সংবাদ দর্পণ

প্রভাত সঙ্গীতের ৪২তম বর্ষপূর্ত্তি উপলক্ষ্যে অঙ্কন, সঙ্গীত ও নৃত্যের চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২২শে সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সাংস্কৃতিক শাখা রেঁণেসা আর্টিষ্ট এ্যাণ্ড রাইটার্স RAWA) এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, গীত ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল কলকাতা ভিআইপি নগর আশ্রম প্রাঙ্গনে৷

এই উপলক্ষ্যে উত্তর পূর্বাঞ্চল ও ঝাড়খণ্ডের প্রতিযোগিরা ২১শে সেপ্ঢেম্বর অপরাহ্ণেই আশ্রমে পৌঁছে যান৷ প্রাথমিক পর্বে পূর্ব ও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির জেলাস্তরে প্রতিযোগিতা হয়৷ সেখান থেকে প্রতিটি বিভাগে দুজন করে কলিকাতার চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে৷

এই প্রতিযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও, ত্রিপুরা,অসম,ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে৷ সকাল ৯-৩০টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত ও কেন্দ্রীয় রাওয়া সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য প্রবীন সন্ন্যাসীবৃন্দ৷ আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত তাঁর বক্তব্যে বলেন--- বর্তমান সমাজের বিপর্যস্ত অবস্থা ও সাংস্কৃতিক অবক্ষয় রোধ করে সাংস্কৃতিক জগতে নূতন আলোর দিশা দেখাবে প্রভাত সঙ্গীত৷ সমাজকে এই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে রক্ষা করতে হলে সমাজে একটা সাংস্কৃতিক আলোড়ন তুলতে হবে৷ প্রভাত সঙ্গীতই সেই আলোড়ণ তুলতে পারবে৷

সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন বিভাগের অংকন প্রতিযোগিতা শুরু হয়৷ দশটা থেকে শুরু হয়ে সমবেত নৃত্য প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন বিভাগের একক নৃত্যের প্রতিযোগিতা ও সমবেত সঙ্গীত ও একক সঙ্গীত প্রতিযোগিতা যা শেষ হয়---বিকাল ৫টায়৷ এরপর সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷

হাইকোর্টের বিচারপতিকে সুপ্রিম ভর্ৎসনা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

দেশের কোনও অংশকে ‘ পাকিস্তান’ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না৷ কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি ভি সুপ্রিম কোর্ট৷ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রহণ করা মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বলেছে, কোনও সম্প্রদায় সম্পর্কে মন্তব্য থেকে নিজেদের বিরত

 থাকতে হবে৷ কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতির উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বুধবার বলেন, ‘দেশের কোনও অংশকে আপনি পাকিস্তান বলতে পারেন না৷ এটা দেশের ঐক্যের মৌলিক নীতির পরিপন্থী’ মুসলিম-অধ্যুষিত বেঙ্গালুরুর একটি এলাকাকে ‘পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি শ্রীশানন্দ৷ মহিলা আইনজীবী সম্পর্কেও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ ফলে বিতর্ক দানা বাঁধে৷ এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই যখন সেগুলি একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের ওপর করা হয়, তখন পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশ করে৷ শুনানির সময়, বিচারকের এমন মন্তব্য, যা কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বা যা তাঁর পক্ষে ক্ষতিকারক, তা এড়ানো উচিত’ বিচারপতি চন্দ্রচুড় বিচারপতি ও আইনজীবীদের ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন৷ সর্র্বেচ্চ আদালতের বক্তব্য, বিচার-ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত বিচারক, আইনজীবী ও মামলাকারীদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আদালতের কার্যক্রম শুধু আদালতে উপস্থিত লোকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, যাঁরা দেখছেন তাঁরাও আছেন৷ সর্র্বেচ্চ আদালত আরও বলেছে, এই যুগে, যেখানে আদালতের যাবতীয় কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, সেখানে এমন ধরনের মন্তব্য করার আগে সতর্ক হতে হবে বিচারক এবং আইনজীবীদের সেই সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত মতামত এবং ধ্যানধারণা দূরে সরিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে বিচার-প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে৷ দিন কয়েক আগে বেঙ্গালুরুর একটি মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকাকে ‘পাকিস্তান’ বলেউল্লেখ করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি পরে তিনি এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চান৷ যদিও ততক্ষণে বিচারপতি শ্রীশানন্দের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়৷ কর্ণাটকের অননুমোদিত ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমিং নিষিদ্ধ করা হয়৷ এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘আদালতের কার্যপ্রক্রিয়ায় সর্র্বেচ্চ স্বহতা আনা জরুরি৷ আদালতে যা-ই ঘটুক তা চাপা দেওয়া উচিত নয়৷’

