১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী মহান দার্শনিক যুগান্তকারী সমাজদর্শন ‘প্রাউটে’র প্রবক্তা শ্রীপ্রভাত রঞ্জন সরকারের ওপর পাপ শক্তি বিষপ্রয়োগ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল৷ এর প্রতিবাদে এদিন ‘আমরা বাঙালী’র কলকাতা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ‘নীলকন্ঠ দিবস’ পালিত হয়৷ এদিনের অনুষ্ঠানের সভাপতি শ্রী সুধীর গুপ্ত বলেন, মানবসভ্যতার আদিগুরু শিব যেমন বিশ্ববাসীকে রক্ষা করার জন্যে বিষ পান করে ‘নীলকন্ঠ’ হয়েছিলেন, তেমনি বিশ্বমানবতাকে রক্ষা করতে পাপচক্রের সমস্ত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে তাদের দেওয়া বিষকে আত্মস্থ করে নিপীড়িত মানবতার পরিত্রাতা প্রাউট--প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারও তেমনি ‘নীলকন্ঠ’ হয়েছেন৷ তাঁর প্রবর্তিত প্রাউট দর্শনের ভয়ে ভীত হয়েই পঁুজিপতিগোষ্ঠী ও তাদের দোসর সরকার প্রাউট-প্রবক্তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল৷ শ্রী চক্রবর্তী বলেন, এই কারণে আমরা এই দিনটিকে ‘নীলকন্ঠ দিবস’ হিসেবে পালন করছি৷ অনুষ্ঠানে আরও যাঁরা বক্তব্য রাখেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আমরা বাঙালীর কলকাতার জেলার জেলা সচিব সুনীল চক্রবর্তী, আমরা বাঙালীর হুগলি জেলার জেলা সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, এস.পি.সিং, উজ্বল ঘোষ৷ অরূপ মজুমদার৷ উৎপলকুন্ডু চৌধুরী প্রমুখ৷
তাঁরা বলেন, আজকের মানব সমাজে যে সার্বিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, বিশ্বজুড়ে যে ভয়ঙ্কর সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে এই সমস্যার সমাধান ধণতন্ত্রে নেই মাকর্সবাদেও নেই এর সমাধান একমাত্র রয়েছে প্রাউটের প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের মধ্যে৷