সংবাদ দর্পণ

আমেরিকার পুলিশের উচ্চপদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত -প্রতিমা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নিউইয়র্ক পুলিশের ক্যাপ্ঢেন পদে পদোন্নতি পেলেন প্রতিমা ভুল্লার মাসডোনাদো৷ দক্ষিণ এশিয়ার মহিলাদের মধ্যেই তিনি প্রথম, যিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি)-এর উচ্চপদে আসীন হলেন৷ প্রতিমার জন্ম পঞ্জাবে৷ ৯ বছর বয়সে তিনি নিউইয়র্ক চলে আসেন৷ তারপর থেকে নিউইয়র্কেরই বাসিন্দা তিনি৷

প্রতিমাকে গত মাসে কাপ্ঢেন পদে নিযুক্ত করা হয়েছে৷ এর ফলে প্রতিমা একমাত্র মহিলা যাঁকে এনওয়াইপিডিতে এত উচ্চপদে পদোন্নতি দেওয়া হল৷ নতুন কর্মক্ষেত্রে দক্ষিণ রিচমণ্ড হিল,ক্যুইন্স৷ এই খবরে উছ্বসিত প্রতিমা নিজেও৷ বস্তুত, প্রতিমার বর্তমান কর্মক্ষেত্রের এলাকাতেই কেটেছে তাঁর ছোটোবেলা৷ পদোন্নতি ও নয়া কর্মক্ষেত্রের কথা জেনে তিনি বলেছেন, ‘‘এটা অনেকটা ঘরে ফেরার মতো অভিজ্ঞতা৷ জীবনের ২৫টি বছর আমি এখানে কাটিয়েছি৷ এবার এখানেই কাজ করব৷

প্রতিমার চারজন ছেলেমেয়ে৷ তাঁরা সকলেই মায়ের সঙ্গে রিচমণ্ড হিলেই থাকে৷ মায়ের এই চোখধাঁধানো পদোন্নতির খবর তাঁরাও শুনেছে৷ যদিও এতে আলাদা করে আনন্দের কী আছে, তা বুঝতে পারছে না প্রতিমার শিশুসন্তানরা৷ তবে প্রতিমার এই কৃতিত্বকে প্রকৃত অর্থেই চোখ ধাঁধানো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ এনওয়াইপিডির মোট ৩৩,৭৮৭ কর্মীর মধ্যে মাত্র সাড়ে ১০ শতাংশ এশীয় বংশোদ্ভূত৷

কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে সৌরশক্তির সাহায্যে তরল জ্বালানি---বাঙালী বিজ্ঞানীর বিকল্পপথ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিশ্ব উষ্ণায়ন কম করতে একমাত্র ভরসা গাছের পাতা৷ কারণ গাছের পাতা কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে অক্সিজেন দেয়৷ সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে সৌরশক্তির সাহায্যে তরল জ্বালানি তৈরির দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি বিজ্ঞানী৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মারি কুরি ফেলো’, বর্ধমানের  কালনার বাসিন্দা৷ মতিয়ার রহমানের  সেই গবেষণাপত্র বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকার সাব জার্র্নল ‘নেচার এনাজি’-তে৷

গাছ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মাটি থেকে জল নিয়ে তৈরি করে শর্করা ও অক্সিজেন৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাজ আইআইটির প্রাক্তনী মতিয়ার জানাচ্ছেন,সেই প্রক্রিয়াই তাঁরা অনুসরণ করেছেন ‘কৃত্রিম পাতা’ তৈরি করে৷ ওই পাতা আসলে যন্ত্র৷ মতিয়ারের কথায়, ‘‘এই পাতা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও জলের মিশ্রণে রেখে সুর্যালোক দিলেই তা তরল জ্বালানি ইথানল ও প্রপানল তৈরি করবে৷’’ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রেইসনার ল্যাব’-এ এই পরীক্ষা থেকে উদ্ভূত গবেষণা পত্রের প্রথম প্রণেতা মতিয়ার৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরউইন রেইসনার মুখ্য প্রণেতা৷

