সংবাদ দর্পণ

আনন্দনগরে রক্তদান শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২২শে ডিসেম্বর’২৪ আনন্দমার্গ মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে আনন্দমার্গ আভা সেবা সদন কম্পোজিট চ্যারিটেব্‌ল হসপিটাল, আনন্দনগরের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ শিবিরে মোট ৩১জন রক্তদান করেন, এরমধ্যে মহিলা ৬জন রক্তদান করেন৷ আর ৬জনের রক্ত বিভিন্ন কারণে নেওয়া হয়নি৷

বেলামুতে সুয়েটার ও কাপড় বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ডিসেম্বর’২৪ বেলামু গ্রামের দুঃস্থ মহিলাদের সুয়েটার ও অন্যান্যদের জামাকাপড় বিতরণ করা হয়৷ সম্প্রতি ওখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্যে শিলান্যাস করা হয় ও সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্যে সায়রের খনন কাজ চলছে৷

আনন্দমার্গ গার্লস হাইস্কুলের অনুমোদন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অনেক প্রয়াস ও অপেক্ষার পর অবশেষে আনন্দমার্গ গার্ল হাইস্কুল, উমানিবাস, আনন্দনগর ১-১-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে (বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যম) ‘পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড অব সেকেণ্ডারী এডুকেশন’-এর অনুমোদন প্রাপ্ত হয়েছে৷ ২০১৩ সালে ৫ম---৮ম শ্রেণী পর্যন্ত অনুমোদন প্রাপ্ত হয়৷ যথাসময়ে ৯ম-১০ম শ্রেণীর জন্যে আবেদন করা হয়৷ সেই আবেদন মঞ্জুর হয় ৯-১২-২০২৪ সালে ও কার্যকর হবে ১-১-২০২৫ সাল থেকে৷

সকলের কাছে আবেদন আপনার কন্যা সন্তানকে আদর্শ মুখী নৈতিক ও নব্য মানবতাবাদী শিক্ষার জন্যে ভতর্ি করতে অনুরোধ করছি৷

অস্থিপাহাড়ে আনন্দমার্গ স্কুলের উদ্ভোধন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ আন্তর্জাতিক নববর্ষের প্রাক মূহূর্তে আনন্দনগর অস্থিপাহাড়ের পাদদেশে আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনের নিকটবর্তী মারামু, তাহেরবেড়া, বড়রোলা ভুচুংডি, সামলাট্যাড় গ্রাম ও টোলার ছেলেমেয়েদের নৈতিক ও নব্য মানবতাবাদী শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্য আনন্দমার্গ শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে ২৭শে ডিসেম্বর’২৪ আনন্দমার্গ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্ভোধন করা হয়েছে৷

আনন্দনগরে এপারেলস ট্রেনিং

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গ্রামের ছেলে-মেয়ে ও মহিলাদের স্বশক্তিকরণ ও প্রথাগত শিক্ষা শেষে প্রত্যেকেই যেন আর্থিক উপার্জন করতে সক্ষম হয়, ও কাজের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায় সেই উদ্দেশ্যে গত ২৪শে নভেম্বর’২৪ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভারত সরকারের ‘‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ MSDE)’’ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা-৪.০ PMKVY4.0) অধীনে ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্র্পেরেশন অনুমোদিত আনন্দনগর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৩ জনকে নিয়ে এপারেলস (সেলাই সংক্রান্ত) কোর্সের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে৷ ১৮ই ডিসেম্বর’ ২৪ মূখ্য প্রশিক্ষক ডঃ ডিপি গণ মহাশয় সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত মূল্যবান বক্তব্য ও পরামর্শ প্রদান করেন৷

