স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

বাতরোগ সারবে কী ভাবে

রোগ–লক্ষণ ঃ পেশী বা বিভিন্ন সন্ধিস্থলে স্ফীতি ও আড়ষ্টভাব, ওই সকল স্ফীতিতে তীব্র যন্ত্রণা অথবা স্ফীত স্থান বেঁকে যাওয়া প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ৷

কারণ ঃ রোগটির কারণ হুবহু অম্লরোগের মত অর্থাৎ দেহে অম্লবিষের আধিক্য হেতু বায়ু কূপিত হ’য়ে এই রোগ সৃষ্ট হয়৷

চিকিৎসা ঃ আসন ও মুদ্রা ঃ প্রাতে ঃ উৎক্ষেপ মুদ্রা, ময়ূরাসন, পদহস্তাসন, উড্ডয়ন, অগ্ণিসার, আগ্ণেয়ী মুদ্রা বা আগ্ণেয়ী প্রাণায়াম৷

সন্ধ্যায় ঃ অগ্ণিসার, পশ্চিমোত্তানাসন, সর্বাঙ্গাসন, আগ্ণেয়ী মুদ্রা বা আগ্ণেয়ী প্রাণায়াম৷

চশমা কেন প্রয়োজন

ডাঃ আলমগির

কোন কারণে দৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে যদি কম হয়, কিন্তু দৃশ্যমান কোনও গঠনগত পরিবর্তন বা কোনও রোগ যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে সে দৃষ্টির উন্নয়ন সম্ভব৷ তখন একে রিফ্রাকটিভ এরর বা পাওয়ার জনিত দৃষ্টি স্বল্পতা বলা হয়৷ এটি সাধারণত চার ধরনের হয়৷

শোভাঞ্জন বা শোজনে

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তোমরা শোভাঞ্জন বা শোজনের অথবা (Moringa oleifera pterygosperma Gaetn.)সঙ্গে ভাল ভাবেই পরিচিত৷ শোভাঞ্জন ঞ> শোহাঞ্জন > শোআঞ্জন ঞ্ছ শোজিনা > শোজনে৷ শোভাঞ্জন শব্দের ভাবারূঢ়ার্থ হ’ল চোখের শোভা৷ শীতকালে যখন শাদা শোজনে ফুলে গাছ ভরে যায় তখন তা দেখতে ভারী সুন্দর লাগে৷ তাই এর নাম শোভাঞ্জন৷ শোজনের ফুল আসে শীতের মাঝামাঝি সময়ে৷ ডাঁটা ধরে শীতের শেষে–সেই সময়ে যে সময়ে বসন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব হয়৷

ছাঁচি কুমড়ো বা চাল কুমড়ো ও ঝিঙ্গে

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ছাঁচি কুমড়ো সাধারণতঃ মাটিতে হয় না৷ ঘরের চালাতে বা মাচাতে এই লতানে গাছটাকে তুলে দিতে হয়৷ এর জন্যে ছাঁচি কুমড়োকে গ্রাম–ৰাংলায় অনেকে চালকুমড়োও ৰলেন৷ এরও তিনটি ঋতুগত প্রজাতি রয়েছে৷ বর্ষাতী চালকুমড়োকে অবশ্যই মাচায় অথবা ঘরের চালে তুলে দিতে হয়৷ শীতের প্রজাতির ছাঁচি কুমড়োকে মাটিতেই ৰেড়ে যেতে দেওয়া হয়৷ তবে কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ গ্রীষ্মকালীন চালকুমড়ো মাটিতেই ৰেড়ে যেতে থাকে৷ (একেও) কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ তবে বর্ষাতী চালকুমড়োকে মাচায় তুলে দিতেই হবে, নইলে পোকার আক্রমণে ফলটি নষ্ট হবেই.....গাছও নষ্ট হবে৷

শক্তি ৰৃদ্ধি–মানসিক রোগ

ব্রাহ্মীBacopa monierri; Centella asiaticaঃ

ব্রাহ্মী ও তারই প্রজাতিবিশেষ থানকুনি ও থুন্কুড়ি (ভোজপুরীতে পাতাল নিম) প্রভৃতি শাকেরা স্নায়ুরোগের পুষ্টি বিধায়ক, স্মরণশক্তি ৰর্দ্ধক ও শুক্ররোগের ঔষধ৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েরই পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷ স্নায়ুদৌর্বল্য রোগেও এটা উত্তম ঔষধ৷ সকল প্রকারের স্নায়বিক রোগ ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা রোগে এর ব্যবহার আছে৷ ব্রাহ্মীঘৃত (অথবা ব্রাহ্মী সিরাপ) পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়ক৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েই লতানে উদ্ভিদ৷

পেটের অসুখে থানকুনি ঃ থানকুনি পাতার রস চীনী সহ খেলে পেটের অসুখে ভাল ফল দেয়৷

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

শোভাঞ্জন বা শোজনে

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তোমরা শোভাঞ্জন বা শোজনের অথবা ত্তপ্সব্জনুন্ধ্ত্র প্সপ্তন্দ্বন্ন্দ্রন্দ্বব্ হ্মব্ধন্দ্বব্জম্ভন্ধপ্ ণ্ড্ত্রন্দ্বব্ধু.গ্গ সঙ্গে ভাল ভাবেই পরিচিত৷ শোভাঞ্জন ঞ্ছ শোহাঞ্জন ঞ্ছ শোআঞ্জন ঞ্ছ শোজিনা ঞ্ছ শোজনে৷ শোভাঞ্জন শব্দের ভাবারূঢ়ার্থ হ’ল চোখের শোভা৷ শীতকালে যখন শাদা শোজনে ফুলে গাছ ভরে যায় তখন তা দেখতে ভারী সুন্দর লাগে৷ তাই এর নাম শোভাঞ্জন৷ শোজনের ফুল আসে শীতের মাঝামাঝি সময়ে৷ ডাঁটা ধরে শীতের শেষে–সেই সময়ে যে সময়ে বসন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব হয়৷

জলের বিশুদ্ধতা

জলম্, নীরম, তোয়ম্, উদকম, কম্বলম, পানীয়াম–জলের এই ক’টি হল পর্যায়বাচক শব্দ৷ জল শব্দটিকে তৎসম রূপেই ৰাংলায় ব্যবহার করি৷ যার মানে–any kind of water (যে কোন প্রকারের জল)৷ ‘নীর’ মানে সেই জল যা অন্যকে দেওয়া যায় ‘তোয়’ মানে যে জল উপচে পড়ে ‘উদক’ মানে যে জল খুঁড়ে পাওয়া যায় ‘কম্বল’ মানে যে জল ওপর থেকে পড়ে ‘পানীয়’ মানে যে জল পান করবার যোগ্য, খাল–বিল–নালার জল নয়৷ ৰাংলা ভাষায় ‘জল’ ও ‘পানী’ দুটো শব্দই চলে৷ জল শব্দটি তৎসম, আর পানী শব্দ ‘পানীয়ম’–এর তদ্ভব রূপ৷ ‘জল’ মানে যে কোন জল–ড্রেনের জল, পুকুরের জল, ফিল্টার করা কলের জল–সবই৷ তবে drinking water বললে তার জন্যে ৰাংলা হবে পানীয় জল বা পানী৷ মনে রাখবে, যে কোন জল