September 2019

মার্গীয় বিধিতে শিশুর নামকরণ

১৫ই আগষ্ট পাঁশকুড়া চকগাড়ুপোতা গ্রামের বাসিন্দা সাধন চন্দ্র সাহু ও সন্ধ্যা সাহুর নাতনীর অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র ‘আনন্দমার্গে চর্যাচর্য’ বিধি অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়৷

১৫ই আগষ্ট সকাল থেকে প্রভাত সঙ্গীত কীর্ত্তনের মাধ্যমে সাধন চন্দ্র সাহুর বাসভবনে এক অনবদ্য স্বর্গীয় নান্দনিক পরিবেশ তৈরী করেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, মার্গী দাদা-দিদি ও ভাইবোনেরা৷

দধিচী রবি সরকার স্মরণে

আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৬৯ সালের ২৯শে আগষ্ট কোচবিহার মহারাজা জগদ্বিপেন্দ্র নারায়ণ হাসপাতালে দেহত্যাগ করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী রবি সরকার৷ আগের দিন ২৮শে আগষ্ট কোচবিহারে ধর্মমহাচক্র করতে আসেন গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি৷ সেই সময় ধর্মমহাচক্র বন্ধ করতে কমিউনিষ্ট গুণ্ডা বাহিনী সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে মার্গগুরুদেবের আবাসস্থল, ধর্মমহাচক্রস্থল গায়ত্রী দেবী সঙ্গীত বিদ্যালয় ভবনে৷ হামলাকারীদের রুখতে কয়েকশ’ মার্গী ভাই-বোনের প্রাণ বাঁচাতে হামলাকারী কমিউনিষ্ট গুণ্ডাবাহিনীর দিকে এগিয়ে যান প্রয়াত রবি সরকার৷ গুণ্ডাবাহিনীর আঘাতে গুরুতর আহত হন রবিদা সহ আরও কয়েকজন৷ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ পরদিন

পণ্ডিচেরীতে আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর আলোচনা সভা

২৮ ও ২৯শে আগষ্ট জীবন ও জগতের সর্বতোমুখী বিষয়গুলির ওপর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অবদান নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক স্তরের মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় পণ্ডিচেরী বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিলেন পণ্ডিচেরী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সংস্কৃতি, দর্শন ও আরও ছয়টি বিভাগ ও রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সাল, রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাশোসিয়েশন যৌথ ভাবে৷

হাওড়া জেলায় প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

১লা সেপ্ঢেম্বর হাওড়া জেলার রাণীহাটীতে   রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাশোসিয়েশন আয়োজিত প্রভাত সঙ্গীত আধারিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হ’ল৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ পুরস্কার বিতরণী সভায় বক্তব্য রাখেন আমতা আনন্দমার্গ স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ লক্ষ্মীকান্ত হাজরা৷ উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কারগুলো তুলে দিয়ে তাদের শুভকামনা করেন৷

মনে পড়ে

পথিক বর

১৯৪৩ সাল ৪ঠা জুলাই, সিঙ্গাপুরের ক্যাথে বিল্ডিং৷ চারিদিকে লোকে লোকারণ্য৷ প্রেক্ষাগৃহে তিল ধারণের স্থান নেই৷ আনন্দ উচ্ছ্বল মুখগুলো অপেক্ষা করছে কোনও একজনের জন্যে৷ এত ভীড়, এত কষ্ট তবু মুখে কারো কোনও বিরক্তির ছাপ নেই৷ সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছে আকাঙ্ক্ষিত মানুষটির জন্যে৷

