সংবাদ দর্পণ

সূর্য থেকে যে তাপ গ্রহণ করে ইউরেনাস

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

তার চেয়ে অনেক বেশি তাপ বিকিরণ করে ইউরেনাস৷ সাম্প্রতিক একটি গবেষণা তেমনটাই বলছে৷ অর্থাৎ অতীত গবেষণায় ইউরেনাসকে যতটা শীতল ভাবা হয়েছিল, ততটাও সে নয়৷ সৌরজগতের সপ্তম গ্রহের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ১৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ সূর্য থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৮০ কোটি মাইল৷ গবেষকেরা বলছেন, তার পরেও এই গ্রহ ভিতরে উত্তপ্ত৷ আর সে কারণেই সম্ভবত সূর্য থেকে যে তাপ সে গ্রহণ করে, তার চেয়ে বেশি বিকিরণ করে৷ এমনটাই বলছে জিয়োফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারের একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদন৷

হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিনউয়ে ওয়াং জানিয়েছেন, এই গবেষণা ইউরেনাস এবং তার পাশাপাশি আরও কয়েকটি গ্রহকে বুঝতে সাহায্য করবে৷ ইউরেনাসকে ‘বরফ-দৈত্য’ বলেও অভিহিত করা হয়৷ প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে এর জন্ম৷ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে গ্যাস এবং ধুলো জমে এই গ্রহ তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হয়৷ তখন সূর্যের কাছেই ছিল এই গ্রহ৷ পরে ছিটকে দূরে চলে যায়৷

নাসার ‘ভয়েজার ২’ মহাকাশ যান ১৯৮৬ সালে ইউরেনাসের ছবি তুলতে সমর্থ হয়েছিল৷ সেই ছবিতে হালকা নীল রঙের বল হিসেবে ধরা পড়েছিল এই গ্রহ৷ ইউরেনাসের ভিতরে কোনও তাপ রয়েছে কি না, তা ধরতে পারেনি নাসার মহাকাশযান৷ যদিও বৃহস্পতি, শনি, নেপচুনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, সূর্য থেকে যে উত্তাপ তারা গ্রহণ করে, তার থেকে প্রায় ১০০ শতাংশ বেশি বিকিরণ করে৷ ইউরেনাস কেন সে রকম কিছু করে না, সেই প্রশ্ণই গবেষকদের মনে এসেছিল৷ কেন ইউরেনাসের ভিতরের তাপমাত্রা কম, সে নিয়েও গবেষণা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা৷ এর পরেই বিজ্ঞানী ওয়াং এবং তাঁর দল গবেষণা শুরু করেন৷ তাঁরা দেখেন, সূর্য থেকে যে তাপ গ্রহণ করে ইউরেনাস, তার থেকে ১২.৫ শতাংশ বেশি বিকিরণ করে৷ ওয়াংয়ের কথায়, ‘‘এর অর্থ ইউরেনাস এখনও ধীরে ধীরে নিজের ভিতরে জমা থাকা উত্তাপ বিকিরণ করছে৷ এই কথা জানার পরে এই গ্রহের জন্ম এবং কোটি কোটি বছর ধরে কী ভাবে তার পরিবর্তন হল, তা আমরা বুঝতে পারছি৷’’ ওয়াং মনে করেন, ‘ভয়েজার ২’ সম্ভবত ভিন্ন কোনও সময়ে ইউরেনাসের তথ্য জোগাড় করেছিল৷ সে কারণে তার বিষয়ে অনেক কথা স্পষ্ট করতে পারেনি৷

সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, বাকি গ্রহদের মতো ইউরেনাসও তাপ বিকিরণ করে৷ তার পরেও কিছু রহস্য রয়ে গিয়েছে ইউরেনাসে, সে কথাও মনে করছেন গবেষকেরা৷ বৃহস্পতি সূর্য থেকে যে তাপ গ্রহণ করে তার চেয়ে ১১৩ শতাংশ বেশি বিকিরণ করে, শনি ১৩৯ শতাংশ বেশি, নেপচুন ১৬২ শতাংশ বেশি বিকিরণ করে৷ সূর্য থেকে ইউরেনাসের দূরত্ব যা, নেপচুনের দূরত্ব তার চেয়ে বেশি৷ তার পরেও নেপচুন ইউরেনাসের থেকে বেশি তাপ বিকিরণ করে৷ কেন, সেই প্রশ্ণের উত্তরই খুঁজছেন গবেষকেরা৷

