সংবাদ দর্পণ

মোদির বিকশিত ভারতের প্রচার অসার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সোস্যাল মিডিয়া থেকে মাঠে ময়দানে প্রচারে মোদির ভারত এখন উন্নয়নের চূড়ায়৷ কেউ বলছে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এখন সুপার পাওয়ার৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এই প্রচারকে চুপসে দিল একটি প্রতিবেদন৷ উন্নয়নের বিভিন্নক্ষেত্রে মোদির ভারত অনেক পিছনে৷ সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যাণ্ড এনভারমেন্ট-এর স্টেট্‌ অব স্টেটস্‌ আর উই অন ট্র্যাক টু অ্যাচিভ সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস্‌ ২০৩০-এর একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে৷ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন---ক্ষুধা ও অপুষ্টি কমিয়ে আনা, সুস্বাস্থ্য,পানীয় জল ও নিকাশি পরিসেবা, আন্ডারওয়েট, লিঙ্গ সাম্য, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে উন্নয়নের মাপকাঠিতে ভারত ১৬৭টি দেশের মধ্যে ১০৯ নম্বর স্থানে আছে৷ ১৬টি সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস্‌-এর ভিত্তিতে তৈরী প্রতিবেদনে জানা যায় ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণে ভারত আশানুরূপ ফল পায়নি৷ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে ৩২.১ শতাংশের ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম, অন্তসত্ত্বা নারীদের ৫২.২ শতাংশ অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন৷ উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯.৬৬ শতাংশ, কিন্তু সেখানে মোট কর্মসংস্থানের মাত্র ১১.৪২ শতাংশ হয়েছে৷ পরিষেবার ক্ষেত্রেং ৫২.৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার অনেক নীচে মাত্র ২৭.৭৫ শতাংশ৷ উদ্ভাবন সূচকে ভারতের কপালে জুটেছে ১০০ এর মধ্যে ৩৬.৪ শতাংশ৷ সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও ভারত অনেক পিছনে৷ প্রতি এক লক্ষের মধ্যে ৩৭টি শি অপরাধের শিকার হয়, ১০ লক্ষের মধ্যে চার জন মানব পাচারের শিকার৷ এই প্রতিবেদন মোদি সরকারের প্রচারের বেলুন চুপসে দিয়েছে৷

আনন্দমার্গ কলেজ পর্যন্ত পথশ্রী-৩ প্রকল্পের সঙ্গে অসম্পূর্ণ কালভার্টটি সম্পূর্ণ করে প্রকল্পটির সঙ্গে সংযুক্ত করার আবেদন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গ কলেজ পর্যন্ত পথশ্রী-৩ প্রকল্পের সঙ্গে অসম্পূর্ণ কালভার্টটি সম্পূর্ণ করে প্রকল্পটির সঙ্গে সংযুক্ত করার আবেদন পথশ্রী-৩ প্রকল্পের অধীনে শালগ্রাম মেইন রোড থেকে রাজু মাঝির বাড়ি হয়ে আনন্দমার্গ কলেজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য পুরুলিয়া জেলা পরিষদ ৮৪,৯৮,৫৯৭ টাকা বরাদ্দ করেছে৷ কিন্তু প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার শ্রী সন্তোষ দত্ত কলেজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্থানীয় জনগণ ও ছাত্রছাত্রাদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷

