প্রবন্ধ

মন্দার মূল কারণ সরকার ও ব্যবসাদারদের চরম শোষণ

প্রভাত খাঁ

সারা পৃথিবী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে  অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা গরিব দেশ গুলির এমন হলো  যার ফলে ভারতের মতো  বিরাট রাষ্টের অবস্থা শোচনীয় হলো উভয় দিক থেকে৷ ভয়ংকর দুর্ভিক্ষেরই কবলে পড়ে৷ তারপর শোষক সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ সরকার অখণ্ড ভারতবর্ষকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে কয়েক টুকরো করে ভাগ করলে ভারতে উদ্বাস্তু  হিন্দুরা পাকিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নিলো প্রাণের দায়ে৷ লোক সংখ্যা বেড়ে গেল৷ একে এই ভারতবর্ষ গরিব দেশ তার ওপর লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু  আসায় অর্থনৈতিক সামাজিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠল৷ তখন বাজার এর অবস্থা হলো চরম অর্থনৈতিক মন্দা৷ অনাহারে মানুষ যে কতো মারা গেল তার ইয়ত্তা নেই৷ ধীরে ধীরে মন্দা কিছুটা কাট

প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনীতি গ্রামকে স্বনির্ভর করবে

মনোজ দেব

স্বাধীনতারপর সাত দশক পার হয়ে গেলেও সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে, সামগ্রিকভাবে দেশের হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নের জন্যে কোন বলিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি৷ এর একমাত্র কারণ ভারতবর্ষের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশীয় পুঁজিপতিরা, অর্থনীতিবিদ্‌ ও নেতারা শিখণ্ডী মাত্র৷

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘যে দুধের কথা কেবল কানে শুনেছে সে অজ্ঞান, যে দুধ খেয়েছে সে জ্ঞানী, আর দুধ খেয়ে হৃষ্ট-পুষ্ট হয়েছে সে হলো বিজ্ঞানী৷

* জীবনের মহৎ বিকাশের জন্য সুখ ও সম্পদ আমাদের সহায় নহে৷ কেবল আঘাত ও দুঃখ দ্বারাই মানুষ শক্তি সঞ্চয় করিয়া জগতের উপর তাহার প্রভাব বিস্তার করে৷’’

             ---আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু

* ‘‘শব্দ ভাষা নয়, শব্দ হচ্ছে ভাষারূপ দেহের অঙ্গ৷’’

‘‘ মা ও মায়ের মুখের ভাষা দুটোর মূল্যই সমান৷’’

              ---সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

 

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘এই বিশ্বজগৎ আমাদের সকলের পৈত্রিক সম্পত্তি৷ আমরা সকলে এক বিশ্বভিত্তিক যৌথ পরিবারের সদস্য৷ পরমপুরুষ আমাদের পিতা৷ যৌথ পরিবারের সদস্যদের মতই আমাদের উচিত সবাই নিজে ‘বাঁচ ও অপরকে বাঁচাও’ নীতি নিয়ে চলা৷ বিশ্বের ব্যবহৃত সমস্ত সম্পদ কোন বিশেষ ব্যষ্টি, রাষ্ট্র বা জাতির সম্পত্তি নয়৷ সকলের কেবল এই সম্পদ ভোগ করবার অধিকার আছে মাত্র৷ এই ভূমা উত্তরাধিকার মেনে নিয়ে যাবতীয় লোকায়ত ও লোকোত্তর সম্পদের  সদ্‌ব্যবহার আমাদের করতে হবে৷ এটাই আমাদের সামাজিক ধর্ম৷ কেবলমাত্র সামাজিক বিবেচনার দিক থেকেই নয়, যুক্তি ও ন্যায় বিচারের দিক থেকেও এটাই একমাত্র পথ৷ এটাই যথার্থ সমাজ দর্শন৷’’

পুঁজিপতিদের পুঁজি বিনিয়োগ বেকার সমস্যার সমাধান নয়

প্রভাত খাঁ

পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর  ধরে বামফ্রন্টের শাসন চলছিল৷ বলা চলে সেটা এক দুঃস্বপ্ণের মত৷ তখন বামফ্রন্টের হার্র্মদরা বিরোধীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে যেত৷ খুন, জখম, অগ্ণিসংযোগ --- সব অস্ত্রই তারা প্রয়োগ করত যাঁরা তাঁদের সঙ্গে একমত নন--- তাঁদের  ওপর৷ সেই চরম সন্ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে বিরাট পরিবর্তন এনেছেন৷  অবশ্য এ রাজ্যে বামফ্রন্টের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে  তৈরী হওয়া ব্যাপক ক্ষোভকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন৷ যাই হোক, মমতার এ কাজ প্রশংসনীয় সন্দেহ নেই৷ মমতার মধ্যে অদম্য কর্মনিষ্ঠা, সেবার মনোভাব তাঁকে রাজ্যজুড়ে প্রচণ্ড জনপ্রিয়তাও এনে দিয়েছে৷ কিন্তু  এটা সত্য কথা, তা