মতিয়ার জানাচ্ছেন, এই ‘কৃত্রিম পাতা’টির এক প্রান্তে থাকবে সৌর কোষ ও অনুঘটক৷ যার থাকবে ন্যানো পার্টিকল, যা অনুঘটক হিসেবে হয়ে ইথানল ও প্রপানল তৈরি হবে৷ দ্বিতীয় প্রান্তে থাকবে ন্যানো পার্টিকল, যা অনুঘটক হিসেবে জলের জারণ ঘটিয়ে অক্সিজেন তৈরি করবে৷ প্রক্রিয়াগতভাবে যা সালোকসংশ্লেষের মতোই৷ রেইসনার ল্যাব কয়েক বছর ধরেই এ নিয়ে গবেষণা করছিল বলে জানাচ্ছেন মতিয়ার৷ তবে এই প্রথম সরাসরি কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে তরল জ্বালানি তৈরি করা গিয়েছে৷

নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়েই রিকশা চালানো

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত পাঁচ বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন বাংলাদেশের এক ব্যক্তি৷ তার নাম সেন্টু৷ কিন্তু কি করবেন পেটের জ্বালায় সংসার খরচ ও তাঁর যাবতীয় খরচের জোগান দিতে হাতে তুলে নিয়েছেন রিকশার স্টিয়ারিং৷ বাংলাদেশের রাজশাহীর রাস্তায় রিকশা চালান তিনি৷ ফুসফুসের সমস্যা অক্সিজেন না পেলে হয়তো মৃত্যুও হতে পারে তাই অক্সিজেনের সিলিন্ডার অটোর পাশে রেখে নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে  তিনি দিনের পর দিন রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন তিনি৷ পুরো নাম মাইনুজ্জামান ওরফে সেন্টু৷ বাংলাদেশের রাজশাহী নগরের কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা তিনি৷ তার দুই কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে৷ সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ ফলে স্ত্রী চম্পাকেই নিয়েই এখন তাঁর সংসার৷ পেটের টানে ওই অবস্থায় রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন সেন্টু বাবু৷ রিকশার আসনের পাশেই সিলিন্ডার বসানোর জন্য একটি জায়গাও তিনি নিয়েছেন৷ প্যাসেঞ্জার না থাকলে ওই অক্সিজেন সিলিন্ডারটাই সেন্টুর সর্বক্ষণের সাথী৷ এটা ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না তাঁর৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই অক্সিজেন সিলিন্ডারকে সঙ্গী বানিয়ে সকাল থেকেই সওয়ারির খোঁজে নেমে পড়ে সেন্টু৷ নাকে সর্বক্ষণ লাগানো রয়েছে অক্সিজেনের নল৷

বাঙালীস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘আমরা বাঙালী’র বাংলা ভাষা শহীদ দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯শে মে বরাকের একাদশ বাংলা ভাষা শহীদদের স্মরণসভা প্রতিবারের মতো এবারও সারা বাঙালীস্তান জুড়ে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন আয়োজন করে৷ বারাসাত, নবব্যারাকপুর,কাকিনাড়া, নৈহাটি, মেদিনীপুর ত্রিপুরা, অসম সহ বাঙালীস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে ‘বাংলাভাষা শহীদ দিবস’ পালন করা হয়৷ কেন্দ্রীয়ভাবে শ্যামবাজার মেট্রোর সামনে ‘আমরা বাঙালী’র জমায়েত ও শহীদ স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস, হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, বাপি পাল, অরূপ মজুমদার, মোহন অধিকারী সহ বিভিন্ন বক্তগণ৷ জ্যোতিবিকাশ সিনহা বলেন--- বাঙলা জুড়ে যে হিন্দী আগ্রাসন চলছে, অবিলম্বে তা আগ্রাসনকে বন্ধ করতে হবে৷ বাঙালী করের টাকায় বাঙলায় কোন উর্দু একাডেমী, হিন্দী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে না৷