বুনিয়াদপুরে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালীকে নাগরিকত্বহীন করার প্রতিবাদে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যাণ্ডে ‘আমরা বাঙালী’ দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভা করা হয়৷ ‘আমরা বাঙালী’র মূল বক্তব্য ছিল --- অসমে অসমীয়ারাই প্রকৃত বিদেশী৷ এরা ব্রহ্মদেশ থেকে কয়েকশ’ বছর আগে পালিয়ে এসেছে৷ অসমের অধিকাংশ অঞ্চলও বাঙলার মাটি৷ সেই অসমে আজ বাঙালীরাই বিদেশী৷ একদিন যে বিদেশীদের বাঙালী রাজা আশ্রয় দিয়েছিল সেই বিদেশী অসমীয়ারা আজ স্বদেশী৷ ‘আমরা বাঙালী’ দলের সংঘটন সচিব খুশীরঞ্জন মণ্ডল বলেন---কেন্দ্রীয় সরকার লক্ষ লক্ষ বাঙালীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সব কাগুজে বাঘ৷ ভারতে এন আর সি-র নামে বাঙালীকে বাঙলাদেশী বল

অসমে বাঙালী ডাক্তার খুন - পদত্যাগের পথে বাগান ডাক্তাররা

অসমের জোরহাটের বাঙালী ডাক্তার দেবেন দত্তকে পিটিয়ে মারে রুগীর আত্মীয়রা৷ ওই রুগী মারা যাওয়ায় ক্ষুব্ধ আত্মীয়রা দেবেনবাবুকে পিটিয়ে মারে৷ কিছুদিন আগে কলকাতার একটি হাসপাতালে একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল৷ তবে সেখানে আক্রান্ত জনিয়র ডাক্তার জখম হলেও মারা যাননি৷ সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে যেরকম শোরগোল পড়েছিল অসমের ক্ষেত্রে তেমনটি হচ্ছে না৷ কারণ এখানে ক্ষমতায় কেন্দ্রের শাসক দল৷ সেদিনের প্রতিবাদ মুখর মুখগুলো কেন্দ্রীয় সরকারেরই বেতনভুক ছিল৷ তাই প্রভু দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন কী করে! অতএব পোড়া মুখ বন্ধ রাখাই ভাল৷ তবে বাগানগুলির মেডিকেল অফিসাররা পদত্যাগ করছেন৷

প্রাচীন ভারতে শল্য–চিকিৎসা, বিষ–চিকিৎসা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উদ্ভব ও বিকাশ

এবার আমি মহাভারতের যুগের চিকিৎসা–পদ্ধতি সম্বন্ধে কিছু বলব৷ আয়ুর্বেদের মতে যখনই শরীরে বায়ু কিংবা পিত্ত কিংবা কফের বৃদ্ধি বা স্বল্পতা ঘটে তখনই দেহের সাম্যাবস্থা নষ্ট হয়ে রোগ দেখা দেয়৷ এই সাম্যাবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্যেই ওষুধের প্রয়োজন হয়৷ বায়ুর স্বল্পতা ঘটলে ওষুধ দিয়ে তাকে বাড়াতে হয়৷ পিত্তের বেলায়ও একই নিয়ম৷ আয়ুর্বেদের এটাই মত৷ একই পর্যায়ভুক্ত ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী চারটা ধাতুর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়–বায়ু, পিত্ত, কফ, ও রক্ত৷ এই দু’য়ের মধ্যে তফাৎটা হ’ল এই যে ইউনানি পদ্ধতিতে একটা অধিক ধাতুকে (রক্ত) ধরে নেওয়া হয়েছে৷ বাকি তিনটি ধাতু উভয় পদ্ধতিতেই সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ৷ উভয় পদ্ধতিতেই স্থূ

উচ্ছের উপকারিতা

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস - কন্ + টা = উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকা>উচ্ছিআ>উচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে বাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে

কর্মে উৎসাহহীনতা দূর করতে আদা

যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়–ছোলাভিজে–আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ মুড়িতে যে পেট–ফাঁপার দোষ আছে, আদার সঙ্গে মুড়ি খেলে সে দোষটা থাকে না৷ তাই যেখানে জলখাবারে মুড়ির প্রচলন, সেখানে উচিত মুড়ির সঙ্গে দু’–চারটে আদা–কুচি খেয়ে নেওয়া৷

‘‘মুড়ির সঙ্গে নারকোল কুরো আর আদা কুচি

গপাগপ খাবে দাদা ফেলে দিয়ে লুচি৷’’

 (‘দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য’)