এ বিষয়ে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থন সহকারে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা, পুরুলিয়া ডিভিশন-এর নিকট আনন্দমার্গ কলেজ পর্যন্ত রাস্তাটি সম্পূর্ণ করার জন্য আবেদন জানানো হয়৷ ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মহোদয় প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার আশ্বাস দিলেও তিনি জানান যে, অসম্পূর্ণ কালভার্টটির নির্মাণ কাজ জেলা পরিষদ কর্তৃক সম্পাদিত হয়েছে৷ তাই গ্রামীন উন্নয়ন সংস্থা এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে না ও জেলা পরিষদকে বিষয়টি জানাতে হবে৷ ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার, পুরুলিয়া-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিতভাবে ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার, জেলা পরিষদ, পুরুলিয়া ও অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পরিষদ, পুরুলিয়া-এর নিকট আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন৷ সেই অনুসারে, আজ ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে রেক্টর মাষ্টার আনন্দনগর আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থন সহকারে অসম্পূর্ণ কালভার্টটি সম্পূর্ণ করার জন্য আবেদন জমা দেওয়া হলো৷ কালভার্টটি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে স্থানীয় জনগণ ও ছাত্রছাত্রাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে আর তাদের ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হবে না৷ আশা করা যায়, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে ও প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করে স্থানীয় মানুষের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে৷

পশ্চিম মেদিনীপুরে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত নেড়াদেউল আনন্দমার্গ স্কুলে ৩৫৯তম ২৪ঘন্টা ব্যাপী বাবা নাম কেবলম কীর্তন অনুষ্ঠিত হল ৪ঠা ও ৫ই ফেব্রুয়ারি৷ মেদিনীপুর ডায়োসিসে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর যাবৎ প্রতি মাসের ৪,৫ তারিখ এই কীর্তন অনুষ্ঠান চলছে৷ এখানে কীর্তন অনুষ্ঠানে স্থানীয় আনন্দমার্গী সহ বহু গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন৷ মেদিনীপুর শহর থেকেও অনেক মার্গী দাদা দিদি কীর্তন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন৷ ডায়োসিস সচিব আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ বিভুকণা আচার্যা কীর্তন পরিচালনা করেন৷ কীর্তন শেষে মিলিত আহারে অংশ নেন প্রায় ছয় শতাধিক গ্রামবাসী৷ নেড়াদেউল আনন্দ মার্গ স্কুলের টিচার ইন চার্জ শ্রী দুর্গা প্রসাদ ঘটক সহ সকল শিক্ষক এই অনুষ্ঠানটিকে সফল করে তুলতে যথেষ্ট পরিশ্রম করেন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ভুক্তি প্রধান শ্রী শুভাশীষ সাহু জানান কীর্তন অনুষ্ঠানের শুভ প্রভাব এলাকায় পড়ে৷ ৮ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষ আনন্দমার্গ আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাধনা পদ্ধতি গ্রহণ করেন৷

২০২৬-এর মধ্যে চালু হতে চলেছে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাওয়ার উড়ন্ত সমুদ্রযান

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

কলকাতা থেকে চেন্নাই যেতে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা, ভাড়াও নামমাত্র, ৬০০ টাকা৷ শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি৷ আইআইটি মাদ্রাজের ইনকিউবেশন সেলের সহায়তায় একটি স্টার্ট-আপ সংস্থা একটি উড়ন্ত সমুদ্রযানের নকশা তৈরি করে ফেলেছে৷ সেই যানে চড়ার স্বপ্ণ খুব শীঘ্রই বাস্তব হবে বলে দাবি করেছে ওয়াটারফ্লাই টেকনোলজিস নামের সংস্থাটি৷ শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা এই সমুদ্রযানের ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ তাঁর এই পোস্টটি সমাজমাধ্যমে নজর কেড়েছে ও ভাইরাল হয়েছে৷ তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘‘প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নতুন প্রযুক্তিগত উদ্যোগের খবর পাওয়া যায়৷ এই গাড়ির নকশাটি অসাধারণ!’’

