সংবাদ দর্পণ

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি লাগাম ছাড়া নতুন জি.এস.টি কাঠামোয় হ্রাসের আশা কম

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

 রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিল মূল্যবৃদ্ধির হার গত ৮ বছরে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে৷ কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবী যে অসার সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পাইকারি পণ্যসূচকের প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়---খাদ্য বস্ত্র সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য গত আগষ্ট মাস থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এই প্রতিবেদন প্রকাশের আর কয়েক দিন পর থেকে চালু হবে নতুন জি.এস.টি ব্যবস্থা৷ কিন্তু তাতে উৎসবের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমার আশা কম৷ জি.এস.টি হ্রাসে যতটা সুবিধার আশা করে দিল সাধারণ মানুষ তা এখন দুরাশায় পর্যবষিত৷ সরকার থেকে ঘোষনা করা হয়েছিল জি.এস.টি হ্রাসের সুযোগ নিয়ে ব্যবসাদাররা যাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে৷কিন্তু সরকারী সে ঘোষণার কোন প্রভাব পড়েনি৷ পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য (এম.আর.পি) বৃদ্ধির কারণেই পণ্যের দাম বাড়ছে৷ যদিও প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আশ্বাস দিয়েছেন ভারতীয় অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে৷ সেটা দেখার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে৷ আপাতত নিচুতল মানুষ আর্থিক সুরাহার কোন দিশা দেখছে না৷

 

দুর্নীতির দূর্গে আঘাত হানলেই চলবে না নীতিবাদের প্রাচীর গড়ে তুলতে হবে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বাংলাদেশের পর নেপাল জনরোষের ধাক্কায় বিদায় নিতে হলো শাসকদের৷ বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের সামনে কোন শক্ত সাংবিধানিক বিরোধী ছিলনা৷ নিম্নস্তরের নেতাদের দুর্নীতি ও জনরোষের আঁচ প্রধানমন্ত্রী উপলব্ধি করতে পারেন নি৷ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা বিরোধীরাও অনুপ্রবেশ করে৷ প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা বাধ্য হলেন দেশ ছাড়তে৷ তারপর যেভাবে লুঠতরাজ ভাঙচুর চলেছে তাতে স্পষ্ট শাসক বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়েছে অনেক দুষৃকতি৷ যাদের সঙ্গে হয়তো রাজনীতির কোন যোগ নেই৷ ছাত্র আন্দোলনে হাসিনার বিদায় হলেও বাংলাদেশে শান্তি ফেরেনি৷ ধর্মীয় মৌলবাদের হাতে আত্মসমর্পণ করেছে বর্তমান সরকার৷

ক’দিন আগে নেপালেও জনরোষের ফলে সরকারের পতন হয়৷ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন নেপালের কম্যুনিষ্ট নেতা প্রধানমন্ত্রী অলি৷ এখানে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল৷ স্বজন পোষন দুর্নীতি৷ যে জেন-জির আন্দোলনে সরকারের পতন৷ সেই জেন-জির সমর্থনেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হন সুশীলা কার্কি৷ ইনিই নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু দুদিন পরেই সুশীলা কার্কির মন্ত্রী পরিষদ ঘটনে জেন-জির পছন্দ না হওয়ায় আবার তারা সুশীলা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে৷

বাংলাদেশ ও নেপালের ঘটনায় একটা জিনিস স্পষ্ট দুর্নীতি ইস্যু হলেও সরকারের পতনই লক্ষ্য ছিল৷ তাই শাসক বদলালেও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন অধরাই থেকে গেছে৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করবে তাদের আগে নীতিজ্ঞান অর্জন করতে হবে ও কঠোর নীতিবাদে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে৷ শুধু দুর্নীতির দূর্গে আঘাত হানলেই চলবে না, নীতিবাদের প্রাচীর গড়ে তুলতে হবে---তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের আগে কঠোর নীতিবাদে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে৷

