সংবাদ দর্পণ

রাজরোষের শিকার সুপ্রিমকোর্ট

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মোদি ম্যাজিক উধাও হয়েছে আগেই৷ এখন দিন দিন জনগণ থেকেও আস্থা হারাচ্ছে মোদি সরকার৷ গত লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ পারের হুংকার দিয়ে একক গরিষ্ঠতাও পায়নি৷ ২৪০ আসনে থামতে হয়েছে৷ নীতিশ নাইডুর কাঁধে ভর দিয়ে সরকার গড়তে হয়েছে৷ মোদি সরকার এখন এন.ডি.এ সরকার৷ এই অবস্থায় হিন্দুত্ববাদকে আঁকড়ে ধরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি৷

বিজেপির হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় শরীকি বাধা তো আছেই৷ কিন্তু প্রধান অন্তরায় দেশের সংবিধান ও সংবিধানের রক্ষক শীর্ষ আদালত৷ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ রাজ্যের একাধিক বিল আটকে রেখেছে রাজ্যপাল৷ শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় রাজ্যপাল এভাবে বিল আটকে রাখতে পারেন না৷ মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন নিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়ে ধমক খেয়েছে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দিতে না পেরে৷ এসব কারণেই শীর্ষ আদালতের ওপর চটেছে বিজেপি৷ দলের একাধিক সাংসদ শীর্ষ আদালতকে আক্রমণ করছে৷ স্বয়ং উপরাষ্ট্রপতিও বিজেপির দলীয় ক্যাডারদের সঙ্গে কন্ঠ মেলাচ্ছেন৷

দেশের সংবিধান অনুযায়ী-ভারতবর্ষ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র৷ উগ্র হিন্দুত্ববাদী আর এস এস বিজেপি এটা মানতে চায় না৷

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর শীর্ষ আদালতকে কটাক্ষ করে বলেন--- যারা নির্বাচিত নয়, তারা সব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে, আইনসভাকে নির্দেশ দেবে, এটা হতে পারে না৷ সুপ্রিম কোর্টের কোন দায়বদ্ধতা নেই, সেটা আছে সরকার অথবা জনপ্রতিনিধিদের৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---ধনকর ভুলে গেছেন তিনি একসময় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন৷ সেই সময় তিনি কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের ওপর অনেক অনৈতিক খবরদারী করেছেন৷ মাননীয় উপরাষ্ট্রপতি তাঁর এই কথাগুলি কি পশ্চিমবঙ্গসহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজ্যপালদেরও বলবেন?

শ্রী খাঁ বলেন---যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপর সুপ্রীমকোর্ট খবরদারী করতে না পারে তবে কেন্দ্রের বশংবদ রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যপাল বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিদের ওপর খবরদারী করতে পারে কি? একজন উপরাষ্ট্রপতির বোঝা উচিত শীর্ষ আদালত যাই রায় দিক সংবিধান বহির্ভূত কিছু করতে পারেন না৷

আর্থিক স্বচ্ছতায় মোদির ভারত ইউ.পি.এ থেকে পিছিয়ে গেল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

স্বচ্ছ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মোদির ভারত৷ নিজে ঝাড়ু হাতে পথে নেমেছিলেন৷ এতো পরিবেশের কথা৷ নরেন মোদি ক্ষমতায় এসে জোর গলায় বলেছিলেন--- না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আই এম এফ-এ প্রকাশিত একটি আর্থিক প্রতিবেদনে মোদির ভারত ইউপিএ জামানার তুলনায় ২০২৩ অর্থবর্ষে ৪০ ধাপ নীচে নেমে গেছে৷ আই এম এফ আর্থিক স্বচ্ছতার নিরিখে বিশ্বের ১২৫ দেশকে নিয়ে যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে ভারতের স্থান ৫৪ নম্বরে৷ ২০১২ সালে ভারতের স্থান ছিল ১৪ নম্বরে৷

নাগরিকদের করের টাকায় কেন্দ্রের আর্থিক ভাণ্ডার অর্থাৎ রাজকোষ ভরে৷ এই টাকার আয়ব্যয়ের হিসাব জানার অধিকারও আছে নাগরিকদের৷ কিন্তু এই হিসাবে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ণ উঠছে৷

