সংবাদ দর্পণ

অন্ধবিশ্বাস ভাবজড়তা---ধর্মীয় আবেগ---প্রশাসনিক অব্যবস্থা অমৃতের সন্ধানে গিয়ে পদপিষ্ট বহু মানুষ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২৮শে জানুয়ারী মধ্যরাত পার হয়ে গেছে৷ ইংরেজী ক্যালেণ্ডারে ২৯শে জানুয়ারী রাত্রি ১২টা ৩০ মিনিট৷ মাইকে প্রচার শুরু হলো---যে ঘুমোয় সে হেরে যায়৷ অমৃত পেতে হলে শুয়ে না থেকে স্নান করে নিন৷

শুরু হলো পুন্যসঞ্চয়ের হুড়োহুড়ি৷ প্রশাসনিক মতে তখন মহাকুম্ভে ৪কোটি পুন্যার্থীর সমাগম হয়েছে৷ জনস্রোত ধেয়ে গেল ত্রিবেণী সঙ্গমের দিকে৷ কে আগে যাবে তারই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়৷ সেই জনস্রোতের ঢেউ না সামলাতে পেরে ভূপতিত হলো বহু মানুষ৷ তাকেই মাড়িয়ে চললো জনস্রোত, পদপিষ্ট হয়ে হতাহত হলো বহু মানুষ৷ এই ধরণের পরিচয়হীন জনস্রোতে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা কেউ দিতে পারে না৷ প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রশ্ণ তো উঠবেই৷ হতাহতের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক থাকবে৷

কিন্তু আসল প্রশ্ণ সবাই এড়িয়ে গেছে৷ অমৃতের সন্ধানে এসে যারা না ফেরার দেশে চলে গেল তারা কোন পূণ্য সঞ্চয় করে নিয়ে গেল, আত্মীয় পরিজন হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে যারা ঘরে ফিরলো তাদের ধর্মের ভাণ্ডারে কতটা পুন্য সঞ্চয় হলো৷ নিন্দুকেরা বলতে শুরু করেছে, ধর্মব্যবসায়ীও রাষ্ট্রের পরিচালকদের এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই৷ তাদের ধর্মের খাতা আর্থিক লাভ লোকসানের হিসেবে ভরা৷ উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে যতটা অপটু, বিপর্যয়ের প্রমান লোপাটে ততটাই পটু৷ রাতে বিপর্যয়ের পর শাহি স্নান স্থগিত হয়ে যায়৷ শুরু সকাল ৭টায়৷ তার আগে অবশ্য ঘটনাস্থল নিপুন হাতের তুলিতে (ঝাড়ুতে) পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ বিপর্যয়ের কোন চিহ্ণ আর ঘটনাস্থলে নেই৷ উত্তরপ্রদেশের সরকার সকাল থেকে ঘটনার কথা স্বীকার করতে চাইছিলো না৷ সরকারের দাবী পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল কিন্তু পরিস্থিতি সামলে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু ডিজিটাল যুগে সমাজ মাধ্যম, সংবাদ মাধ্যম রাত থেকেই প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে শুরু করে৷ সরকারও বাধ্য হয়ে ঘটনার কথা স্বীকার করে৷ ততক্ষণে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে গেছে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার৷ রাজনীতির চাপান-উতর শুরু হয়েছে৷ কিন্তু তথাকথিত ধর্মের নামে এই দানবীয় উন্মাদনা আর কতদিন চলবে?

