পাল্টা মারে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে বাঙালীকে
হিংস্র দুঃসময়ের পিঠের ওপর চড়েই বিভীষিকার পথ উত্তীর্ণ হতে হবে.....
- Read more about পাল্টা মারে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে বাঙালীকে
- Log in to post comments
হিংস্র দুঃসময়ের পিঠের ওপর চড়েই বিভীষিকার পথ উত্তীর্ণ হতে হবে.....
অতীতের সেই স্বর্ণগর্ভা বাঙলার বুকে এমন এক মহান ব্যষ্টিত্বের জন্ম হয়েছিল যাঁরা বিশ্বের বুকে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷ তঁদের জন্যে এই বাঙলাও নিজেকে ধন্য মনে করে৷ তেমনই এক মহাসাধক, মহাজ্ঞানী, মহান বিপ্লবী হলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ৷ তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায় ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট৷ তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক রাজনৈতিক নেতা ও যোগী৷ তাঁর পিতার নাম ডাঃ কৃষ্ণমোহন ঘোষ৷ তাঁর পিতা চাইতেন তিনি উচ্চ সরকারী বিভাগে চাকুরী করে জীবন নির্বাহ করুন৷ সেই কারণে তিনি তাঁকে ইংল্যাণ্ডে আই.সি.এস.
স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরে আজ ভারতীয় বাঙালীকে বাংলা বললেই বাংলাদেশী চিহ্ণিত করা হচ্ছে৷ রাজ্যে রাজ্যে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালীকে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে আজ পর্যালোচনা করে দেখা যাক স্বাধীনতার ৭৮ বছরে বাঙালী কি পেল৷ স্বাধীনতা দিবসের ৭৮ বছর পালন করার আগে দেশমাতৃকার সেবক যে সব বীর বাঙালীর রক্তে রাঙ্গা হলো স্বাধীনতা, সেই সকল বিপ্লবীদের স্মরণ করুণ, যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা তথা কথিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছি৷ একবার ভেবে বলুন তো বাঙালী কী পেয়েছে এই তথা কথিত স্বাধীনতায়!
বিশ্বকবি বহু আগেই বাঙালীকে সতর্ক করেছিলেন স্বদেশী শাসকের শোষণ ও অত্যাচারের বিষয়ে৷ স্বাধীন ভারতে প্রাউটে প্রবক্তা শোষণের স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাঙলার উপর দিল্লীর শাসক ও পুঁজিবাদী শোষণের নিদারুণ চিত্র তুলেধরেছেন তবু বাঙালীর হুঁস ফেরেনি৷ আজ রাজ্যে রাজ্যে বাঙালীওপর নির্যাতনে কিছুটা হলেও বাঙালীর ওপর অত্যাচার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন৷ আজ বাঙলার ওপর শুধু আর্থিক শোষণ নয় --- তাকে মানসিক দিক থেকেও পঙ্গু করে দেবার নির্মম খেলায় মেতেছে দিল্লির শাসকবর্গ৷ মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন - --শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে
বর্তমান পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রেই জনগণের শাসনের নামে চলছে পুঁজিবাদী শোষণ ও শাসন৷ রাজনৈতিক দল আছে, নির্বাচনও হয়, জনগণ বোটও দেয়, কোন একটি দল নির্বাচনে জিতে মন্ত্রীসভা ঘটন করে ক্ষমতায় বসে৷ কিন্তু---নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিগরে---এই পুঁজিবাদী বাজিগরের অঙ্গুলি হেলনেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত পুতুল সরকারগুলি চলে৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে প্রচলিত যে কথা---জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য জনগণের সরকার তা হয় দাঁড়িয়েছে পুঁজিপতিদের দ্বারা পুঁজিপতিদের জন্য,পুঁজিপতির সরকার৷ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে জয়ের পর আর জনগণের প্রতিনিধি থাকে না, তারা হয়ে যায় পুঁজিপতিদের প্রতিনিধি৷