রাজ্যগুলিতে করের টাকা কিভাবে বন্টন হবে তা নিয়ে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অর্থ কমিশন ঘটন করে কেন্দ্র৷ ১৬তম অর্থ কমিশন ইতিমধ্যে ঘটন করা হয়েছে৷ কমিশন কাজও শুরু করেছে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনে থাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স অ্যাণ্ড পলিসি একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আর্থিক নীতি নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যে তথ্য প্রকাশ করা হয় তাই-ই আর্থিক স্বচ্ছতা৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরও অভিমত দেশের অগ্রগতিতে আর্থিক স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ৷

কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ অর্থমন্ত্রকের সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সরকারের নিজেদের ভেতর যে আর্থিক আদান প্রদান হয়, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে তা খুবই উদ্বেগের৷ যে কৌশলে বা সূত্রের নিরিখে বিভিন্ন মন্ত্রক ও রাজ্যগুলিকে কর বা রাজস্ব প্রদান করা হয় সেখানেও স্বচ্ছতা নেই, অস্বচ্ছতায় ভরা৷ এছাড়া সরকারের কিছু গোপন ঋণ থাকে যা প্রকাশ্যে আসে না৷ এই পরিস্থিতিতে ১৬তম অর্থ কমিশনের প্রস্তাব একটি পোর্র্টল তৈরী করে সব তথ্য আপলোড করা হোক৷

এই সব তথ্যের ভিত্তিতেই আই.এম.এফ প্রতি দু’বছর অন্তর তালিকা প্রস্তুত করে প্রকাশ করে৷ ২০২১ সালে অবশ্য ভারতের স্থান ছিল ৭৮ নম্বরে৷ আই এম এফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আর্থিক অসঙ্গতিতে শুধু ক্যাগের ওপর নির্ভর করলে চলবে না, প্রয়োজন একটি স্বশাসিত সংস্থা যা স্বাধীনভাবে আর্থিক অবস্থার পর্যালোচনা করতে পারবে৷

 

গোবরাড়া গ্রামে কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

চুঁচুড়া ঃ গত ১৮ এপ্রিল গুডফ্রাইডের দিন হুগলী জেলার ধনিয়াখালি ব্লকের অন্তর্গত গোবরাড়া গ্রামে তিন ঘন্টাব্যাপী আনন্দমার্গ পরিচালিত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পুইনান আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষক সুশান্ত নন্দী ও সহযোগিতা করেন টিচাব-ইনচার্জ প্রশান্ত নন্দী৷ গোবরাড়ায় তাঁদের বাসভবনে এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনে অংশ নেন পুইনান, ধনিয়াখালি, ভাণ্ডারহাটি তারকেশ্বর, চাঁপাডাঙ্গা স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ৷

কীর্ত্তন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন চুঁচুড়ার তপোময় কুণ্ডু ও তাঁর সঙ্গে যোগ্য সহযোগিতা করেন বাবাই দাস৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার শেষে আনন্দমার্গের হুগলী ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য ব্রজকৃষ্ণানন্দ অবধূত অষ্টাক্ষরী ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন, কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্নেহময় দত্ত, মহাদেব কুণ্ডু, জয়দেব ঘোষ, অদিতি কুণ্ডু, মিতালী খানা প্রমুখ

আমেরিকার রাস্তায় ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলন আর তীব্র আকার নিয়েছে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মাত্র চার মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অথচ এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে আমেরিকায়৷ ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সান ফ্রান্সিসকো বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন বাড়ছে৷ শনিবার (আমেরিকার স্থানীয় সময়) রাস্তায় নেমে হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন! প্ল্যাকার্ড হাতে হেঁটেছেন মাইলের পর মাইল রাস্তা৷ দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প! অভিবাসীদের বিতাড়ন, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই, গাজানীতি ট্রাম্প প্রশাসনের এইসব কর্মকাণ্ড ভালভাবে নেননি দেশের নাগরিকদের একাংশ৷

নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটনের রাস্তায় বহু মানুষ৷ স্লোগানে উঠে আসছে ট্রাম্প নীতির বিরোধিতা৷ ‘অত্যাচার বন্ধের ডাক’ উঠছে মিছিল থেকে৷ বিক্ষোভকারীদের কথায়, ‘‘কোনও ভয় নেই, আমেরিকায় অভিবাসীদের স্বাগত!’’ শুধু তা-ই নয়, আমেরিকার রাস্তায় প্যালেস্টাইনিদের সমর্থনেও আওয়াজ তুলছেন বিক্ষোভকারীরা৷ তাঁদের দাবি, গাজা এবং ইজরায়েলি যুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি একে বারে গ্রহণযোগ্য নয়! শনিবার আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে ৭০০-র বেশি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল৷ শনিবারের বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল ‘৫০৫০১’ নামে একটি সংগঠন৷ যার অর্থ ৫০টি স্টেট ৫০টি বিক্ষোভ এবং একটি আন্দোলন! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প৷ এর মধ্যে বিবিধ প্রশাসনিক পদে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসী বিতাড়ন, তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং নতুন শুল্কনীতিও রয়েছে৷ এ সব নিয়েই ক্ষুব্ধ আমেরিকাবাসীদের একাংশ৷ ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রথম শুরু হয় ৫ এপ্রিল৷

বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষের সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী-সহ ৫০টি স্টেটের মোট ১৫০টিরও বেশি গোষ্ঠী দেশের ১,২০০ টিরও বেশি এলাকায় সেই ‘হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল৷ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন এবং ওয়াশিংটনের রাস্তায়৷ শয়ে শয়ে মানুষের মুখে একটাই কথা, ‘আমেরিকার কোনও রাজা নেই৷ আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না৷’ ট্রাম্পের পাশাপাশি টেসলাকর্তা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে৷

হরপা বাণে তছনছ কশ্মীর

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারী বৃষ্টির জেরে হড়পা বান নেমেছে জম্মু-কাশ্মীরের রামবানে৷ রামবান জেলার ধর্মকুণ্ড গ্রামে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি৷ সারা গ্রামে এখনও শুধুই ভিটেমাটি ছাড়াদের হাহাকার৷ রামবানের বাসিন্দা ওম সিংহ সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘আমি ওপারে থাকি, কিন্তু সেখানেও জলের স্রোত খুব তীব্র ছিল৷ আমরা সময়মতো এখানে পৌঁছোতে পারিনি৷ যখন এপারে এসে পৌঁছোলাম, তখন দেখলাম আমার দোকান-সহ গোটা বাজার ভেসে গিয়েছে৷’’ রামবানের আর এক দোকানদার রবি কুমার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছেন, তাঁর দু’টি দোকান ছিল৷ দু’টিই হড়পা বানে রাতারাতি ভেসে গিয়েছে৷ রবির কথায়, ‘‘বাজারে আমার দু’টি দোকান ছিল৷ আমরা ভোর ৪টে নাগাদ জানতে পারলাম যে গোটা বাজার ভেসে গিয়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখানে ছুটে আসি৷ এসে দেখি, কিছুই আর অবশিষ্ট নেই৷ এই দোকানগুলিই ছিল আমাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস৷ এখন আমাদের কিচ্ছু রইল না৷’’ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধর্মকুণ্ডেরই আর এক বাসিন্দা সুনীল কুমারের সদ্য কেনা গাড়িটি৷ সুনীল বলেন, ‘‘আমি জম্মু থেকে শ্রীনগরে যাচ্ছিলাম৷ পথে বৃষ্টি হচ্ছিল বলে রামবানে একটি হোটেল বুক করি৷ এর পর রাত প্রায় ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে৷ বেরিয়ে এসে দেখি হোটেলের দু’টি তলা ধবংসস্তূপে পরিণত হয়েছে৷’’ হোটেলের উপরের তলায় প্রায় ১৫ জন ছিলেন৷ বাকিরাই তাঁদের সকলকে উদ্ধার করেন৷ তবে সুনীলের গাড়িটি সহ প্রায় ৮-১০টি গাড়ি ধবংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যায়৷