 

আগরতলা ও টাটানগর ডায়োসিসে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪,২৫ ও ২৬শে জানুয়ারী,২০২৫ কলকাতা সার্কেলে টাটা ডায়োসিসে চাকুলিয়া আনন্দমার্গ স্কুলে ও শিলং সার্কেলে আগরতলা ডায়োসিসে তেলিয়ামুড়া আনন্দমার্গ হাইস্কুলে তিনদিনের একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত আলোচনাসভায় আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়৷ বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় মানুষের কাছে আনন্দমার্গ জীবনাদর্শের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে৷ তাই সাংঘটনিক বিষয়ে আলোচনায় মানুষের কাছে আনন্দমার্গের জীবনাদর্শ পৌঁছে দিতে পরবর্তী পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত আলোচনা সভার কর্মসূচী নেওয়া হয়৷ তিন দিনের এই আলোচনা সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল তন্ত্র ও সাধনা চতুবর্গ ও ভক্তি, প্রাউটের অর্থনীতি ব্যবস্থার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য, আমাদের সমাজ শাস্ত্র৷

তিনদিনের এই আলোচনা সভায় আগরতলা ডায়োসিসের সমস্ত মার্গী ভাইবোনেরা তেলিয়ামুড়া হাইস্কুলের সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেন৷ এখানে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্যা৷ সেমিনারের আয়োজন করেন আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত, আগরতলা ডায়োসিস সচিব আচার্য কৃতাত্মানন্দ অবধূত, খোয়াই ভুক্তিপ্রধান মনোরঞ্জন গোপ৷ তাদের সহযোগিতা করেন তেলিয়ামুড়া স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা৷ গত ২৫শে জানুয়ারী অপরাহ্ণে তেলিয়ামুড়া শহরে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মাস্টার দা সূর্যসেন মোড়ে সমবেত হয়৷ সেখানে এক সভায় বক্তব্য রাখেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীন আনন্দমার্গী দানীশ পাল৷

টাটানগর ডায়োসিসে সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত৷ সেমিনার সংঘঠিত করেন টাটানগর ডায়োসিস সচিব আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় ছিলেন ডায়োসিসের কর্মীবৃন্দ৷ টাটানগর, মুরি, মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া ডায়োসিসের মার্গী ভাই বোনেরা অংশগ্রহণ করেন৷ তিনদিনের সেমিনারে তৃতীয় দিন ২৬শে জানুয়ারী চাকুলিয়া শহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে৷ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ট্যাবলোর মাধ্যমে আনন্দমার্গ দর্শনে সামাজিক, অর্থনৈতিক, আধ্যাত্মিক, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়গুলি তুলে ধরে প্রচার করা হয়৷ আলোচনা সভায় আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ দর্শনের উল্লিখিত বিষয়ের ওপর মনোজ্ঞ আলোচনা করেন৷ শেষ দিনে পরবর্তী স্তরের সেমিনার ও সাংঘটনিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়৷

অশান্ত বাংলাদেশ --- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে হাসিনার বিদায়ের পর ছাত্রদের দাবী মেনেই মহম্মদ ইয়ূনুসকে তত্ত্বাবোধায়ক সরকারের প্রধান করা হয়৷ তিনি প্রবাসী থেকে ফিরে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ নোবেল জয়ী ইউনুসের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ অনেক আশা ভরসা করেছিলেন৷ কিন্তু হাসিনা পরবর্তী অশান্ত বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত বড় কোন সফলতা ইয়ূনুস সরকার দেখাতে পারেনি৷ সংখ্যালঘু অত্যাচার বন্ধ করতে ব্যর্থ৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে৷ বেকারত্ব, করবৃদ্ধি প্রভৃতি ইস্যুতে জনরোষ বাড়ছে৷ এই জনরোষ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দপ্তরে৷

গত ২৮শে জানুয়ারী থেকে জনরোষের শিকার রেলপরিষেবা৷ সেদিন সকাল থেকে রেল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ৷ রেল কর্মচারীদের দাবী তাদের বেতন ও অন্যান্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে৷ দেশের বিভিন্ন বড় বড় ষ্টেশনে যাত্রী ভর্ত্তী ট্রেন রেখে কেবিন ছেড়ে চলে যায় চালকরা৷ রেল কর্মচারীদের সঙ্গে যোগ দেয় ট্যানারি শ্রমিকরা৷ জ্বালানি তেল বাহক ট্যাঙ্কারের চালক ও খালাসিরাও ধর্মঘটে নেমেছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কলেজে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল৷ ইউনুসের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগের ফেসবুক পেজে এক অডিও বার্র্তয় শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায় একজন সুদ খোরের ক্ষমতালিপ্সার কারণেই বাংলাদেশ জ্বলছে৷ যদিও তিনি কোন নাম বলেন নি৷ তবে অডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি৷