স্টার্ট-আপ সংস্থাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হর্ষ রাজেশ জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই বৈদ্যুতিক যান তৈরি করে যাত্রাপথকে দ্রুততর ও খরচসাশ্রয়ী করার চেষ্টা করছেন৷ তিনি আরও জানান, অভিনব এই উড়ন্ত সমুদ্রযানে কলকাতা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত ১,৬০০ কিলোমিটার পথ মাত্র ৬০০ টাকায় যাওয়া যাবে, যা ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণির বাতানুকূল টিকিটের চেয়ে সস্তা হবে৷ যানটি সমুদ্রের জলের খুব কাছ দিয়ে উড়বে৷ এর ফলে ডানার ঘর্ষণ কমবে ও কম গতিবেগে উড়তে পারবে বলে স্টার্ট-আপের আর এক প্রতিষ্ঠাতা কেশব চৌধরি জানিয়েছেন৷

একটি সাধারণ এয়ারবাস বা বোয়িং বিমান কলকাতা থেকে চেন্নাই যেতে আড়াই থেকে তিন টন এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল (এটিএফ) খরচ করে৷ খরচ পড়ে প্রতি কিলোলিটারে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা৷ তবে, নতুন এই উড়ন্ত সমুদ্রযান এই খরচ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমাতে পারে, যার ফলে টিকিটের দাম কম হবে বলে আশা করেছেন এই সংস্থার কর্তারা৷

যদিও এই প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ সংস্থার পক্ষ থেকে কেবলমাত্র এটির নকশা উপস্থাপন করা হয়েছে৷ ১০০ কেজি ওজনের প্রথম ‘প্রোটোটাইপ’টি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রস্তুত হওয়ার আশা করছে সংস্থা৷ ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এক টনের একটি যান উড়ানের জন্য তৈরি হবে বলে জানানো হয়েছে৷ সংস্থাটি ২০২৬ সালের মধ্যে একটি ২০ আসনের যান তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে৷ সেই উড়ন্ত সমুদ্রযান চেন্নাই থেকে কলকাতা যাতায়াত করতে সক্ষম হবে৷

কাজে সাফল্যে অর্জনের উপায়

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মানুষের জীবনযাত্রা যেন এক অদ্ভুত নাট্যমঞ্চ৷ কেউ ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বেড়ায়, আবার কেউ সাফল্যের মুকুট পরিধান করে৷ কিন্তু কেন এই পার্থক্য? একটিই তো মানবজীবন, একটিই তো সময়ের স্রোত! আসলে, এই পার্থক্যের মূল কারণ লুকিয়ে আছে চিন্তাধারার ভিন্নতায়, অভ্যাসের প্রভেদে ও মনোভাবের বিশ্লেষণে৷

১) কাজের একটা লক্ষ্য থাকতে হবে অর্থাৎ ডেষ্টিনেশন/ডেসিডেরাটাম থাকবে৷ আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে, এই কথাটা মনে রেখে চলতে হবে৷ ২) আমি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো এই বিশ্বাসে দৃঢ় হতে হবে৷ তাতেই অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে অর্থাৎ ৫০শতাংশ কাজ হয়ে যাবে৷ ৩) বাকি ৫০শতাংশের জন্যে কাজ শুরু করে দিলে অর্থাৎ এককদম পা বাড়ালে পরমাত্মা কুড়ি কদম এগিয়ে দেবেন৷ ৪) বাকি ত্রিশ শতাংশের জন্য চেষ্টা করলেই পরমপুরুষের কৃপায় সবকিছু মসৃনভাবে হয়ে যাবে৷ চেষ্টয়া কিমন লভ্যতে --- চেষ্টা করলে কি না হয়৷ ৫) পরমপুরুষ হচ্ছেন ধবনাত্মক সত্ত্বা৷ মন যখন শুভ কাজে ব্যাপৃত থাকে মানসিক তরঙ্গও তখন ধবনাত্মক হয়ে যায়৷ তখন অজান্তেই সবকিছু এক এক করে হতে থাকে ও সফলতা আসতে থাকে৷

সফলতা ও ব্যর্থতা ভাগ্যের দ্বারা নির্ধারিত হয় না, বরং মানুষের মানসিকতা, শৃঙ্খলা ও অধ্যবসায়ের উপর নির্ভর করে৷ যারা সাফল্যের গুণাবলি লালন করে, তারা অবশেষে সকল বাধাকে অতিক্রম করে ওঠে, আর যারা ব্যর্থতার বৈশিষ্ট্যকে ঁকড়ে ধরে, তারা সংগ্রামে লিপ্তই থেকে যায়৷

