বনগাঁ ঃ গত ২৬শে নবেম্বর বনগাঁ খারামারীতে গৌরী শংকর বিশ্বাসের গৃহপ্রাঙ্গনে ৩ ঘন্টা ব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন কুমুদ দাস, হরলাল হাজারী, অবধূতিকা আনন্দ মনোময়া আচার্যা প্রমুখ৷ কীর্ত্তনের পর আচার্য সর্বানন্দ অবধূত ও শ্রী সন্তোষ বিশ্বাস সাধনা ও ভক্তিতত্ত্বের ওপর বক্তব্য রাখেন৷
আগরতলা ঃ তেলিয়ামুড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ব্রজেন্দ্র দাসের গৃহপ্রাঙ্গনে ছয ঘন্টাব্যাপী ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তনে তেলিয়ামুড়া, তুসিন্দাই প্রভৃতি এলাকা থেকে আনন্দমার্গীরা যোগদান করেন৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ ঘোষ, বাবুল দেবনাথ প্রমুখ৷ কীর্ত্তনশেষে আনন্দমার্গের দান , সাধনা ও কীর্ত্তনের ওপর বক্তব্য রাখেন---নিত্যানন্দ দেবনাথ৷
শ্রী ব্রজেন্দ্র দাসের নাতনী দেবশ্রী দাসের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই কীর্ত্তনানুষ্ঠান হয়৷
রাণীহাটি ঃ গত ৮ই অক্টোবর রাণীহাটি চিল্ড্রেন হোমে কীর্ত্তন দিবস উপলক্ষ্যে ১টা থেকে অখন্ড কীর্ত্তন শুরু হয়৷ হোম সুপারিটেনডেন্ট আচার্য নিত্যসুন্দর ব্রহ্মচারী কীর্ত্তনের সূচনা করেন৷ তারপর সুশান্ত শীল ও শেষে সুপ্রিয়া ভৌমিক অখন্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন৷ উক্ত দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ভূক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা ও তপন ভৌমিক৷
দুর্গানগর ঃ আগামী ১০ই ডিসেম্বর দুর্র্গনগরে উত্তর ২৪ পরগণার জেলার আনন্দমার্গের ভুক্তিপ্রধান সন্তোষ বিশ্বাসের বাড়ী ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখন্ডকীর্ত্তন৷ দুপুর বেলা ১১টা থেকে বিকেল টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে৷ এই অখন্ড কীর্ত্তনে তিনি উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতা ও দঃ২৪ পরগণার সমস্ত আনন্দমার্গীদের ও ভক্তদের আহ্বান জানিয়েছেন৷
চৌবেড়্যার গ্রামে কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভা
পাঁশকুড়া ঃ গত ২৪ শে অক্টোবর পাঁশকুড়া ব্লকের চৌবেড়্যা গ্রামে সঞ্জীব দাসের বাড়ীতে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে বকুলদা, মহৎপুর, নারায়ণদা ও রঘুনাথবাড়ী ইয়ূনিটের আনন্দমার্গীরা যোগদান করেন৷
‘‘আনন্দমার্গের আদর্শ ও আনন্দমার্গের করণীয়’’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন শ্রী রঞ্জিত কুমার রাউত ও সুভাষ কুমার পাল৷ তাঁরা বলেন, অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতা অর্জন করার নিরন্তন প্রয়াসই মানবজীবনের ব্রত ৷ তাঁরা বলেন, সাধনার দ্বারা, নিঃস্বার্থ সেবা দ্বারা ও ত্যাগের দ্বারাই মনুষ্যত্বের বিকাশ হয়৷
জেঠাইবাড়ীতে অখন্ড কীর্ত্তন
নিজস্ব সংবাদদাতা ,কাঁথি ঃ গত ৪ ও ৫ই নভেম্বর কাঁথি মহকুমার অন্তর্গত জেঠাইবাড়ীতে ২৪ ঘন্টাব্যাপী ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্ ’ মহামন্ত্রের অখন্ড নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখন্ড কীর্ত্তনে দীঘা, কাঁথি, এগরা, পাঁশকুড়া, নন্দীগ্রাম প্রভৃতি এলাকা থেকে আনন্দমার্গীরা ও ভক্ত মানুষজন যোগদান করেছিলেন৷ কীর্ত্তনের পর ধর্মসভার আয়োজন করা হয়৷ আচার্য নিত্যতীর্র্থনন্দ অবধূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, আনন্দমার্গের অষ্টাঙ্গিক যোগসাধনার নিত্য অভ্যাসের মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা, বিপুল মানসিক শক্তি, নৈতিক শক্তি ও আধ্যাত্মিক অনুভূতি লাভ করা যায়৷ আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত বলেন, ভক্তি মানবজীবনের সবচেয়ে দামী সম্পদ৷ কীর্ত্তনের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে ভক্তিভাব জাগরিত হয়৷ তখনই মানুষ পরমানন্দ লাভ করে৷ সাধনা, ভক্তি ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর শ্রী জ্যোতির্ময় পাহাড়ী ও শ্রী ভবানীশংকর ঘোষও জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখেন৷
কীর্ত্তনের পর অনুষ্ঠিত নারায়ণ সেবা তিন শতাধিক ভক্তকে আপ্যায়িত করা হয়৷ লক্ষ্মণ বেরা, বিমল বারিক, অমলেশ মান্না প্রমুখের অক্লান্ত চেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সাফল্যমন্ডিত৷
বনগাঁ ঃ আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ‘ৰাৰা নাম কেবলম্ মহামন্ত্রের কীর্ত্তন পরিক্রমা এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে৷ বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুল (চাকদা রোড) থেকে৷ এখান থেকে কীর্ত্তন পরিক্রমা ঝাউডাঙ্গা, চাঁদপাড়া, কাঁটাখালি হয়ে ঠাকুর নগর যাবে৷ এই কীর্ত্তন পরিক্রমায় সমস্ত আনন্দমার্গী ও ভক্তবৃন্দকে যোগদান করতে আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তিপ্রধান সন্তোষ বিশ্বাস ও জেলার সেবাধর্ম-ভুক্তিপ্রধান কমল হালদার৷
সমাজ ভবনে অখণ্ড কীর্ত্তন
কলিকাতা ২৫ নভেম্বর ঃ নব নির্মিত সমাজ ভবনে বহু ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে তিন ঘন্টা ব্যাপী অখন্ডকীর্ত্তনের ব্যবস্থা করা হয়৷ সকাল ৯টা থেকে ১২ টায় কীর্ত্তন শেষ হয়৷ বহু সাধক উক্ত কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন শেষে স্বাধ্যায় পাঠ ও বক্তব্য রাখেন শ্রী বকুলচন্দ্র রায় মহাশয়৷ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীতা ঘোষ ও সুরশ্রী মাইতি৷ সবশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে মধ্যাহ্ণভোজে অংশগ্রহনে অনুরোধ জানান৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও দেখাশোণা করেন রবীন্দ্রনাথ সেন ও বকুলচন্দ্র রায়৷