 

মেদিনীপুরের আনন্দমার্গ স্কুলে গল্প বলা প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় ও শালবনীতে অবস্থিত আনন্দমার্গ স্কুলে ২০ ও ২১শে সেপ্ঢেম্বর ৫ম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল রেণেশাঁ আর্টিস্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে৷ দুটি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রারাই যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে গল্প পরিবেশনের ক্ষেত্রে৷ গোয়ালতোড় আনন্দমার্গ স্কুলে ৫৮ জন ও শালবনী স্কুলে ৩০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়৷ গোয়ালতোড় আনন্দমার্গ স্কুলের সেরা পাঁচ প্রতিযোগী হল-- ঋতম শৌ, প্রত্যুষা দে, আলোময় সরকার, সুহানী বিষই ও অমৃতা নন্দী৷ শালবনী আনন্দমার্গ স্কুলের সেরা পাঁচ প্রতিযোগী হল--- উজ্জ্বল কাসুন্দি, সৃজিতা মাহাত, ঋতু সিংহ,অঙ্কুশ জানা ও শুভজিৎ পাল৷ পুরস্কার বিতরণ ও শংসাপত্র প্রদানের আগে টিচার ইন চার্জ শ্রী জ্ঞানেন্দ্রনাথ জানা উপস্থিত সকলের সামনেRAWA-র উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলেন৷ বর্তমানে সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ও সুস্থ সংস্কৃতির প্রচারে রাওয়ার কাজে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান৷

সিন্ধু-চুক্তি নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে ভারত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ করছে না পাকিস্তান৷ পশ্চিমের প্রতিবেশীকে উচিতশিক্ষা দিতে তাই এ বার সিন্ধু নদীর জল নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে চাইছে ভারত৷ যা নিয়ে ইসলামাবাদকে ইতিমধ্যেই চিঠি ধরিয়েছে নয়াদিল্লি৷ পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তানও৷ ভারত শেষ পর্যন্ত চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গেলে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে সেচ মারাত্মক ভাবে মার খাবে৷ যার সরাসরি প্রভাব পড়বে কৃষিতে৷ সে ক্ষেত্রে আর্থিক দিক থেকে ইসলামাবাদের কোমর ভেঙে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ চলতি বছরের ৩০ অগস্ট সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাকিস্তানকে চিঠি পাঠায় ভারত৷ তাতে এই চুক্তিতে মূলগত পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সীমান্ত-সন্ত্রাসের প্রভাব চুক্তির উপর পড়তে চলেছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে নয়াদিল্লি৷ পাশাপাশি ভারত আরও জানিয়েছে, যে সময়ে চুক্তি হয়েছিল, সেই সময়ের তুলনায় এ দেশের জনসংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ কৃষিক্ষেত্রে এসেছে আমূল বদল৷ আর তাই নদীর জল আরও বেশি করে ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা গিয়েছে৷ চুক্তিতে মূলগত পরিবর্তন করে সেই সুবিধা এ বার পেতে চাইছে নয়াদিল্লি৷ সিন্ধু জলচুক্তি হওয়ার পর মোট তিন বার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান৷ এ ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরেই ইসলামাবাদের মদতে উপত্যকায় চলছে সন্ত্রাসবাদ৷ তা সত্ত্বেও এত দিন এই চুক্তি নিয়ে সে ভাবে উচ্চবাচ্য করেনি ভারত৷

