সংবাদ দর্পণ

আনন্দমার্গে বসন্তোৎসবের বর্ণিল উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪ই মার্চ ২০২৫, আনন্দমার্গে বসন্তোৎসব উদযাপিত হলো এক অপূর্ব ভক্তিময় পরিবেশে৷ দধীচি স্মৃতি হোষ্টেলে আয়োজিত এ উৎসবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টার অখণ্ড ’বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়, যা সমগ্র পরিবেশকে এক অনন্য ভাবগম্ভীরতায় ভরিয়ে তোলে৷

নাম-সংকীর্তন শেষে অনুষ্ঠিত হয় মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও বসন্তোৎসবের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা৷ ভক্তদের হৃদয়ে নবজাগরণ সৃষ্টি করে এই আলোচনা, যা বসন্তের নবপ্রাণ সঞ্চারের মতোই প্রেরণাদায়ক হয়ে ওঠে৷

এরপর সকলেই গুরুদেবের প্রতিকৃতিতে রঙ-আবীর নিবেদন করেন, পরম শ্রদ্ধা ও ভালবাসার অভিব্যক্তিতে৷ ছোটরা বড়দের চরণে আবীর অর্পণ করে প্রণাম জানায়, আর বড়রা তাদের স্নেহাশীর্বাদে সিক্ত করেন৷ এক ভ্রাতৃসুলভ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে পুরুষ ও মহিলারা পৃথকভাবে নিজেদের মধ্যে আবীর খেলায় মেতে ওঠেন, যা উৎসবের আনন্দকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে৷ শেষে সদস্যদের মিলিত আহার ও ভোজপর্বের মাধ্যমে এই আনন্দঘন উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটে, হৃদয়ে রেখে যায় একতার, ভক্তির ও সম্প্রীতির এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি৷

হাওড়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গার্লস প্রাউটিষ্টের হাওড়া জেলা শাখার উদ্যোগে গত ৮ই মার্চ হাওড়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়৷ গার্লস প্রাউটিষ্টের সদস্যারা মিছিল করে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ও বেশ কয়েক জায়গায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ পথ সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রীমতী ভারতী কুণ্ডু৷

ভুক্তিপ্রধান নির্বাচন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩১শে মার্চ হাওড়া ভূক্তির ভূক্তি প্রধান নির্বাচন হয় ডি এস দা যতদা আচার্য ব্রজকৃষ্ণানন্দ অবধূতের উপস্থিতিতে ভোট প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়৷ ভারতী কুন্ডুকে বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করা হয়৷ প্রাক্তন ভূক্তি প্রধান সুব্রত সাহা ভারতী কুন্ডু কে ভূক্তি প্রধান হতে সহযোগিতা করেন৷

গত ৩০শে মার্চ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নিউব্যারাকপুরে আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গী সম্মেলনে শ্রী সন্তোষ বিশ্বাসকে পুনরায় ভুক্তিপ্রধান নির্বাচিত করা হয়৷

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আনন্দনগরে: এক স্নেহভরা প্রত্যাবর্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কর্মসূত্রে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রবাসী এক মার্গী বোন, যিনি কেরালার কালিকটের অধিবাসী, দীর্ঘ বহু বছর পর তাঁর কালিকট নিবাসী পিতামাতাকে সঙ্গে নিয়ে চারদিনের (১০-১৪ মার্চ, ২০২৫) সফরে আনন্দনগর আসেন৷ এই আবেগঘন যাত্রায় তাঁরা আনন্দনগরের নানাবিধ জনকল্যাণমূলক ও জীবন -জীবিকা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শন করেন৷

তাঁদের সফরসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল ফার্ম হাউস, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বৃক্ষরোপণ উদ্যোগ, স্কিল ট্রেনিং সেন্টার এবং কিশোর ফুটবল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন৷ আনন্দনগরের উন্নয়নধারা ও সামাজিক পুনর্গঠনের বিভিন্ন দিক প্রত্যক্ষ করে তাঁরা গভীরভাবে অভিভূত হন এবং অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন৷

কেন্দ্রের বঞ্চনা ও বৈষম্যমূলক আর্থিক নীতি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বার বার পরাজিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণ কোন সুস্থ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের লক্ষণ নয়৷ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভারতের মতো যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রে ও রাজ্যে ভিন্ন দলের শাসন থাকতেই পারে৷ কিন্তু কখনই কেন্দ্র ভিন্ন দল শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না৷ কেন্দ্রীয় শাসক দলের এই আচরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে৷ বঞ্চিত নাগরিকদের মনে বিচ্ছিন্নতার প্রবণতা দেখা দিতে পারে৷

পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা স্বাধীনতার পরমুহূর্ত থেকেই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর হাত ধরে৷ মোদি আমলে সেই বঞ্চনা চরম আকার ধারণ করেছে৷ রাজ্যের প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রাপ্য কয়েক লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না৷ বিশেষ করে কেন্দ্রের সমীক্ষায় যখন ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ বার বার প্রথম হওয়া সত্বেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি এসে তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোন অনিয়মের অভিযোগ না করলেও মোদি সরকার মিথ্যা অছিলায় গত তিন বছর ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে৷ প্রশ্ণ করলেই সেই দুর্নীতির অজুহাত৷

কিন্তু বাঙলাকে বঞ্চনা করতে মোদি সরকার যে কত বড় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে তা প্রকাশিত হয়েছে মোদি সরকারেরই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এক প্রতিবেদনে৷ এই প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে দুর্নীতি অজুহাত মাত্র, আসলে রাজ্যের এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ও একটি আঞ্চলিক দলের নেত্রীর কাছে বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দল যে কি না, রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আছে, নিজেদের বিশ্বের বৃহত্তম দল বলে প্রচার করে---তৃণমূল অপেক্ষা ধনে বলে বহুগুন বেশী, বার বার পরাজিত হওয়ার জ্বালায় রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ আটকে রেখেছে মিথ্যা অজুহাতে৷

দুর্নীতিই যদি প্রাপ্য অর্থ না দেওয়ার মাপকাঠি হয় তবে ডবল ইঞ্জিন চালিত রাজ্যগুলির অর্থ আগেই আটকান উচিত ছিল৷ অন্যায় অজুহাতে রাজ্যের প্রাপ্য বরাদ্দ অর্থ থেকে বঞ্চিত করছে মোদি সরকার৷ কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের সোশ্যাল অডিট অ্যাকশন টেকন রিপোর্টে ১০০ দিনের কাজে আর্থিক দুর্নীতির যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্য রয়েছে৷ তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর গুজরাট, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মধ্যপ্রদেশ যোগী আদিত্যনাথেরং উত্তরপ্রদেশ, এছাড়া হরিয়ানা, রাজস্থান, অসম, ওড়িশার মত একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য ১০০ দিনের কাজে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত৷ তাহলে এই সব রাজ্যের বরাদ্দ অর্থ কেন বন্ধ করা হয়নি৷ স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অর্থমন্ত্রীর কাছে এর কি কোন জবাব আছে৷ শুধু পশ্চিমবঙ্গের প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণ কি রাজনৈতিক যুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বার বার পরাজয়ের জ্বালা জুড়াতেই৷ কারণ যাই হোক কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সংহতির পরিপূরক নয় এমনটাই মনে করেন আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা৷

হাওড়ায় পদার্পণ দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়া জেলার রামরাজাতলা শঙ্কর মঠে ১৯৮১ সালের ১৫ই মার্চ মার্গগুরু দেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী চরণ চিহ্ণ দিয়ে পবিত্র করেছিলেন হাওড়ার মাটিকে৷ প্রতিবছর এই দিন হাওড়া রামরাজা তলায় সেই পবিত্র দিন স্মরণে পদার্পণ দিবস অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে রামরাজাতলা ইয়ূনিটে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায়ের পর মার্গগুরু দেবের সেই পবিত্র দিনের প্রবচন ‘প্রকৃত গুরু কে’ পাঠ করে শোণান ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷ মার্গগুরুদেব সম্পর্কে মনোজ্ঞ আলোচনা করেন মার্গের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী দাদা আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও ওইদিনে বাবার পদার্পণের বিষয় আলোচনা করেন তপন ভৌমিক, অবধূতিকা আনন্দকৃষ্ণপ্রাণা আচার্যা প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আচার্য কৃষ্ণপ্রসুনানন্দ অবধূত, আচার্য চিরাগতানন্দ অবধূত, ব্রহ্মচারিনী রঞ্জিতা আচার্যা প্রমুখ৷ স্থানীয় ইয়ূনিটের ও জেলার মার্গী ভাইবোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তন পরিবেশনায় ছিলেন সুপ্রিয়া ভৌমিক, সুভ্রা ভৌমিক, গুণাতীতা দত্ত প্রমুখ৷ এছাড়া অনুষ্ঠানে সর্বক্ষণ উপস্থিত ছিলেন ইয়ূনিট সেক্রেটারী তপন ভৌমিক৷ সকলের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সার্থক হয়ে ওঠে৷ পরিশেষে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এছাড়া কৌশিকি ও তাণ্ডব নৃত্যেক প্রদর্শনও হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সূচারুরূপে পরিচালনা করেন অমিয় পাত্র৷