ভারী বর্ষণ হয়েছে রাজ্যের ১১ জেলায়!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নিম্নচাপের জেরে গত মঙ্গলবারও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা হয়েছে৷ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও৷ গত মঙ্গলবার রাজ্যের ১১ জেলায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে৷ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে৷ সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া৷ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতেও৷

বর্তমানে একটি গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ণ বাংলাদেশে৷ কলকাতা থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তরে এবং বর্ধমান থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে এটি অবস্থান করছে৷ এটি পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করার ফলে গত বুধবার থেকে নিম্নচাপের প্রভাব কিছুটা কমছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে৷

গত মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস হয়েছে৷ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হয়েছে৷ সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতেও দক্ষিণের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে৷ আকাশ মেঘলা থাকা এবং দিনভর বৃষ্টির জেরে কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমেছে৷ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি রয়েছে৷ ফলে বৃষ্টি না-হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে কলকাতায়৷

উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে গত মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির হয়েছে৷ আগামী শনি এবং রবিবারও উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে৷ রবিবারও জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ উত্তরের বাকি জেলাগুলিতেও সপ্তাহভর বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে৷

ঝড়বৃষ্টির কারণে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা এবং বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে৷ বৃষ্টির জন্য শস্যের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷ জল জমেছে নিচু এলাকাগুলিতে৷ বৃষ্টির সময়ে দৃশ্যমানতাও কমে আসতে পারে৷ ফলে শহুরে এলাকায় যানজট হতে পারে৷

যুগান্তকারী এক আবিষ্কার --- তার ছাড়াই বিদ্যুৎ পাঠানো এখন আর কল্পনা নয়, বাস্তব!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডারপা (DARPA) সম্প্রতি ৯ কিলোমিটার দূরে তারবিহীনভাবে বিদ্যুৎ প্রেরণ করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে৷

এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে স্মার্ট সিটি, মহাকাশ যান, সামরিক ঘাঁটি এমনকি দুর্গম অঞ্চলেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে৷

কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি?

ডারপার POWER প্রোগ্রামের অধীনে লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চক্ষমতার বিদ্যুৎ রূপান্তর করা হয়েছে আলোর বিমে, যা পাঠানো হয়েছে বহু দূরের গ্রাহকের কাছে৷

সেখানে ফটোভোল্টেইক সেল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলোকে আবার বিদ্যুতে রূপান্তর করা হয়৷

ডারপার দাবি, তারা ২০২৫ সালের মে মাসে ৮.৬ কিমি দূরে ৮০০ ওয়াটের বেশি শক্তি পাঠাতে সক্ষম হয়েছে৷ এমনকি পরীক্ষায় লেজারের শক্তি ব্যবহার করে দূরবর্তী এক স্থানে পপকর্ন পর্যন্ত তৈরি করে এর কার‌্যকারিতা দেখানো হয়েছে৷

উল্লেখযোগ্য যে, উনবিংশ শতকে বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা প্রথম এমন বিদ্যুৎ প্রেরণের স্বপ্ণ দেখেছিলেন৷ তবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তা সফল হয়নি৷ এবার ডারপার গবেষণাই সেই স্বপ্ণকে বাস্তবে রূপ দিল৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে৷ নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ --- কারণ উচ্চশক্তির লেজার ভুল লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছালে তা হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ৷ তবে যথাযথ নিরাপত্তা প্রোটোকল ও অবকাঠামো নিশ্চিত করা গেলে, এটি হয়ে উঠবে আগামী দিনের বিপ্লবী শক্তি সমাধান৷

জিন থেরাপিতে অসাধ্যসাধন করছেন গবেষকেরা সারবে জন্ম-বধিরতা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