শুরু হলো ৪৮তম কলকাতা বইমেলা উদ্বোধনেই জনজোয়ার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৮শে জানুয়ারী,২০২৫ শুরু হয় কলিকাতা বইমেলা৷ অপরাহ্ণে বইমেলা উদ্বোধনের পরই সন্ধ্যে থেকে স্টলে স্টলে ভিড় জমতে শুরু হয়৷ আনন্দমার্গের স্টলেও বহু মানুষ বই দেখতে ও কিনতে আসে৷ কলিকাতা বইমেলায় আনন্দমার্গের স্টল নম্বর ১৫৪৷

এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন বই বৃক্ষ সম৷ বই পড়ুন, বই কিনুন৷ বই গৃহের শোভা বাড়ায়৷ তিনি বলেন গতবার বইমেলায় ২৭ লক্ষ পাঠক এসেছিলেন৷ আমার অনুমান এবার ৫০ লক্ষ বা তারও বেশী পাঠক আসতে পারে৷

কলিকাতা বইমেলায় আনন্দমার্গ প্রকাশনের স্টল নম্বর ১৫৪

আনন্দমার্গ প্রকাশনের নীতি শাস্ত্র, ধর্মশাস্ত্র, দর্শন শাস্ত্র সমাজ শাস্ত্র, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতি, সমাজনীতি, বিজ্ঞান, নব্যমানবতাবাদ, শিক্ষা, কৃষি পরিবেশ, নারীর অধিকার, ভাষাবিজ্ঞান সঙ্গীত, শিশু সাহিত্য, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে আনন্দমার্গের চিন্তাধারা নতুন ও সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র৷ আনন্দমার্গের উদার অসাম্প্রদায়িক ও বাস্তবধর্মী চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচিত হতে ও জীবনে প্রতিফলিত করতে আসুন কলিকাতা বইমেলায় আনন্দমার্গ প্রকাশনের স্টলে৷

সূর্য থেকে ধেয়ে আসছে হানাদারের দল!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রায় সাড়ে ন’কোটি মাইল দূরের সূর‌্য থেকে ছুটে এসে পৃথিবীর উপর হামলা চালায় ভয়ঙ্কর শক্তিশালী হানাদারেরা৷ সৌরপদার্থবিজ্ঞানের পরিভাষায় এই হানাদারদের নাম ‘সৌরঝলক’ (‘সোলার ফ্লেয়ার’)৷ এর মাধ্যমে সূর‌্যের অন্দর থেকে বিপুল পরিমাণে শক্তি বেরিয়ে আসে, ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে৷ প্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর সূর‌্যের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে অত্যন্ত বিপজ্জনক ও শক্তিশালী প্রচুর কণা৷ আমরা যাকে সৌরঝড় বলে জানি, তার অন্যতম কারণ এই সৌরঝলক৷ সূর্য থেকে প্রতি দিনই একটি বা দু’টি ঝোড়ো আগুনের ঝাপটা ছিটকে আসে পৃথিবী ও পড়শি গ্রহের দিকে৷ সেই সৌরঝড়ের প্রভাব পড়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেও৷ আচমকা সূর্যের বুকে বিস্ফোরণ এবং তার পরে আয়নিত কণার স্রোত, প্রবল শক্তি-সহ ছড়িয়ে পড়ে সৌরসংসারে৷ পৃথিবীর চৌম্বক শক্তির আচ্ছাদন আমাদের এই হানাদারকে প্রায় হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়৷ পৃথিবীর কাছাকাছি এলে উত্তর মেরুতে থাকা শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র তাকে দূরে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ আর তখনই চৌম্বক ক্ষেত্রের কণাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে উত্তর মেরুতে শক্তিশালী উজ্জ্বল মেরুজ্যোতি তৈরি হয়৷ জন্মকাল থেকে প্রতিনিয়ত সৌর হানাদারদের হামলা ঠেকিয়ে আসছে পৃথিবী৷ চলতি বছরে যে হানাদারের দল পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তার শক্তির তীব্রতা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা৷