গত দু’দিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে৷ প্রাকৃতিক দুর‌্যোগের জেরে বহু এলাকায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত৷ বৃষ্টির পাশাপাশি কোথাও কোথাও ধসও নেমেছে৷ ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে গিয়েছে চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তর৷ ফলে নিচু এলাকাগুলি বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ বিপজ্জনক এলাকাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷ এর মাঝে রবিবার ভোরে রামবানে আচমকা হড়পা বানের সৃষ্টি হয়৷ জলের তোড়ে ভেসে যায় অনেক বাড়ি৷ বহু গ্রামবাসী আটকে পড়েন৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ বাকিদের উদ্ধারের কাজ চলছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, এই দুর্যোগের জেরে জম্মু-কাশ্মীরে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে৷ তবে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন৷

ব্রিটেনের চিকিৎসকদের অসাধ্যসাধন

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

লুসি যখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর ডিম্বাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসারের কোষ৷ চিকিৎসকেরা জানান, সন্তান জন্মের পর চিকিৎসা শুরু করলে সেই ক্যানসার ছড়িয়ে লুসির জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে৷

আক্ষরিক অর্থেই দ্বিজ৷ মায়ের গর্ভ থেকে দু’বার জন্মগ্রহণ করল এক শিশু৷ চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিরল এই ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের ব্রিটেনে৷ সেখানে একটি শিশুই দ্বিতীয় বার দেখল পৃথিবীর আলো৷ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঠিক ৫ মাসের মাথায় এক বার সন্তানের জন্ম দেন লুসি আইজ্যাক৷ অক্সফোর্ডের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সি শিক্ষিকা আশ্চর‌্যজনক ভাবে দ্বিতীয় বার সেই একই সন্তানের জন্ম দেন৷ এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন চিকিৎসকের একটি দল৷ জানুয়ারির শেষের দিকে জন্ম হয় লুসির সন্তানের৷ জন্মের পর দিব্যি স্বাভাবিক ওজন হয় সেই নবজাতকের৷ ১৯ এপ্রিল ডেলি মেলের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে লুসি ও তাঁর ১০ সপ্তাহের নবজাতক রাফার্টির জীবনের এই বিস্ময়কর কাহিনি৷

প্রতিবেদনে বলা হয়, লুসি যখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর ডিম্বাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসারের কোষ৷ চিকিৎসকেরা জানান, সন্তান জন্মের পর চিকিৎসা শুরু করলে সেই ক্যানসার ছড়িয়ে লুসির জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে৷ যত দ্রুত সম্ভব লুসির অস্ত্রোপচার করতে চেয়েছিলেন তাঁরা৷ গর্ভে সন্তান থাকায় কী হোল সার্জারি করা সম্ভব ছিল না চিকিৎসকদের৷ মাতৃগর্ভের ভিতরে অস্ত্রোপচার করাটাও প্রায় অসম্ভব ছিল৷ জন র‌্যোডক্লিফ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা লুসির গর্ভের সন্তানকে বার করে এনে অস্ত্রোপচারের সিন্ধান্ত নেন৷ চিকিৎসক সোলেমানি মাজদের শিশুটিকে জরায়ুতে রেখেই অস্ত্রোপচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেন৷ তিনি ঠিক করেন লুসির জরায়ুটিকে বার করে আনা হবে৷ ক্যানসারের মারণকোষ বাদ দিয়ে সেটি আবার লুসির শরীরে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা করেন তাঁরা৷

পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে সেই জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারটি৷ জরায়ু বার করে আনা হলেও ভ্রূণের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সে দিকে খেয়াল রেখে রক্তনালিগুলিকে আলাদা করা হয়নি৷ লুসির জরায়ুটিকে উষ্ণ স্যালাইনের প্যাকেটে মুড়ে রাখা হয়, যাতে তাপমাত্রার হেরফের হওয়ায় ভ্রূণটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়৷ প্রতি ২০ মিনিট ব্যবধানে বদলানো হয় সেই স্যালাইনের প্যাকেটও৷ সফল ভাবে অস্ত্রোপচারের পর জরায়ু পুনরায় স্থাপন করা হয় লুসির দেহে৷ কয়েক মাস পরে, জানুয়ারিতে প্রকৃতপক্ষে ভূমিষ্ঠ হয় সেই শিশু৷ জন্মের পরপরই এই দম্পতি সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক মাজেদকে ধন্যবাদ জানান৷ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন চিকিৎসক নিজেও৷