হাওড়া শ্যামপুরে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা মার্চ হাওড়া জেলার শ্যামপুর ব্লকের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় সুলতানপুর আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সেমিনারে মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন বকুলচন্দ্র রায়৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনে তন্ত্র সাধনা ও চতুবর্গ ও ভক্তি বিষয়ে প্রাঞ্জল ভাষায় আলোচনা করেন৷ উপস্থিত সকলেই গভীর মনোযোগ সহকারে আলোচনা শোণেন৷ সেমিনারের আয়োজক ছিলেন স্বতন্ত্র বৈতালিক ও অপর্ণা বৈতালিক৷ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন গৌরাঙ্গ প্রামাণিক অকুমার মাইতি, অমর চ্যাটার্জী মণিকা ঘোড়ুই, তুলিকা ঘোড়ুই, মধুমিতা কোলে, অঞ্জনা সাহা ও অবধূতিকা আনন্দরসধ্যানা আচার্যা৷ অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷

পানীয় জলের সংকট নিরসনে এক প্রয়াস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রচণ্ড গ্রীষ্মের দাবদাহে রাঢ় বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলসংকটের করাল গ্রাসে আক্রান্ত হয়৷ নলকূপ, পুকুর, বাঁধ সবই শুকিয়ে যায়, ভূগর্ভস্থ জলস্তর বিপজ্জনকভাবে নেমে যায়, ফলে নলকূপগুলিও অচল হয়ে পড়ে৷ এ অবস্থায় পানীয় জলের অভাব তীব্র হয়ে ওঠে, জনজীবন বিপর্যস্ত হয়৷

এই সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে দক্ষিণ প্রত্যন্ত আনন্দনগরের সুলুংলহর গ্রামের অলকানন্দা (আলকুষা জোড়) নদীর তীরে ২১শে মার্চ, ২০২৫ একটি কূয়া খননের মহতী উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে৷

বিরামহীন কর্মজীবন ত্যাগ করে পরলোকে পাড়ি দিলেন অবধূতিকা আনন্দপ্রজ্ঞা আচার্যা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 গত ১লা এপ্রিল আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবীন সন্ন্যাসিনী দিদি অবধূতিকা আনন্দপ্রজ্ঞা আচার্যা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় পরলোক গমন করেন৷ তাঁর অকস্মাৎ প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বের আনন্দমার্গীরা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন৷ তাঁর বিরামহীন কর্মজীবন সংঘের সকলস্তরের কর্মীদের কাছে দিদিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল৷

১৯৭১ সালে জানুয়ারী মাসে তিনি সংঘের সর্বত্যাগী কর্মী হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন৷ তিনি খুবই ভক্তিপ্রাণা, আদর্শ পরায়ণ ও সংঘের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন৷ সংঘের বিভিন্ন বিভাগের সর্র্বেচ্চ পদে থেকে দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কর্তব্য পালন করে গেছেন৷ নারীকল্যাণ বিভাগ, শিক্ষা ও ত্রাণ বিভাগ, মেডিকেল বিভাগ ও বহির্ভারতে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন৷ তাঁর প্রয়ানে সংঘ একজন নিষ্ঠাবান ও সদা তৎপর কর্মীকে হারাল৷