মহাকাশ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সে রকম ভয়ঙ্কর কিছু হলে সেই তাণ্ডবে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়তে পারে ইন্টারনেট পরিষেবা৷ সৌরশিখার দাপট বেশি হলে প্রভাব পড়তে পারে ডিজিটাল দুনিয়া ও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায়৷ উপগ্রহগুলি ভেঙে গিয়ে নিজের কক্ষপথ ছেড়ে প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে৷ সেগুলি পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে বড় ক্ষতি হতে পারে৷ ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ‘বিপদবার্তা’৷ ভুয়ো খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে নাসার গবেষকেরা৷ গুজব আটকানোয় জোর দিয়েছে সংস্থাটি৷ একটি আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ১৮৫৯ সালের পুরনো একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে৷ তার নাম ‘ক্যারিংটন ইভেন্ট’৷ সে বার টেলিগ্রাফের তারে আগুন ধরে গিয়েছিল৷ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান অনেকে৷ সৌরঝড়ের জেরে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা৷

ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে সাফাইয়ের কাজ নিষিদ্ধ করলো সুপ্রিম কোর্ট

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে সাফাইয়ের কাজ নিষিদ্ধ, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল৷ সেখানেই আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয় শহরের প্রধান নির্বাহী কর্তাদের এ সংক্রান্ত হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি৷ রিপোর্টে বিশদ জানাতে হবে, কী ভাবে এবং কখন ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’ বন্ধ করা হয়েছে৷ ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে৷ তার এক সপ্তাহ আগেই বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে৷

অতীতে বহুবার ম্যানহোলে সাফাইয়ের কাজ করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসের কবলে একাধিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে৷ ২০১৩ সালে দেশে আইন তৈরি হয়েছিল এই ব্যবস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে৷ সেই আইন বলছে, ম্যানহোল সাফাই, মলমূত্র সাফাই কিংবা বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ কোনও মানুষকে দিয়ে করানো যাবে না৷ বিশেষ পরিস্থিতিতে কাউকে ম্যানহোলে নামানো হলেও সংশ্লিষ্ট সাফাইকর্মীর জীবন এবং স্বাস্থ্যের সব রকমের নিরাপত্তা দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে৷ এই ধরনের বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতির জন্যও সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে৷ অথচ আইনের ফাঁক গলে এখনও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই ম্যানহোলে মানুষ নামানোর মতো ব্যবস্থা চালু রয়ে গিয়েছে৷ শেষমেশ ২০২৩ সালে কেন্দ্রকে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে এ সংক্রান্ত খতিয়ান তৈরির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত৷ এ নিয়ে কেন্দ্রের সাম্প্রতিক হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, দেশের ৭৭৫ টি জেলার মধ্যে ৪৫৬টি থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে গিয়েছে ম্যানহোল কিংবা নর্দমায় নেমে সাফাইয়ের কাজ৷ যদিও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, ওই হলফনামায় বেশ কিছু অসম্পূর্ণতা রয়ে গিয়েছে৷ দেশের বড় শহরগুলিতে এখনও এই নিষিদ্ধ পদ্ধতিতে সাফাইয়ের কাজ চলে কি না, তা হলফনামায় স্পষ্ট উল্লেখ করা নেই৷ এর পরেই নতুন করে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷      

