প্রবন্ধ

ফ্যাসিষ্ট শোষণ প্রতিরোধ করতে না পারলে বাঙালী ভবঘুরে জাতিতে পরিণত হবে

মনোজ দেব

 মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন---শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে৷ শোষণের সঠিক সংজ্ঞা একমাত্র প্রাউটের দৃষ্টিকোণ থেকেই পাওয়া যায়৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়---একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অবস্থিত তথাকার জনগোষ্ঠীর দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশকে স্তম্ভিত করে, ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শ্রম ও মানসিক সম্পদের অবাধ লুণ্ঠনই হ’ল শোষণ৷

পরমানু ও মাইক্রোবাইটামের  অবস্থান ও এদের গবেষণা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব অনুযায়ী পরমানু ও মাইক্রোবাইটার অবস্থান, গবেষনার জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন৷

এখন সময় আছে কেন্দ্রীয় সরকার সংযত হয়ে কাজ করুন

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে বিরাট দেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে পৃথিবীতে অদ্যাবধি গৌরবোজ্জ্বল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করতে পারলো না৷ তার মূল কারণটিকে কেউই খুঁজে বের করতে পারলো না৷ সেটার একমাত্র কারণ যে দলগুলো শাসনে আসছে তারা সেবামূলক মানবতাবাদী শাসক না হয়ে নিজেদের দলতন্ত্রকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মারছে পদে পদে পর পর৷

ইণ্ডিয়া নয়, ভারত নয়---দেশের নাম হোক ভারতবর্ষ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ভারতীয় সংবিধানে ইণ্ডিয়া ও ভারত দুটো নামেরই বৈধতা আছে৷ নাম পরিবর্তন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে৷ কোন দেশের নামকরণের ক্ষেত্রে সেই দেশের বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার দরকার৷ যেমন, শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে সুন্দর সুন্দর জিনিস সংগ্রহ অর্থাৎ চয়ন করে যে দেশটি তৈরি হয়েছে তার নাম চীন৷

জোটের জটে বাঙলা

পত্রিকা প্রতিনিধি

দিল্লীর মসনদের স্বার্থে বাঙলাকে বলি দেওয়ার  রেওয়াজ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্টের কালরাত্রি থেকে শুরু হয়েছে৷ বাঙলার প্রতি বঞ্চনাও শুরু হয় ওই রাত থেকেই৷ কিন্তু রাজ্যের কংগ্রেস সরকার কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে কোন প্রতিবাদ বা আন্দোলনের পথে যায়নি৷ পরবর্তীকালে  রাজ্যে সিপিএমের শাসনে নানা অত্যাচার ও অবিচার হলেও বিরোধী কংগ্রেস চুপ থেকেছে, কারণ কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারকে টিকিয়ে রাখতে দিল্লীতে সিপিএমের সাহায্য প্রয়োজন ছিল৷

সমবায় আন্দোলনই শোষণের অবসান ঘটাবে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করা হয়৷

আজ এই দুটিই উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

দেশটার নাম ভারত নয়---ভারতবর্ষ

তপোময় বিশ্বাস

ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া জি-২০ সামমিটে অতিথিদের  নৈশ্যভোজনের আমন্ত্রণে মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাঠানো পত্রের হেডিংয়ে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বদলে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা দেখা যাওয়ার পর থেকেই এক বিরাট বিতর্কের সূত্রপাত৷ ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া এক অনুষ্ঠানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর ‘দ্য প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত’ এছাড়া জি-২০ অনুষ্ঠানে তাঁর বসার  নামফলকেও ‘দ্য প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত’ লেখা সেই বিতর্ককে আরো উস্কে দিয়েছে৷ দেশের রাজনৈতিক মহলের অনেকাংশের মতে, সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে দেশের নাম পরিবর্তন করে ভারত রাখার প্রস্তাব আলোচনা হবে৷ এটি সম্ভবত এক দেশ এক ভোট প্রক্রিয়াকরণ চ

এই কলহ কার স্বার্থে

মনোজ দেব

পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে রাজ্যের শাসক ও বিরোধীপক্ষ কলহে মেতেছে৷ প্রায় অস্তিত্বহীন ছিন্ন ভিন্ন পশ্চিমবঙ্গের ওপর ৭৭ বছর ধরে যে শোষণের স্টিমরোলার চলছে তা নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি রাজনৈতিক দল৷ অথচ দিবস পালন নিয়ে কলহে মেতেছে৷ এই কলহ নিয়ে কিছু বলার আগে ৭৭ বছরের দিনগুলো একটু দেখে নিই–

সমবায়ের সাফল্যের তিনতত্ত্ব

পত্রিকা প্রতিনিধি

পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার শেষ পরিণতি ফ্যাসিস্ট শোষণ৷ স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই ভারতবর্ষের অর্থনীতি ও রাজনীতি পুঁজিবাদী শোষকদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়৷ আজ ভারত তথা বাঙলায় সেই পুঁজিবাদী শোষকরা ফ্যাসিস্ট রূপ ধারণ করেছে৷ ফ্যাসিস্ট শোষণে বিপর্যস্ত বাঙলার অর্থনীতি, ধর্মনীতি, রাজনীতি, শিল্প সাহিত্য সংসৃকতি-জীবনের সর্বক্ষেত্র৷ আবার মাকর্সবাদী রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ব্যষ্টি স্বাধীনতা অবদমিত৷ তাই কৃষি ও শিল্পে কমিউন ব্যবস্থায় শ্রমিক-কর্ষকদের কোন অনুপ্রেরণা থাকে না৷ রাষ্ট্রের ইচ্ছাধিনে তাকে কাজ করতে হয়৷ তাই উভয়ক্ষেত্রে উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হয়৷ ফলে আর্থিক ব্যবস্থার মোদ্দা কথা যে উন্নয়ন তা চরমভাবে ব্যাহত হয়৷

সমাজ আন্দোলন ও বিচ্ছিন্নতাবাদ

প্রাউটিষ্ট

অদ্ভূত এক অন্ধগলিতে ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতের রাজনীতি৷ ক্ষমতার হাতবদল হয়,কিন্তু জনতার ভাগ্য বদল হয়না৷ কারণ ক্ষমতার হাত বদলের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতার মধুচক্রের মক্ষীকারাও দল বদল করে বসে৷ একমাত্র ব্যতিক্রম ‘আমরা বাঙালী’৷ কিন্তু কেন?