হাওড়ায় চক্ষু চিকিৎসা শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়ার রানিহাটী আনন্দমাগ’’ আশ্রমে চক্ষু পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হল৷ আনন্দমাগ’’ সেবা দলের পক্ষ থেকে জয়ন্ত শীল, সুচিত্রা রীত, মায়া বর, তপন মান্না ,প্রদীপ খাড়া প্রমুখ উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন৷ এছাড়াও মহাব্রত ব্রহ্মচারী, আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত সহযোগিতা করেন৷ সুষ্ঠু ভাবে উক্ত শিবির পরিচালনা করেন ভূক্তি প্রধান সুব্রত সাহা৷

আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে মহাসমারোহে আনন্দনগরে ধর্মমহাসম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৯,৩০,৩১শে ডিসেম্বর আনন্দনগরে ত্রি-দিবসীয় আনন্দমার্গ আন্তর্জাতিক ধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে ২৮শে ডিসেম্বর অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় শুরু হয় ৭২ ঘন্টার অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ নাম সংকীর্ত্তন৷ ৩১শে ডিসেম্বর,২৪ অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় কীর্ত্তন সমাপ্ত হয় ও ঈশ্বর প্রণিধানের পর আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত কীর্ত্তন মাহাত্ম্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ এই দিন রাত্রি ১০ ঘটিকায় আনন্দমূর্ত্তিজীর বরাভয় আশীর্বাদ মুদ্রার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ধর্ম মহাসম্মেলন সুসম্পন্ন হয়৷

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ভারতের প্রায় সব রাজ্য থেকে ভক্ত আনন্দমার্গীরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷ তিনদিনের সম্মেলনে ৭২ ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তন ও অন্তিমদিনে কীর্ত্তন পরিক্রমা করা হয়৷ প্রতিদিন প্রভাতে পাঞ্চজন্য, কীর্ত্তন সহযোগে প্রভাত ফেরী, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান সহ যাবতীয় অনুষ্ঠানে প্রত্যেক আধ্যাত্মিক সাধক নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন৷ মার্গগুরু প্রতিনিধি আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত দাদা কর্তৃক দু’বেলা আধ্যাত্মিক ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনার মূল বিষয় ছিল মনকে শুদ্ধ করার উপায়৷ আদর্শ মানুষ হতে গেলে প্রতিটি মানুষকে দুইবেলা আধ্যাত্মিক অনুশীলন করতেই হবে৷

এছাড়াও তিনদিনের অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক দুঃস্থ মানুষদের কম্বল ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়, আর্থিকভাবে অসচ্ছলদের জন্যে প্রতিদিন দু’বেলা সস্তা ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়৷ ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে বিরাট মেলাও বসে৷ মেলায় বিভিন্ন ধর্মের জনসাধারণ উপস্থিত হন ও বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেচা-কেনা হয়৷

এই ধর্ম মহাসম্মেলনের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ একত্রিত হন ও নিজেদের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান হয়৷ প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রভাত সঙ্গীত ও নব্যমানবতাবাদ আধারিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়৷

দুঃস্থদের কম্বল বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৯ই ডিসেম্বর’২৪ আনন্দনগরের নিচুবাগলতা, চৌকিবেরা, সিংঘাঘরা ও ভগুডি গ্রামের নির্বাচিত ৫০জন দুঃস্থ অসহায়দের আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়৷

হাওড়ায় কম্বল বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের সুলতানপুরে আনন্দমাগ’’ আশ্রমে বকুল রায়ের ব্যবস্থাপনায় ও স্বতন্ত্র বৈতালিকেরর সহযোগিতায় ১১ই ডিসেম্বর বুধবার সকালে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বহূ দু:স মহিলাকে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়৷ শ্রদ্ধেয় দিদি রসধ্যানায় নন্দ রসধ্যানা আচায্যা’’ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরন করেন৷