খোঁজ মিলল পৃথিবীর ভূগর্ভের থাকা দুই পর্বতের

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

থিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতও এদের কাছে বামন! উচ্চতায় এভারেস্টের থেকে ১০০ গুণ উঁচু৷ এই পৃথিবীর বুকেই রয়েছে তাদের অস্তিত্ব৷ যদিও তা ভূপৃষ্ঠের উপরে নয়৷ মাটির গভীরে, আফ্রিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানায় অবস্থিত এই জোড়া পর্বত৷ ৮,৮৪৮ মিটার৷ পৃথিবীর স্থলভাগে সবচেয়ে উঁচু স্থানের উচ্চতা আপাতত এটাই৷ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ার চেয়ে উঁচু কোনও অংশ এখনও আবিষৃকত হয়নি পৃথিবীতে৷ সেই তকমা কি তবে হারাতে চলেছে এভারেস্ট? মাউন্ট এভারেস্টের দুই ‘দাদা’র খোঁজ মিলেছে পৃথিবীতেই৷ পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডল ও গুরুমণ্ডলের সীমানায় ভূত্বকের নীচে অর্ধ-কঠিন অঞ্চলে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে দু’টি দানবীয় আকৃতির পাহাড়ের৷ এই জোড়া পাহাড় প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার উঁচু এবং পৃথিবীর গভীরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷

সম্প্রতি এই আবিষ্কারের কথা নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে৷ সুবিশাল দুই পর্বতমালার হদিসও পেয়েছেন ভূবিজ্ঞানীরা৷ এই আবিষ্কার নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই পর্বতগুলো অন্তত ৫০ কোটি বছর পুরনো৷ বিজ্ঞানীরা এ-ও অনুমান করছেন, সম্ভবত ৪০০ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠনের সময় থেকেই এগুলি এখানে অবস্থান করছে৷ সেগুলির অবস্থান সাময়িক হতে পারে, এমন ধারণাও উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা৷

এই প্রক্রিয়ায় টেকটনিক প্লেটগুলো পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার গভীরে পৌঁছে যায়৷ এই এলাকাগুলিকে ‘লার্জ লো সেসমিক ভেলোসিটি’ অঞ্চল নামে অভিহিত করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ কারণ এই অঞ্চলে এলেই পৃথিবীতে ভূমিকম্পের ফলে তৈরি হওয়া তরঙ্গগুলি ধীর গতিপ্রাপ্ত হয়৷ কম্পনের গতি দেখেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন এই অঞ্চলে এমন কিছু বাধা রয়েছে যার ফলে গতি বাধা পাচ্ছে৷ গভীরে প্রবেশ করে তখন তাদের শক্তিক্ষয় হয়৷ এ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ‘লার্জ লো সেসমিক ভেলোসিটি’ অঞ্চলে প্রবেশ করার পর কম্পনের তরঙ্গগুলি শক্তি হারানোর পরিমাণ অনেক কম৷ বরং সেখানকার শব্দ ছিল বেশ তীক্ষ্ন৷ পর্বতগুলিকে বেষ্টন করে থাকা আশপাশের টেকটনিক প্লেটের তাপমাত্রা অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি গরম বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা৷