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সিন্ধু চুক্তির পুনর্মূল্যায়ণের জন্য প্রথম বার পাকিস্তানকে নোটিস পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি৷ ইসলামাবাদের তরফে সে বার কোনও সাড়া মেলেনি৷ এ বছরে দ্বিতীয় নোটিস তাই ভারতের তরফে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ গত বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্ঢেম্বর ভারতের পাঠানো নোটিস নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইসলামাবাদ৷ পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ জানিয়েছেন, ‘‘সিন্ধু জলচুক্তিকে পাকিস্তান একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা বলে মনে করে৷ আশা করি আগামী দিনেও ভারত এই চুক্তির শর্তগুলি মেনে চলবে৷’’ ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্ঢেম্বর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল আয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু নদীর জল বণ্টন নিয়ে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়৷ পাকিস্তানের করাচি শহরে গিয়ে এই চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন পণ্ডিত নেহরু৷ সিন্ধু জলচুক্তির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ‘‘ভারত ও পাকিস্তান সিন্ধু এবং তার শাখা ও উপনদীগুলির জল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সদিচ্ছা ও বন্ধুত্বের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে৷ সহযোগিতামূলক মনোভাবের উপর ভিত্তি করে এই চুক্তি তৈরি করা হয়েছে৷’’ সিন্ধু নদীর উৎপত্তি দক্ষিণ পশ্চিম তিববতের মানস সরোবর সংলগ্ণ একটি প্রস্রবণ থেকে৷ নদীটি লম্বায় প্রায় ৩ হাজার ১৮০ কিলোমিটার৷ এর তীরেই ২ হাজার ৫০০ খ্রিস্টপূর্বে গড়ে উঠেছিল হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়োর সভ্যতা৷ তিববতে উৎপত্তি হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীরের উপর দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে এই নদী৷ পঞ্জাব প্রদেশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে শেষে দক্ষিণের বন্দর শহর করাচির কাছে আরব সাগরে গিয়ে মিশেছে সিন্ধু নদী৷ সিন্ধুর মূল উপনদী হল বিতস্তা, চন্দ্রভাগা, ইরাবতী ও বিপাশা৷ সিন্ধু জল চুক্তিতে এই নদীগুলির জলের ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে৷ এ ছাড়াও চুক্তিতে শতদ্রু নদীর জলের ব্যবহারের কথাও বলা রয়েছে৷

চুক্তি অনুযায়ী, পূর্ব দিকের তিনটি নদী, অর্থাৎ বিপাশা, ইরাবতী ও শতদ্রুর উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের৷ অন্য দিকে পশ্চিম দিকের সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার জল ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান৷ জলের নিরিখে সিন্ধু এবং তার শাখা ও উপনদী মিলিয়ে ৩০ শতাংশ ভারত ও ৭০ শতাংশ পাবে পাকিস্তান৷ পশ্চিম দিকের তিনটি নদী, অর্থাৎ সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার জল নয়াদিল্লি যে একেবারেই ব্যবহার করতে পারবে না, এমনটা নয়৷ চুক্তিতে বলা হয়েছে এই তিনটি নদীর জল স্থানীয় ভাবে সেচের কাজে ব্যবহার করতে পারবে ভারত৷ পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন, নৌ চলাচল ও মাছ চাষের জন্য ভারতের এই তিনটি নদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই৷ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ন’বছর আলোচনার চলার পর সিন্ধু জলচুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছিল৷ যার মধ্যস্থতাকারী বিশ্ব ব্যাঙ্ক একটি সালিশি আদালত তৈরি করেছে৷ যা চুক্তির শর্ত পুনর্মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই ভূমিকায় প্রথম থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে নয়াদিল্লি৷ সালিশি আদালত ভেঙে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে ভারত৷ যা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ব ব্যাঙ্ক৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ১৯৪৭-৪৮ সালে ভারত পাক যুদ্ধের নেপথ্যে ছিল সিন্ধু নদীর জলের দখল৷ সেই কারণেই কাশ্মীর আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয় মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন সরকার৷ দিল্লি এই চুক্তি ভেঙে দিলে জলের জন্য ফের পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের সেনাকে লড়াইয়ের ময়দানে মুখোমুখি দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা৷

