সংবাদ দর্পণ

অসমকে বাঙালীমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু বাঙলার মাটি থেকে বাঙালী উচ্ছেদের চক্রান্ত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অসম আমরা বাঙালীর রাজ্যসচিব ও অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়ারম্যান সাধনপুরকায়স্থ অভিযোগ করেন---অসমিয়া আধিপত্যবাদীদের দৌরাত্মে ব্রহ্মপুত্র ও বরাকভ্যালির ১৫ থেকে ২০লক্ষ বাঙালী অসম ছেড়ে স্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য রাজ্যে চলে গেছেন তিনি বলেন এখনও যদি বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে না দাঁড়ায় তাহলে অসমে বাঙালী শূন্য হয়ে যাবে৷ বাঙালী হিন্দু-মুসলমান মিলিতভাবে লড়াই না করলে বাঙলার নিজস্ব জমি বরাকভ্যালিতেও বাঙালী থাকতে পারবে না৷ শ্রীপুরকায়স্থ মনে করেন---বাঙালীর সামনে আরও বড় বিপদ আছে৷

ইতিমধ্যে অসমকে বাঙালী মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অসম সরকার৷ সম্প্রতি লাহোরিঘাট এডুকেশন ব্লকের উলুবাড়ি এমই এম স্কুলের আবদুর রশিদ ও ঠেংশালি খণ্ডপুকুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাইরুল ইসলাম নামের দুই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ বর্ডার পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে নালিশ করে৷ ট্রাইব্যুনাল দুজনকে বিদেশী নাগরিক বলে ঘোষনা করে৷ শ্রীপুরকায়স্থ বলেন--- দুজনেই বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নিয়ে গৌহাটি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, উচ্চ আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ করেছে৷ বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও গত ২৪শে ডিসেম্বর দুজনকেই বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়৷ অসমে অনেককেই বিদেশী তকমা দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ ডিটেনশন ক্যাম্পে অনেকে মারাও গেছেন৷ আবার অনেকে বৈধ নথিপত্র দেখিয়ে আদালতের রায়ে ডিটেনশনক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷

অসমে বাঙালী নির্যাতন নতুন কোন ঘটনা নয়, স্বাধীনতার পর থেকেই গোপীনাথ বরদৌলি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই অসম থেকে বাঙালীকে বিতাড়ণের চক্রান্ত চলছে৷ দিল্লীতে শাসক পরিবর্তন হলেও দিল্লির শাসকের বাঙালী বিদ্বেষী চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি৷ নীতিগতভাবে কংগ্রেস বিজেপির মধ্যে যতই ফারাক থাক, বাঙালী বিদ্বেষী নীতিতে নেহেরু থেকে মোদি কোন ফারাক নেই৷ এমনকি বিজেপির হিন্দুত্ববাদ বাঙালীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি৷ বাঙালী আর কবে এদের চরিত্র চিনবে৷

ভৌগোলিক ঐতিহাসিক বিচারে অসমের সিংহভাগ অঞ্চলই বাঙলার অংশ৷ দেশভাগের বলি হয়ে ওপার থেকে অনেক বাঙালী অসমে এসে স্থিত হয়েছে একথা অস্বীকার না করেও বলা যায় অসমের প্রকৃত ভূমিপুত্রও বাঙালী,আজকের অসমিয়ারা সাবেক ব্রহ্মদেশের নাগরিক৷ এরা ব্রহ্মদেশ থেকে এসে প্রাগ জ্যোতিষপুর (আজকের অসম) আশ্রয় নেয়৷

উত্তর ২৪পরগণায় অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৫ই জানুয়ারী বনগাঁ মহকুমার রামচন্দ্রপুর গ্রামে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীতুষার মণ্ডলের বাসগৃহে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিনঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম্‌ কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন গ্রামের মার্গী ভাইবোনেরা তুষার মণ্ডলের বাসগৃহে সমবেত হয়ে কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ স্থানীয় গ্রামবাসীবৃন্দও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ উপস্থিত সকলে তিনঘন্টা কীর্ত্তনের অনির্বচনীয় ভাবতরঙ্গে ও সুরমুর্চ্ছনায় স্বর্গীয় আনন্দে অতিবাহিত করে৷ কীর্ত্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায়ের পর কীর্ত্তন মহিমা ও ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন প্রবর্তনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয় তার কথা সাবলীল ভঙ্গিমায় তুলে ধরেন অবধূতিকা আনন্দন্বেষা আচার্যা তাঁর বক্তব্যে৷

