স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

অজীর্ণ রোগে ও অম্লরোগে কিছু বিধিনিষেধ ও ব্যবস্থা

অজীর্ণ রোগের ফলে অনেক প্রাণঘাতক রোগের সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই আহারের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিত৷ পুরনো চালের ভাত (যেমন পোরের ভাত) এ রোগে পথ্য৷ ঘোল অজীর্ণ রোগীর পক্ষে বিশেষ হিতকারী৷ নুনে জরিয়ে জামেরী নেৰু অজীর্ণ রোগে একটি ভাল ব্যবস্থা৷ শোভাঞ্জন বা শোজনে পাতার ঝোল প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই অজীর্ণ রোগে ভাল ফল পাওয়া যায়৷ ৰেলপাতা, কালমেঘ পাতা, সোমরাজ পাতা, আদা, যোয়ান একত্রে পিষে, তা দিয়ে ছোট ছোট ৰড়ি তৈরী করে সেগুলি শুকিয়ে নিতে হবে৷ প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবারের পর একটা করে সেই ৰড়ি খেতে হবে৷ অজীর্ণ রোগে এই ঔষধও কাজ দেয়৷

রোগ ও চিকিৎসা

মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷

তৃণভোজী জীব, মাংসাশী জীব, মানুষ

 

তোমরা জান জীবজন্তুরা মুখ্যতঃ তৃণভোজী (graminivorous) ও মাংসভোজী (carnivorous)–এই দু’টি মুখ্য শাখায় বিভক্ত৷ তৃণভোজীদের দাঁতগুলো থাকে মুক্তোর মত ধবধবে শাদা ও সাজানো৷ যারা মাংসভোজী জীব তাদের দাঁতগুলি হয় খোঁচা খোঁচা, ঈষৎ হল্দেটে অথবা লালচে মেশানো হলদেটে৷ মুখের দুই পাশে থাকে মাংস কাটবার কর্ত্তন দন্ত (canine teeth)৷

শিশুর অপুষ্টিজনিত রোগ কোয়াশিয়রকর

যোগাচার্য

দেখা যায়, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বহু দেশের মত ভারতেরও বেশীর ভাগ মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে৷ সবচেয়ে বেশী শিকার শিশুরা৷ আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ পাঁচ বছর বা তার কম বয়সের শিশু৷ অনেক শিশু পাঁচ বছর পূর্ণ করার আগেই মারা যায়৷ এর বড় কারণ হ’ল অপুষ্টি৷

পুষ্টির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে শিশুদের ‘প্রোটিন–ক্যালরির অভাবজনিত অপুষ্টি’৷ যাকে বলে ‘প্রোটিন–এনার্জি ম্যালনিউট্রিশন’ বা প্রোটিন ক্যালরির অপুষ্টি৷ এই অপুষ্টির প্রাদুর্ভাব বাঙলাদেশ সহ ভারত, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় বেশী৷ কোটি কোটি শিশু এ রোগের শিকার৷

অশোক

অশোক একটি ভারতীয় প্রজাতির (Indica) গাছ৷ অত্যুষ্ণ বা অতি শীতল অঞ্চল বাদে ভারতের সর্বত্রই অশোক গাছ জন্মায়৷ কেউ কেউ দেবদারু (ঢ়েউ খেলানো পাতা) গাছকে ভুল করে অশোক বলে থাকেন৷ না, দেবদারু ও অশোক এক গাছ নয়৷ দেবদারু (Indian pine) পাইন বর্গীয় গাছ, অশোক তা নয়৷ অশোক ফুল অধিকাংশ ক্ষেত্রে লালচে রঙের৷ কিন্তু শাদা, সোণালী ও হলদে রঙের অশোক ফুলও হয় যদিও তারা দুষ্প্রাপ্য৷ অশোক ফুল, ছাল ও মূল নানান ধরনের ঔষধ প্রস্তুতিতে লাগে৷ বিশেষ করে বিভিন্ন স্ত্রী–ব্যাধিতে অশোকের ঔষধীয় গুণ সর্বজনস্বীকৃত৷ অশোকাসব, অশোকারিষ্ট, অশোকক্ষীর প্রভৃতি ঔষধগুলি এই অশোক থেকেই প্রস্তুত হয়৷ সূতিকা রোগে অশোকাসব ঃ গর্ভবতী নারী এক বল্কা ঙ্ম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যের আঁশ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ড্ডন্ন্দ্বব্ধ্ত্রব্জম্ভ ন্দ্রন্ত্ব্ব্জন্দ্ব বা খাদ্যের আঁশের ওপর বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে৷ কারণ বহু সমীক্ষার পর দেখা গেছে, খাদ্যের আঁশ দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়, পাকস্থলীতে বেশীক্ষণ থাকে, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা কমায়, ওজন ও রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ এই কারণে প্রাচীন সমাজে ডায়াবেটিস রোগীদের অধিক পরিমাণে আঁশ ও স্বল্প পরিমাণে সহজ শর্করা দিয়ে চিকিৎসা করা হতো৷