বাঙালী বন্ধু সচেতন হোন, বাংলা ভাষায় কথা বলুন, বাংলা ভাষার স্বাক্ষর করুন৷ এন.আর.সি নামক বিপদ থেকে বাঙালীকে বাঁচতে বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷ সেই ঐক্যবদ্ধতার লড়াইয়ের হাতিয়ার মাতৃভাষা বাংলা ভাষা৷ ভারতের মাটিতে একটি বাঙালীকেও বিদেশি বলা চলছে না চলবে না৷ তপোময় বিশ্বাস বলেন---আজকের বরাক উপতক্যা অর্থাৎ শিলচর, কাছাড়, হাইলাকান্দি, গোয়ালপাড়া, নওগাঁও, লামডিং লঙ্কা, হোজাই ইত্যাদি অঞ্চল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ ১৮৭৪ সালে কুচক্রী ব্রিটিশ সেই অঞ্চলগুলি বাঙলা থেকে  কেটে অসম প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করে৷ স্বাধীনতা পরবর্তী বরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা হওয়া সত্ত্বেও তাদের উপর জোর করে অহমিয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার ফলেই ১৯৬১-র ১৯শে মে এই ভাষা আন্দোলন ও একাদশ বাংলা ভাষা আন্দোলনকারীর আত্মবলিদান৷ আজকেও আমরা দেখছি শুধু অসম নয়, ত্রিপুরা নয়, পশ্চিমবঙ্গেও বাংলার ভাষায় কথা বললে সহজেই বাংলাদেশী আখ্যা, অপবাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ এটা চলতে পারে না৷ বাঙালীর রক্তে অর্জিত স্বাধীন ভারতে কোন বাঙালীকে বিদেশি তকমা প্রদান আমরা মানবো না৷ আমাদের দাবি এই সমস্যার সমাধানে ভারতে অবস্থিত বাংলা ভাষাভাষী এলাকা নিয়ে ভারতীয় সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে ‘বাঙালীস্তান’ ঘটন করতে হবে৷

সদ্‌গুরুর দুর্লভ সান্নিধ্যে সাধক কমলাকান্তের মুক্তিলাভ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯শে মে জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে বাঁকুড়া জেলার পাত্র সায়ের ব্লকে বেতুল গ্রামের শ্মশানে সাধক কমলাকান্তের সমাধি লাভের দিনটি প্রভাতসঙ্গীত, ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও তারপর দিনটির ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য সম্বন্ধে আলোচনা করে আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ৮৩ বছর আগে জ্যৈষ্ঠ মাসে এই শ্মশানে ঘটেছিল এমনি এক ঘটনা আপাত যুক্তিতে যার ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না৷ বলাবাহুল্য ঘটনার মধ্যমণি ছিলেন তরুণ শ্রীপ্রভারঞ্জন সরকার, যিনি পরবর্তীকালে মহান দার্শনিক ও ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি রূপে সারা বিশ্বে বন্দিত৷ ঘটনাটি তিনি নিজেই তার গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন৷ সেটি ছিল সংক্ষেপে এইরূপ ০০ঃ ১৯৪০ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসে বন্ধুর বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে নিমন্ত্রিত তরুণ প্রভাতরঞ্জন গিয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলায় পাত্রসায়ের ব্লকের বেতুল গ্রামে৷ বিয়েটা ছিল বন্ধুর বাড়ী থেকে আট দশ মাইল দুরে৷

বন্ধুর সঙ্গে প্রভাতরঞ্জন বরযাত্রী হয়ে রওনা দিয়ে পৌঁছলেন বিয়ে বাড়ীতে৷ বিয়ের লগ্ণ ছিল মধ্যরাতে৷ বিয়েবাড়ীর হই হট্টগোলের মধ্যে থেকে নির্জনতার খোঁজে প্রভাতরঞ্জন টর্চ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন বেড়াতে মেঠো পথ ধরে, প্রায় মাইল তিনেক যাওয়ার পর একটি প্রকাণ্ড ডাঙ্গার দেখা পেলেন যার ত্রিসীমানায় কোন জনবসতির চিহ্ণ নেই৷ ডাঙ্গাটার মাঝে মাঝে রয়েছে ছোট ছোট ঝোপঝাড়৷ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছে দু’একটি শেয়াল৷ বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে কয়েকটা আমলকী, শেওড়া, মহুয়া ও পলাশ গাছ৷ বেড়াবার নেশা ছাড়া সচরাচর এমন নির্জন জায়গায় কেউ আসে না৷ ডাঙ্গাটাতে গোরুর ও মানুষের খুলি ইতস্তত ভাবে ছড়িয়ে আছে৷ প্রভাতরঞ্জন বুঝলেন এটি একটি যুগপৎ ভাগাড়ও শ্মশান৷ মাঝে মাঝে শ্মশান পেঁচার আওয়াজ---ভুতুম পেঁচায় হুম হুম শব্দ৷ গা ছমছমে জমাট অন্ধকার, বিভীষিকাময় পরিবেশে নির্লিপ্ত প্রভাতরঞ্জন বিভীষিকার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটু পরিস্কার জায়গায় দেখে বসে পড়ল৷ কিছুক্ষণ পর প্রভাতরঞ্জনের মনে হল দূর থেকে একটি ছায়ামূর্ত্তি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছে৷ সে জিজ্ঞেস করল কে তুমি? ছায়মূর্ত্তি একটু থেমে উত্তর না দিয়ে গান গাইতে গাইতে আবার চলতে শুরু করল