কোলাঘাটে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বিগত ২২শে ফেব্রুয়ারি কোলাঘাটের বিশিষ্ট মার্গী শ্রী বিমল পোড়িয়ার বাসভবনে জীব ও জগতের কল্যাণ কামনায় তিন ঘণ্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হল৷ কোলাঘাট ও পার্শবর্তী এলাকার মার্গী ভাই-বোনেরা সবাই উপস্থিত হয়েছিলেন৷ আনন্দমার্গের আদর্শ ও ব্যষ্টিজীবনে সাধনার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ আচার্য রবীশানন্দ অবধূত৷ আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত এবং অবধুতিকা আনন্দ ভাবাতীতা আচার্যা প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যষ্টিরা সারাক্ষণ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন৷ নদীয়া জেলা ও তৎপার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও বহু ভক্তজন কীর্তন অঙ্গনে উপস্থিত হয়ে কীর্তনে অংশ গ্রহন করেন৷ অখন্ড কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজার পরে স্বাধ্যায় করেন বাসন্তি বিশ্বস৷ অনুষ্ঠানে ‘কীর্তন মহিমা’-র ওপর আলোকপাত করেন বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রী স্মরজিৎ মন্ডল ও আনন্দমার্গের বিশিষ্ঠ সন্যাসী আচার্য মায়াতীতানন্দ অবধূত ও নদীয়াভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস প্রমুখ কীর্তনানুষ্ঠান শেষে তিন শতধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন৷ শ্রী দীপক বিশ্বাস ও শ্রীমতী সবিতা বিশ্বাস৷

কৃষ্ণনগরে পালিত হল ‘নীলকন্ঠ দিবস’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২০০ শতাধিক ভক্তের অকুন্ঠ সহযোগিতায় কৃষ্ণনগর স্যাঁকড়া পাড়া আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গনে অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার উদ্যোগে সাড়ম্বরে পলিত হল ৫২তম ‘নীলকণ্ঠ দিবস’ প্রতাতসঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন নদীয়া জেলার রাওয়া শিল্পী শ্রীমতী কাজল সরকার৷ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র ‘বাবানাম কেবলম অখন্ড সংকীর্তন পরিচালনা করেন হরিপরি মন্ডল গোষ্ঠি নদীয়া জেলার সদস্য সদস্যবৃন্দ ---অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যান আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দমণিষা আচার্যা শ্রীমতী কাকলী মন্ডল শ্রীকৌশিক সরকার, শ্রীমতী তাপসী মুখার্জী প্রমুখ৷

নীলকন্ঠ দিবসের তাৎপর্য ও তার ঐতিহাসীক দিক নিয়ে মূল্যবান আলোচনায় অংশগ্রহন করেন-প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রীগৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য, ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, অবধূতিকা আনন্দদীপা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা, নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য নিয়ে স্বরচিত সুন্দর একটি কবিতা পাঠ করে সবাইকে মুগ্দ করেছেন মার্গীবোন শ্রীমতী তৃপ্তি বিশ্বাস৷ অনুষ্ঠানে ২০০ শতাধিক জনকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা৷

বিশ্বের বিষরাশি কন্ঠে নিয়ে অমর হয়েছ গুণে আপনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী মানব ইতিহাসে এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন৷ এই দিনেই তৎকালীন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধীর ভারত সরকার মিথ্যে মামলায় অভিযুক্ত করে পটনার বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ওপর তীব্র বিষ প্রয়োগ করে৷ শ্রীসরকার তাঁর দৈববলে, ঐশ্বরিক ক্ষমতায় সেই বিষ হজম করে কন্ঠে ধারন করে নীলকন্ঠী হয়ে ভূলুণ্ঠিত মানবতার রক্ষা করেন৷