বহুমূত্র (ডায়াবেটিস) রোগের নিরাময়

লক্ষণ ও কারণ ঃ প্রাচীনকালে ডায়াৰেটিস বা মধুমেহ রোগটিকে সংস্কৃতে মধুমেহ বলা হত৷ বহুমূত্র–ও বলা হত৷ তবে দু’টো এক নয়৷ বহুমূত্র মানে যে রোগে বারবার মূত্রত্যাগ করা হয়৷ মধুমেহ মানে মূত্রে শর্করার ভাগ বেড়ে যাওয়া৷ আসলে শর্করাযুক্ত বহুমূত্র রোগকে মধুমেহ বলা হয়৷ প্রাচীন বৈদ্যকশাস্ত্রে কোন পাত্রে মূত্র রেখে ওপরের অংশকে পৃথক করে, পৃথক ভাবে ওপরের অংশ ও নীচের অংশকে পরীক্ষা করা হত৷ তবেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যেত রোগীর মধুমেহ বা ডায়াবেটিস আছে কিনা৷ তারপর নিশ্চিত ভাবে রোগ ধরা পড়ত যখন কোন প্রকাশ্য স্থানে মূত্র (গুহ্যনিষ্যন্দ) ঢ়েলে দেওয়া হত৷ যদি দেখা যেত যে কিছু সময়ের মধ্যে তাতে পিঁপড়ে এসে বসেছে, তাতে নিঃসন্দেহ

 অজীর্ণ রোগে ও অম্লরোগে কিছু বিধিনিষেধ ও ব্যবস্থা

অজীর্ণ রোগের ফলে অনেক প্রাণঘাতক রোগের সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই আহারের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিত৷ পুরনো চালের ভাত (যেমন পোরের ভাত) এ রোগে পথ্য৷ ঘোল অজীর্ণ রোগীর পক্ষে বিশেষ হিতকারী৷ নুনে জরিয়ে জামেরী নেৰু অজীর্ণ রোগে একটি ভাল ব্যবস্থা৷ শোভাঞ্জন বা শোজনে পাতার ঝোল প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই অজীর্ণ রোগে ভাল ফল পাওয়া যায়৷ ৰেলপাতা, কালমেঘ পাতা, সোমরাজ পাতা, আদা, যোয়ান একত্রে পিষে, তা দিয়ে ছোট ছোট ৰড়ি তৈরী করে সেগুলি শুকিয়ে নিতে হবে৷ প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবারের পর একটা করে সেই ৰড়ি খেতে হবে৷ অজীর্ণ রোগে এই ঔষধও কাজ দেয়৷

বেল/বিল্ব

সংস্কৃত শব্দ ‘বিল্ব’ থেকে ৰাংলায় ‘ৰেল’ শব্দটি এসেছে৷ ‘ৰিল’ শব্দের অর্থ ছিদ্র, ‘বিল্ব’ মানে যে বস্তুতে ছিদ্র আছে অথবা যে বস্তু ছিদ্র তৈরী করে৷ ৰেলের পর্যায়বাচক শব্দ ‘শ্রীফল’ পশ্চিম বিহারে ও উত্তর ভারতে কোন কোন স্থানে প্রচলিত৷ ভারতে ও বহির্ভারতে ৰেলের নানা শ্রেণীবিভাগ দেখা যায়৷ পাতলা খোলা, কম ৰীজ, কম আঠা, স্বাদ ও গন্ধের বিচারে রংপুরী ৰেলই সর্বশ্রেষ্ঠ৷