‘‘সাঙ্গ হল জীবনখেলা/ ভাঙ্গলরে ভাই ভবের মেলা

ভবের মানুষ চল রে ফিরে চল’’৷ বেশ সুরেলা কন্ঠ৷ প্রভাতরঞ্জন সরকার ছায়ামূর্ত্তিকে তার নাম জিজ্ঞেস করলে সে সামনে এসে বললে ঃ

‘‘বাবু পথেই আমার ঘর’’ /‘‘পথিক আমি পথেই বাসা আমার যেমন যাওয়া তেমনি আসা’’ ---অবশেষে জানা গেল তার নাম কমলাকান্ত মহাপাত্র৷ বাড়ী চান্ডিল থানায়৷ প্রভাতরঞ্জনের অনুরোধে কমলাকান্ত তার সুরেলা কন্ঠে পাঁচ/ছয়টি গান গাইল৷ তার গানে কি যেন একটা যাদু আছে৷ যা শ্মশানের অন্ধকারে স্বর্গের মাধুরীকে টেনে আনতে পারে৷ কমলাকান্তের প্রশ্ণে প্রভাতরঞ্জন কোন গ্রামের বিয়ে বাড়ীতে বরযাত্রী হয়ে এসেছে বলতে সে দেহাতি ভাষায় বললে অনেক দূর থেকে আসছেন, ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন একটু শুয়ে পড়েন৷ বিশ্রাম নেন৷ আমি আপনার পা টা একটু টিপ্যে দিই আরও তো হেঁটে যেতে হবেক৷’’

প্রভাতরঞ্জন বললেন--- ‘‘যতই ক্লান্ত হইনা কেন একজন বয়স্ক লোক আমার পা টিপে দেবে এটা আমি উচিত মনে করিনা৷ কমলাকান্তের একান্ত পীড়াপীড়িতে শেষ পর্যন্ত প্রভাতরঞ্জন তার কোলে মাথা রেখে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন৷ শেষ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তীব্র পায়ের যন্ত্রণায় প্রভাতরঞ্জন উঠে দেখেন কমলাকান্ত দুহাতে তার পা চেপে ধরে আছে, যেখানটিতে তারা কোলে মাথা রেখে শুয়েছিলেন সেখানে তিনটি নর করোটি রাখা আছে৷ প্রভাতরঞ্জন ডাকলেন কমলাকান্ত ও কমলাকান্ত, ঘুমোচ্ছ না কি? তোমাকে যে বললুম বয়স্ক লোক আমার সেবা করুক এ আমি চাই না৷ তবু তুমি আমার কথা শুনলে না!! কমলাকান্তর তবু সাড়া নেই৷ কমলাকান্ত এত জোরে তার পা চেপে ধরেছে যে স্বাভাবিক রক্তচলাচল ক্রিয়া ব্যাহত হবার ফলে যন্ত্রণায় প্রভাতরঞ্জনের ঘুম ভেঙ্গে যায়৷ এত ডেকেও সাড়া না দেবার ফলে প্রভাতরঞ্জন কমলাকান্তের পায়ে সামান্য ধাক্কা দেওয়া মাত্রই তার শরীরে উল্টে পড়ল৷ তার শরীরে  প্রাণের কোন স্পন্দন নেই৷ সর্বাঙ্গ হিমশীতল.... কমলাকান্ত এ জগতে নেই৷ পথেই  যার বাসা বিশ্ব পথে সে আর কোথাও গেছে৷ সে চলেছে... চলেই চলেছে--- ভবের মানুষ হয়তো বা পথ ছেড়ে কোন অজানা ঘরের পানে চলেছে৷ উপর্যুক্ত ঘটনার আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা বুদ্ধিমান পাঠকের কাছে সহজেই অনুমেয়৷ পদার্থ বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন চুম্বকের সংস্পর্শে থাকতে থাকতে লৌহখণ্ড আবিষ্ট চুম্বকে পরিণত হয়৷ কবির কল্পনায় স্পর্শমণিও লোহাকে সোনায় পরিণত করে৷ সদ্‌গুরুর সুদুর্লভ সান্নিধ্যেও মুমুক্ষু মানুষ মুক্তি মোক্ষ লাভ করেন৷ আপাতদৃষ্টিতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা পরক্ষীত সত্য৷

মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে বিমানের আকৃতির গ্রহাণু---সতর্কতা জারি নাসার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মহাকাশ থেকে তিন তিনটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে৷ তাদের আকার - আকৃতি নিয়ে সকলের মধ্যে  দ্বন্দ্ব থাকলেও শেষে জানা গেছে তার আকার একটি প্রমাণ মাপের বড় বাসের মতো৷  আবার অনেকের ধারণা বিমানাকৃতির হতে পারে৷  প্রতি সেকেণ্ডে প্রায় ৭ কিলোমিটার বেগে দূরত্ব অতিক্রম করছে গ্রহাণুটি৷ আর প্রবল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে৷ গত সোমবারই একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছে৷

নাসা জানিয়েছে---‘এই গ্রহাণুটির নাম ২০২৩ জেএল১৷ প্রতি ঘন্টায় ২৬ হাজার ৩১৬ কিলোমিটার গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে৷ যার দৈর্ঘ্য ৩৯ ফুট৷ তবে এখনই ভয়ের কিছু নেই৷ কারণ এই গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে এলেও পৃথিবীর সঙ্গে এর দূরত্ব ২৪.৯ লক্ষ কিলোমিটার৷ তবে এটি ছাড়াও আরও দু’টি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে বলে সতর্ক করেছে নাসা৷ আর এই দুটি গ্রহাণু একটি বাড়ির আকারের ও অন্যটি একটি বিমানাকৃতির প্রথমটির দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট৷ নাম ২০২৩ জেও১৷ দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য ২০০ ফুটেরও বেশি৷ নাম ২০২৩ জেডি২৷

মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে বিমানের আকৃতির গ্রহাণু---সতর্কতা জারি নাসার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মহাকাশ থেকে তিন তিনটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে৷ তাদের আকার - আকৃতি নিয়ে সকলের মধ্যে  দ্বন্দ্ব থাকলেও শেষে জানা গেছে তার আকার একটি প্রমাণ মাপের বড় বাসের মতো৷  আবার অনেকের ধারণা বিমানাকৃতির হতে পারে৷  প্রতি সেকেণ্ডে প্রায় ৭ কিলোমিটার বেগে দূরত্ব অতিক্রম করছে গ্রহাণুটি৷ আর প্রবল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে৷ গত সোমবারই একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছে৷

নাসা জানিয়েছে---‘এই গ্রহাণুটির নাম ২০২৩ জেএল১৷ প্রতি ঘন্টায় ২৬ হাজার ৩১৬ কিলোমিটার গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে৷ যার দৈর্ঘ্য ৩৯ ফুট৷ তবে এখনই ভয়ের কিছু নেই৷ কারণ এই গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে এলেও পৃথিবীর সঙ্গে এর দূরত্ব ২৪.৯ লক্ষ কিলোমিটার৷ তবে এটি ছাড়াও আরও দু’টি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে বলে সতর্ক করেছে নাসা৷ আর এই দুটি গ্রহাণু একটি বাড়ির আকারের ও অন্যটি একটি বিমানাকৃতির প্রথমটির দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট৷ নাম ২০২৩ জেও১৷ দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য ২০০ ফুটেরও বেশি৷ নাম ২০২৩ জেডি২৷