কেন এই বর্বরতা? শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক তত্ত্ব ‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’ সংক্ষেপে প্রাউট ... এই দর্শনের অভ্যুত্থান স্বৈরাচারী শোষণবাদী কর্র্পেরেট ও তাদের সাগরেদ শাসক ও রাজনৈতিকদলগুলোর মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সঞ্চার করে৷ এই অবস্থায় তারা চায় প্রাউট ও তার প্রবক্তাকে পৃথিবীর বুক থেকে চিরবিদায় করতে৷ কিন্তু প্রকৃতির নিয়মের বাইরে যে তিনি .... মানব কল্যাণ যাঁর সংকল্প তাঁকে মারতে পারে এমন বিষ পৃথিবীতে নেই৷ সেই মারাত্মক বিষ কে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার কন্ঠে ধারণ করেছেন এবং এর প্রতিবাদে দীর্ঘ ৫ বছরেরও অধিক সময় অনশন করে পরবর্তীতে নিজেকে নির্র্দেষ প্রমাণ করে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পাপ শক্তির বিরুদ্ধে লাগাতার সংগ্রামের প্রেরণাদাতা ও পথপ্রদর্শক হয়েছেন৷ আজ তাঁর সংঘটন ও শত সহস্র সর্বক্ষণের কর্মী ও গৃহী কর্মীরা বিশ্বজুড়ে বিশাল সেবাকার্য চালাচ্ছে৷ পাপশক্তি আজও বাধা দিচ্ছে কিন্তু শ্রীসরকারের আশীর্বাদ, প্রেরণা সেই বাধা ছিঁড়ে দূর্দান্ত গতিতে এগুতে সাহায্য করছে৷ এই ১২ই ফেব্রুয়ারী, প্রাউটের উপর আধারিত, বিপ্লবের মূর্ত প্রতীক ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভাবগম্ভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নীলকন্ঠ দিবস স্মরণ করছি৷

১২ই ফেব্রুয়ারী আনন্দমার্গে নীলকণ্ঠ দিবস উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অর্থ ও ক্ষমতার প্রলোভন যখন কাজ হয়নি তখন অপপ্রচার-কুৎসা, ভয় দেখানো, সংগঠিতভাবে মিশনের কর্মীদের ওপর আক্রমণ ও হত্যা করা, মিথ্যা মামলায় জেলবন্দী করে রাখা ইত্যাদি শতচেষ্টা করেও যখন দেখা গেছে আনন্দমার্গের গতিকে স্তদ্ধ করা যাচ্ছে না৷ তখন স্থির হয় আনন্দমার্গের শ্রষ্ঠাকেই যদি পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলা যায় তাহলেই আনন্দমার্গের ধবংস সম্ভব৷ এই ভেবে পাপীরা জেলবন্দী আনন্দমূতর্িজীকে ১২ই ফেব্রুয়ারি’’৭৩ সালে ওষুধের নাম করে পটনা বাঁকিপুর সেন্ট্রাল জেলের ডাক্তার রহমতুল্লাহকে দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিষ প্রয়োগ করে৷ বিষপ্রয়োগে আনন্দমুর্ত্তিজীর শরীরে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু পাপীদের উদ্দেশ্য তাতেও সিদ্ধ হয়নি৷ এই জঘন্যতম ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের দাবীতে সারা বিশ্বে ব্যপক আন্দোলন সংঘটিত হয়৷ আনন্দমূর্ত্তিজী নিজেও তৎকালীন বিহারের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি লেখেন তদন্ত কমিশন নিয়োগের জন্য কিন্তু কেউ কোন কর্ণপাত করেনি৷ যখন কিছুই হচ্ছে না তখন আনন্দমূর্ত্তিজী নিজেই বিষপ্রয়োগের প্রতিবাদে ১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল থেকে জেলের মধ্যেই অনশন শুরু করেন ও টানা পাঁচ বছর চার মাস দুই দিন চলতে থাকে, যতদিন না তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন৷ অবশেষে পটনা হাইকোর্টের রায়ে আনন্দমূর্ত্তিজীর বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়৷ তিনি ও তাঁর চার শিষ্যগণ নিঃশর্তভাবে জেল থেকে মুক্তি পান৷ ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট জেল থেকে বেরিয়ে তিনি দীর্ঘ অনশন ভঙ্গ করেন৷