উত্তরপ্রদেশে নেকড়ের পরে এবার ছড়াল বাঘের আতঙ্ক

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মানুষখেকোর আতঙ্ক ফের তাড়া করতে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের বাসিন্দাদের৷ গত বছরের সেপ্ঢেম্বরে বহরাইচে মানুষখেকো নেকড়ের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল৷ এ বার বাঘের আতঙ্ক ছড়াল বহরাইচের ধর্মপুর রেঞ্জে৷ রবিবার সন্ধ্যায় কাতারনিয়াঘাট অভয়ারণ্যের ধর্মপুর রেঞ্জে বাঘের হানায় মৃত্যু হল এক তরুণের৷

ইন্দল নিশাদ নামে ২৮ বছর বয়সি ওই তরুণ ধর্মপুর রেঞ্জের হরখাপুর গ্রামের বাসিন্দা৷ বিভাগীয় বন আধিকারিক জানান, রবিবার সন্ধ্যায় এলাকারই একটি খালের কাছে গিয়েছিলেন তরুণ৷ গ্রামবাসীরা বন দফতরকে জানিয়েছেন, ওই সময়েই বনের ভিতর থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ নিশাদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা সে দিকে ছুটেও গিয়েছিলেন৷ কিন্তু তত ক্ষণে বাঘ তাঁকে টানতে টানতে আখ ক্ষেতের ভিতরে নিয়ে যায়৷ প্রায় এক ঘণ্টা পরে নিশাদের ক্ষতবিক্ষত দেহ ক্ষেতের মধ্যে ফেলে জঙ্গলে ফিরে যায় বাঘটি৷

বিভাগীয় বন আধিকারিকও জানান, ক্ষতের চিহ্ণ দেখে বাঘের আক্রমণ বলেই অনুমান করা হচ্ছে৷ তবে তরুণের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ তার পরেই এ বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি৷ সম্প্রতি বহরাইচেরই অন্য এক প্রান্তে বন্যপ্রাণীর হানার দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ কোন বন্য জন্তু হামলা চালিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে দেহাংশের ক্ষতচিহ্ণ দেখে কেউ কেউ অনুমান করছেন, নেকড়ের হামলাতেই ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে৷

বহরাইচের পরাগপুরা গ্রামে মৃত্যু হয় তিন বছরের এক শিশুর৷ সেখান থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে সিপাহিয়া ভোরা গ্রামে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়৷ কোন জন্তু তাদের উপর হামলা চালিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে বিভাগীয় বনাধিকারিক রাম সিংহ যাদব নিশ্চিত করেছেন, ওই এলাকায় নেকড়ের পায়ের ছাপ মিলেছে৷ তা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, নেকড়ের হানাতেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই দুই শিশুর৷

গত বছরে বহরাইচে ছ’টি নেকড়ের একটি দল হামলা চালাচ্ছিল বেশ কয়েকটি গ্রামে৷ মানুষখেকো সেই নেকড়ের দলের হামলায় ন’জনের মৃত্যু হয়৷ মৃতদের মধ্যে এক মহিলা ছাড়া বাকি আট জনই শিশু৷ আহতের সংখ্যাও ছিল ৫০-এর বেশি৷ এ বার ফের এক পর এক মানুষখেকো জন্তুর হানা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বহরাইচের বাসিন্দাদের মনে৷

২০৫০ সালের মধ্যে দেশের বহু বাঁধ পঞ্চাশ শতাংশ জল ধারণ ক্ষমতা হারাতে পারে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বছরের পর বছর ধরে পলি জমছে৷ আর তার জেরেই দেশের বহু বাঁধ এবং জলাধারগুলির ধারণক্ষমতা কমে গিয়েছে৷ একটু আধটু নয়, প্রায় ৫০ শতাংশ৷ এর ফলে যেমন ধাক্কা খাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, তেমনই বৃদ্ধি পেতে পারে বন্যা এবং ক্ষরার সম্ভাবনা৷ ভোপালের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর) এই নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে৷ সরকারের তৈরি স্বায়ত্ত্বশাসিত এই প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে স্টকাস্টিক এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট (সেরা) জার্নালে৷ প্রায় ৩০০টি জলাধার, যাদের ধারণক্ষমতা ১০ কোটি কিউবিক মিটারের বেশি, সেগুলি নিয়ে সরকারি রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এই সমীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে আইআইএসইআর৷

সমীক্ষা বলছে, দেশের বহু বাঁধ এবং জলাধারের ধারণক্ষমতা ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ ২০৫০ সালের মধ্যে আরও অনেক নদীর উপরে তৈরি জলাধারের ধারণক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমে যাবে৷ হিমালয় অঞ্চল, নর্মদা-তাপী অববাহিকা, পশ্চিমঘাট, গাঙ্গেয় সমভূমির নদীগুলি রয়েছে সেই তালিকায়৷ গবেষকেরা বলছেন, কৃষিকাজের কারণে মাটি কাটা, জঙ্গল কেচে ফেলা এবং বন্যার কারণেই নদীগুলিতে ধারণক্ষমতা কমতে চলেছে৷

এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন আইআইএসইআরের অধ্যাপক সোমিল স্বর্ণকার৷ তিনি জানিয়েছেন, ভারতের বাঁধ সুরক্ষা আইন (২০২১) কার‌্যকর করে দেশের ৫,৭০০টি বাঁধের পরিকাঠামোয় নজরদারি চলছে৷ কিন্তু সমীক্ষা বলছে, শুধু বাঁধের দেওয়াল এবং লকগেট ঠিক থাকলেই তা সুরক্ষিত হয় না৷ যে জলাধারের ধারণক্ষমতা অর্ধেক কমে গিয়েছে, তা হয়তো ভেঙে পড়বে না৷ কিন্তু তা ‘সুরক্ষিতও হবে না’৷ বিশেষজ্ঞেরা বাঁধে জমা পলির উপরেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ বাঁধের জলাধার থেকে নিয়মিত পলি নিষ্কাশনের উপরে জোর দিতে বলেছেন তাঁরা৷

কানপুর আইআইটির ভূ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক রাজীব সিংহ জানিয়েছেন, দেশের বাঁধ নিয়ে স্বর্ণকারের এই গবেষণা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে সাহায্য করবে৷ বাঁধগুলিকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করবে আধিকারিকদের৷ আইআইএসইআর এই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করে সতর্কও করেছে৷ তারা জানিয়েছে, এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের বহু বাঁধ অক্ষম হয়ে পড়তে পারে৷ সে ক্ষেত্রে ধাক্কা খেতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন৷ জল সরবরাহে ঘাটতি হতে পারে৷ এমনকি, নদী অববাহিকায় পলি জমে বন্যা হতে পারে৷

সমুদ্রের নীচে লুকিয়ে থাকা মিষ্টি জল কি আদৌ পানযোগ্য! কী বলছেন গবেষকরা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে৷ তার মধ্যে একটু হলেও আশার আলো দেখলেন বিজ্ঞানীরা৷ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহাসাগরের নোনা জলের নীচে রয়েছে মিষ্টি জল৷ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে এই জল তেষ্টা মেটাতে পারে বহু মানুষের৷ আমেরিকার উত্তর-পূর্বে অতলান্তিক সাগরের নীচে রয়েছে সেই পানীয় জলের ভান্ডার৷ এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের মনে একটা সন্দেহ ছিল৷ এখন তাঁরা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন৷

আমেরিকা-সহ প্রায় ১২টি দেশ গবেষণা শুরু করেছিল৷ উপকূলের কাছে সমুদ্রে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত খনন করেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ খরচ পড়েছিল প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার৷ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২০ কোটি টাকা৷ সেই খনন করেই সমুদ্রের নীচে মিলেছে মিষ্টি জলের হদিস৷ বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমেরিকার নিউ জার্সি থেকে মেইন পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এই ভূগর্ভস্থ মিষ্টি জলের স্তর৷

কেন খনন করা হল?

