স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

গরমে রোগ–ব্যাধি ও নানা সমস্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি

বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাঙলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি

অশোক– Saraca indica Linn. ঃ

অশোক একটি ভারতীয় প্রজাতির (Indica) গাছ৷ অত্যুষ্ণ বা অতি শীতল অঞ্চল বাদে ভারতের সর্বত্রই অশোক গাছ জন্মায়৷ কেউ কেউ দেবদারু (ঢ়েউ খেলানো পাতা) গাছকে ভুল করে অশোক বলে থাকেন৷ না, দেবদারু ও অশোক এক গাছ নয়৷ দেবদারু (Indian Pine) পাইন বর্গীয় গাছ, অশোক তা নয়৷ অশোক ফুল অধিকাংশ ক্ষেত্রে লালচে রঙের৷ কিন্তু শাদা, সোণালী ও হলদে রঙের অশোক ফুলও হয় যদিও তারা দুষ্প্রাপ্য৷

অশোক, ফুল, ছাল ও মূল নানান ধরনের ঔষধ প্রস্তুতিতে লাগে৷ বিশেষ করে বিভিন্ন স্ত্রী–ব্যাধিতে অশোকের ঔষধীয় গুণ সর্বজনস্বীকৃত৷ অশোকাসব, অশোকারিষ্ট, অশোকক্ষীর প্রভৃতি ঔষধগুলি এই অশোক থেকেই প্রস্তুত হয়৷

অপামার্গ– Achyranthes aspera Linn.. অপরাজিতা– Clitoria ternatea Linn. ঃ

অপামার্গের পর্যায়বাচক শব্দগুলি হ’ল ‘কোষাতকী’ ও ‘খরমঞ্জরী’৷ ভারতীয় অপামার্গ মুখ্যতঃ দুই প্রজাতির–শ্বেত অপামার্গ ও রক্ত অপামার্গ৷ কলকাতা অঞ্চলে আমরা অপামার্গকে কথ্য ভাষায় বলে থাকি অপাঙ বা আপাঙ৷ রাঢ়ে বলি চচ্চড়ে, অঙ্গিকা ভাষায় বলা হয় চিড়চিড়া৷ অপামার্গের শীষ কারো গায়ে ছুঁড়ে দিলে তা তার বস্ত্রে আটকে যায়৷

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

বধিরতার নিরাময়

লক্ষণ ঃ এই রোগে আক্রান্ত হবার প্রথমের দিকে রোগী কাণে ভোঁ–ভোঁ শব্দ শোণে ও ক্রমশঃ অনান্য সমস্ত শব্দই রোগীর কাছে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে৷

কারণ ঃ জন্মগত কারণ ব্যতিরেকে বধিরতা নিজে কোন রোগ নয়–অন্য রোগের প্রতিক্রিয়া মাত্র৷ তাই এ রোগের অজস্র কারণ থাকতে পারে৷

১) অতিরিক্ত কুইনাইন বা অন্য কোন বিষ ঔষধ রূপে দীর্ঘকাল ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত হয় বা স্তম্ভিত হয়ে যায়৷

২) পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে পৌঢ়ত্বে বা বার্দ্ধক্যে অনেক লোকের শ্রবণযন্ত্রের স্নায়ুপুঞ্জ দুর্বল হয়ে পড়ে ও তার ফলে বধিরতা দেখা দেয়৷

মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী

ডাঃ আলমগির

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী৷ দিনে পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠে বা পার্কে যান ও হাল্কা শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার মনকে সতেজ করে তুলুন৷ সবল করে তুলুন মানসিক স্বাস্থ্যকে৷ সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷ সবুজ ঘাসের ওপর পাঁচ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে সহায়তা করে৷ সেইসঙ্গে বাড়িয়ে তোলে ব্যষ্টি আত্মমর্যাদাবোধও৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে, পার্ক বা ময়দানে বেশী সময় কাটানোর জন্যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা৷ আলেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন যে, প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটা, বাগান করা,

পাতিনেবুর উপকারিতা

পত্রিকা প্রিতিনিধি

প্ত দু’ চা চামচ নেবুর রস দু’ চা চামচ আদার রস মিশিয়ে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বদহজমজনিত সব রকমের পেট ব্যথা সারে৷

প্ত শোওয়ার সময় গরম জলে নেবুর রস খেলে সর্দি সারে৷ কিছুদিন ধরে এইভাবে খেলে পুরোনো সর্দিও সেরে যায়৷

প্ত অল্প নেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেলে প্রবল কাসি সেরে যায়৷ হাঁপানির আক্রমণও তৎক্ষণাৎ থেমে যাওয়ায় আরাম পাওয়া যায়৷

প্ত নেবুর রস আঙ্গুলে লাগিয়ে দাঁতের মাড়িতে মালিশ করলে দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়৷

প্ত নেবুর রসে মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের চাটিয়ে দিলে বাচ্চাদের দুধ তোলা বন্ধ হয়৷

পাকস্থলীর ক্ষত ও আন্ত্রিক ক্ষত

(ডেওডেন্যাল আলসার ও গ্যাসট্রিক আলসার)

লক্ষণ ঃ অজীর্ণ ও কোষ্ঠবদ্ধতা, অরুচি, আহারের পরে বমনেচ্ছা, আহারের পরক্ষণে বা ২৷১ ঘণ্টা পরে পেটে যন্ত্রণা ৰোধ হওয়া–এইগুলি রোগের লক্ষণ৷

বিল্ব বা বেলের উপকারিতা

সংস্কৃত শব্দ ‘বিল্ব’ থেকে ৰাংলায় ‘ৰেল’ শব্দটি এসেছে৷ ‘ৰিল’ শব্দের অর্থ ছিদ্র, ‘বিল্ব’ মানে যে বস্তুতে ছিদ্র আছে অথবা যে বস্তু ছিদ্র তৈরী করে৷ ৰেলের পর্যায়বাচক শব্দ ‘শ্রীফল’ পশ্চিম বিহারে ও উত্তর ভারতে কোন কোন স্থানে প্রচলিত৷ ভারতে ও বহির্ভারতে ৰেলের নানা শ্রেণীবিভাগ দেখা যায়৷ পাতলা খোলা, কম ৰীজ, কম আঠা, স্বাদ ও গন্ধের বিচারে রংপুরী ৰেলই সর্বশ্রেষ্ঠ৷