সিক্ল সেল অ্যানিমিয়ার পরীক্ষা হবে সহজে ও কম খরচে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

রক্তের রোগ সিক্ল সেল অ্যানিমিয়ার পরীক্ষা এ বার আরও সহজে ও কম খরচে হতে পারে৷ প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন খরচের কারণে রক্তের রোগের চিকিৎসা করাতে পারেন না৷ রোগটি যথাসময়ে ধরাও পড়ে না৷ সেই সমস্যা দূর করতেই নতুন যন্ত্র তৈরি করেছেন বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা৷ যন্ত্রটি কম সময়ে ও কম খরচে রোগ নির্ণয় করে দেবে বলেই দাবি৷

থ্যালাসেমিয়া যতটা পরিচিত, ততটা সিক্ল সেল অ্যানিমিয়া নয়৷ রক্তের এই রোগ নিয়ে সচেতনতা খুবই কম৷ অথচ দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়৷ বিশেষ করে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় এই রোগের প্রকোপ বেশি৷ বাজেট পেশ করার সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও রোগটির বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন৷ বলা হয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে রক্তের এই রোগ দূরীকরণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চল-সহ সারা দেশের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এই রোগ ভয়াবহ চেহারা নিতে পারে বলেই আশঙ্কা৷ বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও সেন্ট জন্স মেডিক্যাল কলেজের গবেষকেরা যৌথ ভাবে একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন যার নাম ‘ইলেক্ট্রো-ফ্লুইড ডিভাইস’৷ এই যন্ত্রে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের সাহায্যে লোহিত রক্তকণিকায় কী ধরনের বিকৃতি হচ্ছে, তা ধরা সম্ভব৷ গবেষকেরা জানাচ্ছেন, রক্তকোষ কাস্তের মতো আকার নিয়েছে কি না, তা ধরতে হাই পারফর্ম্যান্স লিকুইড ক্রোম্যাটোগ্রাফি (এইচপিএলসি) পরীক্ষা করা হত৷ এই পরীক্ষাটি করার খরচ অনেক৷ পাশাপাশি, সময়ও অনেক বেশি লাগে৷ গ্রামাঞ্চলে অভাবগ্রস্ত মানুষজনের পক্ষে এমন টেস্ট করানো সম্ভব নয়৷ এ দিকে রক্তকোষের অস্বাভাবিকতা যদি ধরাই না পড়ে, তা হলে রোগটি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাবে৷ জিন-বাহিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও ছড়াবে৷ সে কারণেই কম খরচে রোগটি নির্ণয় করার জন্য যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা৷ রক্তের কোষে মিউটেশন বা রাসায়নিক বদল দ্রুত হওয়ার কারণেই রোগটি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বলে মনে করছেন গবেষকেরা৷ কী ধরনের বদল ঘটছে, তা-ও চিহ্ণিত করা যাবে যন্ত্রটিতে৷ একই সঙ্গে বায়োপসি করার সুবিধাও থাকবে৷ রক্তের কোষের অনিয়মিত বিভাজন হচ্ছে কি না, তা-ও ধরা যাবে৷ সে ক্ষেত্রে মারণ রোগের ঝুঁকিও কমবে৷

সপ্তদশ দধীচিকে শ্রদ্ধা জানাতে --- কম্যুনিষ্ট পৈশাচীকতাকে ধিক্কার জানাতে ৩০শে এপ্রিল বিজন সেতুতে সমাবেশ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল সভ্যতা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান কলকাতার জনবহুল বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেট৷ এখানেই সাত-সকালে ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল সেদিনের পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল সিপিএমের ঘাতক বাহিনী, পিটিয়ে, খুঁচিয়ে, পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে, অ্যাসিড দিয়ে জ্বালিয়ে৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত বলেন--- সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের মতই নৃশংস ও নিষ্ঠুর ছিল রাজনৈতিক মৌলবাদী কমিউনিষ্টরা৷ তিনি বলেন---শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয় বিশ্বের যে দেশেই কমিউনিষ্টরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে সেখানেই তারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে মানুষকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে৷ তবে অত্যাচার কখনোই শেষ কথা নয়, অত্যাচারীর শেষই শেষ কথা৷ তাই পৃথিবী থেকে কমিউনিষ্টরা আজ শেষ হয়ে গেছে৷