দিদি আনন্দ উত্তমা, কায়রো সেক্টর থেকে ঃ অত্যন্ত দুঃখজনক খবর, তিনি মিশনের জন্য এক অসাধারণ সম্পদ ছিলেন৷ আমার প্রথম সেক্টোরিয়াল উইমেন ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারী৷ টোকিও যাওয়ার পথে ব্যাংককে আমাদের দেখা হয়েছিল এবং আমরা একসাথে উড়ে গিয়েছিলাম, এয়ারপোর্টে দিদি এ. গৌরী আমাদের স্বাগত জানান৷ সেই সময় দিদিদের জাগৃতি ছিল তাকাদানববা নামে একটি এলাকায়৷ যখন আমরা স্টেশনে পৌঁছালাম এবং তিনি নামটা দেখলেন, তখন তাঁর মুখ এক বিশাল হাসিতে ভরে উঠলো৷ তিনি প্রায়ই বলতেন, ’আমরা তাকাদানোবাবাতে থাকি!’ ’বাবা’ শব্দের উপর জোর দিয়ে৷ তিনি আমাদের সেবা সম্পর্কে শিক্ষা দিতেন৷ তিনি আমাদের সারা রাত জাগিয়ে বাচ্চাদের হোম বা দিদিদের প্রকল্প বা এই মার্গী বা সেই মার্গীর জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগ ভর্তি জিনিসপত্র প্যাক করাতেন৷ আমরা অন্তত এক বা দুইজন দিদি তাঁর সাথে বিমানবন্দরে যেতাম, আমাদের প্রত্যেকের হাতে স্যুটকেস, প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং সব ধরনের লাগেজ থাকত, প্রায়শই যা ভেঙে যেত৷ তারপর আমরা এমন ভ্রমণকারীদের খুঁজে বের করতাম যাদের চেক-ইন ব্যাগেজ ছিল না এবং তাদের আমাদের এই জিনিসগুলো চেক-ইন করতে অনুরোধ করতাম৷ আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতাম যে তিনি ভারতে গিয়ে কীভাবে এই সব সামলাবেন? তিনি শুধু হেসে বলতেন, ‘বাবা সব করে দেবেন৷’ তিনি ছিলেন অক্লান্ত, প্রায় ঘুমাতেন না এবং আমাদের সবার মিলিত শক্তির চেয়েও বেশি শক্তি তাঁর ছিল৷ আর তিনি আমাদের ভক্তি সম্পর্কে শিক্ষা দিতেন৷ তাঁর কাছ থেকেই আমরা রাতে ঘুমানোর আগে বালিশে আঙুল দিয়ে বাবার নাম লেখা শিখেছি, যা আমি আজও করি৷ যখন আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হতো, তিনি বলতেন, ‘বাবার কাছে কাঁদো! তাঁর পায়ে নিজেকে সঁপে দাও, তাঁর পা আঁকড়ে ধরো এবং ছেড়ে দিও না!’ মজার ব্যাপার হলো, মাত্র দুই রাত আগে, আমি ঠিক এই কথাগুলোই একজন বোনকে বলছিলাম, তাকে বলছিলাম যে আমার প্রথম এসডব্লিউডব্লিউএস আমাদের সবসময় এই কথা বলতেন৷ তিনি ছিলেন আকারে ছোট একজন মানুষ, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি, তাঁর হৃদয় এবং তাঁর ভক্তি ছিল বিশাল৷ তিনি নিশ্চিতভাবেই তাঁর কোলে আছেন৷

বাংলা দেশের ইতিহাস মুছতে চাইছে ইউনুস সরকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন চিন উড়ে গেলেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস৷ ২০২৪ আগষ্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধ মুজিবর রহমান সহ ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সব স্মৃতি ধবংস করা শুরু হয়৷ বঙ্গবন্ধুর ধানমাণ্ডির বাড়িও ভাঙচুর করা হয়৷

৭১-এর ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টাকে একই সুরে নিন্দা করেছে আওয়ামি লিগ ও বাংলাদেশ জাতীয় দল (বি.এন.পি)৷ সেখ হাসিনা অন্তবর্তী সরকারকে হায়নার সঙ্গে তুলনা করে বলেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস মুছতে চাইছে৷ তবে এই কাজ যারা করছে তারা কোনদিন সফল হবে না৷

খালেদা জিয়ার বি.এন.পি দলও জানায় ৭১-এর ইতিহাস ভুলিয়ে দেবার চেষ্টায় লিপ্ত কিছু মানুষ৷ বি.এন.পি এই কাজ কোনভাবেই মানবে না৷ বি.এন.পি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন কিছু ব্যষ্টি গোষ্ঠী দেখাতে চাইছে ৭১-এ বাংলাদেশে কিছু ঘটেইনি৷ যারা সে সময় গণহত্যার সামিল ছিল তারাই আজ বেশী সুর চড়াচ্ছে৷ মুক্তি যুদ্ধের সময় গণহত্যায় জড়িত ঘাতকরাই ইতিহাস বিকৃত করতে চাইছে৷ তিনি দেশের ইতিহাস সংরক্ষণ ও নব প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ডাক দেন৷ আগামী বছর জুনের মধ্যে দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে বলে আশ্বাস দেন ইউনুস চিন যাওয়ার আগে৷