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত বলেন বর্তমান সামাজিক অস্থিরতা, অপরাধ প্রবণতা বন্ধ করতে হলে অপরাধীর চরমদণ্ড দিয়ে হবে না, মানুষের মন জগতে পরিবর্তন আনতে হবে৷ আর তা সম্ভব একমাত্র আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে৷ আধ্যাত্মিক অনুশীলনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কীর্ত্তন৷ কীর্ত্তনের আবশ্যিকতা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সফল করে তুলতে শ্রীবিশ্বেশ্বর মণ্ডল, শ্রী কুমুদ দাস ও স্থানীয় মার্গী ভাই-বোনেরা সহযোগিতা করেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করে শ্রী অসীম বিশ্বাস৷

নিউব্যারাকপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গতকাল নিউ ব্যারাকপুরের বড় বটতলায় শ্রীমোহনলাল অধিকারী মহাশয়ের বাড়ীতে বেলা এগারটা থেকে সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত ৬ঘন্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলম কীর্তন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ কীর্তন শেষে কীর্তনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার উপর, তৎসহ আদর্শ মানুষ জীবনচর্চা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত দাদা৷ এই কীর্তনানুষ্ঠানে স্থানীয় ও পার্শবর্তী ইউনিটের সকল মার্গী ভাই-বোন উপস্থিত হ’য়ে অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন৷ কীর্তনে পরিচালনা করেছেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, শ্রীহরলাল হাজারী, শ্রী শুভজিৎ হাজারী ও অবধূতিকা আনন্দ কীর্তিলেখা আচার্যা৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চীন

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত মঙ্গলবার সকালে ৭.১ তীব্রতার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিববত৷ যার প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগাতসের এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ৷ ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিববতের তিংরি প্রদেশে৷ এই অঞ্চলটিকে এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়৷

প্রথম জোরালো ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে পর পর কম্পন (আফটার শক) হতে থাকে ওই অঞ্চলে৷ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০টিরও বেশি কম্পন হয়েছে ওই অঞ্চলে৷ তার মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি৷ ভূমিকম্পের পর বেশ কিছু ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন৷ তবে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে রয়টার্স৷ তারা জানিয়েছে, ওই ভিডিয়োটি তিববতের লাৎসে শহরের কাছে৷ ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ধারে দোকান ভেঙে পড়েছে৷ ধবংসাবশেষ ছড়িয় ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর৷ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ভূমিকম্পের উৎসস্থলের কাছাকাছি অঞ্চলে প্রচুর ভবন ভেঙে পড়েছে৷

সাধারণত এই ধরনের জোরালো মাত্রার কোনও ভূমিকম্পের জেরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে৷ চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিংহুয়া জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকেরা ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ জানার চেষ্টা করছেন৷ ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির হতাহতের সংখ্যা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন৷

তিববতে ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু৷ সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে৷ প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কাঠমান্ডুর বাসিন্দারা৷ প্রভাব পড়েছে এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত নেপালের সোলুখুম্বু জেলাতেও৷ সেখানকার মুখ্য জেলা আধিকারিক অনোজ রাজ ঘিমিরে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোলুখুম্বুতে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷ নেপালের স্থানীয় পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে৷ ভুটানের রাজধানী থিম্পু এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে, বিশেষ করে বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিমের মতো জায়গাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে৷

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরেও ৬.৪ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্প হয়েছে নেপালে৷ সেই বারের ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় হিমালয়ের কোলে থাকা এই পাহাড়ি দেশে৷ ২০০৮ সালে দক্ষিণ পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশের এক ভূমিকম্পে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল৷ ২০১৫ সালে নেপালের কাঠমান্ডুর কাছেও ৭.৮ মাত্রার এক জোরালো ভূমিকম্প হয়৷ তাতে প্রায় ৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷ আহত হন কয়েক হাজার মানুষ৷ ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে সেটিই নেপালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ছিল৷ নেপাল, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চিনে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্পের খবর পাওয়া যায়৷ বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এই অঞ্চলে ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের প্রবণতার কারণে এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেশি থাকে৷

দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে ধোঁয়াশার দাপট কমেনি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

জানা গেছে, ২০২৪ সালে মাত্র ১২১ দিন পরিষ্কার বাতাস ছিল রাজধানীতে! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মাপকাঠি অনুযায়ী প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫-এর সহনীয় মাত্রা ৫ মাইক্রোগ্রাম৷ সেখানে নয়াদিল্লির দূষণের মাত্রা অনেক বেশি৷ দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দিল্লিতে বার্ষিক পিএম ২.৫ এর মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১০৪.৭ মাইক্রোগ্রাম৷ এই মান বাতাসের জাতীয় গুণমানের সর্র্বেচ্চ মাত্রার (প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম) আড়াই গুণেরও বেশি৷ রিপোর্টের দাবি, গোটা ২০২৪ সালে মাত্র ১২১ দিন বাতাসে পিএম ২.৫ নির্ধারিত মানের কম ছিল, যা গত ২০২৩ সালের ১৫২ দিনের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে৷

