প্রবন্ধ

১৫৩তম জন্মদিনে ঋষি অরবিন্দকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

পত্রিকা প্রতিনিধি

অতীতের সেই স্বর্ণগর্ভা বাঙলার বুকে এমন এক মহান ব্যষ্টিত্বের জন্ম হয়েছিল যাঁরা বিশ্বের বুকে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷ তঁদের জন্যে এই বাঙলাও নিজেকে ধন্য মনে করে৷ তেমনই এক মহাসাধক, মহাজ্ঞানী, মহান বিপ্লবী হলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ৷ তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায় ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট৷ তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক রাজনৈতিক নেতা ও যোগী৷ তাঁর পিতার নাম ডাঃ কৃষ্ণমোহন ঘোষ৷ তাঁর পিতা চাইতেন তিনি উচ্চ সরকারী বিভাগে চাকুরী করে জীবন নির্বাহ করুন৷ সেই কারণে তিনি তাঁকে ইংল্যাণ্ডে আই.সি.এস.

এই স্বাধীনতা দেশীয় পুঁজিপতিদের ব্রিটিশের দেওয়া অনুদান

এইচ. এন. মাহাত

স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরে আজ ভারতীয় বাঙালীকে বাংলা বললেই বাংলাদেশী চিহ্ণিত করা হচ্ছে৷ রাজ্যে রাজ্যে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালীকে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে আজ পর্যালোচনা করে দেখা যাক স্বাধীনতার ৭৮ বছরে বাঙালী কি পেল৷ স্বাধীনতা দিবসের ৭৮ বছর পালন করার আগে দেশমাতৃকার সেবক যে সব বীর বাঙালীর রক্তে রাঙ্গা হলো স্বাধীনতা, সেই সকল বিপ্লবীদের স্মরণ করুণ, যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা তথা কথিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছি৷ একবার ভেবে বলুন তো বাঙালী কী পেয়েছে এই তথা কথিত স্বাধীনতায়!

পুঁজিবাদী শোষক ও শাসকের নিষ্পনে বিপন্ন ভারতীয় বাঙালীরা

মনোজ দেব

বিশ্বকবি বহু আগেই বাঙালীকে সতর্ক করেছিলেন স্বদেশী শাসকের শোষণ ও অত্যাচারের বিষয়ে৷ স্বাধীন ভারতে প্রাউটে প্রবক্তা শোষণের স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাঙলার উপর দিল্লীর শাসক ও পুঁজিবাদী শোষণের নিদারুণ চিত্র তুলেধরেছেন তবু বাঙালীর হুঁস ফেরেনি৷ আজ রাজ্যে রাজ্যে বাঙালীওপর নির্যাতনে কিছুটা হলেও বাঙালীর ওপর অত্যাচার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন৷ আজ বাঙলার ওপর শুধু আর্থিক শোষণ নয় --- তাকে মানসিক দিক থেকেও পঙ্গু করে দেবার নির্মম খেলায় মেতেছে দিল্লির শাসকবর্গ৷ মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন - --শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে

বিশ্বের সচেতন নাগরিকগণই বর্তমানের মেকী বিশ্বনেতা ও শাসকদের উচিত শিক্ষা দেবেন

প্রভাত খাঁ

বর্তমান পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রেই জনগণের শাসনের নামে চলছে পুঁজিবাদী শোষণ ও শাসন৷ রাজনৈতিক দল আছে, নির্বাচনও হয়, জনগণ বোটও দেয়, কোন একটি দল নির্বাচনে জিতে মন্ত্রীসভা ঘটন করে ক্ষমতায় বসে৷ কিন্তু---নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিগরে---এই পুঁজিবাদী বাজিগরের অঙ্গুলি হেলনেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত পুতুল সরকারগুলি চলে৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে প্রচলিত যে কথা---জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য জনগণের সরকার তা হয় দাঁড়িয়েছে পুঁজিপতিদের দ্বারা পুঁজিপতিদের জন্য,পুঁজিপতির সরকার৷ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে জয়ের পর আর জনগণের প্রতিনিধি থাকে না, তারা হয়ে যায় পুঁজিপতিদের প্রতিনিধি৷