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সমুদ্রের নীচে পানীয় জলের স্তর থাকার সম্ভাবনা বিস্তর৷ কিন্তু পাশাপাশি তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন যে, সেই জল উত্তোলন করা কঠিন৷ কিন্তু ধীরে ধীরে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যে ভাবে পানীয় জলের অভাব দেখা দিচ্ছে, তাতে ওই জল তুলে এনে ব্যবহার করা জরুরি হয়ে পড়ছে৷

রাষ্ট্রপুঞ্জ বলছে, আগামী পাঁচ বছরে পানীয় জলের চাহিদা জোগানের তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ইতিমধ্যে পানীয় জল কমতির দিকে৷ সমুদ্রের নীচে পানীয় জলের ভান্ডার খুঁজতে তারাও উঠেপড়ে লেগেছে৷

কী ভাবে শুরু গবেষণা?

প্রায় ৫০ বছর আগে খনিজের খোঁজে আমেরিকার সরকারি জাহাজ পূর্ব উপকূলের কাছে সমুদ্রে খননকাজ শুরু করে৷ গভীর কুয়ো খননের পরে গবেষকেরা পানীয় জল পেয়েছিলেন৷ ২০১৫ সালে আবার গবেষকদের একটি দল সমুদ্রের গভীরে খনন কাজ চালিয়ে মিঠে জলের সন্ধান পায়৷ তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন, আমেরিকার পূর্ব উপকূলের কাছে সমুদ্রের নীচে যে পরিমাণ পানীয় জল রয়েছে, তা নিউ ইয়র্কের মতো শহরের বাসিন্দাদের ৮০০ বছরের চাহিদা মেটাতে পারে৷ গবেষকদের একাংশ মনে করছেন, বাস্তবে সমুদ্রের নীচে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ রয়েছে জল৷

এর পরে গবেষকেরা ওই জল পরীক্ষা করে দেখেন যে, তা আদৌ পানযোগ্য কি না৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তা পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এ বার বিজ্ঞানীরা দেখছেন যে, ওই জলের উৎস কী৷ তার বয়স কত৷ তার পরেই বোঝা যাবে, এই জল জোগান অবিরত (রিনিউয়েবল) কি না৷

চুঁচুড়ায় দুঃস্থদের খাদ্য প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

চুঁচুড়া ঃ আনন্দমার্গ চুঁচুড়া শাখার ব্যবস্থাপনায় গত ৩০ আগষ্ট চুঁচুড়ার দু’টি মন্দির প্রাঙ্গণে অবস্থানরত বেশ কিছু মানুষদের আহার্য প্রদান করা হয়৷

এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন প্রবীন আনন্দমার্গী স্নেহময় দত্ত৷ তিনি তাঁর প্রয়াত স্ত্রী কৃষ্ণা দত্তের স্মৃতিতে এই আহার্য প্রদানের উদ্যোগ নেন৷ এই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করেন আনন্দমার্গের মানস মণ্ডল, রঞ্জন দে ও মিতালী সানা৷

চুঁচুড়ায় প্রভাতসঙ্গীত দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ      ‘বন্ধু হে, নিয়ে চলো আলোর ওই ঝর্ণাধারার পানে৷

                        আঁধারের ব্যথা আর সয়না প্রাণে৷৷’

এই আকুতি নিয়ে সঙ্গীত জগতে পথ চলা শুরু হয় যে সঙ্গীত তার নাম ‘ প্রভাত সঙ্গীত’৷ রচয়িতা দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ রচনার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীতে সুর সংযোজনও করেছেন তিনি৷ এ গান এমন এক যে অনাদি হতে অনন্তে মিশে--- সে গান আলোর ঝর্ণাধারার গান--- জীবনের আনন্দধারর গান নানা ভাব, ছন্দ সুর, আঙ্গিকে সমৃদ্ধ প্রভাত সঙ্গীতের মোট সংখ্যা ৫০১৮৷ আঁধারের আস্তরণ সরিয়ে ব্যষ্টি ও সমষ্টি জীবনের সর্বক্ষেত্রে নব প্রভাত উদয়ের বার্র্ত দিতে তিনি এই সঙ্গীত রচনা করেন৷