জন্মগত বধিরতা হোক বা কমবয়সিদের শোনার সমস্যা, জিন থেরাপিতেই নিরাময় সম্ভব৷ জিনের এই থেরাপি আবার হবে ভাইরাস দিয়ে৷ নতুন কী গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা? বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রবণশক্তি কমে আসার বিষয়টি স্বাভাবিক ও খুবই পরিচিত ঘটনা৷ কিন্তু কমবয়সিদের বধিরতা বা কনজেনিটাল অর্থাৎ, জন্মগত বধিরতা খুবই চিন্তার বিষয়৷ জেনেটিক কারণে, মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মায়ের কোনও সংক্রমণ হলে, কোনও দুর্ঘটনার কারণে, শিশুদের জন্ডিস বা মেনিনজাইটিসের মতো অসুখ হলে কমবেশি শ্রবণশক্তি চলে যেতে পারে শৈশবে৷ জন্মগত বধিরতার চিকিৎসা খরচসাপেক্ষ৷ তার নিরাময়ও যে সম্ভব, তা-ও বলা যায় না৷ কিন্তু এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে সবটাই সম্ভব বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা৷ জিন থেরাপিতে বধির শিশুও কয়েক দিনের মধ্যে শব্দ শুনতে পাবে স্পষ্ট৷

বধিরতা কেন আসে, তার কারণ অনেক৷ হবু মায়ের কোনও অসুখ যেমন মাম্পস, রুবেলা, হারপিস, চিকেন পক্স বা টক্সোপ্লাসমোসিসের মতো ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ হলে শিশু জন্মগত ভাবে শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে৷ মা যদি এমন কিছু ওষুধ খান, যার পার্শ প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তখন শিশু বধির হয়ে জন্মাতে পারে৷ আবার অন্তঃকর্ণের গঠনগত কোনও ত্রুটি থাকলেও শিশু বধির হতে পারে৷ শোনার জন্য প্রয়োজনীয় অডিটরি নার্ভ৷ এই স্নায়ুর আশপাশে কোনও টিউমার থাকলে শোনার সমস্যা হয়৷ আঘাত বা অন্য কোনও কারণে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং সময়মতো চিকিৎসা না হলেও বধিরতা আসতে পারে৷

তবে এই সব কারণের নেপথ্যে আরও একটি কারণ থেকে যায়, তা হল জিন৷ হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল এবং চিনের ফুডান ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা দাবি করেছেন, বধিরতার জন্য দায়ী ‘ওটিওএফ’ নামে একটি বিশেষ জিন৷ এই জিন থেকে এক রকম প্রোটিন তৈরি হয়, যার নাম ‘অটোফার্লিন’৷ এই প্রোটিনের কাজ হল মস্তিষ্ক থেকে সঙ্কেত অন্তঃকর্ণে পৌঁছে দেওয়া আবার সেখান থেকে মস্তিষ্কে পাঠানো৷ যদি এই প্রোটিনের তারতম্য হয় এবং সংশ্লিষ্ট জিনটিতে মিউটেশন বা রাসায়নিক বদল ঘটে যায়, তখনই মস্তিষ্ক ও কানের মধ্যে আদান-প্রদানের বিষয়টি ব্যাহত হয়৷ ফলে শ্রবণশক্তি কমতে শুরু করে৷ গবেষকেরা ওই জিনটি নিয়েই গবেষণা করে দেখছেন, কী ভাবে জিনের মেরামত করে শ্রবণশক্তি আবার ফিরিয়ে আনা যায়৷

জন্মগত ক্ষেত্রে এবং ১ থেকে ৮ বছর বয়স অবধি শিশুর বধিরতা সারাতে জিন থেরাপি কাজে আসতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা৷ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কী ভাবে তা সম্ভব হবে, সে চেষ্টাও চলছে৷ গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘ওটিওএফ’ জিনটিতে গলদ থাকলে তার মেরামতির জন্য ভাইরাস থেরাপি কাজে আসতে পারে৷ গবেষণাগারে তৈরি বিশেষ এক রকম ভাইরাসকে অন্তঃকর্ণে পাঠানো হবে৷ সেই ভাইরাসকে এমন ভাবে তৈরি করা হবে, যাতে সে সটান কানে ঢুকে জিনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলির মেরামত করতে পারে৷

ভাইরাস থেরাপি কার‌্যকরী হবে কি না, তার পরীক্ষাও শুরু হয়েছে৷ ১ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের উপর এই থেরাপির প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ তাতে দেখা গিয়েছে, থেরাপিটি ঠিকমতো কাজ করলে দিন তিনেকের মধ্যেই শব্দ শুনতে পাচ্ছে শিশু ও কমবয়সিরা৷ যাঁদের সমস্যা বেশি, তাঁদের আর একটু সময় লাগছে৷ এই থেরাপির পার্শপ্রতিক্রিয়াও সামান্য৷ গবেষকেরা জানাচ্ছেন, জিন থেরাপি কার‌্যকর হলে বধিরতার সমস্যারও নিরাময় করা সম্ভব হবে৷ তা হলে আর কানে যন্ত্র লাগিয়ে ঘোরার প্রয়োজন হবে না৷