‘‘ভারতের সমস্ত ভাষাগুলিকে সমান অধিকার ও মর্যাদা দিতে হবে৷ সংস্কৃত হবে সকলের সাধারণ ভাষা কেননা তা সমগ্র ভারতেরই পিতৃপুরুষদের ভাষা৷ যদি সমস্ত ভারতবাসীর মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে সংস্কৃতকে স্বীকৃত দেওয়া হয় তাহলে তা সকলের পক্ষেই সুবিধাজনক হবে৷ আগেই বলা হয়েছে ভারতের সমস্ত ভাষারই মূল উৎস সংস্কৃত৷ যখনই কোনো ভাষায় কোনো বিশেষ শব্দের অভাব হবে, সংস্কৃতের শব্দ সম্ভার থেকে সেটা সংগ্রহ করা সম্ভবপর হবে৷ যদি জোর করে তোমাকে হিন্দী শিখতে হয়, যেমনটি আজ করা হচ্ছে, সেটা বাঞ্ছনীয় নয়৷ যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ মাতৃভাষায় নিজেদের অভিব্যক্ত করার সুযোগ না পাচ্ছে ততক্ষণ তারা অন্যের সঙ্গেও যোগসূত্র স্থাপন করতে সক্ষম হয় না৷’’
এই মুহূর্তে সমগ্র ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে বাঙালী জাতি৷ বাঙালী জাতির ভাগ্যে এই বিপদের সূচনা হয়েছিল দেশভাগের অনেক আগে থেকেই৷ বিশ্ব উপনিবেশবাদী ইংরেজ জাতি ভারতবর্ষের মাটিতে পা রেখেই বুঝতে পেরেছিলেন বাঙালী জাতির শৌর্য-বীর্যের কথা৷ তাই তাঁরা সিপাহী বিদ্রোহ দমনের মধ্য দিয়ে মূলত বাঙালী জাতির দমন শুরু করেছিলেন৷ এবং ক্রমান্বয়ে বাঙলা ও বাঙালীর দানা ছাটার কাজ শুরু করে দেন৷ তারই ফলশ্রুতিতে ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুবা বাঙ্গালা ভেঙে বাঙলা, বিহার, উড়িষ্যা বিভক্ত করণ৷ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ করা৷ এবং ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশ ভাগ করে বাঙালীকে হীনবল দুর্বল করে দেওয়া৷ এ ইতিহাস আমরা সকলেই জানি৷ আর এই ইতিহাস
ভারতের সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিতান্ত্রিক৷ প্রশাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক৷ মিশ্র অর্থনীতির এ এক ‘সোনার পাথরবাটি’৷ ভারতবর্ষকে বিশ্বের বৃহত্তম গতণন্ত্র বলে বড়াই করা হয়৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৮ বছর পর দেশের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় গণতন্ত্র এখানে এক বিরাট ভাঁওতা৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার৷ কিন্তু পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভারতের গণতন্ত্রকে বলা যায়---বৈশ্যদের দ্বারা, বৈশ্যদের জন্যে, বৈশ্যের সরকার৷ জনগণ এখানে ভোট দেবার যন্ত্র মাত্র৷ রাজনৈতিক দল, আমলাতন্ত্র, প্রচারমাধ্যম, শিক্ষা-সংস্কৃতি, পুলিশ-প্রশাসন এমনকি খেলার মাঠও বৈশ্য শোষকের কালো হাতের নিয়
সব কাজেরই শুরুর আগে একটা শুরু আছে৷ যাকে বলে আয়োজন৷ কবির কথায় সন্ধ্যাবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় শলতে পাকিয়ে রাখতে হয়৷ প্রদীপ জ্বালার আয়োজন তখন থেকেই৷ ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী বিহারের ছোট্ট শহর জামালপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখাটি জ্বালিয়েছিলেন তারও আয়োজন শুরু হয়েছিল আরও ১৬ বছর আগে ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমাতে৷ বস্তুতঃ আনন্দমার্গের যাত্রা শুরু ওই দিন থেকেই৷ সেইসঙ্গে বিশ্বমানবেরও নবযুগের পথে যাত্রার সূচনা হয়৷