যদিও রাজধানীর বাতাসের গুণগতমান বা একিউআই-এর কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে৷ ‘ভয়ানক’ পর্যায় থেকে নেমে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে বাতাসের গুণমান৷ তাই রবিবারই রাজধানীতে বিধিনিষেধ ‘জিআরএপি ৩’ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩) শিথিল করেছে কেন্দ্র! গত কয়েক সপ্তাহে দূষণ সামান্য হলেও কমেছে, এমনটাই যুক্তি কেন্দ্রের৷ মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের গড় একিউআই ২৫০৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পঞ্জাবি বাগে ৩২৪, অশোক বিহারে ৩২৭, রোহিনীতে ৩২৪, চাঁদনি চকে ২৩৪, বুরারিতে ২৮৮ এবং অরবিন্দ মার্গে ২৫২ একিউআই রেকর্ড হয়েছে৷

দূষণের মাত্রা কমতেই দিল্লি এবং সংলগ্ণ এনসিআর এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে৷ অর্থাৎ রাজ্যের স্কুলগুলিতে ‘হাইব্রিড মডেলে’ পঠনপাঠনের পরিবর্তে রোজ স্কুলে এসে পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে৷ দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ শিথিল হচ্ছে৷ দিল্লির রাস্তায় ফের চলাচল করতে পারবে বিএস ৩-এর নীচে থাকা পেট্রল গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নীচে থাকা ডিজেল গাড়ি৷ চালানো যাবে পণ্যবাহী মাঝারি আকারের যানও৷ যে কোনও ধরনের নির্মাণকাজ কিংবা ভাঙার কাজ ফের শুরু করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে৷

এ আইয়ের জন্যে দু’হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসের রহস্য উন্মোচিত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না নিকোলার্ডি৷ এও কী সম্ভব! এআইয়ের কল্যাণে দু’হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসের রহস্য আজ উন্মোচিত৷

ইটালির নেপল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ‘প্যাপিরোলজিস্ট’ ফেডেরিকা নিকোলার্ডি৷ প্যাপিরাসে প্রাচীন লিখনের পাঠোদ্ধার তাঁর কাজ৷ সেই সূত্রে জানতে পারেন ‘ভিসুভিয়াস চ্যালেঞ্জ’-এর কথা৷ ৭৯ খ্রিস্টাব্দের প্রাচীন একটি গোটানো প্যাপিরাসের টুকরো৷ মাউন্ট ভিসুভিয়াসের অগ্ণ্যুৎপাতে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া, প্রায় ভঙ্গুর টুকরোটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে উদ্ধার হয় ইটালির পম্পেই থেকে৷ বছরের পর বছর চেষ্টা চলেছে৷ কিন্তু সেটির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ শেষমেশ এআইয়ের শরণাপন্ন হওয়া৷ তাতেই কেল্লা ফতে৷ ‘কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি’, ত্রিমাত্রিক ম্যাপিং আর এআই-নির্ভর ‘মেশিন লার্নিং’-এর দৌলতে গোটা প্যাপিরাসের লেখা এখন পাঠযোগ্য৷ পাঁচ কলামে ছড়ানো আগাগোড়া গ্রিক অক্ষরে লেখা লাইনগুলি পড়তে পড়তে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারছিলেন না নিকোলার্ডি‘‘অবিশ্বাস্য৷ দু’হাজার বছর আগের ইতিহাস হাতের নাগালে৷ প্যাপিরোলজির জগতে এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত৷’’