নদীর বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় বড় সিদ্ধান্ত নিল চিন--- ভাঙল‘ লাল নদীর ৩০০টি বাঁধ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

একটা-দু’টো নয়, একসঙ্গে ৩০০ বাঁধ ভেঙে ফেলল চিন৷ রাতারাতি তালা পড়ল একগুচ্ছ ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে৷ কেন হঠাৎ নিজেদের তৈরি বাঁধ পর পর ধবংস করছে বেজিং? সম্প্রতি এই প্রশ্ণের উত্তর দিয়েছে হংকঙের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট৷ এক, মাছের জোগান বজায় রাখা৷ আর দুই নদীর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার৷

চিনের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলির অন্যতম হল ইয়াংৎজি৷ তিববতের টাংগুলা পর্বতমালা থেকে উৎপত্তি হয়ে ওই জলধারা পূর্ব চিন সাগরে গিয়ে পড়েছে৷ ইয়াংৎজি ইউরেশিয়ার দীর্ঘতম নদী হিসাবে পরিচিত৷ লম্বায় এটি প্রায় ৩৯৬১ মাইল (পড়ুন ৬,৩৭৪ কিলোমিটার)৷ ড্রাগনভূমির এক পঞ্চমাংশ জমি সংশ্লিষ্ট নদীটির অববাহিকায় গড়ে উঠেছে৷ এ-হেন ইয়াংৎজির প্রধান উপনদী চিশুই হে-র উপর থাকা যাবতীয় বাঁধ বেজিং ভেঙে ফেলেছে বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট৷

চিনে আবার ইয়াংৎজির উপনদী চিশুই হে-র আলাদা পরিচিতি রয়েছে৷ জলের রং রক্তের মতো হওয়ায় মান্দারিনভাষীরা এর নাম রেখেছেন ‘লাল নদী’ বা রেড রিভার৷ ড্রাগনভূমির ইউনান, গুইঝো এবং সিচুয়ান প্রদেশের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইয়াংৎজিতে গিয়ে মিশেছে চিশুই৷ সংশ্লিষ্ট নদীটির উপরে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৩৫৭টি বাঁধ তৈরি করেছিল বেজিঙের শি জিনপিং সরকার৷

চলতি মাসে স্থানীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে চিশুইকে নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে হংকঙের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট৷ সেখানে বলা হয়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নদীটির উপরে থাকা ৩০০টি বাঁধ ভেঙে ফেলে চিনা প্রশাসন৷ ফলে এখন ইয়াংৎজির উপনদীটির উপর টিঁকে আছে মাত্র ৫৭টি বাঁধ৷ বেজিঙের এই সিদ্ধান্তের ফলে ওই এলাকার ৩৭৩টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে বন্ধ হয়েছে ৩৪২টি৷

রাজ্যে রাজ্যে আক্রান্ত বাংলা ভাষা বাঙালী প্রতিবাদে পথে আমরা বাঙালী-বাঙলা পক্ষ ২৭শে জুলাই পথে নামছে তৃণমূল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালী নির্যাতন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে৷ স্বাধীন ভারতের জন্ম লগ্ণ থেকেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু যে বাঙালী বিদ্বেষের বীজবপন করেছিল নরেন মোদির হাতে মহিরুহ হয়ে উঠেছে৷ বিধানরায় থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দিল্লির বাঙালী বিদ্বেষী নীতির কোন প্রতিবাদ করেনি৷ এমন কি অসমে বরাকভ্যালির ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন বিহারের মানভূম জেলা যা বাঙলারই অংশ ছিল, সেই মানভূমের মানুষ যখন মানভূমকে বাঙলার সঙ্গে যুক্ত করার দাবীতে আন্দোলন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেদিন সেই আন্দোলনের পাশে ছিল না৷

এই প্রথম বাঙলার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষদের উপরে নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন৷ বাংলার কথা বললেই বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় অনেককে ফিরিয়ে আনা গেলেও অনেকে এখনও নিখোঁজ৷ ২১জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জনজোয়ারের সামনে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে৷ রাজ্যে রাজ্যে বাংলাভাষী নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ২৭শে জুলাই তৃণমূল কর্মীরা জেলায় জেলায় পথে নামবে৷

বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থে আমরা বাঙালী সংঘটন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে৷ বাঙলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে আমরা বাঙালী বাঙালী জনগোষ্ঠীকে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সচেতন করে আসছে৷ আমরা দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশী দিল্লীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি৷ কিন্তু বাঙালী ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতিতে এতটাই লিপ্ত নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে যে বাঙলার দিকে তাকাবার সময় হয়নি৷ তিনি বলেন এই প্রথম বাঙলার একজন মুখ্যমন্ত্রী ভারতে বাঙালী নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন৷ শ্রী দাস বলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা আন্দোলন শুধুমাত্র ২৬শের নির্বিচনের দিকে তাকিয়ে যেন না হয়৷ বাংলা ভাষা ও বাঙালী জাতির ন্যায্য অধিকার অর্জনের জন্যে প্রয়োজন দলমতের উর্দ্ধে উঠে ঐক্যবদ্ধগণ আন্দোলন৷

বাঙালীর বর্তমান দুরাবস্থার কারণ ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতি৷ অন্যান্য রাজ্যগুলো যেখানে রাজ্যের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে সেখানে বাঙলার ন্যায্য প্রাপ্য আদায়ের দাবীতে ৪২জন সাংসদ দলমতের উর্ধে উঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একবারও দাবী তোলেনি৷ এরাই আবার নির্বাচন এলে বাঙালী বাঙালী চিৎকার করে৷ শ্রীদাস বলেন এই রাজনীতিকে ধিক্কার জানিয়ে বাঙালী ঐক্যবদ্ধ না হলে ভারতে তার দুর্গতির সীমা থাকবে না৷

রাজ্যে রাজ্যে বাঙালী নির্যাতন প্রতিবাদে পথে মুখ্যমন্ত্রী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সুপরিকল্পিতভাবে বাঙালীদের হেনস্থা করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে বাঙালী পরিযায়ী শ্রমিকদের৷ তাদের মুখে বাংলা শুণলেই তাদের বাংলাদেশী বলে আটক করা হচ্ছে৷ কোন বৈধ নথিপত্র দেখতে চাইছে না৷ দেখলেও তা মানছে না৷ ভারতবর্ষের নাগরিক হয়েও পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্ররাও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে নানাভাবে হেনস্থা হচ্ছে৷

অভিশপ্ত স্বাধীনতার প্রথম রাত থেকে বাঙালীকে বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল নেহেরু৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের উত্তরসূরী দেশীয় পুঁজিপতিরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নেতাজী সুভাষের আতঙ্কে ভুগছিল৷ জন্মসূত্রে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন বাঙালী৷ বাঙালী জাতিটাই ছিল স্বাধীনতা প্রিয় ও সংগ্রামী মানসিকতার৷ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল৷ তাই তারা দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে তাদের পরমবন্ধু জওহরলাল নেহেরুকে বুঝিয়েছিল নির্বিঘ্নে দেশ শাসন ও শোষণ করতে হলে ভারত থেকে বাঙালী জাতিটাকে মুছে দিতে হবে৷ সেই কাজই শুরু করেছিল নেহেরু৷ তারই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চায় মোদি শাহ জুটি৷

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকেই বিজেপির বাঙালী বিদ্বেষী চরিত্র ফুটে উঠে৷ নির্বাচনী প্রচারে এসেই মোদি বাঙালীকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্যে বাক্স গুছিয়ে রাখতে বলেছিল৷ তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে মোদি তার কথা মত কাজ শুরু করেছে৷ তাই বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশী বলে আটক করে হেনস্থা করা হচ্ছে, অনেককেই সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিচ্ছে৷

ভিন্‌রাজ্যে বাঙালী নির্যাতন নেহেরু আমল থেকেই শুরু হয়েছে, তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পর্যন্ত বাঙলার মুখ্যমন্ত্রীরা নীরব থেকেছে৷ এই প্রথম বাঙলার মুখ্যমন্ত্রী সক্রীয় প্রতিবাদে পথে নেমেছেন৷ তিনি বোঝালেন বাঙলা ও বাঙালী জাতিসত্তায় এই আঘাত বাঙালী সহ্য করবে না৷ বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে, পুশব্যাক করা হচ্ছে৷

