স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

মধু

আয়ুর্বেদাচার্য

টনসিলের ব্যাধিতে মধু

টনসিলের ব্যাধিতে মধু উপকারী৷ মিষ্টি আপেলের রসের সাথে ২/৩ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বারে বারে (৪/৫ বার) সেবন করলে টনসিলের ব্যথা হ্রাস পায় আর তার স্ফীত আকারও কমে ছোট হয়ে আসে৷

পেট গরম হলে, মল পরিষ্কার না হলে অনেক সময় মুখে জিহ্বায় অনেকের ঘা হয়৷ মধু খেলে শরীরের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে আর মুখের ঘা ঠিক হয়ে যায়৷

পটোলের উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ পটোল উত্তর–পূর্ব ভারতের একটি মুখ্য সব্জী৷ কারণ এর আদি বাস পূর্ব ভারতে–বিশেষ করে গঙ্গা অববাহিকার সাহেবগঞ্জ, মালদা, নদীয়া ও রাজমহল এলাকায়৷ এছাড়াও পটোল বেশী পাওয়া যায় রাঢ়, সমতট, মিথিলা (বিহার) ও উৎকলে (ওড়িষ্যা)৷ পটোল একটি ইন্ডিকা বর্গীয় গাছ৷ ৰাংলায় একে পটোল বলে, সংস্কৃতেও ‘পটোল’৷ মগহীতে শাদা রঙের পটোলকে বলা হয় পটোল কিন্তু সবুজ রঙের পটোলকে বলা হয় ‘পরবল’৷ ভোজপুরীতে বলা হয় ‘পরুরা’ বা ‘পরোরা’৷ মৈথিলীতে ‘পরোর’, হিন্দীতেও ‘পরবল’, আর ইংরেজীতে বলা হয় ভ্র্ত্রপ্র ন্ধপ্সব্ভব্জস্তু বা ব্দশুব্ভ্ত্রব্জব্ধ ন্ধপ্সব্ভব্জস্তু.

বিল্ব বা বেলের উপকারিতা

সংস্কৃত শব্দ ‘বিল্ব’ থেকে ৰাংলায় ‘ৰেল’ শব্দটি এসেছে৷ ‘ৰিল’ শব্দের অর্থ ছিদ্র, ‘বিল্ব’ মানে যে বস্তুতে ছিদ্র আছে অথবা যে বস্তু ছিদ্র তৈরী করে৷ ৰেলের পর্যায়বাচক শব্দ ‘শ্রীফল’ পশ্চিম বিহারে ও উত্তর ভারতে কোন কোন স্থানে প্রচলিত৷ ভারতে ও বহির্ভারতে ৰেলের নানা শ্রেণীবিভাগ দেখা যায়৷ পাতলা খোলা, কম ৰীজ, কম আঠা, স্বাদ ও গন্ধের বিচারে রংপুরী ৰেলই সর্বশ্রেষ্ঠ৷

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

শিম্বীশাক ঃ

শিম্বীশাকের অর্থ বিভিন্ন ধরনের শুঁটি৷ যেমন, কড়াইশুঁটি, শীম, বিভিন্ন ধরনের ৰীন্স্, ৰরবটী প্রভৃতি৷ এরা সবাই পুষ্টিকর খাদ্য–প্রোটিনে ভরপুর৷ এদের মধ্যে সয়াবীন ও অন্য কোন কোনটির গুণ দুধের চেয়েও বেশী৷১০৮

সয়াবীন– Glycine max

সয়াবীন একটি প্রচুর স্নেহগুণ–যুক্ত উত্তম খাদ্য৷ কিন্তু এতে রয়েছে কিছুটা বুনো গন্ধ৷ এর আদি বাস চীন ও উত্তর পূর্ব এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে৷ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে একে de-odourised (দুর্গন্ধনাশক) করতে পারলে এর জনপ্রিয় হওয়ার পথে কোন ৰাধা থাকে না৷

মানুষ, প্রকৃতি ও ঔষধ

ভেষজ প্রলেপ

কিন্তু মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান এই উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷

