৭০ বছরের স্বাধীনতাঃ একটি সমীক্ষা

লেখক
নিজস্ব প্রতিনিধি

ভারতের স্বাধীনতার পর ৭০ বছর অতিক্রান্ত হ’ল৷ কিন্তু এখনও কি ভারতের  ১৩০ কোটি জনসাধারণ প্রকৃত স্বাধীনতা  পেয়েছে?  তা যদি পেয়ে থাকে, কেন আজ দেশের মাত্র ১ শতাংশ  ধনিক শ্রেণীর হাতে দেশের ৫৮ শতাংশ সম্পদ কুক্ষীগত রয়েছে৷ ৯৯ শতাংশ মানুষের মোট সম্পত্তির চেয়ে বেশি সম্পত্তি রয়েছে  শীর্ষস্থানীয় ১০ শতাংশ  উচ্চবিত্তের হাতে৷

আর,  মাত্র শীর্ষস্থানীয় ৫৭ জন কোটিপতির হাতে রয়েছে দেশের জনসাধারণের  অর্থনৈতিকভাবে যাদের স্থান একেবারে তলাতে তেমনি ৭০ শতাংশ মানুষের মোট সম্পত্তির চেয়ে বেশি সম্পদ৷

সাম্প্রতিক কালে ভারত সরকারেরই এক রিপোর্ট, দেশের ২২ শতাংশ মানুষ আছে দারিদ্র্য সীমাার নীচে৷ বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টও বলছে ভারতের ২৩.৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমারেখার নীচে বাস করছে৷ আর ৪.৫ শতাংশ পরিবারের --- অর্র্থৎ ১৭.৭৩ লক্ষ জনসাধারণের মাথা গুঁজবার  কোনো ঘর নেই ,  মাথার ওপরে  ছাদ নেই, তারা খোলা আকাশের নীচে বাস করে৷ অন্যদিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ধনী মুকেশ আম্বানীর সম্পত্তির  পরিমাণ ২২.৭ বিলিয়ন ডলার৷  ১ বিলিয়ন মানে ১০০ কোটি৷ আর ১ ডলার হ’ল বর্তমান ভারতীয় ৬৩.৬৭ টাকা৷

এমনিভাবে  শীর্ষস্থানীয় দশ জন ধনী ব্যষ্টির অন্যান্য ৯ জন হলেন ২নং দিলীপ সঙ্ঘভি, ৩নং হিন্দুজা পরিবার, ৪নং আজিম প্রেমজী, ৫নং পলোঞ্জি মিস্ত্রি, ৬নং লক্ষ্মী মিত্তাল, ৭নং গোদরেজ পরিবার, ৮নং শিব নাদার, ৯নং কুমার বিড়লা ও ১০ নং সাইরাস পুনাওয়ালা৷

এঁদের  সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ১৬.৯ বিলিয়ান ডলার, ১৫.২ বিলিয়ন ডলার, ১৫ বিলিয়ন ডলার, ১৩.৯ বিলিয়ন ডলার, ১২.৫ বিলিয়ন ডলার , ১২.৪ বিলিয়ন ডলার, ১১.৪ বিলিয়ন ডলার, ৮.৮ বিলিয়ন ডলার, ও ৮.৬ বিলিয়ন ডলার৷

অর্র্থৎ দেখা গেছে স্বাধীনতার  পর দেশের শীর্ষস্থানীয় পঁুজিপতিরা দেশের অধিকাংশ  সম্পদ  লুটেপুটে খেয়েছে ৷ জনসাধারণ যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শরীরের রক্ত জল করে কৃষিতে, শিল্পে উৎপাদন করছে, তারাই  নি:স্ব রিক্ত হয়ে গেছে৷ অর্র্থৎ সমাজে অর্থনৈতিক শোষণ অবাধে ও বিস্ময়কর ভাবে চলছে অর্র্থৎ দেশের জনগণের  দ্বারা নির্র্বচিত সরকার জনসাধারণের স্বার্থ দেখেনি, পুঁজিপতিদেরই এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধিতেই পূর্ণ সহযোগিতা করেছে৷