এক প্রশ্ণের উত্তরে আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত বলেন---অলীক সমাজতন্ত্রের স্বপ্ণে মশগুল কমিউনিষ্টরা ভাবত মার্কসবাদই সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ৷ মার্কসবাদীরা কোনও বিরুদ্ধ মতবাদকেই সহ্য করত না৷ আধ্যাত্মিকতা ও নব্যমানবতাবাদ ভিত্তিক আনন্দমার্গের সামাজিক- অর্থনৈতিক তত্ত্ব ‘প্রাউট’ (প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব) একদিকে পুঁজিবাদের সীমাহীন শোষণ বন্ধ করে মানুষকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা দিয়েছে, আবার মার্কসবাদের অসারতা প্রমাণ করে প্রকৃত সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট পথ দেখিয়েছে ‘প্রাউট’---যা কমিউনিষ্টদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ কিন্তু কমিউনিষ্টদের কাছে এমন কোনও যুক্তি ও তথ্য ছিল না যার দ্বারা ‘প্রাউট’কে খণ্ডন করে অলীক, অবাস্তব মার্কসবাদ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে৷ তাই রাষ্ট্র ক্ষমতার জোরে তারা আনন্দমার্গকেই শেষ করতে চেয়েছিল৷ পরিতাপের বিষয় এই হত্যাকাণ্ডের পরও ৩০ বছর কমিউনিষ্টরা পশ্চিমবঙ্গের শাসন ক্ষমতায় ছিল৷ তাই বিচারের বাণী নীরবে, নিভৃতে কেঁদেছে৷ আজও আমরা বিচার পাইনি৷ তবে প্রকৃতির বিধানে বিচার হয়েছে৷ সিপিএম ঘাতক বাহিনী শুধু ক্ষমতাই হারায়নি,বিধানসভাতেও শূন্যে পরিণত হয়েছে৷ আর আনন্দমার্গ আজ বিশ্বের দেশে দেশে স্বগর্বে উড়িয়ে দিয়েছে তার বিজয় নিশান৷ বর্তমান সরকার একটা কমিশন বসিয়েছিল৷ কিন্তু তার রায় আজও অজ্ঞাত কারণে প্রকাশ করা হয়নি৷ আমরা চাই সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা সত্য প্রকাশের জন্যে লালা তদন্ত কমিশনের রায় জন সমক্ষে প্রকাশ করা হোক৷

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও মানব সেবায় উৎসর্গীকৃত অমর দধিচীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৩০শে এপ্রিল একটি মিছিল দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বিজন সেতু যাবে ও সেখানে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছে৷ আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত প্রতিটি বিবেকবান ও বিচারশীল মানুষকে বিজন সেতুর সভায় সামিল হওয়ার আবেদন করেন৷

যন্ত্র ঘোড়া তৈরী করে ফের জাপানি প্রযুক্তির জয়জয়কার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ফের জাপানি প্রযুক্তির জয়জয়কার৷ এ বার যন্ত্র-ঘোড়া (রোবটিক হর্স) তৈরি করে গোটা দুনিয়াকে চমকে দিল ‘সূর্যোদয়ের দেশ’! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) জোরে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে সেটি৷ পাশাপাশি, এবড়ো খেবড়ো পাথুরে ভূমিতেও দুরন্ত গতিতে ছোটার ক্ষমতা রয়েছে তার৷ এ হেন যন্ত্র-ঘোড়া আগামী দিনে যাত্রী পরিবহণে রীতিমতো বিপ্লব আনবে বলে দাবি করেছে টোকিও৷