এই দিন মুখ্যমন্ত্রী বিপুল জনতাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ স্কোয়ার থেকে পদযাত্রা শুরু করে ধর্মতলা ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত গিয়ে শেষ করেন৷ সেখানে প্রস্তুত সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন---কেন্দ্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গোপনে বিজ্ঞপ্তি পাঠাচ্ছে৷ তিনি বলেন আঘাত করলে প্রত্যাঘাত কি হতে পারে ওদের ধারণা নেই৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন এন.আর.সির নামে যে অত্যাচার চলছে তা জরুরী অবস্থার চেয়ে ভয়ঙ্কর৷

 

ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যা লঘুদের অমানবিক উচ্ছেদের প্রতিবাদ - অসম নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২২শে জুলাই,২৫ নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে বরাক উপত্যকার তিন জেলার বিশিষ্ট জনদের উপস্থিতিতে একটি সভা শিলচরের সিটিভিওএ চত্বরের সভাঘরে অনুষ্ঠিত হয়৷ সিআরপিসিসি, আসাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বর্তমানে আসামে বসবাসকারী ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরীহ, নিরপরাধ মানুষকে তাদের নিজস্ব বাস্তুভিটা থেকে অমানবিকভাবে উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা, লোকগণনায় বাংলাভাষী জনগণকে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলা লেখালে তাদের বাংলাদেশী হিসেবে সনাক্ত করার হুমকি প্রদান এবং বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনীর মতো একই ধরণে আসামেও ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়৷ সভায় উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে আগামী ২৮ জুলাই সোমবার সংগঠনের বরাক উপত্যকার তিন জেলা যথাক্রমে কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি এর পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে অন্যায় ও অমানবিকভাবে দরিদ্র নিরপরাধ মানুষকে উচ্ছেদ বন্ধ করা, বরাক উপত্যকার জনগণের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত মাতৃভাষার মর‌্যাদাকে খাটো করে কোনো ধরনের মন্তব্য সাংবিধানিক পদে আসীন কোন ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে না করা এবং বিহার মডেলে আসামে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী অভিযানের নামে বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের নাম অন্যায়ভাবে কর্তনের চক্রান্ত বন্ধের দাবি জানিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি, আসামের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিকট স্মারকপত্র প্রদান করা হবে৷ পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রচারপত্র বিলি করা, রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রিয় বিভিন্ন ভাষিক গোষ্ঠীর জনসাধারণ ও সম মনোভাবাপন্ন সংগঠনগুলোর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি অভিবর্তন আয়োজন করা হবে৷

সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন সিআরপিসিসি, আসাম এর কো- চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্থ৷ তিনি বলেন সাধারণ মানুষের উপর জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার যে ধরনের ন্যক্কারজনক আক্রমণ নামিয়ে এনেছে তা ভারতের ঐতিহ্য, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সর্র্বেপরি সংবিধানের মূল সিদ্ধান্তের পরিপন্থী৷ এই গভীর সংকটকালে জাতি, ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য, শিহাব উদ্দিন আহমেদ, ডা এম শান্তি কুমার সিংহ, দুলাল মিত্র, আলী রাজা ওসমানী, নির্মল কুমার দাস, হিল্লোল ভট্টাচার্য, আব্দুল হাই লস্কর, অপূর্ব কুমার দে, মিলন উদ্দিন লস্কর, অরিন্দম দেব, মইনুল হক, ওসামা মবরুর চৌধুরী, অধ্যাপক ফজলুর রহমান লস্কর, রাজেশ সিনহা, জুয়েব আলম লস্কর সহ বিশিষ্ট জনেরা৷ এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নিরঞ্জন দত্ত, সুব্রত চন্দ্র নাথ, হায়দার হোসেন চৌধুরী, আদিমা মজুমদার, রঞ্জিত চৌধুরী, সমিরণ রায় চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন বড়ভুঁইয়া প্রমুখ৷

 