সর্বক্ষেত্রে চাই আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সর্বক্ষেত্রে আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণের নীতি রূপায়িত করতে হবে৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত বর্তমান আর্থিক দুরাবস্থা প্রসঙ্গে এক আলোচনায় বলেন--- করোনার মত রোগ, প্রাকৃতিক দুর্র্যেগ, যুদ্ধ এসব থাকবেই৷ কিন্তু এইসবকে অজুহাত করে সাধারণ মানুষের জীবন ধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি পুঁজিবাদী শোষকদের কৌশলমাত্র৷ দেশের সর্বস্তরে আর্থিক নীতি প্রণয়নে পুঁজিবাদীরাই মুখ্য ভূমিকা নিয়ে থাকে৷ রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিশ্রুতির ঝড় বইয়ে দেন, পরে সব প্রতিশ্রুতিই নিষ্ঠুর ভাঁওতাবাজীতে পরিণত হয়৷ নেতাদের প্রতি বিশ্বাস হারানো জনগণকে দলে রাখতে সামান্য কিছু দিয়ে দেয়৷ অপর দিকে মারণ বাইরাসের হামলাই হোক, আর যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রের হামলাই হোক পুঁজিপতিদের সম্পদ বাড়তেই থাকে৷ আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ বলেন কেন্দ্রীত অর্থনীতি আসলে পুঁজিপতিদের অধিকতর মুনাফা লোটার কৌশল মাত্র৷ স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও দেশের জনগণ আর্থিক শোষণ থেকে মুক্তি পেল না৷ কারণ দেশের সমস্ত আর্থিক নীতি প্রণয়ন করে থাকে মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিগোষ্ঠী৷ আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দের ভাষায়---সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়টি হওয়া উচিত জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা, সাধারণ মানুষের ক্রমবর্ধমান ক্রয় ক্ষমতার নিশ্চিততা দেওয়া৷ কিন্তু সরকারের নজর সেদিকে নেই৷ বর্তমান কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয় আর্থিক শোষণ থেকে মুক্তির কোন সম্ভাবনাই নেই৷ আর্থিক শোষণ প্রতিহত করার একমাত্র উপায় হ’ল প্রাউটের পথে আর্থিক ব্যবস্থার সর্বক্ষেত্রে বিকেন্দ্রিত নীতি রূপায়িত করা৷ বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থায় জনসাধারণের যেমন আর্থিক বিকাশ হবে, আবার মানস-আধ্যাত্মিক প্রগতির পথ ও প্রশস্ত হবে৷ আজকের মানুষের শ্লোগান হোক---‘‘শোষণের অবসানে কেন্দ্রিত অর্থনীতি নিপাত যাক,প্রাউটের পথে বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থা চালু করতে হবে৷ প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থার প্রথম লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক সমস্যা, সম্ভাবনা দেখে ভৌগোলিক অবস্থান ও ভাষা-কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয় অনুযায়ী এক একটি জনগোষ্ঠীর জন্যে এক একটি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির ব্যবস্থা করা৷ এক্ষেত্রে সমস্ত সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক নীতিনির্ধারণের দায়িত্ব থাকবে স্থানীয় মানুষের হাতে৷ স্থানীয় মানুষ তাদেরই বলা হবে যারা নিজেদের সামাজিক আর্থিক স্বার্থকে সেই অঞ্চলের সামাজিক আর্থিক স্বার্থকে, সেই অঞ্চলের সামাজিক অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে একাত্ম করে নিয়েছে৷ এছাড়া বিকেন্দ্রিত অর্থনীতির দ্বিতীয় নীতি হবে-উৎপাদনের ভিত্তি হবে উপভোগ, মুনাফা নয়৷ উৎপাদন ও বন্টনের কাজ সমবায়ের মাধ্যমে করতে হবে৷ সমস্ত প্রকার অর্থনৈতিক কার্যকলাপে স্থানীয় মানুষ নিযুক্ত করতে হবে ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে উৎপাদিত ভোগ্যদ্রব্য বিক্রয় করা চলবে না৷ পরিশেষে আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ বলেন---বিশ্বের নীতিবাদী মানুষ যত দ্রুত প্রাউটকে জানবেন ও বুঝবেন ততই মানুষের কল্যাণ ত্বরান্বিত হবে৷