সুস্পষ্ট ভাষানীতি চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

‘‘ভারতের সমস্ত ভাষাগুলিকে সমান অধিকার ও মর্যাদা দিতে হবে৷ সংস্কৃত হবে সকলের সাধারণ ভাষা কেননা তা সমগ্র ভারতেরই পিতৃপুরুষদের ভাষা৷ যদি সমস্ত ভারতবাসীর মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে সংস্কৃতকে স্বীকৃত দেওয়া হয় তাহলে তা সকলের পক্ষেই সুবিধাজনক হবে৷ আগেই বলা হয়েছে ভারতের সমস্ত ভাষারই মূল উৎস সংস্কৃত৷ যখনই কোনো ভাষায় কোনো বিশেষ শব্দের অভাব হবে, সংস্কৃতের শব্দ সম্ভার থেকে সেটা সংগ্রহ করা সম্ভবপর হবে৷ যদি জোর করে তোমাকে হিন্দী শিখতে হয়, যেমনটি আজ করা হচ্ছে, সেটা বাঞ্ছনীয় নয়৷ যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ মাতৃভাষায় নিজেদের অভিব্যক্ত করার সুযোগ না পাচ্ছে ততক্ষণ তারা অন্যের সঙ্গেও যোগসূত্র স্থাপন করতে সক্ষম হয় না৷’’

সকল হিংসা-দ্বেষ ও ধর্মমত ভুলে এই মুহূর্তে দরকার ‘আমরা বাঙালী’ --- এই পরিচয়

সুকুমার সরকার

এই মুহূর্তে সমগ্র ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে বাঙালী জাতি৷ বাঙালী জাতির ভাগ্যে এই বিপদের সূচনা হয়েছিল দেশভাগের অনেক আগে থেকেই৷ বিশ্ব উপনিবেশবাদী ইংরেজ জাতি ভারতবর্ষের মাটিতে পা রেখেই বুঝতে পেরেছিলেন বাঙালী জাতির শৌর্য-বীর্যের কথা৷ তাই তাঁরা সিপাহী বিদ্রোহ দমনের মধ্য দিয়ে মূলত বাঙালী জাতির দমন শুরু করেছিলেন৷ এবং ক্রমান্বয়ে বাঙলা ও বাঙালীর দানা ছাটার কাজ শুরু করে দেন৷ তারই ফলশ্রুতিতে ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুবা বাঙ্গালা ভেঙে বাঙলা, বিহার, উড়িষ্যা বিভক্ত করণ৷ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ করা৷ এবং ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশ ভাগ করে বাঙালীকে হীনবল দুর্বল করে দেওয়া৷ এ ইতিহাস আমরা সকলেই জানি৷ আর এই ইতিহাস

পুঁজিবাদী নিষ্পেষণে বিপন্ন বৃহত্তম গণতন্ত্র

পত্রিকা প্রতিনিধি

ভারতের সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিতান্ত্রিক৷ প্রশাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক৷ মিশ্র অর্থনীতির এ এক ‘সোনার পাথরবাটি’৷ ভারতবর্ষকে বিশ্বের বৃহত্তম গতণন্ত্র বলে বড়াই করা হয়৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৮ বছর পর দেশের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় গণতন্ত্র এখানে এক বিরাট ভাঁওতা৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার৷ কিন্তু পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভারতের গণতন্ত্রকে বলা যায়---বৈশ্যদের দ্বারা, বৈশ্যদের জন্যে, বৈশ্যের সরকার৷ জনগণ এখানে ভোট দেবার যন্ত্র মাত্র৷ রাজনৈতিক দল, আমলাতন্ত্র, প্রচারমাধ্যম, শিক্ষা-সংস্কৃতি, পুলিশ-প্রশাসন এমনকি খেলার মাঠও বৈশ্য শোষকের কালো হাতের নিয়

শ্রাবণী পূর্ণিমা–নবযুগের পথে বিশ্বমানবের যাত্রা শুরু

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সব কাজেরই শুরুর আগে একটা শুরু আছে৷ যাকে বলে আয়োজন৷ কবির কথায় সন্ধ্যাবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় শলতে পাকিয়ে রাখতে হয়৷ প্রদীপ জ্বালার আয়োজন তখন থেকেই৷ ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী বিহারের ছোট্ট শহর জামালপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখাটি জ্বালিয়েছিলেন তারও আয়োজন শুরু হয়েছিল আরও ১৬ বছর আগে ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমাতে৷ বস্তুতঃ আনন্দমার্গের যাত্রা শুরু ওই দিন থেকেই৷ সেইসঙ্গে বিশ্বমানবেরও নবযুগের পথে যাত্রার সূচনা হয়৷