মোকার দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ ও বিপাকে রোহিঙ্গারা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বাংলাদেশে মোকা ঝড়ের সমাপ্তি ঘটেছে কিন্তু বিপর্যয় কাটেনি এখনও পর্যন্ত৷ বাংলাদেশের সৈকত শহর কক্সবাজার ও মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রাজধানী, বন্দর শহর সিটওয়ের মাঝে গত রবিবার প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ঘুর্ণিঝড় মোকা৷ কমপক্ষে ৩০০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে৷ সেখানকার সেন্ট মার্টিজ দ্বীপে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত বলে জানা গেছে৷ এছাড়া ফোন নেটওয়ার্কের একাধিক বেস স্টেশন অকেজো হয়ে পড়েছে যার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ এটা তো একটা দিক অপরদিকে বিপাকের মধ্যে পড়েছে রোহিঙ্গারা৷

মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে তাদের প্রায় ১৩০০টি ঘর ভেঙে গেছে৷ মোকার তাণ্ডবে ১৫০০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উখিয়ার বালুখালি ১০ নম্বর শিবিরে৷ এখানে ২৩২টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ উখিয়ার ৬ নম্বর শিবিরে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০৯টি ঘর৷ উখিয়া ও টেকনাফে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যার সাড়ে ১২ লক্ষ৷ এদের সকলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এমনটাই জানিয়েছে ওই দেশের প্রশাসন৷

ন’বছর পর চুরির গয়না মন্দিরে ফেরৎ দিল চোর

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ওড়িশার গোপীনাথ মন্দিরে গত ২০১৪ সালে চুরি গিয়েছিল আরাধ্য দেবতা রাধাকৃষ্ণের বহুমূল্যের গয়না৷ গয়নাগুলির মধ্যে ছিল রূপোর বাঁশি, চোখ, ছাতা, মুকুট, কানের দুল, ব্রেসলেট, প্লেট ও ঘড়ি৷

চোর গয়নাগুলিকে চুরি করে ২০১৪ সালে৷ তারপর কেটে গেছে ন’বছর গত সোমবার মধ্য রাতে মন্দিরের দরজা খুলে গয়নাগুলি ফেরৎ দিয়ে যায় চোর৷ কারণ চুরি করার পর থেকে সে একদণ্ড শান্তিতে থাকতে পারেনি৷ এমনটাই দাবি করে ন’বছর পর মন্দির থেকে চুরি করা সমস্ত গয়না  ফেরত দিয়ে গেলেন চোর৷ পাশাপাশি প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ ওড়িশার গোপীনাথ মন্দিরে ৩০০ টাকা জরিমানাও দিয়ে যায় চোর৷ তার সাথে রেখে যায় একটি চিঠি৷

চিঠিতে চোর লেখেন---‘নবছর আগে মন্দির থেকে গয়না চুরি করেছিলাম৷ তার পর থেকেই দুঃস্বপ্ণ দেখছিলাম৷ স্বপ্ণাদেশও পেয়েছিলাম৷ একটুও শান্তি পায়নি৷ আমার বড় ভুল হয়ে গিয়েছে৷ প্রায়শ্চিত্ত করতে জরিমানা হিসাবে ৩০০ টাকা দিয়ে গেলাম৷’

সম্প্রতি ভাগবত গীতার পড়ার পর চোরের চেতনা ফেরে ও সে তার ভুল বুঝতে পারেন বলেও নাকি চিঠিতে উল্লেখ করা আছে৷

গয়না ফেরত পেয়ে গোপীনাথপুর মন্দিরের ভক্তদের মধ্যে একটা আলাদা উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছে৷ যখন গয়নাগুলো চুরি হয়েছিল তখন তারা থানায় অভিযোগ করেন কিন্তু পুলিশ কিছুই করতে পারেনি শেষ পর্যন্ত ভক্তরা বড় হতাশ হয়েছিল৷ কিন্তু এখন গয়না ফেরৎ পাওয়াব পর ভক্তরা খুবই খুশি হয়েছে৷