সুজানিয়া জানিয়েছেন, গবেষকদের ধারণা ছিল গরম এলাকার টেকটনিক প্লেটে তরঙ্গ বেশি দুর্বল হবে৷ তবে এখানে তাঁরা তেমন কিছু দেখেননি৷ বরং তুলনামূলক ভাবে ঠান্ডা অঞ্চলে টেকটনিক প্লেটের তরঙ্গের অনেক বেশি শক্তিক্ষয় হয়েছে৷ এই আচরণটি গবেষকদের কাছে খানিকটা অপ্রত্যাশিত ছিল৷ গবেষকদের ধারণা, পৃথিবীর গভীরে নিমজ্জিত দানবাকৃতির পর্বতগুলি আশপাশের প্লেটের চেয়ে অনেক বেশি প্রাচীন৷ বিশাল আকার এবং খনিজের দানা অনেক বড় হওয়ার কারণে তরঙ্গের শক্তি শোষণ করতে এরা কম সক্ষম৷ সুজানিয়া বলেন, ‘‘খনিজগুলির দানা বড় হওয়ার অর্থ হল এই পাহাড়ের জন্ম এক দিনে হয়নি৷ এটি প্রমাণ করে যে ‘লার্জ লো সেসমিক ভেলোসিটি’ অঞ্চলের এলাকা আশপাশের টেকটনিক প্লেটের চেয়ে অনেক পুরনো৷’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পর্বতগুলোর গঠন এবং বয়স সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন৷ আরও ভাল ভাবে নিরীক্ষণ করলে পৃথিবীর গভীরের অনেক অজানা রহস্য উন্মোচিত হবে৷ পৃথিবীর ইতিহাস এবং ভূতাত্ত্বিক গঠনের এই বিশাল অংশ সম্পর্কে নতুন ধারণা পাওয়ার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা৷

আমেরিকায় বিনা নথিতে বসবাসকারী ১৮০০০ ভারতীয়দের ফেরৎ পাঠাতে তৎপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে তৎপর হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ভারত থেকেও প্রচুর মানুষ বিনা নথিতে আমেরিকায় রয়েছেন৷ ‘ব্লুমবার্গ’-এর প্রতিবেদন বলছে, ভারত এবং আমেরিকা উভয় সরকারই যৌথ ভাবে এখনও পর্যন্ত সে দেশে বসবাসকারী প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্ণিত করেছে৷ এ বার তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠাতে চায় ওয়াশিংটন৷ অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা নিশ্চিত না করলেও, তাঁদের ফেরত পাঠানোয় সায় রয়েছে নয়াদিল্লিরও৷

‘ব্লুমবার্গ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে৷ কারণ, এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার জন চিহ্ণিত৷ প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে৷ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদনে সমীক্ষক সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতীয়েরা৷ প্রথম মেক্সিকো এবং দ্বিতীয় এল সালভাদর৷ সমীক্ষক সংস্থার দাবি, প্রায় ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয় বিনা নথিতে আমেরিকায় বাস করছেন৷

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বার শপথ নেওয়ার পরেই বেশ কিছু নির্দেশিকাই স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প৷ তার মধ্যে অন্যতম অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত নির্দেশ৷ আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ ‘ব্লুমবার্গ’ জানিয়েছে, আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্ণিত করতে সে দেশের প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছে ভারত সরকারও৷ আমেরিকায় ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে ভারত যে আগ্রহী, সেটি বোঝানোর জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে৷

আমেরিকায় কত জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্ণিত করা হয়েছে সে বিষয়ে দিল্লির তরফে এখনও স্পষ্ট কোনও সংখ্যা জানানো হয়নি৷ তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসন রুখতে দু’দেশই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে৷ এই সহযোগিতার কারণেই আমেরিকা থেকে সর্বশেষ যে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হয়েছে, তাঁদের চার্টার্ড বিমানে দিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ভারত থেকে আমেরিকায় যাওয়া বৈধ অভিবাসীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই সহযোগিতা বলে জানিয়েছেন জয়সওয়াল৷

বিএড ডিগ্রিধারী প্রাথমিক শিক্ষকদের এ বার ছ’মাসের প্রশিক্ষণ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দেশ জুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের এ বার ‘ব্রিজ কোর্স’ করানো হবে৷ প্রাথমিকে যে সকল শিক্ষক বিএড ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষকতা করছেন, মূলত তাঁদের প্রত্যেককে এই ছ’মাসের প্রশিক্ষণ বা ‘ব্রিজ কোর্স’ করানো হয়৷ দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি উঠছিল৷ এ বার সে জন্য কমিটি গঠন করল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)৷ সুপ্রিম কোর্ট আগেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল৷ সেই নির্দেশ মেনেই কমিটি গঠন করা হল৷