দুটি সাম্প্রতিক রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার হল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

এই রক্তের গ্রুপ ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি এবং এনএইচএস ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টের বিজ্ঞানীরা ২০২২ সালে ইআর ব্লাড গ্রুপ সিস্টেম আবিষ্কার করেন৷ এই আবিষ্কারটি ৩০ বছরের পুরনো রহস্যের সমাধান করে এবং ৪৪ তম ব্লাড গ্রুপ সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করে৷Er রক্তের গ্রুপ সিস্টেমPiezo1 প্রোটিন দ্বারা বাহিত হয়, যা অনেক জৈবিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করে৷Er4 এবংEr5 অ্যান্টিজেন অত্যন্ত বিরল এবং ভ্রূণ এবং নবজাতকের হেমোলাইটিক রোগের ক্ষেত্রে যুক্ত করা হয়েছে৷ ইএমএম নেগেটিভ রক্তের গ্রুপ ২০২২ সালে, গুজরাটের একজন ৬৫ বছর বয়সী ব্যক্তিকেEMM নেতিবাচক রক্তের গ্রুপ হিসাবে চিহ্ণিত করা হয়েছিল, এটি ভারতে প্রথম এবং বিশ্বের দশম কেস৷ এই রক্তের গ্রুপটিকে বিদ্যমানA,B,O, বাAB-এর মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ করা যায় না৷

গ্রামীন মহিলাদের পুজোর আগে বিশেষ উপহার বিএসএফের

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

‘বাটার ফ্লাই’, ‘চেস্ট প্রেস’, ‘ফান রাইডার’, ‘তাইছি স্পিনার’ শরীরচর্চার নানা রকম যন্ত্রপাতি ছড়িয়ে রয়েছে মাঠের মাঝে৷ আর সেই যন্ত্রপাতি দিয়েই শরীরচর্চায় ব্যস্ত রোকেয়া, অনিতারা৷ মহিলাদের শরীরচর্চার বিষয়ে জোর দিতেই এমন উদ্যোগ নিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)৷ বাহিনীর এই উদ্যোগে বেজায় খুশি সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় মহিলারা৷ শুধু তা-ই নয়, মহিলাদের শৌচালয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ গেদে কাদিপুর এবং টুঙ্গির সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে একটি মাঠের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে ‘ওপেন এয়ার জিম’৷ অর্থাৎ খোলা আকাশের নীচেই শরীরচর্চার বন্দোবস্ত৷ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের উদ্যোগেই মহিলাদের জন্য এই শরীরচর্চার আখড়া তৈরি হয়েছে৷ বিসএফের এই উদ্যোগে বেজায় খুশি সীমান্তবর্তী এলাকার তিনটি গ্রামের স্থানীয় মহিলারা৷ নতুন জিমে শরীরচর্চা করার সুযোগ পেয়ে খুশি আট থেকে আশি৷ ৭০ বছরের বৃদ্ধা রানি সরকার বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় মেয়েরা এমনিতেই একটু আতঙ্কে থাকেন৷ মূল জনপদের থেকে খানিকটা বিচ্ছিন্নও বটে৷ আমরা যখন কম বয়সি ছিলাম, সে সময় পাঁচ জন মহিলা একসঙ্গে বসার উপায় ছিল না৷ আজ জীবদ্দশায় বিএসএফের এই উদ্যোগ দেখে খুব খুশি৷’’ শুধু মহিলা নন, এই উদ্যোগে খুশি গ্রামের পুরুষেরাও৷ স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভাল নয়৷ অনেক সময় মাঠের কাজে সাহায্য করার জন্য বাড়ির মেয়েরা যেতে বাধ্য হন৷ তাঁদের সম্মান রক্ষার জন্য এ হেন উদ্যোগের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল৷’’

৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ানের কম্যান্ডিং অফিসার সুজিতকুমার জানান, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সবসময়ই সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার চেষ্টা করে৷ সীমান্তের গ্রামগুলোকে সমৃদ্ধ করে দেশের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা বিএসএফের প্রধান লক্ষ্য৷

এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই পাচ্ছে না রাজ্যবাসী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

শক্তি খুইয়ে নিম্নচাপ দুর্বল হলেও বৃষ্টির হাত থেকে এখনই রেহাই পাচ্ছে না রাজ্যবাসী৷ আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি চলার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরের তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল ধরে ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে৷

নিম্নচাপের ভ্রুকুটি কাটলেও ভারী বৃষ্টির রসদ জোগাচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং একটি অক্ষরেখা৷ উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ ছত্তীসগঢ় এবং সংলগ্ণ এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে৷ সেটি ক্রমশ দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছে৷ অন্য দিকে, পশ্চিমের কোঙ্কণ উপকূল থেকে দক্ষিণ বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে৷ এই দু’য়ের জেরেই বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলে ঢুকছে৷ ফলে বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে৷

উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷ বৃহস্পতিবার চার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ এই জেলাগুলি হল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার৷ উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷ বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে পাহাড় সংলগ্ণ এলাকায় ভূমিধস নামতে পারে৷ জলস্তর বাড়তে পারে নদীগুলির৷ চাষের জমিতেও প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আগে থেকে সতর্ক করে দিয়েছে আলিপুর৷ এর আগে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ বৃষ্টিতে জল বেড়ে যাওয়ায় ডিভিসি জল ছেড়েছে এবং একাধিক জেলা প্লাবিত হয়েছে৷ তার উপর নতুন করে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে উদ্বেগ আরও বাড়ছে৷

চুঁচুড়ায় দুঃস্থদের মধ্যে আহার্য প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩০শে আগষ্ট চুঁচুড়া আনন্দমার্গ ত্রাণ শাখার পক্ষ থেকে এলাকার কয়েকটি স্থানে কিছু দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে আহার্য প্রদান করা হয়৷ আনন্দমার্গের প্রবীন সাধক স্নেহময় দত্ত তাঁর প্রয়াত স্ত্রী কৃষ্ণা দত্তের স্মরণে নিজ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করেন৷ আহার্য প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্গের কর্মী মানস মণ্ডল, রঞ্জন দে ও মিতালী সানা৷

চুঁচুড়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গের প্রবীন সাধক শ্রী স্নেহময় দত্তের বাসগৃহে অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ স্থানীয় মার্গের সকল সাধক-সাধিকাবৃন্দের ভক্তিমূলক কীর্ত্তন পরিবেশনায় উপস্থিত সকলে আপ্লুত হন৷ অনুষ্ঠানে শ্রী দত্তের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তন ও পূজা পাঠ শেষে মিলিত আহারে সকলে অংশগ্রহণ করেন৷

কোচবিহারে সাধনা শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩-১৫ই সেপ্ঢেম্বর কোচবিহার নিউটাউন আনন্দমার্গ স্কুলে তিনদিনের একটি সাধনা শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ এই শিবিরে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুইশত মার্গী ভাই বোন যোগ দিয়েছিলেন৷ শিবিরের মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷ তিনি সাধনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন৷ তাঁর মনোজ্ঞ আলোচনায় মার্গী ভাইবোনরা অত্যন্ত উপকৃত হয়৷ তারা দৈনন্দিন সাধনার সময় যেসব ভুল ত্রুটি ছিল তা বুঝে সংশোধন করে নেন ও সাধনায় অনুপ্রাণিত হন৷ তিনদিনের এই সাধনা শিবিরে আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত তাঁর ক্লাসে মার্গীদের প্রাত্যহিক দুবেলা সাধনায় বসতে অনুপ্রাণিত করেন৷ এই সাধনা শিবিরটি পরিচালনা করেন কোচবিহার ডিট.এস. আচার্য কৃষ্ণধ্যানানন্দ অবধূত ও জেলার ভুক্তিপ্রধান বাসুদেব মল্লিক৷ সহযোগিতায় ছিলেন স্থানীয় মার্গীবৃন্দ৷