১৯শে মে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার শপথ গ্রহণের ডাক

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির সচিব শ্রীজ্যোতিবিকাশ সিন্হা এক প্রেসবার্তায় জানান ১৯শে মে ‘আমরা বাঙালী’ পূর্ব ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে বাঙালী অধ্যুষিত রাজ্যে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার শপথ গ্রহণ করবে৷ তিনি বলেন– ১৯শে মে এক রক্তাক্ত ইতিহাস৷ এই ইতিহাস কোন বাঙালীর পক্ষে ভুলে থাকা সম্ভব নয়৷ ১৯৬১ সালের ১৯শে মে অসমের শিলচরে বাংলা ভাষা আন্দোলনকারী সত্যাগ্রহীদের ওপর নির্মমভাবে গুলি বর্ষিত হয়েছিল৷ তৎকালীন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিমলাপ্রসাদ চালিহার পুলিশ বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল বাঙালী আন্দোলনকারীরা৷ তাঁদের দাবী ছিল একটাই৷ অসমের বুকে বিশেষ করে কাছাড় জেলায় যেখানে ৯০ শত াংশ মানুষের মুখের ভাষা বাংলা–সেই ভাষায় পঠন–পাঠন সরকারী কাজকর্ম সব হত, সেখানে তাঁদের মুখের ভাষা কেড়ে অহমীয়া চাপিয়ে দেওয়ার সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে– এই ছিল আন্দোলনকারীদের দাবী৷ শ্রী সিন্হা বলেন– সেদিন শিলচরে স্বাধীন দেশের সেনা ও পুলিশ বাঙালী জনগোষ্ঠীর ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলনকে  দমন করতে যে অত্যাচার চালিয়েছিল তা বিদেশী ব্রিটিশ শাসককেও ম্লান করে দিয়েছে৷

শ্রী সিন্হা বলেন–তৎকালীন অসমের অর্থমন্ত্রী ফকিরুদ্দিন আলি আমেদ ৬০ দশকের শুরু থেকে অত্যাচারের ছক কষতে থাকে৷ বাঙালী খেদাও অভিযানে তিনিও ছিলেন পরোক্ষ মদত দাতা৷ বাংলা ভাষার ওপর ক্রমাগত  আক্রমণের বিরুদ্ধে ‘কাছাড় সংগ্রাম পরিষদ’ আন্দোলন সংঘটিত করেছিল৷ সত্যাগ্রহী আন্দোলনের প্রথম দিনে সমগ্র কাছাড় জেলা সেনাবাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল৷ ১৯৬১ সালের ১৯ শেমে (বাংলা ১৩৬৮ সালের ৫ই জ্যৈষ্ঠ) শিলচরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি বর্ষণ হয়েছিল৷ রক্তে স্নাত হয়েছিল শিলচর ষ্টেশন চত্বর৷ ওই স্থানে ৯ জনের প্রাণ গিয়েছিল ও ৪৪ জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন৷ পরে ২ জনের হাসপাতালে প্রাণ যায়৷ শহীদরা হলেন কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র পাল, চন্ডীচরণ সূত্রধর, সুনীল সরকার, সুকোমল পুরকায়স্থ, কানাইলাল নিয়োগী, সত্যেন্দ্র দেব, বীরেন্দ্র সূত্রধর, তরণী দেবনাথ, কুমুদরঞ্জন দাশ, হীতেশ বিশ্বাস৷ 

শ্রী সিনহা দুঃখ করে বলেন– এত অত্যাচারের পরেও স্বাধীন দেশের কেন্দ্র ও অসম রাজ্য সরকারের  বর্বরতা থেমে থাকেনি৷ তাই  অসমে বাঙালী ও  বাংলা ভাষার প্রতি আক্রমণ ১৯শেমে’র পরেও হয়েছে, আজও হচ্ছে৷ ১৯৮৬ সালের ২১শে জুলাই গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে করিমগঞ্জে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাঙালী ছাত্র–যুবকরা৷ সেই বিক্ষোভ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় দু’জন, বেশ কয়েকজন আহত হয়৷

শ্রী সিন্হা উঃপূর্বাঞ্চলের  বাঙালী জনগোষ্ঠীকে আহ্বন জানিয়ে বলেন–অসমে আজও বিদ্রোহের যে আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে তা বাংলা ভাষা সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলে বাঙালীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে৷ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংঘটিত করার দিন এগিয়ে এসেছে৷ ১৯শে মে শহীদ স্মরণে শপথ নিতে হবে, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেও বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর আন্দোলনকে সংঘটিত করতে হবে৷