‘‘অন্ধকার বিবর থেকে উঠে এসো হতাশ যুবক
আমরা আলোকতীর্থের পথে যাবো৷’’ ---শ্রী শরৎসুনীল নন্দী৷
কবির ওই নামটি নিয়ে কিছু সংস্কৃতি মনস্ক মানুষ, যাঁরা মানবিক বিশ্ব তৈরীর স্বপ্ণ দেখেন এদিন ছিল তাঁদের মিলনমেলা৷ শহর কলকাতায় এই প্রথম আনন্দমার্গ ও শ্রীশ্রীআনন্দূমূর্ত্তিজী আদর্শ নিয়ে গান, কথা, ছোট গল্পপাঠ.... মার্গী ও নন মার্গী সাধারণ মানুষের সমাবেশে আলোকতীর্থ নামে একটি সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র ১৪ জুলাই ২০১৮, ৫৯বি: চৌরঙ্গী রোড---চারতলায় একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করল গান, কবিতা, ধ্যান ও কৌশিকীর উপকারিতা....৷ সব মিলিয়ে আনন্দময় পরিবেশ৷ আশা করা যায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও দ্রুত মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার চেতনা ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে আলোক তীর্থ৷ আয়োজক ডঃ কাকলি ভট্টাচার্য৷ গায়ত্রী মন্ত্র ও সংগচ্ছধবং মন্ত্রপাঠ দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়৷ ‘‘তুমি যে বাসতে ভালো ভুলো না’’---এই প্রভাতসঙ্গীতটি পরিবেশন করেন শ্রীনিন্দ্য ভট্টাচার্য, ইনি পূর্বেও প্রভাতসঙ্গীতের সিডি তৈরীতে কণ্ঠ দান করেছেন৷ একটা টাকাও নেন নি৷ অথচ ইনি আনন্দমার্গের সদস্যও নন৷ অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝেই তিন মিনিটের ‘বাবা নাম কেবলম্’ শ্রবণ ও ধ্যান ছিল৷
চিলির সান্তিয়াগো থেকে এক ভক্তের চিঠি ‘বাবাকে নিয়ে এক রাতের অভিজ্ঞতা’ (১৯৮৯) পড়া হ’ল৷
বাংলাদেশের শিল্পী মহঃ রবীন ডিমের ভ্রূণ অবস্থার ছবি আঁকা দেখিয়ে ব্যাখ্যা করলেন ডিম এক অমানবিক খাদ্য৷ ভ্রূণ হত্যার মতই৷ ‘বাবা’র হাস্যরসের গল্প পাঠ করলেন হিতাংশু ও স্বাগতা ব্যানার্জী৷ ‘কীর্ত্তন মাহাত্ম্য
বিষয়ে মনোবৈজ্ঞানিক আলোচনা করলেন জিজ্ঞাসু৷ প্রাউট পরিচিতি দিলেন শ্রী জয়ন্ত দাশ৷
শ্রী শিবু চন্দ্র দাস মহাশয় জানালেন ভবিষ্যতে আলোকতীর্থ অনুষ্ঠানে তিনি সার্বিকভাবে সাহায্য করবেন৷
‘অখণ্ড মণ্ডলাকারং....’ মন্ত্রের সাথে গুরুপূজা দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা হ’ল৷