প্রবন্ধ

দর্শনের বাস্তবতা ও বিভ্রম

খগেন্দ্রচন্দ্র দাস

আইন আদালতে একটি শব্দবন্ধ প্রায়শই ব্যবহার হয়---‘‘দৃষ্টত’’Prima facie)৷ অর্থাৎ যে কোন ঘটনা  চুরি, ডাকাতি, দুর্ঘটনা ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করে প্রাথমিকভাবে যে ধারণা গড়ে ওঠে তাকেই বলা হয় প্রাইমাফেসি৷ এই ‘প্রাইমাফেসি’ প্রায়শই পরবর্তী সময়ে ধোপে টেকে না৷ যেমন ধরুন বাজার থেকে ফল বা শব্জি কেনার সময় কোন কোন ফল বা শব্জির গায়ে পচনের দাগ দেখতে পাওয়া যায়৷  আমরা ও নিয়ে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করি না, পচা অংশটুকু কেটে বাদ দিয়ে খেয়ে নিই৷ আসলে কিন্তু পচন সবটুকুতেই ধরেছে অধিকতর পচা অংশটুকু দেখা যাচ্ছে মাত্র বাস্তবে কিন্তু পচনের বৃহৎ অংশ রয়ে গেছে আমাদের দৃষ্টির অগোচরে৷ অথবা ধরা যাক, দুটো রেলগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ যা দেখে 

সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়ের কেন্দ্রবিন্দু আনন্দনগর

প্রভাত খাঁ

পশ্চিম বাঙলায় পুরুলিয়া জেলা নোতুন করে অন্তর্ভূক্তির আগে বিহারের ছোটনাগপুর ডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ পুরুলিয়ার পূর্ব নাম ছিল মানভূম৷ মানভূমের সদর মহকুমা ছিল পুরুলিয়া বা পুরুল্যে৷ ১৯৫৬ সালে এই জেলা ঘটিত হয়৷ খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে জৈন ধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর মহাবীর এখানে এসেছিলেন৷ এটি বজ্রভূমির অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ কুর্মি, ভূমিজ, বাউরি, কোবা, মাহালি, মুণ্ডা এই স্থানের আদিবাসী পরে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী এই জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় এসে বাস করে৷ ধীরে ধীরে তারা এই এলাকার মানুষ হয়ে যায়৷ পুরুলিয়ায় বা পারুল্লা (পুরুল্যে) এর আদি অর্থ হ’ল পাথুরে ডাঙ্গার মধ্যে অবস্থিত  গ্রাম৷ আর মুণ্ডা বা মোড়ল হ’ল গ্রামের কর্তা৷ মান

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

* মিথ্যা ও প্রবঞ্চনার  বেশি অধর্ম আর নেই৷ মিথ্যাবাদী যদি কখনো সত্যও বলে, তাহলেও কেউ তা বিশ্বাস করে না৷ আবার একটি মিথ্যাকে বজায় রাখতে আরও মিথ্যা দিয়ে তা সাজাতে হয়৷ এর বেশি প্রবঞ্চনা আর কী আছে৷

*এই জগতে বিদ্যমান প্রতিটি বস্তু পৃথক পৃথকভাবে কয়েকটি কারণ, পরম্পরা ও নিয়মের অনুবর্তী৷ এমনকি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সেই কারণ,  পরম্পরা ও নিয়মগুলি গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখা যায়, যে প্রতিটি অস্তিত্ব একটি অখণ্ড পরিকল্পনায় বাঁধা৷    ---রামমোহন রায়

আপ্তবাক্য

‘আমি দরিদ্রের প্রতি বৈশ্যের কৃপা-কণার কথা বলছি নে’---ৰলছি তাদের কথা যারা ভাৰত ধনীর ধন লুন্ঠন করে দরিদ্রের মধ্যে বন্টন করা একটা পুণ্যকর্ম৷ সে যুগের  সে রবিন হুডেরা ভাবত, হয়ত এইভাবেই সামাজিক অসাম্য দূরীভূত হবে, কিন্তু তা’ হৰার  নয়, তাই তা হয়নি৷ পৃথিবীর কমবেশী প্রতিটি দেশেই এই জাতীয় রৰিনহুডের অভ্যুদ্বয় হতে দেখেছি৷ কিন্তু  এতে সমস্যার সমাধান হয় না৷ তার কারণ দানে কেউ ৰাঁচে না তাতে একটা ভিক্ষাজীবীর সমাজ তৈরী হয় বটে, কিন্তু সেই লোভী, জড় অকর্মণ্য সমাজ ভবিষ্যতে অধিকতর দারিদ্র্যের সূচনা করে দেয়৷’’

