছেন৷ এক্ষেত্রে নেহেরু থেকে নরেন মোদি প্রতিটি শাসকই একই পথের পথিক৷ তাই শুধু আর্থিক দুরাবস্থাই নয়, বৈচিত্রময় ভারতীয় জীবনধারা, ভাষা কৃষ্টি, সংস্কৃতি দেশের প্রাণধর্ম বিপন্ন হয়েছে৷ পাশাপাশি পাশ্চাত্ত্যের ভাবধারার অন্ধ অনুকরণ করতে গিয়ে সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক অধঃপতন জীবনযাত্রার মানকে দিন দিন নিম্নমুখী করছে৷

এই অবস্থায় দেশ আজ চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন৷ বর্তমান সরকারের ঘাড়ে আবার একের ভুত চেপেছে৷ একের বকলাম দেশে হিন্দুত্বের শাসন কায়েম করতে চায়৷ যা বহু ভাষাভাষীর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কাছে এক অশনী সংকেত৷ শ্রী খাঁ আরও বলেন রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, দেশবাসীর চাই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা৷ কিন্তু  কর্র্পেরেট অর্থনীতির পৃষ্ঠপোষক দেশের সরকার, সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখে না৷ রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলে রাখতে পারলেই তারা খুশি৷ ধনীদের মুনাফা লোটার ব্যবস্থা করতেই ব্যস্ত থাকে অর্থের বিনিময়ে৷

খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোখা সম্ভব নয় বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষনা মুনাফা খোরদেরই সুবিধা করে দিয়েছে৷ শ্রীখাঁ বলেন দেশকে এই বিপর্যয়ের  হাত থেকে রক্ষা করতে হলে প্রাউটিষ্টদের প্রথমে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সামাজিক,অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক চেতনা জাগাতে হবে৷ তবেই সম্ভব হবে বর্তমান অর্থনীতির খোল-নলচে পাল্টে বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাধারণের হাতে অর্থনৈতিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া৷

তিনি প্রাউটিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন---রাজনৈতিক ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হলে ব্যাপক সমাজ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে কিন্তু প্রাউটিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে মানুষে চেতনা না জাগলে প্রাউটের সমাজ আন্দোলনও সফল হবে না৷

সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলই হবে শোষণ থেকে রক্ষাকবচ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছিল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমানো এখনই সম্ভব নয়৷ একটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে অক্টোবর মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব শ্রী তপময় বিশ্বাস বলেন--- পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত শাসন ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ কখনই আর্থিক সচ্ছ্বলতার মুখ দেখতে পায় না৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেভাবে খাদ্যপণ্যের  মূল্যবৃদ্ধি কমানো যাবে না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন তাতে মুনাফাখোররা আরও সুযোগ পেয়ে যায়৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত, পুঁজিবাদের অর্থে পালিত দেশের সরকার কখনই সাধারণ মানুষের  কথা চিন্তা করে না৷ আমরা বাঙালী সংঘটন দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে আন্দোলন করে আসছে৷ কিন্তু পুঁজিবাদের অর্থে পালিত রাজনৈতিক দলগুলি মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আমরা বাঙালীর আন্দোলন থেকে দূরে রাখছে৷ এইসব দলগুলি আমরা বাঙালীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে, আবার অসমে অসম গণপরিষদ, তেলেঙ্গানায়--- তেলেগুদেশম্‌ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাদেশিক দলগুলির সঙ্গে আঁতাত করছে যারা আক্ষরিক অর্থে প্রকৃত বিচ্ছিন্নতাবাদী৷ শ্রী বিশ্বাস বলেন---আমরা বাঙালী কোন তথাকন্ঠিত বিচ্ছিন্নতাবাদী দল নয়৷ আমরা বাঙালী একটি সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলন---যার লক্ষ্য বিশ্বের প্রতিটি শোষিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর আর্থিক ও সর্বপ্রকার শোষনের হাত থেকে মুক্তি৷ তাই আমরা চাই প্রাউট নির্দেশিত পথে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সমস্যা, সম্ভাবনা ভৌগোলিক অবস্থান ভাষা-কৃষ্টি-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুযায়ী সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে সর্বপ্রকার শোষণকে দূর করা৷ ভারতবর্ষে এই ধরণের ৪২টি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘটিত হবে৷ মনে রাখতে হবে পঞ্জাবের সমস্যা ও পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা এক নয়৷ আবার কশ্মীরের সমস্যা ও কর্ণটকের সমস্যা এক নয়৷ তাই প্রতিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থানীয় সমস্যা গুলিকে দূর করে সেখানকার সম্পদের সার্বিক উপযোগ গ্রহণ করে এক একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে৷ প্রতিটি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলের আর্থিক ক্ষমতা থাকবে স্থানীয় মানুষের হাতে৷ ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান করে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে৷ এই সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিই হবে সর্বপ্রকার শোষণের রক্ষা কবচ৷

মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ব্যালট পেপারে স্থান পেল বাংলা ভাষা৷ মোট ৬০টি নির্র্বচন কেন্দ্রের ব্যালটে বাংলা ভাষা থাকবে৷ মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এশিয়ার চারটি ভাষা স্থান পেয়েছে৷ বাংলা ছাড়াও থাকছে কোরিয়ান, চিনা ও স্প্যানিশ ভাষা৷

নিউইয়র্ক শহরে দুই বাঙলা মিলে লক্ষাধিক বাংলা ভাষী আছে৷ আমেরিকায় বসবাসীকারী বাঙালীর ৪০ শতাংশই থাকে নিউইয়র্কে৷ নিউইয়র্কের বোর্ড অব ইলেকশনের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জে রায়ান বলেন--- আইন মেনেই নিউইয়র্ক শহরে কিছু নির্বাচন কেন্দ্রে বাংলা ভাষাকে স্থান দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন--- ভারত বহুভাষীর দেশ৷ এশিয়ার ভাষাগুলির মধ্যে একটি ভারতীয় ভাষা থাকার প্রয়োজন ছিল৷ অনেক আলোচনার পর বাংলাকে স্থান দেওয়া হয়েছে৷ ব্যালটে বাংলা থাকায় আমেরিকায় বসবাসকারী দুই বাঙলার বাঙালীদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ বাড়বে৷

 

মহাকাশে ১৫০ দিন পার সুনীতার, তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত নাসা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সম্প্রতি নাসার পক্ষে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়৷ সেই ছবিতে সুনীতার চেহারার অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ণ হয়ে পড়েন বিশ্ববাসী৷ সুনীতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে কি না তা নিয়েও সকলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সমাজমাধ্যমে৷ অবশেষে সকলের দুশ্চিন্তা কাটিয়ে নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন সুনীতা৷

এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানান, মহাকাশে প্রায় ১৫০ দিন পার করে ফেলেছেন৷ দীর্ঘ দিন মহাকাশে থাকার ফলে শরীরে বেশ কিছু তরল পদার্থ সংক্রান্ত পরিবর্তন হয়েছে৷ যে কারণে চেহারার এমন বদল ঘটেছে৷ সুনীতা আরও জানান, তিনি একদম সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন৷ চিন্তার কোনও কারণ নেই৷ তিনি ছবির বিষয় বলেন, ‘‘মহাকাশে শরীরের তুলনায় আমাদের মাথা অনেক বড় দেখতে লাগে৷ তার কারণ আমাদের শরীরের মধ্যে যে সব তরল পদার্থ আছে তা সমান ভাবে বইতে পারে না৷ মস্তিস্কে জমা হয়৷ তরল সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তনের কারণেই ছবিতে অন্য রকম দেখতে লাগছিল আমায়৷’’ গবেষণা বলছে, মহাকাশে থাককালীন শারীরিক অনেক পরিবর্তন হয়৷ ওজন কমতে থাকে৷ শরীরে স্বাভাবিক পদ্ধিতে তরল বয়ে যেতে পারে না৷ তরলের গতিবিধি বদলায়৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তরল মস্তিস্কে জমতে থাকে৷ এর ফলে শরীরে অস্বাভাবিক চাপ তৈরি হয়৷ এর ফলে দৃষ্টিক্ষীণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷

গত ৫ জুন ফ্লরিডা থেকে সুনীতাদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার৷ গন্তব্য ছিল মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন৷ সেই সময় সুনীতার ওজন ছিল ৬৩ কেজি৷ দিন যতই গড়িয়েছে ওজন ক্রমেই কমেছে সুনীতার৷ মহাকাশে ওজন স্থিতিশীল রাখতে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয় মহাকাশচারীদের৷ শুধুমাত্র ওজন বজায় রাখার জন্য মহাকাশ সফরের সময় প্রতি দিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ক্যালোরির খাবার খেতে হয় নভোচরদের৷ সেই পরিমাণ খাবার শরীরকে না দিলে শরীর ভাঙতে শুরু করে ও দ্রুত ওজন কমতে থাকে৷ অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ করে পেশি এবং হাড় শক্তিশালী রাখতে মহাকাশচারীদের প্রতি দিন দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয়৷ সুনীতার সাম্প্রতিক ছবিগুলি প্রকাশ্যে আসার এক মাস আগেই নাসার চিকিৎসকেরা তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বিগ্ণ হয়েছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলিতে বলা হয়েছিল৷ তাঁরা সুনীতার ওজন কমে যাওয়া নিয়ে বিশেষ ভাবে চিন্তিত ছিলেন৷

সবকা সাথ সবকা বিকাশের করুণ চিত্র ভারতে গরীব মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ সবকা বিকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কেন্দ্রীয় শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা প্রায়ই মোদি জমানায় আর্থিক বিকাশের প্রচার করে পূর্বতন শাসকের সমালোচনা করেন৷ সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রতিবেদনে ধরা পড়েছে বিশ্বে সবথেকে বেশি গরীব মানুষের বাস ভারতবর্ষে৷ যদিও তা সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে৷

রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিশ্বের পাঁচটি দেশে সবথেকে বেশী গরীব মানুষ বাস করেন৷ এই পাঁচটি দেশ হলো ভারত পাকিস্তান কম্বো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র৷ ইথিপিয়া ও নাইজেরিয়া৷ এই পাঁচটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরীব মানুষ ভারতবর্ষে৷ যদিও অন্য চারটি দেশের তুলনায় ভারতবর্ষের জনসংখ্যা অনেকগুণ বেশী৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায় সারা পৃথিবীতে ১১০ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে৷ এদের অর্ধেকেরও বেশী এই পাঁচটি দেশে৷ ভারতবর্ষে অত্যন্ত গরীব মানুষের সংখ্যা ২৩কোটি ৪০লক্ষ৷ পাকিস্তানে তীব্র দারিদ্রে থাকা মানুষ ৯ কোটি ৩০ লক্ষ৷

রাষ্ট্রপুঞ্জের এই প্রতিবেদন তৈরী করতে ২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছর সময় নিয়েছে৷ অক্সফোর্ড পভার্টি এ্যাণ্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ ও ইউ.এন.ডিপি ১৭ই অক্টোবর ১০ বছরের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ তীব্র গরীব ১১০ কোটি মানুষের অর্ধেকের বেশী ১৮ বছরের কম বয়সী৷ বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্কদের ১৩.৫ শতাংশ তীব্র গরীব৷ শিশুদের সংখ্যা ২৭.৯ শতাংশ৷ রাষ্ট্র সংঘের এই প্রতিবেদনেই মোদি সরকারের অর্থনীতি বেহাল দশা প্রকাশ হয়ে পড়েছে৷ এমনকি ক্ষুধা সূচকেও ভারতের অবস্থান খুবই হতাশাজনক৷ সেখানে ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের থেকেও পিছনে অবস্থান করছে৷ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতবর্ষের স্থান ১০৫ নম্বরে৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- বিশ্বে খাদ্যের অভাব নেই৷ বর্তমান উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মুখে তুলে দেওয়ার মতো খাদ্য উৎপাদন সক্ষম৷ কিন্তু পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শোষকরা কখনও চায় না সাধারণ মানুষ সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকুক৷ তাই তারা কৃত্রিমভাবে অভাব সৃষ্টি করে মানুষকে সমস্যায় জর্জরিত করে রাখে, যাতে তাদের শোষনের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা না থাকে৷ একমাত্র প্রাউটের পথেই প্রাউটের বাস্তব সম্মত আর্থিক পরিকল্পনা রূপায়ণের মাধ্যমে বিশ্বের সকল মানুষের আর্থিক বিকাশ সম্ভব৷

হাওড়ায় বন্যার্তদের পাশে এ্যামার্ট

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২রা অক্টোবর আমতা ২নং ব্লকের দক্ষিণ ভাটোরা গ্রামে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টীমের পক্ষ থেকে বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষদের বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়৷ সেই সঙ্গে একটি স্বাস্থ্য শিবির খুলে অসুস্থ মানুষজনের চিকিৎসা করা হয় ও ঔষধ দেওয়া হয়৷ ওই স্বাস্থ্য শিবিরে শতাধিক মানুষের চিকিৎসা করা হয়৷ চিকিৎসা করেন ডাঃ চাঁদমোহন পাল ও শেখ রাজা, অবধূতিকা আনন্দরসধারা আচার্যা, আচার্য মহাব্রত ব্রহ্মচারী, আচার্যা লোপামুদ্রা ব্রহ্মচারিনী৷ সহযোগিতা করেন ভারতী কুণ্ডু, অসিত মণ্ডল প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলার ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷

আনন্দনগরের মাধুর্যে মনোমুগ্দ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২১-২২ অক্টোবর ২০২৪, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস, কলোরাডো ও নিউইয়র্ক থেকে আগত মার্গীবোনেরা এই প্রথম ভারতবর্ষের পবিত্র ভূমি আনন্দনগর দর্শন করতে আসেন৷ আনন্দনগরের কীর্ত্তন আর তন্ত্রপীঠে সাধনার ফলে তাঁদের অন্তর পরিপূর্ণ ও উদ্বেলিত হয়ে ওঠে৷ তাঁরা অস্থিপাহাড়ের ডাইনোসরের জীবাস্ম, অস্থি সায়রের দৃশ্যপট (অস্থিড্যাম), মাল্টা ও মোসাম্বির সুপরিকল্পিত চাষাবাদ, উমানিবাস গার্লস চিল্ড্রেন্স হোম, গার্লস প্রাউটিষ্ট ভবন, বাবা স্মৃতিসৌধ, বাবা স্মৃতিসৌধ জলাধার, নবচক্র গুহা, মৃত আগ্ণেয়গিরি সাথে অন্যান্য সেবামূলক প্রকল্প ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করে মুগ্দ হন৷