আম/আঁৰ
ফলশাক বলতে বোঝায় যে গাছে ফুলের পর ফল আসে৷ কাঁচা–পাকা যে কোন রকমের ফল শরীরের পক্ষে ভাল৷ কারণ ফল নিজের রসে জীর্ণ হয়–হজমের জন্যে যকৃতের সাহায্য বেশী নিতে হয় না৷ অথচ ফল শক্তির যোগান দেয় যথেষ্ট৷
ফলশাক বলতে বোঝায় যে গাছে ফুলের পর ফল আসে৷ কাঁচা–পাকা যে কোন রকমের ফল শরীরের পক্ষে ভাল৷ কারণ ফল নিজের রসে জীর্ণ হয়–হজমের জন্যে যকৃতের সাহায্য বেশী নিতে হয় না৷ অথচ ফল শক্তির যোগান দেয় যথেষ্ট৷
মানুষ গোরুর সংস্পর্শে আসার প্রায় সে৷ সে৷ দুধের গুণ জেনে ছিলঙ্গ একটি খাদ্যে যদি সর্বাধিক খাদ্য গুণের দরকার হয় তবে তা দুধেই পাওয়া যাবেঙ্গ আর গোরুর দুধের পরে মানুষ মোষের দুধের সংস্পর্শে এলঙ্গ উটের,, ভেড়ার সংস্পর্শে এসে সবাইকার দুধ খেয়ে মানুষ ৰুঝল যে গোরুর দুধে যে গুণ আছে, মোষের দুধেও তা আছে–আছে হয়ত বা বেশী পরিমাণেঙ্গ স্নেহজাতীয় পদার্থ মোষের দুধেই সোয়া গুণ থেকে দেড় গুণ বেশী থাকেঙ্গ এই জন্যে মোষের দুধ ষোলো থেকে চল্লিশ বছরের মানুষের পক্ষে ঠিক, তার কম বা বেশী বয়সের মানুষের পক্ষে ঠিক নয়ঙ্গ বিহারের যেখানে মোষের দুধ বেশী পরিমাণে পাওয়া যায়, সেখানেও শিশুকে ও ৰৃদ্ধকে গোরুর দুধ খাওয়ানো হয়ঙ্গ ভেড়ার দুধে স
মানুষ যে সকল সহজলভ্য খাদ্য খেয়ে থাকে তার অন্যতম হচ্ছে শাক৷ শব্দটাই বলে দিচ্ছে শাক মানে তাই–ই যা শক্তি জোগায়৷ তোমরা জান অধিকাংশ শাকেই যথেষ্ট পরিমাণ লোহা থাকে যা রক্ত ৰৃদ্ধির সহায়ক৷ কেবল শাক খেয়েও বেঁচে থাকা যায়৷ তবে শাকের পুষ্টি মূল্য আয়তনের তুলনায় কম৷ বাংলায় ‘শাক’ শব্দটি অত্যন্ত সীমিত অর্থে চলে৷ আমরা শাক বলতে ৰুঝি পালং শাক, নটে শাক, শুশুনি শাক প্রভৃতিকে৷ কিন্তু আসলে ন্তুন্দ্বব্জন্দ্ব্ত্রপ্ত বা মূল ভোজ্যের পাশে যা কিছু পার্শ্বভোজ্য (রন্ধনের পদ বা রেস্তোরাঁর মেনু) আছে সবাই শাক পর্যায়ভুক্ত৷ অর্থাৎ শাক মানে যে কেবল ‘সাগ’ ঙ্মহিন্দিতেৰ তাই নয়, সব রকমের শাক–সব্জীও শাক৷ অর্থাৎ যে বস্তু মোটামুটি বিচ
আমিষের তুলনায় গুণে–মানে ও বৈচিত্র্যে নিরামিষের পাল্লা অনেকখানি ভারী৷ সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্যে সবই উজাড় করে সৃষ্টি করে দিয়েছেন৷ এগুলো চিনে বেছে খাওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই৷ বছর জুড়ে প্রচুর শাক–সবজি আর ফলমূলের সম্ভারে পরিপূর্ণ এই প্রকৃতি৷ শাক–সব্জি ও ফলমূলে সব রকমের প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে৷ এছাড়া রয়েছে এ্যাণ্টিক্সিডেণ্টস, যা ফ্রি র্যাডিক্যালসকে প্রশমিত করে শরীরকে ক্যান্সারসহ নানা ঘাত–প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে৷ বার্ধক্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে নিরামিষ গুরুত্বূপর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে৷ বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল দেহের তরতাজা ভাব বজায় রাখে, বিশেষ করে ত্বক ও চুলের৷ ছোট বাচ্চাদের নিরামিষ খাওয়ার
বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাঙলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি
পদ্ম– Nelumbo nucifera ও পদ্মমধু ঃ
গুড়ুচি–গুলঞ্চ ঃ Tinospora cordifolia Miers.ঃ
পরিচয় ঃ যে আয়ুর্বেদীয় ওষুধটির নাম গুড়ুচি তাও মুথা বা কন্দের সাহায্যে চাষ করা হয়৷ তাই তাকে গুলঞ্চকন্দ বা গুড়ুচিকন্দ বলা হয়৷ কথ্য ৰাংলায় গুড়ুচি শব্দের ব্যবহার কম, গুলঞ্চ শব্দের ব্যবহার বেশী৷ হিন্দীতে গুড়ুচী বা গুরুচি দু’টি শব্দই চলে৷
তুলসীর পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বিশ্বে এক শতাধিক প্রজাতির তুলসী বা চ্ত্রব্দন্প্ত বর্গীয় গাছ রয়েছে৷ তুলসী জন্মায় আইবেরিয়ায় (স্পেন ও পর্তুগাল) সবচেয়ে বেশী৷ ৰাঙ্গালীস্তানের মাটি, জল, আবহাওয়া তুলসীর পক্ষে খুবই উপযোগী৷ শুধু ৰাঙ্গালীস্তান নয়, সমগ্র ভারতের প্রতি গৃহেই তুলসীর গাছ রাখার বিধি, এর ঔষধীয় গুণের কথা ভেবেই৷ সমগ্র তুলসী বর্গীয় গাছের একটা নিজস্ব বর্ণ–গন্ধ আছে৷ যদিও সকল রকম স্বভাবের তুলসীর ৰীজ অনেকটা এক ধরনের ও তুলসী বর্গের মূল গন্ধ সবাইতে আছে, তবুও সবাইকারই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে নিজস্ব গন্ধও আছে৷ যে কয়েক প্রজাতির তুলসী ৰাংলার একেবারে স্থানীয় অর্থাৎ ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়, তাদের মধ্যে রাধাতুলসী ও
মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷
ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