স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

লাউয়ের ঔষধীয় গুণাগুণ

লাউ একটি নির্দোষ সবজি৷ স্নায়ুতন্তু ত্ত্বন্দ্বব্জ্লন্দ্ব ন্দ্রন্ত্ব্ব্জন্দ্বব্দগ্গ, স্নায়ুকোষ ত্ত্বন্দ্বব্জ্লন্দ্ব ন্তুন্দ্বপ্তপ্তব্দগ্গ, লিবার ও কিডনীর পক্ষে এটি শুভ ফলপ্রদ৷ স্মৃতিশক্তি ৰৃদ্ধিতেও লাউ সাহায্য করে৷ ঙ্মর্শ, যৌন অক্ষমতা ও ক্লীবতা, সুপ্তিস্খলন রোগে লাউয়ের তরকারী পথ্য ও ঔষধৰ৷ লাউ কথঞ্চিত পরিমাণে চর্ম রোগকেও প্রতিরোধ করে৷

লাউয়ের খোলা (লাউ বাকলা–কচি অবস্থায়) মুখে লালা এনে খাদ্য হজমে সাহায্য করে৷ লাউয়ের খোলা যকৃতের পক্ষে খুবই ভাল৷ লাউয়ের ৰীজের তৈলও চর্ম রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷

শাকের বিভিন্ন গুণাগুণ কলমী শাক স্নায়ুকে সুস্থ রাখে

জলের কলমী সাত্ত্বিক৷ এটি একাধারে পেটকে ঠাণ্ডা রাখে, স্নায়ুকে সুস্থ রাখে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষের মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে৷ ঙ্মসাধারণতঃ অল্প তেলে রান্না করে মাঝে মাঝে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়৷ৰ৷ তবে ডাঙ্গার কলমী বা নালিতা শাক সর্বথা পরিত্যাজ্য৷

ডাঙ্গার কলমী মানসিক উন্নতির পক্ষে ক্ষতিকারক কারণ সে তামসিক৷ জলের কলমীকেই কলম্বী বলা হবে–ডাঙ্গার কলমীকে নয়৷ ডাঙ্গার কলমীকে বলা হয় নালিতা শাক (নালিকা শাক নয়–নালিতা শাক বা নালতে শাক)৷

অন্যান্য রোগে কলমী

ছাত্র–ছাত্রাদের স্মরণ শক্তি ৰাড়ানোর উপায়

(১) শাঁখালুর রস প্রত্যহ পান করা (২) Repeatation প্রয়োগ অর্থাৎ মুখস্থ করা বিষয় লেখা বা অন্যকে শোণানো (৩) পাঠ্যবিষয় এমন ভাবে পড়া যাতে কানও শুণতে পায় (৪) অধীত (পাঠ্য বিষয় যা আয়ত্ত করা হয়েছে) বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ catch-word-গুলিকে একটা ছন্দের মধ্যে সাজিয়ে নিয়ে মনে রাখা (৫) প্রাক্–প্রত্যুষে যখন বাহ্যিক পরিবেশ শান্ত থাকে তখন অবশ্যই পড়ার অভ্যাস তৈরী করা (৬) কয়েকটি আসন যেমন মৎস্যমুদ্রা, জ্ঞানাসন, শশঙ্গাসন অভ্যাস করা ঙ্মআচার্য শেখাবেনৰ (৭) মাঝে মাঝে ব্রাহ্মী শাক, স্বল্প পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া (৮) গুরুধ্যান ৰ৷   (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য’ থেকে)

পোস্তর গুণাগুণ

আমাশয়

লক্ষণ ও কারণ ঃ পাচক রসের ত্রুটি নিবন্ধন মল কাঠিন্য প্রাপ্ত হলে তা যথাবিহিত ভাবে নিঃসারিত হতে চায় না৷ মলের সেই কাঠিন্যকে বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য৷ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কোষ্ঠকে পরিষ্কার করবার জন্যে প্রাকৃতিক নিয়মে উদরে এক প্রকার হড়হড়ে বস্তু (gelatinous substance) তৈরী হয়ে যায়৷ এই হড়হড়ে বস্তুকে সংস্কৃত ও বাংলায় ‘আম’ বলা হয়৷ হিন্দীতে ‘আঁব’ (আঁও) বলে৷ এই ‘আম’ একটি তৎসম শব্দ যার ভাবারূঢ়ার্থ হ’ল কাঁচা জিনিস৷ যেমন ‘আম–মাংস’ মানে কাঁচা মাংস৷ অতিরিক্ত কাঁচা ফল খেলে (কাঁচা মানে না–রাঁধা), অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য আনতে পারে এমন জিনিস খেলে (যেমন চিঁড়ে, যবের মণ্ড, ঘি কম ব্যবহার করে আতপ চাল, অতি মাত্রায় পুঁই শাক)