জাপানের জনপ্রিয় মোটর-সাইকেল নির্মাণকারী সংস্থা কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ৷ হাইড্রোজেন শক্তির চারপেয়ে বিশেষ ধরনের একটি যন্ত্র-ঘোড়া তৈরি করেছে তারা৷ রোবটিক হর্সটির নামকরণ করা হয়েছে কর্লিও৷ চলতি বছরের ‘ওসাকা-কানসাই এক্সপো’তে সংশ্লিষ্ট যন্ত্র-ঘোড়ার প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে কাওয়াসাকি৷ এর পরই কর্লিওকে ঘিরে দুনিয়া জুড়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়৷

নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যন্ত্র-ঘোড়াটির চারটি পা আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করতে সক্ষম৷ আর তাই যে কোনও ভূমিতে নিদর্িধায় চলাচল করতে পারবে এটি৷ গন্তব্যের দিকে ছোটার সময়ে একজন সওয়ারিকে পিঠে নিতে পারবে কার্লিও৷ এর মধ্যে রয়েছে ১৫০ সিসির হাইড্রোজেন ইঞ্জিন৷

কাওয়াসাকির তৈরি যন্ত্র-ঘোড়ার দেহ ধাতু এবং কার্বনের উপাদানে তৈরি৷ এর সামনের প্রান্তে একটি মাথার মতো ঢাল রয়েছে৷ বাইকের নান্দিকতাকে মাথায় রেখে কার্লিও নকশা আঁকা হয় বলে জানিয়েছে জাপানি নির্মাণকারী সংস্থা৷ কৃত্রিম মেধায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকায় আরোহীর শরীরের নাড়াচাড়ায় সাড়া দিতে পারে ওই যন্ত্র-ঘোড়া৷

বাইকের বিকল্প হিসাবে কার্লিওকে কাওয়াসাকি কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়৷ তবে আরোহীর স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এতে একাধিক ফিচার যুক্ত করেছে ওই জাপানি সংস্থা৷ তার মধ্যে রয়েছে হেড আপ ডিসপ্লে, হাইড্রোজেন জ্বালানি পরিমাপের মিটার, দিক নির্ণয় যন্ত্র এবং ওজন বণ্টনের যন্ত্র৷ এ ছাড়া রিয়েল টাইম তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম জাপানি কার্লিও৷

কাওয়াসাকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেস, যন্ত্র-ঘোড়ার প্রযুক্তিতে আরও কিছু রদবদল করা হবে৷ ২০৫০ সালের মধ্যে এটি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ কার্লিও দাম সম্পর্কে অবশ্য সংস্থার তরফে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি৷

দিল্লি-উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে তীব্র তাপপ্রবাহ, জারি হল হলুদ সতর্কতা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে আবারও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল ভারতের আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)৷ চলতি সপ্তাহে দেশের রাজধানী ও সংলগ্ণ রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে থাকতে পারে৷ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ চলবে৷

শুধু দিল্লিই নয়, তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে গুজরাত, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, লাদাখ এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু অংশেও৷ উল্লেখ্য, সোমবারও উত্তর ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যেই তীব্র তাপপ্রবাহ চলেছিল, যা চলতি মরসুমের প্রথম ব্যাপক তাপপ্রবাহের ঘটনা৷ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেশি রেকর্ড হয়েছে৷ রাজস্থান, সৌরাষ্ট্র এবং গুজরাতের কচ্ছের কিছু কিছু জায়গাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে৷

কোথায় তাপমাত্রা কত বেশি হবে, তা নিয়ে যেন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নেমেছে দেশের রাজধানীও৷ দিল্লির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়া কেন্দ্র সফদরজং, রিজ এবং আয়ানগরে সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছে! বৃহস্পতিবারের আগে পরিস্থিতির হেরফের হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই৷ সেই আবহে আবহাওয়া দফতরের তরফে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

সরকারি তথ্য বলছে, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি এবং লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে৷ পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের কিছু অংশেও অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে তাপমাত্রা৷ সাধারণত কোনও স্থানের সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৫ ডিগ্রি বেশি থাকলে এবং দিনের সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁলে, সেই পরিস্থিতিকে তাপপ্রবাহ বলে ঘোষণা করা হয়৷ তাই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছোতেই তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন৷