বাঙলা আমার দেশ, আমি বাঙলাকে ভালবাসি

জ্যোতিবিকাশ সিনহা

একবার অসম ভবনের সামনে ‘‘আমরা বাঙালী’’ সংঘটনের পক্ষ থেকে  বিক্ষোভ প্রর্দশনের সময় আমার  এক প্রাক্তন সহকর্মীর সঙ্গে দেখা৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন-কী ব্যাপার ! আমি বললুম -‘‘বাংলা ও বাঙালী’’ দুইই আজ বিপন্ন, অসমের ১ কোটি ৩৯ লক্ষ বাঙালীর নাগরিকত্ব সংকটের মুখে---তাই এই বিক্ষোভ৷ ‘‘ধুস! ওতে  কিছু হবে না’’  বলে তিনি তাঁর গন্তব্যে চলে গেলেন!

স্মরণিকা

‘‘সব সময় সৎ চিন্তা করবে, সৎ বন্ধুর সান্নিধ্যে আসার চেষ্টা করবে, সৎ ভাবনায় মনকে প্রফুল্ল রাখবে৷ তাহলে দেখবে তোমার মধ্যে এক আশ্চর্য শক্তির উত্তরণ ঘটে গেছে৷

ধার্মিক আচরণের দ্বারা মনকে পরিশুদ্ধ করবে৷ মন পরিশুদ্ধ না হলে আত্মা পরিশুদ্ধ হয় না৷

সব ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা প্রকাশ করবে৷ মনে রাখবে পৃথিবীর সব ধর্মই সমান৷ ধর্মের মধ্যে যে বিভাজন, তা আমাদের সৃষ্টি৷

অযথা ভোগসুখের মধ্যে জীবন কাটাবে না৷ মনে রাখবে এই যে বাহ্যিক ভোগ, এর অন্তরালে কিছুই নেই৷’’    ---মহাবীর

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘প্রকৃতির এমনি বিধান যে, একটা শিশুর জন্মাবার সঙ্গে সঙ্গেই মাতৃস্তনে দুগ্দের সঞ্চার হয়৷ ঠিক তেমনি অকৃপণা প্রকৃতি মানুষের জন্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য অত্যাবশ্যক সামগ্রীর ব্যবস্থা করেই রেখেছেন৷ মানুষের যা উচিত তা হচ্ছে এই প্রাকৃতিক সম্পদের যথোপযুক্ত সদ্ব্যবহার করা৷ খাদ্যের ঘাট্‌তি বা জমির অসংকুলান কোনটার জন্যেই প্রকৃতিকে দোষ দেওয়া যায় না৷ এ সমস্ত সমস্যা মানুষের স্বকৃত ভুলেরই অনিবার্য ফলশ্রুতি৷’’ (কঃ প্রাঃ)

             ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

মনে পড়ে --- চল্লিশ বছর আগের কথা

মনোজ দেব

শ্রদ্ধেয় বরুণ সেনগুপ্ত তখনও বর্তমান পত্রিকা প্রকাশ করেনি৷ বাংলা ভাষার বিখ্যাত পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত৷ সম্ভবত ১৯৮০ মে মাসের প্রথম দিকে ওই পত্রিকায় তিনি একটি প্রবন্ধ লেখেন যার শিরোনাম ছিল--- ‘‘শুধু বঙ্গভাসাভাসী শরণার্থীদের নাগরিকত্বের প্রমান দিতে হবে?’’

দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা করতে হবে

প্রভাত খাঁ

মানুষ যেটা দেখতে অভ্যস্ত সেটারই কথা বলে কিন্তু পরিবর্ত্তনশীল জগতে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটে সেটাকে ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যদি গ্রহণ করা হয় ও সেটাকে দাঁড় করাবার আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকে তা হলে দেখা যাবে পুরাতনের পাশে নোতুন স্থান করে নিয়েছে৷ আজকের যা নোতুন, কালই সেটা পরিবর্ত্তনশীল জগতে পুরাতন হয়ে যায়৷ তার স্থলে নোতুন আসে৷ অনেক পত্র পত্রিকায় অনেক লেখকের লেখায় বলা হচ্ছে যে পুঁজিপতিদের সাহায্য ছাড়া শিল্প গড়া সম্ভবপর নয়৷ তাই সমস্যাসঙ্কুল পশ্চিমবঙ্গে শিল্প গড়তে পুঁজিপতিদের দাবী দাওয়া মেনে তাঁদের আহবান জানাতে হবে তবেই এ রাজ্যে শিল্প গড়ে উঠবে৷ তাঁরা অর্থাৎ লেখকগণ বিশেষ বিশেষ শিল্পপতিদের নামও উল্লে