এ বছর প্রভাত সঙ্গীতের ৪৪তমবর্ষ উদ্‌যাপিত হল চুঁচুড়া আনন্দমার্গ আশ্রমে গত ১৪ সেপ্ঢেম্বর সন্ধ্যায়৷ মনামি কুণ্ডু, পাঞ্চালি মণ্ডল, ডালিয়া নাগ, বিন্দু মণ্ডল, বাবাই (রণজিৎ) দাস, তপোময় কুণ্ডু, দেবাশিষ ধরের সুকন্ঠে পরিবেশিত প্রভাত সঙ্গীতে এক আধ্যাত্মিক ভাব তরঙ্গের সৃষ্টি হয়৷ এরপর কীর্তন ও মিলিত সাধনা অনুষ্ঠিত হয়৷ সবশেষে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রদত্ত প্রবচন ‘নৃত্য-বাদ্য-গীত তিনে সঙ্গীতে’ পাঠ করেন স্নেহময় দত্ত৷ অনুষ্ঠানে এলাকার সকল মার্গী ভাই-বোন উপস্থিত ছিলেন৷

১৪ই সেপ্ঢেম্বর তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে পালিত হলো প্রভাত সঙ্গীত দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের রচয়িতা ও সুরকার প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার(আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে পরিচিত) দেওঘরের শান্ত-স্নিগ্দ পরিবেশে প্রথম প্রভাত সঙ্গীত দিলেন---‘‘বন্ধু হে নিয়ে চলো....’’৷ তারপর মাত্র আট বছরের মধ্যে তিনি দিলেন ভাব-ভাষা-সুর ও ছন্দের বৈচিত্রে ভরা নানা ঘরানার ৮টি ভাষায় ৫০১৮টি গান, সুর সংযোজনাও তিনিই করেন৷ সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর বিশ্বের প্রতিটি আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ এইদিন কলিকাতায় আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সাংস্কৃতিক শাখা রেনেসাঁ আর্টিস এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত৷ তিনি বলেন প্রভাত সঙ্গীত বর্তমান তমসাচ্ছন্ন ক্ষয়িষ্ণু সাংস্কৃতিক জগতে নতুন ঊষার বার্র্ত বহে এনেছে৷ প্রথম সঙ্গীতটির মধ্যেই সেই বার্র্ত আছে---‘বন্ধু হে নিয়ে চলো আলোর ওই ঝর্ণাধারার পাণে’’ মাত্র আট বছরে তিনি মোট ৫০১৮টি সঙ্গীত রচনা করেন৷ মূলত বাংলা রচিত হলেও সংস্কৃত, ইংরাজী,হিন্দি, উর্দু ভোজপুরি প্রভৃতি বেশ কয়েকটি ভাষায় তিনি প্রভাত সঙ্গীত রচনা করেছেন৷ এই দিনের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনা করেন আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত, আচার্য পূর্ণদেবানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা প্রমুখ৷ কলিকাতা রাওয়া গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন বিভিন্ন শিল্পী৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় সংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত৷

কলিকাতা ছাড়াও এইদিন পশ্চিমবঙ্গে জেলায় জেলায় ও অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ বর্হিঃভারতেও আনন্দমার্গের ইয়ূনিটগুলিতে সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ আনন্দনগরে রোটান্ডায় এই দিন প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷

ফ্যাসিষ্ট শোষণ ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে ভারতে বাঙালীর অস্তিত্ব বিপন্ন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 রাজ্যে রাজ্যে বাঙালীকে বিদেশী বানাবার নীল নক্‌সা তৈরী হয়ে গেছে৷ এস.ই.আর তারই একটি পদক্ষেপ৷ এরপর এন.আর.সি সিএএ ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরীর কেন্দ্রীয় নির্দেশ এরাজ্যেও এসেছে৷ ভারতে বাঙালীকে নির্মুল করার যে ষড়যন্ত্র দেশীয় পুঁজিপতিরা স্বাধীনতার বহুপূর্ব থেকে শুরু করেছিল, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সেই ষড়যন্ত্রকে চূড়ান্ত রূপ দিতে প্রস্তুত হয়েছে৷ নেহেরুর অসমাপ্ত কাজ নরেন মোদি সম্পূর্ণ করতে চাইছেন৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই বাঙলা ফ্যাসিষ্ট শোষণের শিকার হয়েছে৷ স্বাধীনতার পরও খণ্ডিত পশ্চিমবঙ্গ সেই শোষনের হাত থেকে মুক্তি পায়নে৷ দেশীয় পুঁজিপতি ও স্বদেশী শাসক সেই বিদেশী ব্রিটিশ নীতি অনুসরণ করে চলেছে আরও ভয়ঙ্করভাবে৷ দেশ ভাগের বলি পশ্চিমপাকিস্তান থেকে আগত পাঞ্জাবী উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন সম্পূর্ণ করে ফেলে ১৯৪৯ সালের মধ্যে৷ কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত বাঙালী উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত নীতি প্রয়োগ করা হয়৷ যার পরিণতিতে স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও বাঙালী উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধান হয়নে৷ আজ উদ্বাস্তু অনুপ্রবেশ রোখার জন্যে এন.আর.সি, সিএএ যা কিছু করা হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য বাঙালী জনগোষ্ঠী সে ওপার বাঙলা থেকে যেদিনই আসুক আর এপার বাঙলার ভূমি পুত্র হোক---কেন্দ্রীয় শাসকের চোখে আজ বাঙালী মানেই বিদেশী৷ তাই মুখে বাংলা ভাষা শুণলেই বাঙালী বিদেশী বলে রাজ্যে রাজ্যে বাঙালীদের উপর নির্যাতন চলছে৷ কলিকাতার বুকেও এমন ঘটনা ঘটছে৷ সম্প্রতি শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ণ এলাকাতেও বাংলা বলার জন্যে বাঙালীর উপর আক্রমণ করা হয়েছে৷

শ্রী খাঁ বলেন---কলুষিত রাজনীতি, স্বদেশী সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক শোষন বাঙালী জনগোষ্ঠীকে আজ নিশ্চিত ধবংসের মুখে নিয়ে এসেছে৷ তিনি বাঙলার ছাত্র-যুব সমাজকে আহ্বান জানিয়ে বলেন--- যে কোন মূল্যে বাঙলাকে এই শোষণের কবল থেকে মুক্ত করতেই হবে৷ যুব সমাজকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে৷ নতুবা ভারতে বাঙালী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব বিপন্ন হবে৷

বিপুল আগ্রহ নিয়ে প্রাউটিষ্ট কর্মীদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 গত ৫,৬ ও৭ই সেপ্ঢেম্বর কোচবিহার শহরে নিউটাউন আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির৷ তিনদিনের এই শিবিরে প্রথম দিন তিন ঘন্টা অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় ও আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে প্রাউটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন৷ ৬ ও ৭ তারিখে আচার্য পূর্ণদেবানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্র, প্রাউটের মৌলিক নীতি ও সমাজ আন্দোলন বিষয়গুলির ওপর আলোকপাত করেন৷ তিনদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে শতাধিক প্রাউটিষ্ট কর্মী উপস্থিত ছিলেন৷ দ্বিতীয় দিন ৬ই সেপ্ঢেম্বর অপরাহ্ণে কোচবিহার শহরে একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্রা বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ব্রহ্মমন্দির সংলগ্ণ সুনীতি রোডে সমবেত হন৷ সেখানে প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় বক্তব্য রাখেন দলেন রায়, সুবোধ বর্মন, সৌগত চক্রবর্তী, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত প্রমুখ৷

বর্তমান সমাজের আর্থিক বৈষম্য ও শোষণের অবসানে পুঁজিবাদের অবসান ঘটিয়ে অবিলম্বে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থার বাস্তবায়নের আশু প্রয়োজনের কথা বলেন৷

তিনদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মুখ্য আয়োজক ছিলেন আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় ছিলেন কোচবিহার আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য কৃষ্ণধ্যানানন্দ অবধূত৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সংঘটক সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত ও আচার্য সর্বজ্ঞানানন্দ অবধূত উপস্থিত থেকে শিবিরকে সফল করতে সর্বতভাবে সক্রিয় ছিলেন৷ আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত তৃতীয় দিনে সাংঘটনিক পর্যালোচনা করে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কোচবিহার জেলা কমিটি ঘটন করেন৷