শশা

কিডনী ও লিবারের রোগে ঃ বর্ষাতী ও শীতের শশা–এই উভয় শশারই ঔষধীয় ও স্বাস্থ্যগত মূল্য আছে৷ কিডনী ও লিবারের ওপরে এর শুভ প্রভাবই রয়েছে৷ তবে অতি মাত্রায় খেলে সব কিছুই খারাপ৷ বর্ষাতী শশা সরস, মিষ্ট রস–যুক্ত, কষা ভাব অল্প–তাই মুড়ি ও চিড়ে ভাজার সঙ্গে অত্যন্ত মুখরোচক৷ জলখাবার হিসেবে চিঁড়ে ভাজার সঙ্গে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল৷ মুড়ির সঙ্গে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়৷ বর্ষাতী শশার সঙ্গে মুড়ির কোন দোষ নেই, অথচ স্বাদেও ভাল৷

একজিমা

লক্ষণ ঃ ক্ষত থেকে রসস্রবণ, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও দপদপানির ভাব, প্রতি বৎসরই রোগের পুনরুদয়, রোগজনিত শারীরিক দুর্বলতা ও মধ্যে মধ্যে জ্বর, সময় সময় রোগের অতি প্রকোপের ফলে দেহের অস্থি পর্যন্ত বেরিয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ৷

ধূমপান অতি বিপজ্জনক

যোগাচার্য্য

ধূমপান করা যে কত বিপজ্জনক তা শুনে ধূমপায়ীরা আঁতকে উঠবেন৷ ব্রিটেনের রয়েল কলেজ অব্ ফিজিসিয়ান্স্ (Britain's Royal College of Physicians) ধূমপানের কুফল সম্বন্ধে যে সকল সত্য উদ্ঘাটিত করেছেন তা সত্যিই উদ্বেগজনক৷

ধূমপানের বহু মারাত্মক রোগের বহুল প্রমাণ এইসব রিপোর্টে দেখান হয়েছে৷ যেমন ঃ ফুসফুসে ক্যানসাব, হূদরো, ব্রঙ্কাইটিস্(Broncuitis) অর্থাৎ শ্বাসনালীর ঝিল্লীর প্রদাহজনিত রোগ বা কফ্ রোগ, পরিপাক যন্ত্রের বিভিন্ন রকম রোগ (যেমন ঃ পরিপাকযন্ত্রে ঘা(Peptic ulcer) ইত্যাদি৷

শুকনো রুটি

রুটি চাটুতে সেঁকে তারপর উনুনে ফেলে গরমে ফুলিয়ে নিলে তা ব্যবহারের উপযুক্ত হয়, অন্ততঃ আজকালকার নিয়মে৷ কিন্তু আসলে রুটিতে যদি ঘি বা জল না বোলানো হয় তবে তা অগ্ণ্যাশয় (Pancreas) ও যকৃতের ওপর ধাক্কা দেয়৷

কলার মোচার উপকারিতা

প্রাচীন ৰাংলায় ‘মোচা’ শব্দের অর্থ ছিল ৰড় আকারের ফুল, আর ‘মুচি’ ছিল ছোট আকারের ফুল৷ কলার ফুলকে ৰলা হয় মোচা আর কাঁটাল বা নারকোলের ফুলকে বলে মুচি৷

লিবার (যকৃত) ও প্লীহা রোগে ঃ প্রাচীন ৰাংলায় মোচাকে একটি সুখভোগ্য খাদ্য বলে মনে করা হত৷ ঈষৎ ক্ষারযুক্ত হওয়ায় মোচা লিবার ও প্লীহা এ দু’য়ের পক্ষেই ভাল (তরকারী হিসেবে)৷

ভেজানো (বা অঙ্কুরিত) ছোলা

ছোলার খোলা না ছাড়িয়ে জলে ভিজিয়ে ফুলিয়ে নিলে তাকে বলা হয় ‘সিক্তচনকং’৷ ছোলা কিছুটা গুরুপাক হলেও গুড়–আদার সঙ্গে ভিজে–ছোলা মিশিয়ে খেলে তা কিছুটা সহজ পাচ্য হয়৷ ‘লবণেন সহ সিক্তচনকং’–অর্থাৎ নুন দিয়ে ছোলা ভিজে কিডনী রোগের ঔষধ৷ যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়, ছোলা–ভিজে ও আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ ( যথেষ্ট খাদ্যগুণ–সমৃদ্ধ হওয়ায়, যাঁরা নিরামিষ আহার করেন, তাঁদের যদি পেটে সহ্য হয়, তবে সকালে নিয়মিতভাবে ভিজানো বা অঙ্কুরিত ছোলা খাওয়া খুবই উপকারী৷ ভিজে ছোলা পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে )৷