শুধু কি তাই! প্রাচীন গ্রিক ও লাতিন লিখন, ষাঁড়ের হাড় বা কচ্ছপের খোলসে খোদিত চিনের ‘অরাকল বোন স্ক্রিপ্ঢ’, সব কিছুর পাঠোদ্ধারে এআই নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে৷ উদ্ধার হওয়া প্রাচীন নানা শিলালিপির অর্থ বুঝতে, হারিয়ে যাওয়া লিপি বা ভাষার হদিস দিতে আশা জাগাচ্ছে৷ কী ভাবে হচ্ছে কাজ? ‘ডিজিটাইজ’ করে প্রাচীন লিখনের তথ্য বিশ্লেষণ আগেই করেছে কম্পিউটার৷ তবে ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’-এর মাধ্যমে বিরাট তফাৎ গড়েছে এআই৷ মানুষের মস্তিষ্ক যে ভাবে কাজ করে, অনেকটা সেই পথে এই পদ্ধতিতে এআই কম্পিউটারকে তথ্য বিশ্লেষণ করতে নির্দেশ দেয়৷ উদ্ধার হওয়া প্রাচীন লিখন, শিলালিপির তথ্য ‘ডিজিটাইজ’ করে, তার ভিত্তিতে অজানা লিখন বা লিপির অচেনা, না থাকা ‘ক্যারেকটার’ সম্পর্কে ধারণা মিলছে৷ একটি উদাহরণে বিষয়টি বোঝা যাক৷ ধরুন, প্রকৃতি বিষয়ক একশোটি কবিতা আপনাকে পড়তে দেওয়া হল৷ সেগুলির তথ্য মাথায় রেখে একই ধরনের অচেনা কোনও কবিতার অনুপস্থিত শব্দগুলি সম্পর্কে অনুমান করা যায়৷ সেই কাজই করছে এআই-নির্ভর প্রযুক্তি৷ সম্প্রতি ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’-নির্ভর ‘পিথিয়া’ নামের একটি মডেল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে লন্ডনে৷ খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দী ও পঞ্চম খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লেখা দশ হাজার গ্রিক শিলালিপির তথ্য মডেল নেটওয়ার্কে দেওয়া হয়েছিল৷ দেখা গিয়েছে, তা থেকে অজানা শিলালিপি, যার একাধিক অক্ষর বা প্রতীক অনুপস্থিত, সফল ভাবে তার ধারণা দিতে পারছে প্রযুক্তি৷ প্রযুক্তির বড় সুবিধা হল, তা জটিল, বিপুল পরিমাণ তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে৷ তা সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণেও দড়৷ কোনও মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়, জানাচ্ছিলেন নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস গবেষক থিয়া সমারসিল্ড৷ থিয়ার কথায়, ‘‘২০২২-র পরে নতুন যে ‘ইথাকা’ মডেল নিয়ে আমরা কাজ করছি, তা অজানা লিপির লেখার সময় ও জায়গা সম্পর্কেও ধারণা দিচ্ছে৷ তা ছাড়া, এখন মেশিন লার্নিংয়ের ট্রান্সফর্মার মডেলও এসেছে৷ প্রাচীন লিখনের জটিল ভাষাগত ধরন অনুধাবনের পথও তাতে খুলবে বলে আশা করা যায়৷’’

হিন্দি হাঙরের মুখে বহু জনগোষ্ঠী প্রাউটের পথে সমাজ আন্দোলনই সমস্যার সমাধান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 স্বাধীনতার পর থেকেই স্বদেশী সাম্রাজ্যবাদী শোষকের শোষণের স্বীকার ভারতের বিশেষ করে পূর্ব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠীগুলি৷ শোষনের প্রাথমিক কৌশল ছিল হিন্দিভাষাকে অবলম্বন করে অন্যান্ন ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতিকে অবদমিত করে রাখা৷ বাংলা ছাড়া ভোজপুরী, মগহী, অঙ্গিকা, মৈথিলী, বুন্দেলি, বাঘেলী সহ বেশ কিছু ভাষার ক্ষেত্রে শোষকরা অনেকটাই সফল৷ বাংলাকেও অবদমিত করে রাখার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে৷ তবে বাংলার উন্নত ভাষা ,সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে পেরে উঠছে না৷ বিহারের জনগোষ্ঠীগুলোকে তাদের মাতৃভাষা ভুলিয়েই দিয়েছে৷

সাম্রাজ্যবাদী ফ্যাসিষ্ট শোষকদের উদ্দেশ্যই হলো কোন জনগোষ্ঠীকে মানসিক অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল করতে তার ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি ধবংস করে সেখানে নিম্নমানের হীনরুচির সাহিত্য, সঙ্গীত চলচিত্রের প্রসার৷ এইভাবে ছাত্র যুব সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া ও মানসিক দিক দিয়ে পঙ্গু করে অবাধে শোষণ চালিয়ে যাওয়া৷ ভারতে একশ্রেণীর পুঁজিপতি তাদের অর্থে পালিত রাজনৈতিক দলের সাহায্যে হিন্দি ভাষার মাধ্যমে সেই কাজটাই করছে৷ বাঙলাতেও আজ নির্দয়ভাবে ফ্যাসিষ্ট শোষণ চলছে, এ কথা অস্বীকার করা যাবে না৷ ফ্যাসিষ্ট শোষকরা একদিকে বাঙলার ব্যবসা বাণিজ্য দখল করে বাঙলার প্রাকৃতিক সম্পদ লুন্ঠন করছে৷ অপর দিকে হিন্দি নিম্নমানের চলচিত্র গানের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে সংস্কৃতিকে অবদমিত করছে ও যুব সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে

 ও তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করছে৷

এই নির্দয় শোষণের অবসান ঘটাতে প্রাউট সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের বিধান দিয়েছে৷ এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা যা স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও অধরা৷ প্রাথমিকভাবে প্রতিটি মানুষের হাতে দিতে হবে ক্রয়ক্ষমতা জীবনধারণের নূন্যতম প্রয়োজনপূর্ত্তির জন্যে৷ ধাপে ধাপে প্রতিটি মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷ শুধু বাঙলা ভারত নয় বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীই সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করবে৷ এইভাবে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাউট সর্বশ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণ সুনিশ্চিত করবে৷

চিৎমুতে নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপিত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গের সামাজিক উৎসব সংক্রান্ত নীতিতে বলা হয়েছে: ‘যে দেশের প্রধান ফসল যে ঋতুতে কাটা হয়, সেই ঋতুতে যেকোনো পূর্ণিমা তিথিতে নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপিত হবে৷’

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে চিৎমু উপরপাড়া আনন্দমার্গ ধর্মচক্র ইউনিটের উদ্যোগে নবান্ন উৎসব অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদ্‌যাপিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে সকালে নগর কীর্তন, তিন ঘণ্টার অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন, সমবেত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান ও স্বাধ্যায়ের আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানের এক বিশেষ পর্বে নবান্ন উৎসবের তাৎপর্য ও এর যথাযথ পালন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়৷

পরিশেষে, সদ্য উৎপন্ন ফসল দিয়ে প্রস্তুত পায়েস পরিবেশন ও প্রীতিভোজের মধ্য দিয়ে এই আনন্দঘন উৎসবের সমাপ্তি ঘটে৷

হাওড়ায় আনন্দমার্গ ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী

সংবাদদাতা
বকুলচন্দ্র রায়
সময়

স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় হাওড়া ছিল সুভাষচন্দ্রের দ্বিতীয় দুর্গ৷ রাজনৈতিক উত্থান পতনে ও যখনই নোতুনের আহ্বান আসে হাওড়া সবসময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে থাকে৷ আনন্দমার্গের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ আনন্দমার্গে সর্বানুসূ্যত জীবন দর্শন ও সুমহান আদর্সে প্রতিষ্ঠিত কর্মীদের ভয় পেয়েছিল শাসক শক্তি৷ সেই পাপশক্তির বিরুদ্ধে আনন্দমার্গের সংগ্রামে হাওড়ার ছিল অগ্রণী ভূমিকা৷ হাওড়াবাসীর সেই ভূমিকাকেই প্রেরণা দিতে বার বার হাওড়ায় এসেছেন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি৷

জন্মগত ঠোঁট কাটা ও তালু (টাগরা) কাটা, মাড়ি কাটা ও নাকের রাইনোপ্লাষ্টির বিনামূল্যে অপারেশন শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৫ই ডিসেম্বর’২৪ স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টসস্পো এণ্ড এডভেঞ্চারস ক্লাব, আনন্দনগরের উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘অপারেশন স্মাইল’র সহযোগিতায় ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বোকারো জেলার চন্দনকিয়ারী আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলে জন্মগত ঠোঁট কাটা ও তালু(টাগরা) কাটা, মাড়ি কাটা ও নাকের রাইনোপ্লাষ্টি শিশু ও যেকোন বয়সের ব্যষ্টিদের সম্পূর্ণভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বিনামূল্যে অপারেশন শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ পূর্বে যাদের এধরনের অপারেশন হয়েছে তাদের চেকআপের জন্যেও ব্যবস্থা করা হয়৷

শিবিরে বিভিন্ন ধরনের বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে ১৯ জন উপস্থিত ছিল৷ ৬ জনকে অপারেশনের জন্যে নির্বাচিত করা হয়৷ ৩ জনকে ছয়মাসের কম বয়স, বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজনে কম ও স্বাস্থ্যগত কারণে অপারেশনের জন্যে নির্বাচিত করা হয়নি৷ সেইসব শিশুদের বিনামূল্যে শিশুখাদ্য বিতরণ করা হবে যতদিন না অপারেশনের জন্যে উপযুক্ত হচ্ছে৷ শিবিরে অপারেশনের জন্যে নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়া সহ অপারেশন পর্যন্ত যাবতীয় খরচ সংস্থার থেকে প্রদান করা হবে ও হয়ে থাকে৷