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে কৃষিকে সুসংঘটিত শিল্প গণ্য করতে হবে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভারতের অর্থনীতির ভিত্তি এখনও কৃষি নির্ভর৷ কিন্তু কৃষিকে স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও একটা সুসংঘটিত শিল্প হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি৷ গ্রাম্য কর্ষক পরিবারগুলো কৃষি উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় না৷ কর্ষক পরিবারের প্রায় সকলেই শ্রম বিনিয়োগ করে ফসল ফলায়৷ কিন্তু উৎপাদিত ফসলের মূল্য নির্র্দ্ধরণের সময় সবার শ্রমের হিসাব ধরা হয় না৷ কর্ষক পরিবারগুলো ফসলের কম দাম পায়৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- প্রাউটের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় কৃষিকে শিল্পের সমমর্যাদা দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন কৃষিকে সুসংঘটিত শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে হবে৷ কৃষি উৎপাদিত ফসলের দাম নির্দ্ধারনের সময়---কর্ষক পরিবারের প্রতিটি সদস্য যারাই কৃষিকাজে শ্রম বিনিয়োগ করেছে তাদের বেতন উৎপাদন ব্যয় হিসাবে ধরতে হবে৷ তাছাড়া জমি চাষ করতে গিয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতির হিসাবও ধরতে হবে৷ এছাড়াও আনুসাঙ্গিক সমস্ত খরচ ধরেই কৃষি উৎপাদিত ফসলের মূল্য নির্দ্ধারণ করতে হবে৷

শ্রী খাঁ আক্ষেপ করে বলেন স্বাধীনতার এত বছর পরেও দেশের শাসকবর্গ কর্ষকদের দুরাবস্থা দূর করার কোন চেষ্টাই করেনি৷ অথচ দেশের অর্থনীতির ভিত এই অবহেলিত বঞ্চিত কর্ষকরাই৷ শ্রী খাঁ দাবী করেন কৃষিকে সুসংঘটিত শিল্পের রূপ দিয়ে প্রতি ইউনিট কৃষি উৎপাদিত ফসলের মূল্য শিল্পের ন্যায় বিজ্ঞানসম্মতভাবে নির্র্দ্ধরণ করতে হবে৷ তবেই কর্ষকরা কৃষি উৎপাদিত ফসলের উপযুক্ত মূল্য পাবে ও তাদের দারিদ্র্য দূর হবে, কৃষির ক্ষেত্রে একটা নিশ্চিততা দেখা দেবে৷

জি টি এ বাতিল ও রাজ্যে রাজ্যে বাঙালী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে শিলিগুড়িতে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাজ্যে রাজ্যে বাঙালীদের নির্যাতন - বিতাড়নের প্রতিবাদে ও গোর্খাল্যান্ডের নামে বাঙলা ভাগের চক্রান্তকারী জি.টি.এ আইন বাতিলের দাবীতে ১৮ই জুলাই ২০২৫ তারিখে ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে৷ মিছিলটি শিলিগুড়িতে ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে হাসমি চক হয়ে বিধান মার্কেট অবধি পৌঁছোয় এবং ওখানে প্রথমে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় এবং পরবর্তীতে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

উক্ত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, বরেন্দ্র ভূমি সাংগঠনিক সচিব দলেন্দ্রনাথ রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হারাধন ভৌমিক, খুশীরঞ্জন মণ্ডল, জয়ন্ত দাশ, দার্জিলিঙ জেলা সচিব শম্ভু সূত্রধর, জলপাইগুড়ি জেলা সচিব নীরোদ চন্দ্র অধিকারী, সুবোধ বর্মন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

মিছিলটি থেকে ‘আমরা বাঙালী’র তরফে পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যে, রাজ্যে রাজ্যে বাঙালী নির‌্যাতন ও বিতাড়ন বন্ধ না হলে এই বাঙলা থেকেও সমস্ত বহিরাগত অবাঙালীদের ওপর বাধ্য হবে চাপ সৃষ্টি করতে৷ বাংলা ভাষায় কথা বললেই যদি বাংলাদেশী চিহ্ণিত হয়ে যায়, বাঙালীদের তাড়ানো হয় ! তাহলে ভারতবর্ষে বসবাসরত উর্দুভাষীদের পাকিস্তানী হিসেবে চিহ্ণিত করে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না কেন? কারন টা পরিষ্কার, ওদের টার্গেট -- বাঙালী খেদাও.... অবিলম্বে এই অত্যাচার বন্ধ না হলে সারা বাঙলা জুড়ে বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের ডাক দেয় ‘আমরা বাঙালী’৷ জি.টি.এ আইন বাতিলের ডাক দেয় সংঘটনটি৷