এই ‘ব্রিজ কোর্স’-এ কী পাঠ্যক্রম হবে, তা স্থির করতেই ছয় সদস্যের কমিটি গড়েছে এনসিটিই৷ সেই কমিটিতে রয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মণীশ ওয়াধওয়া, কল্যাণী আকালামকাম, হায়দরাবাদের মৌলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম ভানাজা, এনসিইআরটি-র ঊষা শর্মা, এনসিটিইর সিনিয়র অ্যাকাডেমিক কনসালট্যান্ট আশা সুন্দরম, অ্যাকাডেমিক কনসালট্যান্ট সোহিলা বক্সী৷ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই কমিটিকে কাজে সাহায্য করবে এনসিটিই৷ ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ সমস্ত রাজ্যকে এনসিটিই-র এই নির্দেশে মান্যতা দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে৷ ৯ জানুয়ারি একটি মামলার শুনানিতে এনসিটিই সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকের পরে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে৷ সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের পরেই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিই৷

প্রাথমিকের শিক্ষক হতে গেলে ডিএড বা ডিএলএড কোর্স করতে হয়৷ আগের নিয়ম অনুযায়ী, বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের শিক্ষক পদে চাকরি পাবেন৷ তবে তাঁদের চাকরি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে একটি ছ’মাসের ‘ব্রিজ কোর্স’ করতে হয়৷ কারণ, বিএড প্রশিক্ষণ উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকতার জন্য৷ দীর্ঘ দিন ধরে বিএড করে আসা প্রাথমিক শিক্ষকদের এই ‘ব্রিজ কোর্স’ করানোর দাবি উঠছিল৷ এ রাজ্যে তা বহু বছর বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ৷ সেই নিয়ে ২০২৩ সালে প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ এ বার তা চালু করছে এনসিটিই৷ এই প্রশিক্ষণ নিলে শিক্ষকদের বেতনও বৃদ্ধি হয়৷ এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পৃথা বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের এই কোর্স নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা না করায় শিক্ষকেরা আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল৷ এনসিটিই এই নিয়ম চালু করলে শিক্ষকেরা এই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে উপকৃত হবেন৷’’

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, এনসিটিই দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণে কী কী বিষয় থাকা উচিত, তা নিয়ে নির্দেশ দেয়৷ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বক্তব্য, প্রাথমিকে শিক্ষক হতে গেলে যে বিশেষ প্রশিক্ষণ থাকা জরুরি, তা নিয়ে আগে স্পষ্ট করে নির্দেশ দেওয়া হয়নি কেন? সব কিছুই কোর্টকে নির্ধারণ করে দিতে হচ্ছে কেন?’’ তাঁর আরও দাবি, এনসিটিইর প্রস্তাবিত ছয় মাসের ‘ব্রিজ কোর্স’ অনলাইনে করাতে হবে৷ নয়তো, শিক্ষকেরা প্রশিক্ষণ নিতে চলে গেলে পঠনপাঠনের অনেক দিন নষ্ট হবে৷

সরষের মধ্যেই ভূত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দেশে দুর্নীতি দমনে তৈরী হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷ এবার সেই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল৷ অভিযোগ ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানী নাগরিকদের নিয়োগ করতে একটি বড়সড় চক্র কাজ করছে৷ এই চক্র নাগরিকত্ব ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জাল করে পাকিস্থানী নাগরিকদের ভারতীয় সেনায় নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেয়৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়৷ এই মামলাতেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে মামলা লঘু করার অভিযোগ উঠছে৷ অভিযোগকারী বিষ্ণু চৌধুরী অভিযোগ করেন---সিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক ইমরান অভিযুক্ত মহেশ চৌধুরীর কাছ থেকে ৩লক্ষ টাকা ঘুষ নেয় মামলা লঘু করার জন্য৷