 আনন্দমার্গের ইতিহাসে ১২ই ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘নীলকণ্ঠ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়৷ কৌশিকী আনন্দনগর ‘মধুমুর্চনা’ মার্গগুরু বাসভবনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য ও নারায়ণসেবার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ,ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, অসম সহ বাঙালীস্তানের বিভিন্ন স্থানে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ তথা ‘বাংলা ভাষা শহীদ দিবস’ পালন করা হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের কলিকাতা, উত্তর চবিবশ পরগনা, হুগলী, হাওড়া, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি জেলার বিভিন্ন স্থানে, ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর, বোকারো ও ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা, খোয়াই সহ অন্যান্য স্থানে এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালন করা হয় ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়৷কলিকাতায় মূল অনুষ্ঠানটি শ্যামবাজারে পাঁচ মাথার মোড়ের সন্নিকটে উদযাপিত হয়৷ সন্নিহিত জেলা ও কলিকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠান স্থলে এসে মিলিত হয়৷ কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব শ্রীতপোময় বিশ্বাস, হিতাংশু ব্যানার্জী, প্রণতি পাল, স্বপন মন্ডল, স্বপন দে, জয়ন্ত দাশ, সুদীপ বিশ্বাস, সুবোধ রঞ্জন কর,শুভজিত পাল ও অন্যান্য আমরা বাঙালী নেতা নেত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের সাকচী নেতাজী সুভাষ ময়দান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলা শাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে এসে উপস্থিত হয় ও জেলাশাসককে ‘আমরা বাঙালী’র দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ পরবর্তী পর্যায়ে শোভাযাত্রা সাকচী গোল চক্কর চত্বরে এসে পৌঁছায় ও সেখানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আমরা বাঙালী সদস্য সদস্যাগণ এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ আমরা বাঙালী সংঘটনের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা সহ মোহন লাল অধিকারী, সুশীল কুমার মাহাতো, আশিস নাগ চৌধুরী,নারায়ণ সেন, অঙ্গদ মাহাতো, সুনীল মাহাতো, দেবাশীষ মন্ডল,রেখা মাহাতো ও অন্যান্য নেতা নেত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷ এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের বোকারো শহরে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়৷ এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী মনোতোষ মন্ডল ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷

ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা, খোয়াই ও অন্যান্য স্থানে এই দিনটি পালিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী অশোক কুমার দাস, গৌরীশঙ্কর নন্দী, কেশব মজুমদার, রাজ্য সচিব শ্রী গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল, গৌতম ঘোষ, বিধান দাস, রামকৃষ্ণ দেবনাথ, সীমন্তি দেব, গীতাঞ্জলি দাস ও অন্যান্য নেতা নেত্রী উপস্থিত ছিলেন৷

বিভিন্ন সভায় ‘আমরা বাঙালী’র নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে এই দিনের তাৎপর্য, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ, আদর্শ ও মাতৃভাষা বাংলার সম্মান রক্ষায় মরণপণ সংগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে যে বাঙালী জাতির অবদান সবচেয়ে বেশী, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন সকলের থেকে বেশি,স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে সেই বাঙালী, বাঙলা আর বাংলা ভাষার উপর আঘাত এসেছে সবচেয়ে বেশী--- বঞ্চনা, নির্যাতন, অবদমন চলেছে যৎপরোনাস্তি৷ এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে বক্তাগণ সকল বাঙালীকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানান৷

হাওড়ায় ভাষা দিবস --- হাওড়া জেলার বাগনান রেলস্টেশনে আমরা বাঙালী জেলা কমিটির পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করা হয়৷ স্টেশনের সম্মুখে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রীবকুলচন্দ্র রায়, সুশান্ত শীল প্রমুখ৷