বটিকা

ঝিঙ্গের উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ‘কুলক’ শব্দটিকে তোমরা যদি ক্লীবলিঙ্গে ব্যবহার কর, তার মানে হবে ৰড় আকারের ঝিঙ্গে৷ যে ঝিঙ্গে একসঙ্গে থোকায় থোকায় হয় ও আকারে একটু ছোট, তার বিশেষ নাম হচ্ছে ‘সপ্তপুত্র’ বা ‘সপ্তপুত্রিকা’৷ এই ‘সপ্তপুত্রিকা’–সঞ্জাত ‘সাতপুতিয়া’ শব্দটি ছোট ঝিঙ্গের জন্যে উত্তর ভারতে কোথাও কোথাও ব্যবহূত হয়৷ সে সকল স্থানে ৰড় ঝিঙ্গেকে বলা হয় ঝিঙ্গী৷ রাঁচী অঞ্চলের ঝিঙ্গে আকারে খুব বেশী দীর্ঘ হয়..... স্বাদও ভাল৷ ঝিঙ্গে গাছের কুঁড়িগুলি বিকেলের দিকে একসঙ্গে সবাই মৃদু পট পট ধ্বনি করে ফুটে যায়৷ তাই যে মানুষের গুণ হঠাৎ বিকশিত হয়, তাকে প্রশংসার ভাষায় শাদা–মাটা ৰাংলায় ঝিঙ্গে ফুলের সঙ্গে তুলনা করা হয়৷

ঘামাচী (ঘর্মচচী)

চামড়াকে ঘর্মচচী থেকে বিমুক্ত করার জন্যে সমপরিমাণ তাজা দুধের সর ও ময়দা মিশিয়ে অল্পক্ষণ আঙ্গুলে ফেনিয়ে বা ফেটিয়ে নিয়ে, তারপর সারা শরীরে ওই সর–ময়দা মেখে ১৫/২০ মিনিট আলো–হাওয়া যুক্ত শুকনো জায়গায় (রোদে নয়) বসে থাকতে হয়৷ তারপর ওই লেপটে যাওয়া সর–ময়দাকে ঘষে ঘষে তুলে দিতে হয় ও সাবান না মেখে স্নান করতে হয়৷ সর–ময়দা ব্যবহারে সামান্যতম ক্ষতি হয় না৷ বরং ১৬ আনা লাভ হয়৷ শীতের দিনে চামড়া ফেটে গেলে অথবা অন্য যে কোন কারণে চামড়া খসখসে হয়ে গেলে, মেয়ে–পুরুষ যে কেউই সর–ময়দা ব্যবহার করতে পারেন৷                 (‘দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য’ থেকে)

পটোলের উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ পটোল উত্তর–পূর্ব ভারতের একটি মুখ্য সব্জী৷ কারণ এর আদি বাস পূর্ব ভারতে–বিশেষ করে গঙ্গা অববাহিকার সাহেবগঞ্জ, মালদা, নদীয়া ও রাজমহল এলাকায়৷ এছাড়াও পটোল বেশী পাওয়া যায় রাঢ়, সমতট, মিথিলা (বিহার) ও উৎকলে (ওড়িষ্যা)৷ পটোল একটি ইন্ডিকা বর্গীয় গাছ৷ ৰাংলায় একে পটোল বলে, সংস্কৃতেও ‘পটোল’৷ মগহীতে শাদা রঙের পটোলকে বলা হয় পটোল কিন্তু সবুজ রঙের পটোলকে বলা হয় ‘পরবল’৷ ভোজপুরীতে বলা হয় ‘পরুরা’ বা ‘পরোরা’৷ মৈথিলীতে ‘পরোর’, হিন্দীতেও ‘পরবল’, আর ইংরেজীতে বলা হয়  wax gourd õ± squart gourd..

তরমুজ

পৃথিবীতে তরমুজের অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ ভারতীয় তরমুজের ওপর–শাদা, ওপর–সবজে ও ওপর–কালচে–তিন প্রজাতিই রয়েছে৷ সাধারণতঃ ভারতীয় তরমুজের ভেতরটা ঘোর লাল অথবা ফিকে লাল হয়ে থাকে৷ গোয়ালন্দ, আমতা, তারকেশ্বর, ৰর্দ্ধমান, ভাগলপুর ও সাহারাণপুরের তরমুজেরও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ আকারে সবচেয়ে ৰড় হয়ে থাকে ভাগলপুরী তরমুজ৷ যার ভেতরটা হলদে সেই চীনা তরমুজের আকার কিছুটা ছোট হয় কিন্তু মিষ্টত্ব খুবই বেশী৷ বর্ত্তমানে সাৰেকী জাপানী বর্গীয় তরমুজ দক্ষিণ ৰাংলায় সমুদ্র–ঘেঁষা অঞ্চলে ভালই জন্মাচ্ছে–এর স্থানিক নাম দেওয়া হয়েছে সাগরশ্রী৷ উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ৰলেন তরমুজের আদি বাসস্থান নাকি আরব দেশে৷ অনুমিত হয় জলপথে এই তরমুজ কলিঙ্গ দে