                                               (কঃপ্রাঃ ১মখণ্ড) প্রভাতরঞ্জন সরকার

সুস্থ শরীর সুস্থমন নেশামুক্ত আদর্শ জীবন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ৷ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা৷ এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....৷

শারীরিক সুস্থতায় পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্ত শরীরের জন্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---প্রাণের উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ এই মাইক্রোবাইটাম তিন প্রকারের হয়৷ এরা হ’ল (১) পজেটিব মাইক্রোবাইটাম বা মিত্র মাইক্রোবাইটাম৷ (২) নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম বা এনিমি মাইক্রোবাইটাম৷ (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম৷ এই তিন প্রকার মাইক্রোবাইটামের মধ্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামকে কোনও মানুষ কিংবা কোন মহাপুরুষ এমনকি কোনও সাধক বা অতি মানবও তৈরী করতে পারে না৷ শুধুমাত্র পরমপুরুষ তথা সদ্‌গুরুই এই মাইক্রোবাইটাম তৈরী করতে পারে৷ পরমপুরুষ সৃষ্ট মাইক্রোবাইটাম মানব মন

এক দেশ---এক ভাষা, এক দল বাস্তববোধহীন চিন্তা

মনোজ দে

একথা রূঢ় বাস্তব---ভারতবর্ষের অভ্যন্তরেই আজ বিচ্ছিন্নতার সুর৷ তাই রাষ্ট্রের কর্ণধারদের সংহতির কথা চিন্তা করতেই হবে৷ ঐক্যের পথ খুঁজে বের করতেই হবে৷ কিন্তু শুধু রোগ জানলেই হবে না৷রোগের কারণও জানতে হবে৷ নতুবা ভুল ঔষধ প্রয়োগে হিতে বিপরীত হবে৷

ভারতবর্ষ একটি যুক্তরাষ্ট্র৷ এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় নানা ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী আছে৷ তাদের আচার-আচরণ, পোশাক-আশাক, চাল-চলনে অনেক পার্থক্য আছে৷ এই পার্থক্যই ভারতবর্ষকে এক নতুন বৈশিষ্ট্য দিয়েছে৷ তাই বলা হয়ে থাকে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য৷ তাই রাষ্ট্র নেতাদের এই বৈচিত্র্যের পৃথক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই ঐক্যের পথ খুঁজতে হবে৷ পৃথক বৈশিষ্ট্যের বিনাশ ঘটিয়ে নয়৷

সীমাহীন অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে - প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৬ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

* বনের পাখির চেয়ে পিঞ্জরের পাখিটাই বেশি ছট্‌ফট্‌ করে৷

* নারীর মূল্য নির্ভর করে পুরুষের স্নেহ সহানুভূতি ও ন্যায়ধর্মের ওপর৷

* একটা বড় নাম দিলেই কোন জিনিস সংসারে বড় হয়ে যায় না৷

সমস্ত রমণীর অন্তরে নারী বাস করে  কিনা তাহা  জোর করিয়া বলা অত্যন্ত দুঃসাহসের কাজ৷ কিন্তু নারীর চরম সার্থকতা যে মাতৃত্বে এ কথা বোধ করি গলা বড়ো করিয়াই প্রচার করা যায়৷       ---শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘সমাজের আসল ব্যাধিটার দিকে মানুষ এখনও চোখ মেলে চাইছে না৷  সংঘ বা সমিতিগুলো বিভিন্ন বৃত্তি-জীবীরা গড়ে তুলেছে সম্পূর্ণ ব্যষ্টিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থের প্রেরণায়৷ তাই এ জাতীয় সমস্যাগুলোর, শুধু এই জাতীয় সমস্যাই বলি কেন, জগতের প্রতিটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে মানুষ কেবল নিজেদের দিকেই তাকাচ্ছে৷ নীচের তলাকার মানুষের পানে চাইছে না৷ যে ওপরে আছে তাকে নামাবার কাজে যতটা শক্তি ব্যয়িত হচ্ছে, যে নীচে আছে তাকে তুলবার কাজে তার শতাংশের একাংশও ব্যয়িত হচ্ছে না, এইটাই সবচাইতে               দুঃখের কথা৷’’ (কঃপ্রাঃ১মখণ্ড                        ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার